গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো মুহূর্তের আজ প্রথম পর্ব
কয়েকদিন আগে গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে পাক্কা ৩ দিন সময় কাটিয়ে দিয়ে এসেছিলাম। মূলত ঐ ৩ দিনে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। তারই আলোকপাতে দুই পর্বের ফটোগ্রাফি সিরিজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আজকে তার প্রথম পর্ব শেয়ার করতে চলছি, আশাকরি ভালো লাগবে।
হয়তো এখন মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে, আবহাওয়াটাও বেশ অনুকুলেই আছে। তবে যে সময় গ্রামে গিয়েছিলাম তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই গ্রামে যেতে হয়েছিল। মূলত শহরে প্রচুর গরম ছিল, যার কারনে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্যই আমার গ্রামে যাওয়ার এই ক্ষুদ্র আয়োজন ছিল।
যেহেতু আমার শ্বশুর বাড়ির গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। বলা যায়, একদম প্রকৃতির মাঝেই অবস্থিত। শহুরে জীবনের মত যান্ত্রিকতা বা কোলাহল এখানে বিন্দুমাত্র নেই। আমার এখনো মনে আছে, তিনটে দিন মনেহয় কোনরকম গাড়ির আওয়াজ শুনতে পাইনি। তাছাড়া ঘরের জানালা খুলে দিলে নির্মল ঠান্ডা বাতাস ক্রমাগত ঘরের ভিতরে আসে। চতুর্দিকে ঘন গাছপালা আর একপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ ফসলের ক্ষেত, এক কথায় অপার্থিব সৌন্দর্য।
শহর থেকে যেদিন গ্রামে গিয়েছিলাম, তখন গ্রামে পৌঁছাতে খানিকটা সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল। এখন মোটামুটি গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তবে তা একদম প্রয়োজন অনুযায়ী না। রাতের খাবার খেয়ে সেদিন দ্রুতই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, ভোর বেলার দিকে অনেকটা হিমশীতল বাতাস ক্রমাগত শরীরে এসে লাগছিল, চোখ খুলে যখন জানালার দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম, তখন মনে হচ্ছিল যেন শীতের সকালের মতো পরিবেশ।
ইচ্ছে করেই দ্রুত বিছানা থেকে উঠে বাহিরের পরিবেশ একটু বিচরণ করার চেষ্টা করলাম। যদিও প্রথম দিকে কিছুটা অলসতা কাজ করছিল, তবে বাড়ির আশেপাশে ঘুরে অনেকটাই সতেজতাভাব মনের ভিতরে কাজ করছিল। এমন পরিবেশে আসলে দীর্ঘদিন থেকে সময় কাটানো হয় না। যেহেতু সময় সুযোগ পেয়েছি, তাই সেটাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছি।
এদিক সেদিক একটু হাঁটার চেষ্টা করলাম, দেখছিলাম তখন সবেমাত্র লোকজন ঘুম থেকে উঠেছে আর উঠেই তারা তাদের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত। কেউ হয়তো জমিতে সার দিতে যাচ্ছে, কেউ হয়তো গৃহপালিত পশু পাখির পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার অনেকে গ্রামের টঙ্গের উপর বসে দাঁত মাজার ছলে একে অপরের সঙ্গে টুকটাক গল্প গুজব করে নিচ্ছে।
সত্যিই এখানকার জীবনটা এমনই, খুব আহামরি আদিখ্যেতা এখানে নেই। এসবের মাঝে যখন নিজের মতো করে বিচরণ করছিলাম তখন যেন ভিন্ন রকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েই গেল, কত স্বল্প ইচ্ছে নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, কত স্বল্প আশায় বুক বেঁধে জীবনটাকে কাটিয়ে দিচ্ছে, তা হয়তো এখানে না আসলে, অনেকটা অজানাই থেকে যেত।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1700797707756151102?t=2vXLE_T3IThTxny65MH8Hg&s=19
গ্রামীণ পরিবেশটা আসলেই শান্তির জায়গা।শহরের মতো নেই কোন কোলাহল, নেই যানবাহনের বিশ্রী আওয়াজ। গ্রামীণ পরিবেশে সুবজ গাছপালার মাঝে শান্তিতে নিশ্বাস নেওয়া যায়৷ যেটা শহরে সম্ভব নয়। গ্রামীণ পরিবেশে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া, আমার দাদার বাড়িতে গেলেও এরকম নৈসর্গিক পরিবেশ দেখতে পাই। তাই যখন আপনার পোস্ট পড়ছিলাম, তখন আমার দাদার বাড়িতে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো উপলব্ধি করছিলাম। বিশেষ করে খুব সকালে যখন গ্রামের সকলে ঘুম থেকে উঠে এবং তাদের নিজ নিজ কাজের জায়গায় ব্যাতি ব্যস্ত হয়ে ছুটতে থাকে, অন্যদিকে আবার কিছু লোক দাঁত মাজার ছলে একে অন্যের সাথে খোশ গল্প করে। এছাড়াও রয়েছে সবুজে শ্যামল ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ। সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। নিঃসন্দেহে গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো সময়টুকু আপনারও খুব ভালোই কেটেছে বলে বিশ্বাস করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো মুহূর্তটুকু সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের এই হিমশীতল বাতাস পেলে আর কি লাগে ভাইয়া! গ্রামের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ, প্রাকৃতিক পরিবেশ সবই উপভোগ করার মতো। সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হলো, গ্রামে গিয়ে একদিনও কোনো যানের সাউন্ড পেলেন না। যেখানে শহরের যানের শব্দে শহরবাসী অতিষ্ঠ বলা যায়।
অনেকদিন পরে তাহলে গ্রামীণ প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। সত্যি বলতে গ্রামীণ প্রকৃতি পরিবেশের মধ্যে সময় কাটাতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না আর যারা শহরে থাকে তারা যদি কিছুদিনের জন্য একবার গ্রামে যায় তাদের কাছে পুরো গ্রামটা যেন রূপকথার শহর মনে হবে। এই যেমন ধরুন আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যে অনুভূতিটা মনের মধ্যে পেয়েছেন শহরে থাকলে হয়তো বা আপনি এরকম অনুভূতি কখনো কল্পনাই করতে পারতেন না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর যদি ঝিরিঝিরি বাতাস এসে শরীরে লাগে তাহলে তো ব্যাপারটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলোর চাওয়া পাওয়া আসলেই কম। তারা অল্প কিছু পেলেই খুব খুশি হয়ে যায়। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করতে যে কি ভালো লাগে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শীতের সময় তো সেই ভালো লাগা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় হাঁটতে এবং খেজুরের রস খেতে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া আপনার গ্রামীণ পরিবেশের সুন্দর মুহূর্ত গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালোই লাগলো। আসলে আমার মনে হয় গ্রামীণ পরিবেশ সবার কাছে খুব ভালো লাগে কারণ সেখানে নেই কোন কোলাহল নেই কোন শব্দ শুধু শান্তি আর নিস্তব্ধ শান্ত পরিবেশ। পুকুরে হাঁস গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং আপনার লেখাগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন তিন দিন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।