ব্যালেন্স || @shy-fox 10% beneficiary
শহর-বন্দর পেরিয়ে
অবশেষে আমি প্রকৃতির মাঝে ।।
কল্পনা যতটা সহজ ছিল
পৌঁছানো কিন্তু ততটাই কঠিন ।।
ওরে বাছা,
জীবন সহজ নয় আবার কঠিনও নয়
জীবন সমান্তরাল ।।
এহেন ভাবনা তেমন আগে হত না। তবে আজকাল রোজ হয়, মাঝে মাঝে জীবনটাকে একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেখি । দেখি সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা । দেখি আশেপাশের কংক্রিটের শহরের জঞ্জাল গুলোকে । কারণ জঞ্জাল গুলোই রূপভেদ বদলায় , ক্ষণে ক্ষণে মুহূর্তেই।
সেকি হিংসারে ভাই ,ওদের চোখে মুখে। মনেহয় ছিঁড়ে খাবে আমাকে । সমালোচনা শুনে শুনে আমি একদম পরিপূর্ণ । আমার তো এখনো মনে আছে, যেবার আমি অকৃতকার্যের স্বাদ পেলাম, তখন তো সমবেদনার সমসুর আর আজ যখন একটু সফলতার মুখ দেখছি, তখন হচ্ছে কানাঘুষা, কি একটা অবস্থা ।।
এহেন ভাবি এরা চায় কি । নরম মন আমার ব্যথিত হৃদয়, আমি চাই একটু শান্তি এথা হতে মুক্তি । ওরে বাছা , তুই যেথায় যাছ না কেন এরা অনেকটা জোঁকের মত তোকে ঝেঁকে ধরবে । এদের পরিতৃপ্তি তো ওখানেই, শুধু শুধু লাগবে আর জ্বলে-জ্বলে পুড়বে, এদের শান্তি তো ওখানেই।
তুই নরকে যা আর চিতায়পুড় ওদের মাথা ব্যাথা নেই, তবে সফলতার উষ্ণ মুখ দেখলেই, এরা কিন্তু তোকে ছারখাড় করবে । কোথা হতে টিকটিকির মতো ঝুলে পড়বে তোর সঙ্গে। শকুনের মত ছিঁড়ে ছিঁড়ে তোকে দেখার চেষ্টা করবে ঘটনা কি তোর । কেন তুই সফলতার উষ্ণ ছোঁয়া পাচ্ছিস ।।
নিরন্তন ভালোবাসার মুখগুলোও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলবে, কিরে হারামজাদা তোর মুখে হাসি কেন । তোর তো এমন থাকার কথা না, ঘটনা কি তোর । আলাদিনের চেরাগ নাকি যাদুবিদ্যার মন্ত্রতন্ত্র ।
কে শুনে কার কথা, তোর দুচোখের নিচের কালো দাগ, তোর মস্তিষ্কের কোনায় ব্যথা, শিরশির করে জাগানো তোর অনুভূতি । তোর রাত জাগা কষ্টের তিক্ত অভিজ্ঞতা , এদের কাছে সত্যিই আলাদিনের চেরাগের মতো । এথা হতে মুক্তি চাস, তাহলে নিজেকে লুকিয়ে রাখ ।।
কই লুকাবি আর বল, ঐ প্রকৃতি থেকে শুরু করে কংক্রিটের বেড়াজাল। সবখানেই এরা উৎপেতে আছে হায়েনার মতো , তোকে পেলেই নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে ।
তাহলে এটা হতে কি আর মুক্তির কোনো উপায় নেই । আছে রে বাছা, মাথা খাঁটা যুক্তি দেখা । পারলে চুপ করে দূরে সরে যা । ওরা চেঁচিয়ে যাবে, তুই শুনে যা । একটা সময় প্রকৃতির নিয়মে ওরা ঠান্ডা হয়ে যাবে , তবে তোকে শান্ত থাকতে হবে ।।
তোকে খুঁজতে হবে, কোথায় তোর শান্তি । কোথায় তোর মুক্তি, যুক্তি দেখা নিজের কাছে । তোকে হায়েনা হতে মুক্তির পথ বের করতে হবে। কংক্রিটের বেড়াজালে তোকে ভালো থাকার মন্ত্রতন্ত্র খুঁজতে হবে।
এ জগত সংসারে এটাই যে নিয়ম রে বাছা । টিকটিকি বলিস আর জোঁক বলিস আর যতো হায়েনাই বলিস না কেন , ওরা থাকবেই । ওদের মাঝেই তোকে বেঁচে থাকতে হবে, ঐ যে বললাম জীবন সমান্তরাল , ব্যালেন্স করে চলতে হবে ।।
বি:দ্র:
এমন যে শুধু আমার ক্ষেত্রেই হয় তা কিন্তু না । এমনটা কিন্তু আশেপাশে হয়ে যাচ্ছে বা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। তবে এটা হতে যে শিক্ষা গ্রহণ করলেন, সেটা কিন্তু রপ্ত করতে হবে । নতুবা এমন হায়েনার শিকারে পড়লে , বাঁচার কোন উপায় থাকবে না । যাইহোক কথাগুলো নিজের জীবন থেকে নেওয়া, নিজের মতো করে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ।।
ধন্যবাদ সকলকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আসলেই আমাদের সমাজের মানুষদের এটাই সমস্যা, কেউ সফলতা অর্জন করলে তাকে নিয়ে সমালোচনা শেষ নেই। সে কিভাবে সফলতা অর্জন করল। আমরা তার দেখাদেখি সফলতা অর্জন করব, এই চিন্তা-ভাবনা নেই। সে কেন সফলতা অর্জন করল। তাকে নিয়ে যত হিংসা। আর এই হিংসার কোন শেষ নেই। যেন সারাদিন তাদের কোন আর কাজ নেই। এই হিংসা নিয়ে থাকে। কিভাবে তাকে এই সফলতার পথ থেকে দূরে সরানো যায়, এটাই তাদের মূল লক্ষ্য। আসলে আমাদের সমাজের মানুষের এই চিন্তাধারার কারণে আজ আমাদের সমাজ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। একজন উন্নতি করেছে তুমি তার দেখাদেখি উন্নতি করো, এটা তাদের লক্ষ্য না। তাদের লক্ষ্য সে কেন উন্নতি করল। তাকে কিভাবে উন্নতির পথ থেকে নামানো যায়, এটাই মূল লক্ষ্য। খুবই খারাপ লাগলো আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মানুষের চিন্তাধারা দেখে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সমালোচনাকারীদের নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াই সবচাইতে মূল উদ্দেশ্য হওয়া দরকার। তাই আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি এবং পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি এবং আপনার জন্য দোয়া রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এরা দুর্বার, এরা অনেক শক্তিশালী, কোন কালবৈশাখী ঝড় তাদেরকে কাবু করতে পারে না আর তারা হল সমালোচক এরা বেঁচে থাকবে যুগের পর যুগ ধরে। মুরুব্বীরা একটা কথা বলতো লাঠি ওয়ালার লাঠি হাত দিয়ে ধরা যায় কিন্তু গীবত কারীর মুখ ধরা যায় না। তাই এদের থেকে খুব সাবধান।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার পোষ্টটি পড়ে যা বুঝলাম আমাদের সমাজে এই শ্রেণীর লোক অনেক যারা সবসময় আপনার পিছে লেগে থাকবে আপনি যত সফলতা অর্জন করবেন এরা তথ্য সঙ্গবদ্ধ হয়ে আপনাকে শুনে না মানা করবে। এরা নিজেরা কুয়ো তে পড়ে থাকবে কিন্তু যেভাবে হোক অন্যদেরও সেখানে নামাবে। এদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই নিচু যে পশুর মাংস খেত দ্বিধাবোধ করবে না। কিন্তু কথায় আছে না প্রকৃতির প্রতিশোধ ।তারা যত আপনার পেছনে লাগবে আপনি তথ্যই সফলতা অর্জন করবেন। কেননা তারা হয়তো আপনার ভুলগুলো ধরবে আর সেই ভুলগুলো সংশোধন করে নিয়ে আপনি নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই জীবন্টা সমান্তরালভাবে চলে। আর মানুষের জীবনে ভাল মন্দ দুটো দিকই থাকে। তবে নিন্দুকের জন্য খারাপ সময়ে আপনার দ্বারে জোঁকের মতো আঁকড়ে ধরে, ভালো সময় খেতে চায় হায়নার মত। ভাইয়া আপনি আপনার জীবনের কিছু স্মৃতি মনের ভাব রূপান্তর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, তবে এর চেয়েও বিশাল কিছু প্রতিটি মানুষের সাথে হয়। আমার সাথে হচ্ছে হয়তো আমি এত সুন্দর করে লিখতে পারছিনা। ১০০০ ব্যস্ততার কারণে আমার তেমন একটা কিছু লেখা হয় নানা।কিন্তু আজ আপনার অন্তরের রক্তক্ষরণের ব্যথীত কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিলে আমার প্রতিটি হায়নার ছিড়ে খাওয়ার সময়ের কথা। সত্যি ভাইয়া কংক্রিটের শহরে কিছুই নেই আর কংক্রিটের শহরে না থাকলে বাঁচা বড় দায়, সবকিছু আমাদেরকে ব্যালেন্স করে চলতে হবে যেখানে যে পরিবেশ। আপনার ব্লগ টি পড়ে অনেক কিছু মনে হল ইচ্ছে করছে লিখি কিন্তু পারছিনা। যাইহোক আমাদের সাথে এত সুন্দর করে আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং গভীর ভালোবাসা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
উফফফ! দারুন ছিলো।শুধু এটুকু অংশের তারিফ ভুল হবে মনে হবে আমি প্রশংসা করতে কৃপনতা করছি।আপনার পুরা লেখাটি অসাধারণ ছিলো। এ নিয়ে দুবার পরা শেষ করলাম।মনে হচ্ছে এককেটি লাইন একটি রচনার ভাবার্থ প্রকাশ করছে ।ধন্যবাদ এতসুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার লেখনীর মাঝে অদ্ভুত এক রকমের জাদুর হয়েছে। যে জাদুতে প্রতিনিয়তই আমি মুগ্ধ হই। অসাধারণ লিখেছেন আজকে। আমাদের মনের কিছু কিছু কথা রয়েছে যেগুলো অব্যক্ত রয়ে যায়। কারণ হয়তো আমাদের মনের অগোছালো কথাগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে ব্যক্ত করতে আমরা ব্যর্থ হই। কিন্তু আপনি সব সময় নিজের মনের কথাগুলোকে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। আসলে বাস্তব জীবনটা বড়ই অদ্ভুত রকমের। সবচেয়ে বেশি অদ্ভুত হলো আমাদের চারপাশের সেই মানুষগুলো। যারা আমাদের দুঃখকে হাসিমুখে স্বাগত জানায় আর আমাদের সুখগুলোকে হেলায় উড়িয়ে দেয়। তাদের কাছে মনে হয় আমাদের পাওয়া সুখ গুলো আলাদিনের চেরাগের মত। তারা মনে করে হয়তো আমাদের জীবনের সুখের মুহূর্তগুলো হঠাৎ করে এসেছে। জীবনে সুখ পেতে হলে তার পিছনে যে না বলা কথা গুলো রয়েছে তা কখনই তারা জানতে চায় না। একজন ব্যক্তির সফলতা পিছনের গল্প সবার কাছেই অজানা রয়ে যায়। সফলতা এমনিতেই আসেনা। পরিশ্রম, চোখের নিচে পরা কালি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও রাত জাগা কষ্টের অনুভূতি গুলো কেউ দেখেনা। কত রাত না ঘুমিয়ে কেটে যায় সেই সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে সেটা কখনো কেউ অনুভব করে না। কারণ তারা সফলতাকে দেখতে পায় সফলতার পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম, নির্ঘুম রাত কাটালো এগুলো তাদের কাছে অজানাই থেকে যায়। কারণ তারা সেগুলো জানতে চায় না। আমাদের চারপাশের মানুষগুলো শুধু মনে করে সফলতা হঠাৎ করে এসেছে কিন্তু এই সফলতা যে হঠাৎ করে কখনো আসে না সেটা তারা কখনো বোঝে না। অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি বিষয়ে তুলে ধরেছেন ভাই। আসলে আমরা যখন সফল হই তখন আমাদের সমাজের লোকজনরা সহজে তা মেনে নিতে পারে না। সফল হই বললে ভুল হবে, আমাদের সমাজের গতানুগতিক নিয়মে সফল না হয়ে অন্য কোন উপায়ে সফলতা অর্জন করলে সমাজের লোকজন ভাবে কি নাকি করেছি। আর সফলতা অর্জন করার পর এ সফলতা দেখে সমাজের লোকজনরা জ্বলে পুড়ে ফুঁসতে থাকে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ছিল আপনার লেখাগুলা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
শুভ ভাই কবিতার ছন্দে লেখা আপনার এই কথাগুলো কিন্তু আমাদের জীবনে খুবই অর্থবহ। আমাদের দেশের মানুষের স্বভাবঐ এমন দাঁড়িয়ে গেছে যে আমরা কেউ কারো উন্নতি সহ্য করতে পারি না। ভালো কিছু দেখলেই আমাদের হিংসে হয়। কিভাবে তাকে নাস্তানাবুদ করা যায় সেই চিন্তা আমাদের মাথায় অটোমেটিক ঘুরতে থাকে। যারা ব্যর্থ মানুষ তারাই এই রোগের শিকার। এমনকি নিতান্তই কাছের মানুষ, যাদেরকে আমরা আপনজন হিসেবেই ভাবি তাদেরও এমন মনোভাব আমাদেরকে চরমভাবে কষ্ট দেয়। অথচ কষ্টের দিনগুলোতে এই মানুষগুলোকে কাছে পাওয়া যায় না। যাই হোক ছোটবেলায় একটা কবিতা পড়েছিলাম পাছে লোকে কিছু বলে। এই কবিতার মতোই সবসময়ই আপনার পিছনের লোক কিছু না কিছু বলবেই। আপনাকে হেনস্থা করতে চাইবে, আপনাকে বিদ্রুপ করবে, উপহাস করবে কিন্তু এগুলো উপেক্ষা করে যে এগিয়ে যেতে পারবে আমার মনে হয় তারাই সত্যি কারের মানুষ। সফলতা তাদেরই প্রাপ্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আপনার এই সফলতা যেন চিরন্তন বজায় থাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ব্যালেন্স করে চলা। আসলে অনেকেই পারে না চলতে তারা স্রোতের বিপরীতে চলতে চায় আর তখনি হয় সমস্যার তৈরী। ফটোগ্রাফি এবং লেখা পুরোটাই দারুন। ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
সমালোচকদের জন্যই মোরা
আলোচিত হই
নিন্দুকরা নিন্দা করবে
করবে হইচই
এই সমাজের প্রেক্ষাপটে
তারাও বিরাজমান
তাইতো তাদের মনে করি
প্রিয় মেহমান♥♥
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
♥♥