কমরেড || @shy-fox 10% beneficiary
মাঝে মাঝে একটু বাড়তি চিন্তায় থাকতে হয় এবং চিন্তাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে , মস্তিস্কের ধারণ ক্ষমতা একটু মেপে দেখতে হয় । হয়তো চিন্তা কখনো আগে থেকে বলে আসেনা । হুট করে মস্তিষ্ককে ঘায়েল করে ফেলে । আমি মনেকরি, মাঝেমধ্যে এইরকম অবস্থায় পড়া ভালো । কারণ আপনি খেয়াল করে দেখবেন, যখন আপনি একটা ধারাবাহিক নিয়মের মধ্যে চলবেন , সেটার যদি কোনো পরিবর্তন না হয় । সেক্ষেত্রে আপনি অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ।
হুট করে যদি একটু এদিক-সেদিক হয়, তাহলে চিন্তার জগতটা একটু প্রসারিত হয় । পারিপার্শ্বিক অবস্থায় রক্তে মাংসে গড়া মানুষগুলো কে কি রকম আচরণ করছে , এই ব্যাপার গুলো তখন অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে আসে । তাই মস্তিষ্ক যদি একটু চাপে পড়েও যায় অহেতুক ঘাবড়ে না গিয়ে সেই চাপকে অনুধাবন করতে শিখুন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝতে শিখুন । হয়তো শুরুতেই আপনার সামনে অনেক কিছু ভেসে উঠবে , তাই তাৎক্ষণিক যে শিক্ষাটা পাচ্ছেন সেটাকে গ্রহণ করে নেয়াটাই শ্রেয় । তাহলে হয়তো বড় ঝামেলা থেকে বেঁচে যেতে পারেন ।
আমি নিজেও গত তিনদিন খুবই মানসিক চাপের ভিতরে ছিলাম । কেমন মানসিক চাপের ভিতর ছিলাম , এটা যদি আমি একটু বলার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো একটু হলেও বুঝতে পারবেন । আমার স্বাভাবিক জীবনে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটে ছিল । কারণ যেটাতে আমি অভ্যস্ত ছিলাম , সেটা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । ধরুন আপনার একটা জায়গা থেকে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা হয় । ঐ জায়গাটা কে কেন্দ্র করেই সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলে , সেটা যদি হঠাৎই একটু এদিক-সেদিক হয়, তাহলে তো একটু ঝামেলায় পড়তেই হয়, ব্যাপারটা ঠিক তেমনই ছিল ।
মনে করেন তিন রাতে আমার ঘুম হয়নি । রাত-দিন সমান করে একটা অজানা অস্থিরতায় ভুগছিলাম । শুধুমাত্র নিকোটিনের ধোঁয়া গুলো আমার ভিতরে প্রবেশ করছিল আর বের হচ্ছিল । অতঃপর একটা সময়ে গিয়ে আমি ভাবলাম, এইভাবে আর কতক্ষণ ।
চেষ্টা করলাম, স্থির হয়ে বসার জন্য । খুব কাছের মানুষগুলোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম । যাদের সঙ্গে কথা বললে, আমি একটু হালকা হতে পারব । যাইহোক খুঁজে খুঁজে চেষ্টা করলাম আমার কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলার জন্য । শুধুমাত্র আমিই জানি এই মানুষগুলো আমার কতটা কাছের । যেটা আমি মুখে বলে বোঝাতে পারব না । আমি অনেকটা ভিখারির মত তাদের কাছে হাত পাতলাম । কারণ তাদের সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই । আমার আসলে মূলত মানসিক চাপ থেকে বের হতে হবে । আপাতত সময়ে তাদের সঙ্গে আমার কথা বলতে হবে, আমার ক্ষুধা ওখানেই ।
এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারাটা আমার কাছে জরুরী ও আত্মতৃপ্তির ব্যাপার । যাইহোক আমার হাতটাকে তারা কেউ ফেরত দেয় নি । হয়তো তাদের কাছেও আমি অনেক প্রিয় , বিধায় তারা আমাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে এবং আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে, যেটা আসলে আমার দরকার ছিল ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি এই পরিস্থিতিতে পড়া আমার দরকার ছিল । মুখে অনেক কথাই বলি, তবে বাস্তবে মস্তিষ্কে চাপ না পড়লে আসলে কোন কিছুই বোঝা যায় না যে , আসলে প্রেক্ষাপটটি কেমন চলছে । যাইহোক আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে, যারা আমাকে মানসিকভাবে সাহস যুগিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ।
