ধাক্কা খেলাম || @shy-fox 10% beneficiary
ইফতারের একটু আগেই একটা অজানা নাম্বার থেকে আমার ব্যক্তিগত ফোনে একটা কল চলে আসলো । ফোনের ওপাশ থেকে কেউ একজন আমাকে বলল , আমি থানা থেকে বলছি । আপনি কি অমুক বলছেন আর আপনি কি পাসপোর্টের জন্য এপ্লাই করেছেন । আমি সবগুলো সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম এবং সে আমাকে বলল আপনি ইফতারের পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিয়ে আমার সঙ্গে থানায় দেখা করুন ।
এমনিতেই আজকাল চেম্বারে রোগীর পরিমাণ একটু কমে গিয়েছে । তার মধ্যে রমজান মাস । আসলে মানুষ সারাদিন রোজা রেখে, দাঁতের চিকিৎসা নিতে একটু অনিহা প্রকাশ করে । তাছাড়াও এই সময়টাতে এমনিতেই একটু রোগীর পরিমাণ কমে যায় । যাইহোক এসব নিয়ে তেমন খুব একটা আমি ভাবছি না । দেখতে দেখতে ইফতারের সময়টা পার হয়ে গেল এবং আমি ভাবলাম যে আজকের মত আর চেম্বারে সময় ব্যয় না করি । অবশেষে চলে গেলাম বাসার উদ্দেশ্যে ।
প্রয়োজনীয় কাগজ বলতে নিজের ভোটার আইডির ফটোকপি, নিজের বাবা-মার ভোটার আইডির ফটোকপি এবং নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট ও আমাদের বাসার বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি এগুলোই নিয়ে যখন আমি থানায় হাজির হয়ে গেলাম , তখন ঘড়িতে বাজে রাত্রি নয়টা । ভদ্রলোক কে ফোন দেই ভদ্রলোক আর ফোন ধরে না । যাইহোক ডিউটি অফিসারের সঙ্গে একটু কথা বলার চেষ্টা করলাম । সে আমাকে বলছে , হয়তো ভদ্রলোক তারাবির নামাজে গিয়েছে এই জন্য ফোন ধরছেনা ।
এমনিতেই এলাকাটা তে সেই সময়ে কারেন্ট ছিল না । তার ভিতরে থানার ভিতরের পরিবেশটা অনেকটাই নিরিবিলি ছিল । বেশ হাঁটা চলাফেরা করেছি হালকা আলোতে । সবকিছু বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে, তবে মোটামুটি মশার উৎপাত এই এলাকাটিতে প্রচুর বেশি । সেকি বড় বড় মশা, প্রায় ঘন্টাখানেক মশার সঙ্গে যুদ্ধ করে, অতঃপর কারেন্ট আসলো এবং তখন পুরো এলাকাটা বেশ ভালোই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ।
পুরনো থানার ভবনটি এখনো ভাঙ্গাচুরা করেনি । ওটাই মূলত প্রথম থানা ছিল । তারপর এখন যেটা, সেটা তো নবনির্মিত । তবে নবনির্মিত এই থানার ভবন করতে শুনেছি প্রায় নাকি পনের কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। তবে ভিতরে ডেকোরেশন ও কারুকার্য দেখে মনে হল না , এটা পনের কোটি টাকার বিল্ডিং হতে পারে । হয়তো এখান থেকে বহু পয়সা এদিক-ওদিক হয়েছে । এটা যে কেউ দেখলেই বলতে পারবে ।
যাইহোক তখনো নামাজ শেষ হয়নি । থানার ভিতরের ক্যাম্পাসে একটু এদিক-সেদিক ঘুরছি আর আশেপাশের অবস্থা দেখার চেষ্টা করছি । কত পুরনো গাড়ি, কত মোটরসাইকেল । আবার হুটহাট তো অনেক নতুন নতুন গাড়ি দেখতে পাচ্ছি। অনেকটা বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে গাড়ি গুলোর অবস্থা করুন হয়ে গিয়েছে ।হয়তো এক একটার ঝামেলা এক রকম হবে । তবে যাইহোক এসব আইন-কানুনের জায়গায় আমার খুব একটা বেশি থাকতে ইচ্ছা করে না, মানে গায়ে এলার্জি দেখা দেয় ।
