অভিজ্ঞতার আলোকে
আজকে অনুভূতির আলোকে কিছু কথা লিখব। আমি মনেকরি এইরকম অনুভূতি কমবেশি সকলের জীবনেই হয়েছে। তাছাড়াও এই ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক যে, যখন আমরা একদম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ি তখন দেখা যায়, আমাদের যেখানে কিছুটা অর্থ সঞ্চয় করে রাখা থাকে, হোক সেটা মাটি বা প্লাস্টিকের ব্যাংক, সেটা ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করি ।
এই মাসে এমনিতেই বহুৎ খরচা হয়ে গিয়েছে আর যার কারণে মোটামুটি কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে। তাও খুব যে বেশি পড়তে হয়েছে, ব্যাপারটা তেমন না। আসলে হঠাৎ করেই কিছুটা পরিমাণ বাড়তি অর্থের দরকার হয়ে পড়েছিল,যার কারণেই মোটামুটি নিরুপায় হয়ে বাসায় রাখা প্লাস্টিকের ব্যাংকটি অবশেষে ভেঙে ফেলা হলো ।
মানুষের জীবনে অর্থের ব্যাপারটা এমনভাবে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে যে, কখন কার এটা কি পরিমান লাগবে, তা বলা একদম মুশকিল। আজ হয়তো কম লাগছে, কয়দিন পরে সেটার চাহিদা ক্রমাগত বাড়তে পারে আবার কখনো সেটা স্থবির হয়ে থাকতে পারে। তবে বেঁচে থাকতে গেলে অবশ্যই অর্থের দরকার, এ কথা একদম চিরন্তন সত্য।
সঞ্চয় করে রাখার অভ্যাস এক দিক দিয়ে ভালো, কারণ ছোটখাটো বিপদে সঞ্চয় দিয়ে কোনরকম নিজেকে উদ্ধার করা যায়। তাছাড়াও বলা যায় যে, আয় বুঝে ব্যয় আর আয় বুঝে সঞ্চয়। মানে একদম ভারসাম্য বজায় রাখার মত ।
এই ব্যাংকটি সম্ভবত কিনেছিলাম কয়েক মাস আগে। কারণ প্রতিদিন দেখা যায় যে কিছু পরিমাণ খুচরা টাকা থেকেই যায় এবং যা তেমন খুব একটা কাজে আসে না এবং সেই দিকটা কেন্দ্র করেই মূলত ব্যাংকটা কেনা হয়েছিল। যার প্রধান উদ্যোক্তা ছিল আমার গিন্নি। এদিক থেকে তাকে অবশ্য ধন্যবাদ।
সেই সময় সে যদি আমাকে বুদ্ধিটা না দিত, তাহলে হয়তো খুচরা টাকাগুলো বিভিন্নভাবেই শেষ হয়ে যেত। যাইহোক অল্প অল্প করেই খুচরো অর্থ গুলো আজ অনেকটা বড় পরিমাণ অর্থের অংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ যখন নিজের হাতে ব্যাংকটা ভাঙলাম, তখন ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে এখান থেকে আমি অনেকটাই অনুপ্রাণিত হয়েছি। কারণ আমি নতুন করে আবারও একটা ব্যাংক ক্রয় করতে চাই ।
মোটামুটি পয়সা গুলো গুনে দেখা গেল, আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম, ঠিক তার কাছাকাছি গিয়েছে। যে কাজের জন্য মূলত ব্যাংকটা ভাঙ্গা হয়েছে, সেই কাজটা আশা করা যায় হয়ে যাবে, এই অর্থ দিয়ে। তবে এই সময়ে এসেও এই অর্থের সাপোর্ট বেশ ভালই কাজে দিয়েছে ।
জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে কত রকম চড়াই-উৎরাই পার করতে হবে, কত কিছুর সম্মুখীন হতে হবে, কত ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা যে হবে তা বলা-বাহুল্য। আমি মনেকরি সবকিছুকে মানিয়ে নিয়েই আবারও জীবনযাত্রায় এগিয়ে চলতে হবে। তবে যখন যে অভিজ্ঞতাটা হচ্ছে, সেই অভিজ্ঞতা থেকে কি শিক্ষা গ্রহণ করলাম, এটাই কিন্তু মূল ব্যাপার ।
সর্বোপরি বলব, জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে অর্থের ভূমিকা অপরিহার্য। যেহেতু অর্থ ইনকাম করা খুব একটা সহজ না, তাই কষ্টের ইনকামের পয়সা থেকে যেন কিছুটা পরিমাণ সঞ্চয় করা যায়, সেই দিকটাও খেয়াল রাখা দরকার আর সেই সঞ্চয়টা যেন আবার বিপদে হাতিয়ার হয়ে কাজ করে, তেমনটাও কিন্তু চিন্তা করা উচিত।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন বেচে থাকতে গেলে অর্থের বিকল্প নেই।কখন কার কি পরিমান অর্থ লাগবে সেটাও বলা বাহুল্য। ভাবী সেদিন এই ব্যাংক কেনার আইডিয়া টা দিয়েছিল তাই দরকারে কাজে লেগে গেল এবং অর্থ সংকট টাও কাটিয়ে উঠলেন।আবার ব্যাংক ক্রয় করতে উৎসাহিত হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের সকলেরই সঞ্চয় করা উচিত। আমি নিজেও ব্যাংকে টাকা জমায় কম বেশি। পরে বিপদের সময় অনেক কাজে লাগে।আসলে বিপদে স্বল্প টাকাই অনেক উপকার হয়।আসলে গিন্নিরা এমনই হয় ভাইয়া।দিনশেষে ভাবির বুদ্ধি টা কাজে লেগেছে। হয়তো পুরোপুরি সার্পোট হয়নি,তবে কাছাকাছি তো গিয়েছে এটাই অনেক।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সঞ্চয় সমৃদ্ধি আনে। অল্প অল্প করে জমানো সঞ্চয় এক সময় বিপদে সহায় হয়ে দাড়ায়। অর্থের ভুমিকা মানুষের জীবনে অপরিসীম তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু সমস্যা হলো বেশি অর্থবান হয়ে গেলে মানুষ যেমন নিচের তলার মানুষকে মানুষ ভাবেনা তেমনি অর্থহীন হয়ে পড়লেও মানুষের নীতি নৈতিকতা বোধ থাকেনা। সাধারন মানুষের বেলায় এ কথাগুলো প্রযোজ্য। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি আমি। বেশ যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন ভাই।
জীবনে বেঁচে থাকতে হলে অর্থের প্রয়োজন অপরিহার্য। আমরা আমাদের কষ্টের ইনকাম থেকে যখন কিছু পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে রাখি তখন সেই সঞ্চয়টা আমাদের জন্য সমৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় যাকে বিপদের সঙ্গীও বলা যেতে পারে। আমি মনে করি অল্প অল্প করে ব্যাংকে টাকা জমানোটা অনেক ভালো একটা অভ্যাস। যেটা হঠাৎ করেই কাজে লেগে যায়।