চলিতেছে পিজ্জার সার্জারি || @shy-fox 10% beneficiary

এই ঘটনাটা কিছুদিন আগের । আজকে লেখার চেষ্টা করছি । যাইহোক ব্যাপারটা এমন, এত্তগুলো মুহূর্ত আমার কাছে জমা হয়ে আছে যে আসলে কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখব । সেটাই ভেবে উঠে পারছিনা আর তাছাড়াও গতরাত থেকে শরীরটা বেশ খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। পুরো শরীর ব্যথা ও হালকা জ্বর জ্বর অনুভব হচ্ছে । অনেকটাই অস্বস্তিকর লাগছে নিজের কাছে ।

এখন প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে মূলত এরকম ঝড়-ঝাপটা ও বৃষ্টিপাত লেগেই আছে । মূলত এই আবহাওয়ার ভুক্তভোগী আমি । আর এইরকম আবহাওয়া সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী হয় যারা কর্মজীবী মানুষ তারা । তারা অসুস্থ হয়ে গেলে আসলে অনেক কিছুই স্থির থাকে না । কারণ তাদের উপরে নির্ভর করে অনেকেই ।

যাইহোক আমিও একপ্রকার কর্মজীবী মানুষ । হয়তো আমি শারীরিকভাবে পরিশ্রম করি না । তবে আমার শ্রমটা হয় মস্তিষ্কের উপরে চাপ দিয়ে ।বলতে গেলে মস্তিষ্কের উপর প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে বেশ ভালোই লেখালেখি করতে হয় । যারা আমার মত লেখালেখি করে , তারা এটা বেশ ভালোভাবেই বোঝে । আজকে মজার একটা মুহূর্ত শেয়ার করব । সেটা মূলত ইচ্ছা করেই আমি করছি । কারণ অনেকটাই একঘেয়েমি হয়ে গিয়েছে লেখালেখিতে । প্রতিনিয়ত শেয়ার করা লেখাগুলো থেকে একঘেয়েমি থেকে বের করার জন্যই , আজ একটু মজার কিছু লেখার চেষ্টা করছি ।

গত কয়েকদিন আগের কথা, যখন আমি মম ইনে গেছিলাম তখন ফেরার সময় বিবিকিউ রেস্টুরেন্ট থেকে পিজ্জা নিয়ে এসেছিলাম । আমার জীবনে এই প্রথম এত দাম দিয়ে আরকি পিজ্জা কিনেছিলাম। তাছাড়াও আগে যেগুলো পিজ্জা ভেবে খেয়েছি, সেগুলোকে কতটা পিজ্জা বলে সেটা আমি বলতে পারবো না । কারণ পঞ্চাশ থেকে একশ টাকায় আর যাইহোক পিজ্জা হয় না । হয়তো ঐগুলো ছিল রুটির উপর কোন রকম সস্ দিয়ে দুটো একটা পেঁয়াজ কেটেকুটে দিয়ে সাজিয়ে রাখার মতো আর তাই খেয়েই পিজ্জার স্বাদ নিতাম । তবে এই প্রথম আমি আসল পিজ্জা খাওয়ার স্বাদ পেলাম ।

ওরা আমাকে পার্সেল দেওয়ার সময় বলেছিল, আপনারা যদি এখানেই খেয়ে যান তাহলে বেশি মজা পাবেন । আর যদি বাড়িতে গিয়ে খান , তাহলে অবশ্যই ওভেনে গরম করে নিয়ে তারপরে খাবেন । কিন্তু বাসায় আসার পরে ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে , হীরাকে আমি বলেই ফেললাম । মনে করো পৃথিবীতে ওভেন নেই, তাহলে সেই অবস্থায় মানুষ কি করতো । মানে আমার এতোটাই ক্ষুধা লেগেছে যে ওকে বললাম যেমন আছে তেমনি আমাকে দাও ।

এরপর হীরা তাড়াতাড়ি বের করে নিয়ে আসলো । আমার যেন একদম আর দেবী সহ্য হচ্ছে না । খাওয়ার জন্য আমি অনেকটাই অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এর আগে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ফেসবুকের খাবারের দোকানের পেজগুলোতে এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ভিডিও গুলোতে যে পিজ্জা দেখেছি এইটা অনেকটাই সেই রকম ।

অতঃপর তড়িঘড়ি করে হীরাও আমার কথা শুনে সে দ্রুত একটা চাকু নিয়ে এসে পিজ্জার সার্জারি করা শুরু করে দিল এবং বলে দিল এইটা তোমার, এইটা ওর এবং বাকি গুলো সবার । মূলত আমাদের বাসার আশেপাশে সবাইকে নিয়েই পিজ্জা খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম । তো যেমন চিন্তা ঠিক সেই মাফিক যখন কাজ করতে পেরেছি , তখন বেশ ভালই লেগেছে ।

সত্যি বলতে কি, আমি আসলে একা কোন কিছু করতে খুব একটা পছন্দ করি না । বিশেষ করে সবাইকে নিয়ে একটু মজা করে কাজ করতে ভালোই লাগে । সেটা হোক খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে যে কোন ব্যাপারে । কারণ আমি মনে করি , সবার সঙ্গে মিলেমিশে কিছু করার মাধ্যমে একটা আলাদা প্রশান্তি পাওয়া যায় ।

সেদিন বেশ ভালোই লেগেছিল সবাই মিলে পিজ্জাটি খেয়ে । এর দাম ছিল সম্ভবত এই মুহূর্তে মনে নেই । তাও তো হাজার বারোশো টাকা হবেই এবং খেতেও অনেক মজা এবং আমি সেদিন আমি আসল পিজ্জার স্বাদ পেয়ে ছিলাম । যেটা আমার পূর্বের খাওয়া রুটির থেকে অনেকটাই আলাদা । যদিও এটা গরম গরম খাওয়া যেত তাহলে বেশ ভালোই মজা পাওয়া যেত, তবে সেই অবস্থাতে খেয়েও বেশ ভালোই মজা পেয়ে ছিলাম । আর এ যাত্রায় বেশ সহযোগিতা পূর্ণ মনোভাব পালন করেছে আমার গিন্নি । কারণ সে ভালোভাবেই পিজ্জার সার্জারি করতে পেরেছিল এবং সবাইকে মোটামুটি সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল ।

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||