অপেক্ষার সময় গুলো যেন আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় । যাইহোক চল্লিশ মিনিট সময় যেন কিভাবে যে কাটলো, সেটা আমি বলে প্রকাশ করতে পারবো না । অবশেষে নামাজ শেষ হলো, দেখলাম টুপি পাঞ্জাবি পরে অনেক লোক থানার মসজিদ থেকে বের হচ্ছে । আসলে এরা সকলেই পুলিশের লোক । এরা থাকে এই বিল্ডিংটাতেই ।
অতঃপর নিজের ফোন থেকে আবারো সেই নাম্বারে কল দেওয়ার চেষ্টা করলাম। দেখলাম পাঞ্জাবি পরিহিত এক লোক আমার কলটা ধরল । আমি তাকে বললাম যে, আপনি আমাকে দেখা করতে বলেছিলেন । সে বলতেছে , আপনি কি কাগজপত্র নিয়ে এসেছেন । আমি বললাম হ্যাঁ, এরপর সে আমাকে বলল, তাহলে আপনি পরামর্শ রুমের পাশে বসে থাকুন, আমি আসছি ।
অতঃপর মিনিট দশেক পরে, সেই ভদ্রলোক হাজির । এসে আমাকে বসতে বলে, আমার কাগজপত্রগুলো দেখল এবং তারপর সেই বহু রকমের প্রশ্ন । কেন পাসপোর্ট করবেন, কি দরকার, কোথায় যাবেন এইসব হাবিজাবি প্রশ্ন করে একদম আমার কান ঝালাপালা করে ফেলল । যাইহোক আমি চেষ্টা করলাম, সকল প্রশ্নের একটাই উত্তর দেওয়ার জন্য । বললাম আমি সচেতন নাগরিক, আমার মনে হয় আমার পাসপোর্ট করা দরকার । এজন্যই আমি পাসপোর্ট করছি ।
যাইহোক তার অবস্থা দেখে আমি বুঝলাম যে, সে কিছু একটা আমার কাছ থেকে চাচ্ছে । আশেপাশে চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে । তাও সে বলেই ফেললো, এই ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট তৈরি করার জন্য আমাকে বহু জায়গায় যাতায়াত করতে হবে। আমার গাড়ির তেল খরচ হবে, আমার শারীরিক পরিশ্রম হবে রোজা রেখে । আপনি বরং হাজার তিনেক টাকা দিন , তাহলে কাজটা আরও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে । যাইহোক অতঃপর ভদ্রলোকের মুখ থেকে সত্য কথাটা বেরিয়ে আসলো ।
আমি বুঝতে পারছি না , এই ভদ্রলোক একটু আগেই মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে আসলো আর এসেই ঘুষ চাচ্ছে, কি একটা অবস্থা। যাইহোক বহু অনুময় বিনিময় করে , হাজার দুয়েক টাকা দিয়ে তাকে কোন মতো ম্যানেজ করে ফেললাম এবং বললাম যে রিপোর্টটা কবে পাঠিয়ে দিবেন । সে বলল, আপনি এখন নিশ্চিন্তে বাড়ি যান এবং যে তারিখে আপনার পাসপোর্ট পাওয়ার কথা, সেই তারিখেই আপনি পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি প্রথমে যখন আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন তাকে ধার্মিক মনে করেছিলাম। আসলে পাঞ্জাবি টুপি পরলে এবং নামাজ পড়লেই ভেতরটা পরিষ্কার হয় না। সত্যি কথা বলতে এসব মানুষের জন্যই আজ আমরা বিপদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। যেই কাজটি তাদের দায়িত্ব সেই কাজটির জন্য তারা টাকা নিচ্ছে। এটা আসলে খুবই খারাপ বিষয়। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💓💓💓
এইসব ই তো হচ্ছে ভাই আজকাল। মানুষ আর মানুষ নেই । পয়সার নেশার সব বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে ।
পড়লাম এবং আমর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার না করলেই নয়। আমার এক আপনজনের সাথে গিয়েছিলাম পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য । এক মিষ্টির দোকানে সে ভদ্রলোক বসে ছিল। আমি কিছু বলি নি যাওয়ার পর । পাশের টেবিলে বসে শুনছিলাম কি বলে। হটাৎ তার কাছে জিজ্ঞাসা করলো আমি কে। সে বলার পর আমাকে ডাকলো। পরিচিত হলাম । সে ১০০০ টাকা চেয়ে বসলো। তখন আমি তাকে ২০০০ টাকা দিতে রাজি হলাম যদি সে কোন স্লিপ দেয় নতুবা আমি কিভাবে বুঝবো কোন খাতে কি খরচ হবে। ভদ্রলোক চেচিয়ে উঠলো। আমি ঠান্ডা মাথায় তাকে বললাম আপনার ক্ষমতা নেই কিছু করার হয়তো কিছুটা দেরী করাবেন এই আরকি। শেষ মেষ সে কোন টাকা ছাড়াই করে দেবে বলে চলে গেল। আমার আপন জন ভয়ে চিন্তায় একশের। আমি বললাম অপেক্ষা করতে । ঠিক ২১ দিনের মাথায় তার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেল। হা হা হা। আমি জানি না কেন এমন হয়েছিল। তবে ভদ্রলোকটি নিশ্চই আমাকে ছদ্মবেশী ডিবির লোক ভেবেছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। যাই হোক ভাই বড় করে কমেন্ট করে ফেলালাম। কিছু মনে নেবেন না । ধন্যবাদ।
আসলে মানুষ কতটা সহজ ভাবে এই কথাগুলো বলে দেয়। কিন্তু এই কথাগুলোর পেছনে তাদের আসল চরিত্র প্রকাশ পায় এটা কখনো বুঝতে পারে না। সত্যি কথা বলতে এই মানুষগুলো কখনো বদলায় না। যার চরিত্র যেমন সে যেভাবেই হোক তার চরিত্র সকলের মাঝে প্রদর্শন করে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
আসলেই ঠিক কথা বলেছেন আপু । এরা শুধু নামেই রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। এই বাইরে মনুষত্ব বলে কিছুই নেই ।
পাঞ্জাবি, টুপি পড়া এবং দাড়ি রাখা মানুষ গুলো কে এখন আর বিশ্বাস করতেই ইচ্ছে করেনা ভাইয়া৷ পোস্ট টি পড়ে তাদের প্রতি আরও অভক্তি জন্মে গেলো। দুয়া রইলো ভাইয়া যেনো সেই তারিখেই আপনি পাসপোর্ট টি পেয়ে যান৷
পাঞ্জাবী টুপির তো দোষ নেই ,ঐ গুলো তো শুধুমাত্র লেবাস । দোষ হচ্ছে এদের মানসিকতার ।
আসলে সারাদিন ক্লান্ত থাকার পর যে মানুষকে এত হয়রানি হতে হয় আপনার পোস্টটি না দেখলে আমি জানতাম না।প্রতিনিয়ত এমন অনেক মানুষকে হয়রানি হতে হয়। আসলে বাস্তবতা এতটাই কঠিন আপনি একটা কথা বললেন ঠিক বলছেন। ঘরটি করতে ১৫ কোটি টাকা লাগছে কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে না।আসলে আমাদের রাস্তাগুলো যে প্রকল্প নেওয়া হয় তাতে অনেক টাকায় সরে যায়। সামান্য একটা ছোট্ট ব্রিজ করতে ২ কোটি টাকা লেগে যায়।আসলে মানুষ আর কত কি করে খাবে। কিছু বলার নাই। আসলে মানুষ এখন বৈধ উপায়ে ঘুষ নিচ্ছে।আসলে এখনকার সময়ে মানুষকে ভালো বলব কিভাবে। একটা মানুষের জন্য হাজার মানুষকে কথা শুনতে হয়। আসলে উনি নামাজ পড়ে আসলো কিন্তু তার ব্যবহার তার মন যে এত কাল। আসলে এটা খুবই খারাপ লাগলো। এই জন্যই একটা জিনিস যদি হতো খুব ভালো হতো আয়নায় যদি মানুষের চরিত্র দেখা হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। মানুষ চিনতে সুবিধা হত।আশাকরি সুষ্ঠুভাবে আপনি আপনার কাগজপাতি পেয়ে যাবেন। এই কামনায় করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য ভাই ।
আমিও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তবে আমার ক্ষেত্রে একটু আলাদা ছিল। আমি আমার সদর অফিসে গিয়ে ডিউটি অফিসার দের সাথে কথা বলেছি। আমার ছাত্র অবস্থায় আছি ভেবে আমার কাছে বলেছিল যে চা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দাও। পরে আমি নিজে 500 টাকা দিয়েছিলাম। তখনই বলেছিল যে বাবা 500 টাকা দিয়ে তো কিছু হয় না। পরে আমি বলেছিলাম যে আঙ্কেল আর 200 টাকা নেন আমার গাড়ি ভাড়া আর নাই। যাই হোক আমাদের দেশের সরকারি অফিস গুলোর অবস্থা ঠিক এইরকমই। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার করেছেন। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
কিচ্ছু করার নেই , এরাই হচ্ছে দেশের সোনার ছেলে । ভবিষ্যত প্রজন্ম এদের দেখেই আরও বহুকিছু শিখবে , কি একটা ব্যস্ত।
ভাইয়া তিনি তো আর আল্লাহর জন্য নামাজ পারেননি, হয়তো লোক দেখানো নামাজ পরেছেন, সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করে যদি নামাজ আদায় করতেন তাহলে এতো বড় খারাপ কাজ করতো না, যাইহোক ভাইয়া অল্পে আপনার বিষয়টি মিটপ গেছে এটাই অনেক, ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার বাস্তব জীবনে ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করারজন্য, আপনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
ঠিক কথা বলেছেন একদম। তবে এমন মানুষের সংখ্যাই কিন্তু সমাজে খুবই বেশি ।
জ্বি ভাইয়া, তাই তো এখন প্রতিনিয়ত পানজাবি আর টুপি পরা লোকদের দোষ হচ্ছে, কিন্তু পানজাবি আর টুপি যে কিসের উদ্দেশ্যে গায়ে দিয়েছে সেটার খোঁজ কেউ নেয় না, আর সত্যি বলতে ভাইয়া কিছু বাজে মানুষের জন্যই আজকে এই অবস্থা।
কী বলব ভাই আমরা এখন শুধু মসজিদের মধ্যেই ধর্মচর্চা করি। তা না হলে এই লোক নামাজ পড়ে বের হয়ে নিজের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এমন কাজের জন্য ঘুষ চাইতেন না। এবং এই সময়টাতে প্রায় সব জায়গাই অনেক মশা। এবং লোডশেডিং টা চলছে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে।
কিচ্ছু করার নেই দেখা ছাড়া । সমাজটা নষ্টের দলে চলে গিয়েছে । তার জাতাকলে পরে আমরা পিষ্ট হয়ে যাচ্ছি দিনদিন ।
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই খারাপ লাগলো, কারণ বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ঘুষ দেওয়া নেওয়া হয়না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আইন শাসন পর্যন্ত এই ঘুষ লেনদেন। আমরা কিভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তা পাব। তারা নিজেরাই ঘষে জড়িয়ে আছে। একটু আগে সে তারাবি নামাজ পড়ে আপনার সাথে কথা বলতে লাগল। সে নামাজ পড়ে এসে ঘুষের টাকা নিতে দ্বিধা বোধ করল না। আজ আমাদের ঈমান কোথায়। ভাষা পাচ্ছি না আপনার আজকের পোস্টে কমেন্ট করার জন্য। যাই হোক শেষ মেষ টাকার কারণে আপনার পাসপোর্ট ঠিক টাইমে পাবেন, কিন্তু যদি টাকা না দিতেন তাহলে আরো অনেক ঝামেলা করতো। এটাই আমাদের দেশের আইন।
এরা যে মানুষ দিনশেষে এটাই তো ওরা ভুলো যায় । কি একটা অবস্থা ।
ভাই কিছু বলার নাই। পুলিস নাকি জনগনের বন্ধু। তাহলে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করে এইসব মানুষ কারা। ভেরিফিকেশনের নামে ঘুষ দাবী আর না দিলে হয়রানি। এইসব কবে বন্ধ হবে আমাদের দেশ থেকে। দেখার কেউ নেই, প্রতিবাদ করারও কেউ নেই। আমরা শুধুই হজম করতে শিখেছি। এদের কারণেই আইন কানুন এর প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। নামাজ পড়া বা রমজান মাস এদের কাছে কোন গুরুত্ব বহন করে না। সবকিছুই লোক দেখানো ভন্ডামি।
এমনটাই তো হচ্ছে ভাই । আর বলির পাঠা হচ্ছি আমরা । সমাজ তো কবেই শেষ ।