সত্যি বলতে কি, ধ্যান-জ্ঞান আমার এখন এই লেখালেখি কে কেন্দ্র করেই এবং এগিয়ে যেতে চাই আরো স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেখালেখি কে পুঁজি করেই । এটাই মূলত আসল সত্য কথা । আমি তো অনেক সময় বলেই দেই , আমি লেখা বেঁচে খাই ।
ব্যক্তি জীবনের থেকে আমি এখন ভার্চুয়াল জগত কে বেশি প্রাধান্য দেই । মানে আমি যে জায়গায় অবস্থান করছি অর্থ্যাৎ যে প্লাটফর্মে লেখালেখি করছি ঠিক সেই জায়গাটাকে । যদিও এখানকার বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী আমি । ভবিষ্যতে আরও কি হবে তাও বলতে পারবো না । তবে আমি মনে করি, যে অবস্থায় হোক না কেন সব অবস্থায় যেন আমার মানসিক সাপোর্ট দেওয়া মানুষগুলোকে যেন পাশে পাই, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করি সবসময় ।
আজ আমার মোটামুটি চিন্তা কমে গিয়েছে । কারণ যে মানুষ গুলোকে আমি কখনো চোখে দেখিনি, যাদের সঙ্গে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই , তারপরেও মানুষগুলো আমাকে নিয়ে যে এতটুকু ভেবেছে এবং আমাকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছে, আমি তো মনেকরি এটাই আমার কাছে বেশ বড় পাওয়া । আমি কৃতজ্ঞ সেই সকল মানুষদের কে কাছে পেয়ে, যারা আমার এই তিন দিনের খুব কঠিন সময়ে পাশে ছিল । তাদের জন্য ভালোবাসা রইলো নিরন্তন ।
এই ছোট্ট জীবনে কতটুকুই বা ভাল কাজ করতে পেরেছি বা কতটুকুই বা মানবিক গুণে মানুষ হতে পেরেছি , তা আমি জানিনা । তবে আমি মনেকরি বহু চাওয়া-পাওয়ার ভিড়েও আমি কিছু সহযোগিতাপূর্ণ হাত পেয়েছি । যেটা আমার খুবই দরকার ছিল ।
ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো, নিজ নিজ জায়গায় ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখনই পড়ি তখন অন্য এক জগতের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। আসলে আমাদের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট গুলো বড়ই কঠিন। জীবনের উত্থান-পতন সবসময় হয়। প্রতিটি পরিস্থিতিতে আমরা যদি নিজেকে শক্ত রাখতে না পারি তাহলে জীবনের বাকি পথ চলা আরও বেশি কঠিন হবে। এই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদেরকে সবকিছু মেনে নিতে হবে এবং নিজের ধৈর্য আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। আপনার খারাপ সময়ে যারা আপনার পাশে ছিলেন তারাই আপনার প্রকৃত বন্ধু এবং তারাই আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী। আশা করছি আপনি আপনার জীবনের সব খারাপ পরিস্থিতি থেকে খুব শীঘ্রই ফিরে আসতে পারেন। আসলে আমি জানিনা আপনার কি হয়েছে। তবে আপনার এই লেখা পড়ে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। কারণ আপনি জানেন কিনা আমি জানিনা আমি আপনাকে মন থেকে কতটা শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। একজন মানুষকে না দেখেও তার প্রতি যে মায়া তৈরি হয়েছে সেটা শুধু আমিই বুঝতে পারি। তবে যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।❤️❤️
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য। আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন ।
ভাই প্রথমে বলবো আমি জেনে খুব খুশি হলাম যাদেরকে আপনি দেখেননি আত্মার আত্মার সম্পর্ক নয়, অথচ তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার বিগত তিন দিনের কষ্টে থাকা বিষয়টি শেয়ার করে অনেক উৎসাহ অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, এটা খুবই ভালো একটা দিক। আসলে আমাদের সবারই এভাবে যারা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ থাকে তাদেরকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ না করে তাদের পাশে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে না পারলেও, তাদেরকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিয়ে সহযোগিতা করা উচিত। এতে করে মানুষটির যেমন তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা কষ্টটা থেকে বের হয়ে আসতে পারে তেমনি আমার ও আত্ম তৃপ্তি অনুভব করব। আপনি বিষয়টিও আমার দিক থেকে আমি বলব ঠিকই বলেছেন আসলে আমরা যখন সব সময় এক রকম ভাবে আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করে তার মধ্যে আমাদের কিছু পরিবর্তন আসা উচিত তা না হলে আমরা নতুন করে কিছু বুঝতে পারবো না বা শিখতে পারবো না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো খুবই অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি আপনার লেখায়।
এজন্যই আমি মনে করি দিন শেষে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার মতো আমাদের মানুষ খুঁজে বের করা খুবই জরুরী ।আমি কৃতজ্ঞ এমন মানুষগুলোর পাশে থাকতে পেরে ।
ভাইয়া আমাদের প্রত্যেকের জীবনে চলার পথে অত্যন্ত মূল্যবান একটি কথা। মানুষের জীবন কখনো একই গতিতে চলে না বা চলতে পারেনা। কখনো কখনো আমাদের কোনো না কোনো কারণে থমকে দাঁড়াতে হয়। আর আমি এটাও বিশ্বাস করি যে চলা থামার দ্বারা নিয়মিত নয় তাকে উন্নতি বলা যায়না। আবার বিপদে পড়লে সত্যি কারের শুভাকাঙ্ক্ষীকেও চেনা যায়। যাইহোক ভাইয়া খুব দ্রুতই আপনার বাড়তি চিন্তার অবসান ঘটেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার মতো ভালো মানুষের জন্য সহযোগিতাপূর্ণ হাতগুলো সবসময় থাকুক এই কামনা করছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার আসলেই ক্ষুধা ছিল আমার চাপা কথাগুলো শেয়ার করার । প্রতিদিন কতো মানুষেরই কতো তো কথা শুনি । দিনশেষে আমার তো কিছু বলার থাকে । তাই হয়তো কথা গুলো বলে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি ।
মানুষিক চাপ খুব খারাপ একটা বিষয়। মানুষিক চাপের ফলে মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে। এই চাপ থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে কাছের মানুষদের সাথে সময় কাটানো। তাদের সাথে মনের কথাগুলো শেয়ার করা। আপনি ঠিক কাজটাই করেছেন ভাই।
যারা আপনার খারাপ সময়ে পাশে ছিলো তাদেরকে আমার পক্ষ্য থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। কোনো কিছু টেনশন করবেন না। আমরা আপনার পাশে আছি। ❣️❣️❣️
আপাতত চিন্তামুক্ত আছি ভাই । তবে আসলেই কিছু নিজের মানুষ রাখা খুবই জরুরী ,যাদের সঙ্গে অনায়াসেই খোলামেলা ভাবে কথা বলা যাবে । এইটা আসলেই খুবই দরকার।
আসলে ভাই আমরা যে কোন কাজ করি, আর সেটা যদি জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে,এবং সেটা যদি সঠিকভাবে না চলে।সঠিকভাবে জীবিকা উপার্জনের না হয়। তাহলে মাথার উপরে অনেক চাপ থাকে। আর এই চাপ থেকে পরিবারের টেনশন এবং ডিপ্রেশনে চলে যায়। যার কারণে কোন কিছুই ভালো লাগে না, সারাক্ষণ টেনশন এবং এই টেনশন করতে করতে অনেক বড় বিপদ হতে পারে। যাইহোক আপনার বিপদের সময় আপনার পাশে যে বন্ধুগুলো ছিল তাদের প্রতি রইল ভালোবাসা। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বিপদে সাহায্য করার। বিপদের সময় প্রকৃত বন্ধু চেনা যায়। যাই হোক আপনার সকল বিপদ কেটে যাক, এই দোয়া করি।
আপাতত ঝামেলা কেটে গেছে ভাই। অনেকটাই চিন্তামুক্ত আছি , আশীর্বাদ করবেন আমার জন্য ।
আসলেই নিজেকে খুব ভাল বোধ করি যখন, আমরা কমরেড এরা বুধবার একসাথে বসে আড্ডা দি। আসা করি আমরা এভাবে একসাথে দীর্ঘদিন পথ চলতে পারব। শুভেচ্ছা রইল প্রিয় কমরেড।
ভালোবাসা নিরন্তন ভাই । অটুট থাকুক এই বন্ধন যুগ থেকে যুগান্তর।
পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষগুলো হলো যারা বিপদের সময় পাশে থাকে। আমি নিজেও কৃতজ্ঞ এমন মানুষ আমার জীবনে পেয়ে। অবশ্যই মানুষগুলো বেশিরভাগই মনে হয় আজকাল ভার্চুয়াল। কারণ চোখের সামনের মানুষগুলো একটু কেমন জানি মনে হয়।
ঠিক বলেছেন আপু । চোখের সামনের মানুষ তো সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত।