দাওয়াত ও আমার অভিমত || @shy-fox 10% beneficiary
মোটামুটি আমার অনেকটা অলসতা পূর্ণ সময় যাচ্ছে । আর তার প্রধান কারণ হচ্ছে, এই সময়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা । আর তাছাড়া আমি ভিন্ন রকম একটা নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সঙ্গে অভ্যস্ত । যার কারণে হুটহাট করে কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে, আমার কাছে অনেক কিছুই তখন এলোমেলো হয়ে যায় ।
বিশেষ করে আমার জীবনযাত্রায় তখন অনেকটাই পরিবর্তন চলে আসে এবং হুট করে সেটা একটা জায়গায় গিয়ে মেনে নিতে অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায় । সত্য কথা বলতে গেলে কি, আমি নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল মানুষ । চেষ্টাকরি নেটওয়ার্কের ভিতরে প্রতিনিয়ত থাকার জন্য । আসলে আমার যেখানে একদম স্বচ্ছ নেটওয়ার্ক থাকবে , সেখানে আমি একদম থাকতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি ।
আর যেহেতু এখন গ্রামে এসেছি, তাই মূলত এখানে নেটওয়ার্ক বিভ্রাট লেগেই আছে প্রতিনিয়ত এবং আমি যখন আজকের ব্লগটা লিখছি , তখন আমি একদম বাড়ি থেকে অনেকটাই বাহিরে নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে বসে লেখার চেষ্টা করছি ।
গ্রামে থাকার অবশ্য অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা আছে বা প্রতিনিয়ত গ্রাম এখন শহরেই রূপান্তরিত হচ্ছে । তবে নেটওয়ার্ক কাভারেজ যদি আরেকটু ভালোভাবে উন্নতি করা যেত , তাহলে গ্রামেই বেশ স্বচ্ছন্দেই থাকা যেত । তবে এখনো অধিকাংশ গ্রাম গুলোতে এই সুযোগ-সুবিধা ভালো মতো হয়ে ওঠেনি । যার কারণে আমাদের মতো যারা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ আছে , তাদের জন্য গ্রামে এসে থাকাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যায় ।
তবে তারপরেও যেহেতু সমাজ-সামাজিকতার ব্যাপার থাকে আর যেহেতু এখন উৎসব চলছে, তাই মূলত গ্রামে বেড়াতে আসা । তবে আমি চাচ্ছি খুব দ্রুত এই সময় গুলো চলে যাক, এমনটাই কামনা করছি । কারণ আমি আমার নিজের গন্তব্যে, তাড়াতাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচি ।
এটা নিয়ে অবশ্য হীরার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আমার কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছে । ও এখানে আসলে, সচরাচর বাসায় খুব দ্রুত ফিরতে চায় না । আর ও বুঝেও অনেকটা অবুঝ হয়ে যায় এক্ষেত্রে । তবে আমি ওকে ভালো মতো বুঝিয়ে বলেছি যে,তুমি কাছে না থাকলে আমারও বেশ ভালোই অসুবিধা হয়ে যায় । আর তাছাড়া এইভাবে গ্রামে নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকলে , আমার কর্মে প্রচুর অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে । আচ্ছা যাইহোক তুমি তারাতারি আত্মীয়দের বাড়িতে ঘোরাঘুরি পর্ব শেষ করে দ্রুত বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নাও । তবে আমি আগামীকাল বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । কারণ কমিউনিটির কাজ ও হ্যাংআউট শো আছে ।
মোটামুটি ঈদের পর থেকে আমার আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বলতে , আমার মামীর বাসায় বেড়াতে যাওয়া হয়েছিল এবং সেই দিনই আমরা বিকেলে আবার আমার শ্বশুরবাড়িতে এসেছি । মানে এক দিনেই আমি চেষ্টা করেছি সব জায়গাগুলোতে কমবেশি দাওয়াত গ্রহণ করার জন্য । কারণ বারবার ছোটাছুটি করা আমার কাছে মোটেও পছন্দনীয় ব্যাপার না ।
যাইহোক ঈদের পরের দিন দুপুরবেলা আমরা মামীর বাসায় যাওয়ার আগেই, আমার বড় ভাইয়ের পরিবার সেখানে গিয়ে উপস্থিত । অতঃপর আমরাও গিয়েছি । অবশেষে সবাই মিলে বেশ ভালোই একটা পারিবারিক সময় কাটালাম মামীর বাসায় । তারপর সেখান থেকেই আবার আমার গন্তব্য ছিল শ্বশুরবাড়িতে । কারণ রাত্রিবেলা সেখানে দাওয়াত গ্রহন করেছি এবং মূলত আমাদেরকে সেখানে দুই-তিন দিন থাকতে হবে । এই জন্যই আমরা দ্রুত মামীর বাসা থেকে বের হয়ে, অবশেষে আমার শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ।
গ্রামীণ পরিবেশ নিয়ে আমার খুব একটা তেমন কিছু বলার নেই। কারণ এখানে আমি জীবনের দেড়টা বছর কাটিয়ে দিয়েছিলাম । তবে তখন নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিয়ে খুব একটা সমস্যা হতো না । কারণ তখন সব কাজগুলো সাধারণ ভাবেই করতাম । তবে এখন যেহেতু একটা নির্দিষ্ট দায়িত্বে আছি, তাই মূলত কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার প্রবণতা আরো বেড়ে গিয়েছে ।
যাইহোক সেটা বড় কোন কথা না । তবে এখানে আসার পর থেকে একটাই অসুবিধা হচ্ছে, সেটা আসলে নেটওয়ার্ক কে কেন্দ্র করে । আর তাছাড়া সব কিছুই ঠিকঠাক আছে । মোটামুটি এখানে ইতিমধ্যেই দুদিন থেকেছি । তবে এখন আমি আর থাকতে ইচ্ছুক নই । কারণ আমাকে দ্রুত ফিরতে হবে । হীরাকে আমি অনেক অনুরোধ করলাম, তবে সে আরো দুইদিন থাকতে চায় । অবশেষে তাকে রেখেই বাধ্য হয়ে আমাকে ফিরতে হলো ।
সর্বোপরি এই দুই দিন ভ্রমণের আমাদের বিশেষ কিছু মুহূর্তের ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম , আশাকরি ভালই লাগবে । আর তাছাড়া উৎসবের সময় সবাই মিলে একসঙ্গে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি এবং বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া হয়েছে প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে । তাছাড়াও বেশি মজা পেয়েছি গ্রামীণ পরিবেশে এসে উন্মুক্তভাবে সকলের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে । বিশেষ করে একদম প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পেরেছি , এতেই বেশি ভালোলাগা বোধ কাজ করছিল নিজের মাঝে ।
হয়তো বছর ঘুরে বছর আসবে, আশা করছি পরবর্তীতে আরো ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার সঞ্চারণ হবে এবং পরবর্তী সময়ে নেটওয়ার্ক কাভারেজটাও আরো উন্নত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি । যাইহোক এবারের মত এখানেই ইতি টানলাম।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গ্রামে সত্যিকার অর্থে এই একটাই প্রব্লেম তা হলো নেটওয়ার্ক । তবে এখন অনেক স্থানেই ব্রডব্যান্ড কানেকশন থাকায় যারা নিয়মিত গ্রমে অবস্থান করছে তাদের কোন রকম সমস্যা ফেস করতে হয়না ।
তবে ভাইয়া ঈদের এই সময় গুলোতে এই সমস্যার ভেতর দিয়ে যাওয়া লাগছে । কারণ সবাইকে তো আর আমাদের মত নেটওয়ার্ক কভারেজ নিয়ে ভাবতে হয়না আত্বীয় বাড়িতে নেটওয়ার্ক ও মিলছেনা । আমি গত কালকের ভিতরে সব বেড়ানো শেষ করে আজ নিজ বাড়িতে থিতু হলাম ।
হুম এখন অনেক গ্রামেই ওয়াইফাই চলেছে , তবে সব জায়গাতেই সেটা এখনো সম্ভব হয়নি । যাইহোক আপনার ব্যাপারটা জেনে ভালই লাগল।
হ্যাঁ ভাইয়া আমারও গ্রামে যেতে বেশ ভালোই লাগে কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য গ্রামে যেতে ভালো লাগে না। যাওয়ার পরে যদি দেখি মোবাইলে নেট নেই তখন আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। মনে হয় কখন বাসায় ফিরব। আপনার ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালই ছিল। খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ।যদিও নেটওয়ার্কের সমস্যা ছিল। আর প্রকৃতির মাঝে বসে বসে লিখেছেন বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার অবস্থাও আপু তেমনই হয়েছিল, এই জন্যই দ্রুত দাওয়াত পর্ব শেষ করে বাড়ি চলে এসেছি ।
শায়ানকে দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে শায়ান কিন্তু কোথাও বেড়াতে যেতে বেশি আনন্দ পায়। ছোট বাচ্চারা আসলে ঘরে বন্দি থাকতে পছন্দ করে না। তাই আপনি আপনার পরিবার নিয়ে গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এছাড়া শায়ান তার নানা বাড়ির সবাইকে বেশ পছন্দ করে। গ্রামে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। তবে আমরা যারা নেটওয়ার্কের উপর অনেকটা নির্ভরশীল তাদের কাছে অনেকটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। ঈদের সময় নেটওয়ার্কের সমস্যা একটু বেশি হয়। সকলের জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
শায়ান তো এখনো ওর নানু বাড়িতেই আছে । এইটা ও বেশ ভালোই মজা করছে । তবে আমাকে ওদের কে রেখে দ্রুত বাসায় চলে আসতে হয়েছে আপু ।
গ্রামে গেলে বুঝতে পারা যায় নেটওয়ার্কের কতটা সমস্যা। আমরা যারা শহরে থাকি তারা বুঝতে পারি না। শহর অঞ্চলে নেটওয়ার্কের খুব একটা সমস্যা নেই। তবে গ্রামে গেলে নেটের সমস্যায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। আমি ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন গ্রামে ছিলাম। খুব কষ্ট করে নিজের কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে বাসায় একদম নেটওয়ার্ক পেত না। নেটওয়ার্কের খুঁজে কোথায় থেকে কোথায় চলে যেতাম বুঝতেই পারতাম না। তবে যাই হোক ভাইয়া পরিবার নিয়ে অনেক ভালো ভাবে ঈদ উদযাপন করতে হলে একটু কষ্ট করতেই হয়। তাদের মুখে হাসি দেখলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। শায়ান বাবুকে দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি। আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️
জি ভাই একদম মনের কথাটা বলেছেন ভাই আপনি । আমি বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম গ্রামে গিয়ে ।
গ্রামের বাড়িতে আমি গতকাল ছিলাম আর নেটওয়ার্ক একদমই পাইনি 😕 বিশেষ করে এই কারনে কাজের বারোটা বেজে গেছে। বাড়িতে সবাই বেশ জোড় করছিল থাকতে কিন্তু ফিরে এসেছি অনেক রাতে কারন রুজিরোজগারের বিষয় এটা। আসলে সত্যিই যদি নেটওয়ার্ক এর সমস্যা না থাকতো তাহলে হয়তো কয়েকদিন অন্তত গ্রামের মানুষের সাথে থাকতে পারতাম। কবে যে আসলে এই সমস্যা যাবে 😕
যাক আপনিও মোটামুটি ভালোই খেয়ে দেয়ে শহরে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো ☺️
ছবিগুলো কিন্তু বেশ চমৎকার ছিল ☺️
শুভ কামনা রইলো ভাই, হয়তো একদিন গ্রাম উন্নত হবে।
ভালো নেটওয়ার্ক হলে আমাদের থাকতে কোন অসুবিধা নেই , তবে আপনার ব্যাপার আর আমার ব্যাপার সেম টু সেম ।
গ্রামে যে কি পরিমাণ শান্তি তা তো সবাই জানি।তাই ভাবি আপনার সমস্যা বুঝেও একটু না আসার জন্যে বায়না করে।কারণ গ্রামের মতো শান্তি শহরে পাওয়াই যায়না।
এইটা সত্য গ্রামে থাকার মজাই আলাদা , তবে যদি ভালো নেটওয়ার্ক কাভারেজ থাকে তাহলে গ্রামে ভাল ভাবেই থাকা যায় ।
কাজের মাঝে সব সময় ডুবে থাকা এই জিনিসটা আপনার থেকে আমিও শিখছি ভাই । যা গরম পরেছে, তাতে গ্রামে থেকে সত্যিই অনেক শান্তি পাওয়া যায়, হয়তো সেজন্যই ভাবি সহজে আসতে চায় না। তবে এই নেটওয়ার্ক প্রবলেম টা মারাত্মক একটা ইস্যূ। এগের থেকে এই সমস্যাটা অনেক উন্নতি লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু পুরোপুরি নিস্তার পাওয়া যায় নি। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আশা করি এই সমস্যারও সমাধান মিলবে খুব তাড়াতড়িই।
তোমার ভাবি এখনো আসে নি , সম্ভবত আগামীকাল আসবে । এইটা সত্য গ্রামের পরিবেশের মাঝে আলাদা শান্তি কাজ করে ।
আসলে ভাই আপনারা অনেক ব্যস্ত মানুষ। সব সময় রুটিন মেনটেন করে চলতে হয় ।হুটহাট কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যায় না। তাহলে রুটিনের বড় ধরনের বিপর্যয় পড়ে যায়। আসলে গ্রামের পরিবেশ টি আর আগের মত নেই। নেট এসেছে তাই সবার ব্যস্ততা বেড়েছে। আমাদের এদিকে প্রায় সব গ্রামে ব্রডব্যান্ডের লাইন এসেছে। যাইহোক পরিবার নিয়ে ভালো থাকুন এই কামনা করি ভাইজান।
কিচ্ছু করার নেই ভাই । জীবন যেখানে যেমন । সবারই একই অবস্থা । ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ ভাই এ বিষয়ে আমি একমত জীবন যেখানে যেমন।