এলোমেল সময় || @shy-fox 10% beneficiary
সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠেছি, আসলে এটাকে তখন সকালবেলা বলা যাবেনা । যদিও আমার দিক থেকে সকাল বেলা বলা যায়, তবে প্রকৃতিগত ভাবে তখন সম্ভবত দুপুর তিনটার মত বাজে । যাইহোক ঝটপট কিছু কাজ করে ফেললাম ।
কারণ কমিউনিটির কিছু কাজ বাকি ছিল । সেগুলো দ্রুত সেরে ফেললাম । গতরাতে যখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তখন সম্ভবত ভোরের আলোটা ফুটেছিল । আমি বেশ ভালোভাবেই দেখেছিলাম অতঃপর ঘুমকাতুরে চোখে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ।
আসলে আমি অনেকটা নিশাচর । এক কথায় আমার বায়োলজিক্যাল ক্লকটা সম্পূর্ণ আলাদা । মানুষের যখন দিন হয় , আমার তখন অনেকটা ঘুমে ব্যস্ত সময় যায় । মানুষের যখন রাত হয় তখন আমার কাছে সময়টা অনেকটা দিনের মত লাগে ।
গিন্নি আমাকে বারবার বলছে, আজ কিন্তু অনেকগুলো কাজ করতে হবে । বাসার বাজার শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলো করতে হবে । বাবুর জন্য কিছু কেনাকাটা আছে । আর তাছাড়া স্বর্ণের দোকানে যেতে হবে , সেখান থেকে তার যে গহনা বানাতে দিয়েছিল, সেটা আজকে ডেলিভারির ডেট আছে ।
তারপরেও কিছু সঞ্চয়ের কাজের জন্য ব্যাংকের প্রসিডিউর মানতে হবে । মূলত ছবি তুলতে হবে এবং কিছু ডকুমেন্টস ফটোকপি করতে হবে । মোট কথায় বেশ ভালই চাপ আছে । সকালবেলার যখন খাবারটা খাচ্ছিলাম তখন সম্ভবত বিকাল চারটার মত বেজে গিয়েছে । অতঃপর কমিউনিটির কাজগুলো সেরে, খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাসা থেকে ।
প্রথমত গিয়েছিলাম ওষুধের দোকানে , নিজের প্রেসারের ওষুধ কেনার জন্য। কারণ আমি একবারে পুরো মাসেরটা কিনে ফেলি । এর জন্য বেশ ভালই খানিকটা সময় চলে গিয়েছিল । কারণ দুটো ওষুধ পাচ্ছিলাম আর অন্য ওষুধ ঠিকমত খুঁজে পাচ্ছিলাম না । এই জায়গাটাতেই মোটামুটি বেশ খানিকটা সময় চলে গিয়েছিল ।
অবশেষে যখন বাবুর কেনাকাটা করে ফেরত আসবো, সেই সময় ওষুধের দোকানদার আবারো ফোন দিল এবং বলল যে, তারা ওষুধটা সংগ্রহ করতে পেরেছে । যাইহোক এবার কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম ।
আমার ভীষণ মাথা ধরেছিল হঠাৎ করে, দুবার তো গিন্নির উপর রেগে গিয়েছিলাম । কারণ ওর কথাগুলো বারবার আমার কানে বেজে যাচ্ছিল । আসলে এই সময়টাতে আমি বিকেলবেলা করে চা কিংবা কফি খেয়ে থাকি । যেটা আজ কোন ভাবেই খাওয়া হয়ে ওঠেনি । সেটার অভাব বোধ করছিলাম আমি ।
অবশেষে সেই অবস্থাতেই আবার চলে গেলাম স্বর্ণকারের দোকানে । সেখানে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়া গহনাটা সংগ্রহ করে নিয়ে অবশেষে আবারো ফেরত আসলাম স্টুডিওর দোকানে । মোটামুটি নিজেদের ছবি তুলে নিলাম এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি করে নিলাম কারণ এগুলো ডকুমেন্টস হিসেবে লাগবে, নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ।
একবার ঘড়ির দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম, তখন সম্ভবত সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মত বাজে । এখনো বাজার করাটা বাকি আছে । গিন্নিকে বললাম আমি কিন্তু রিক্সা থেকে নামতে পারব না । তোমার যা যা ভালো মনে হয় , তুমি তাই বাজার করে নিও ।
কারণ দু ঘন্টা সময় হচ্ছে আমি কমিউনিটির সার্ভারের বাহিরে । আজকে আবার বুধবার নিজেদের ভিতরে মিটিং আছে । তারপরে আবার একটিভ লিস্ট এবং হ্যাংআউটের সেগমেন্ট বানাতে হবে এবং আরো অন্যান্য কাজ তো আছেই । সব মিলিয়ে বেশ ভালোই চাপ যাবে আজকের সময়টাতেও ।
গিন্নির যখন বাসার বাজার করা শেষ হয়ে গেল, তখন মোটামুটি সন্ধ্যা সাতটার মত বাজে । অতঃপর দ্রুত বাসায় ফিরে কোন রকম গোসল করে, তারপর ল্যাপটপের সামনে বসেছি ।
এখন যখন মোটামুটি কাজগুলো শেষ হয়েছে, তখন ঘড়িতে দেখি ভোর পাঁচটার মতো বেজে গিয়েছে । যাইহোক কিভাবে যে সময় গুলো চলে গেল, খুব একটা বুঝতে পারলাম না । তবে সময় গুলো রোজ এভাবেই কেটে যায় ।
চলছে জীবন
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনি আমাদের সকলের অনেক শ্রদ্ধার এবং ভালোবাসার। তাই আপনার ভালোর জন্য কিছু কথা বলতেই পারি। সত্যি কথা বলতে রাত জাগলে সত্যিই শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। এমনকি বড় ধরনের কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আসলে সব কিছু যদি নিয়মের মধ্যে না থাকে তাহলে কখন যে অচেনা রোগ এসে শরীরের বাসা বাঁধবে বুঝতেই পারবেন না। আপনি যদি এভাবে পরিশ্রম করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে পরবর্তীতে আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন ভাইয়া। আপনি খুবই ব্যস্ত সময় পার করেন বুঝতে পারছি। তবে নিজের কাজগুলো যদি একটু দিনের বেলায় কিংবা রাত বারোটার মধ্যে শেষ করেন তাহলে মনে হয় শরীরের জন্য ভালো হবে ভাইয়া। হয়তো জীবন জীবনের গতিতেই চলবে। কিন্তু জীবনের তাগিদে ও প্রিয় মানুষগুলোর তাগিদে নিজেকে একটু ভালো রাখার চেষ্টা করুন ভাইয়া। সুস্থতা সবার আগে।🙏🙏
আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদেই বেঁচে আছি আপু , এইভাবেই যেন বাকি দিন গুলো চলে যায় এমনটাই প্রত্যাশা করি ।
ভাই আজকে আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিনটি পার করলেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনি ভাবিকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন আজকের। বিশেষ করে ভাবি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ষ্টুডিও, ষ্টুডিও চারপাশে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। দেখে ভালো লাগলো। তারপরে আপনি এক মাসের ওষুধ কিনেন, এটা খুবই ভালো কারণ আমিও আমার আম্মার জন্য এক মাসের পুরা ওষুধ কিনে দেয়। বার বার যেতে যেতে না হয়। তারপরে স্টুডিওতে ছবি উঠে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
আসলে প্রেসারের ওষুধ একবারেই কিনি তো এই জন্যই হুট করে একটা ওষুধ খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না ,তাই আরকি অনেকটাই সময় চলে গিয়েছিল।
ভাই আসলে আজকে দিনটা আপনি এলোমেলোভাবে কাটিয়েছেন।অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন। ভাবির সাথে অনেক জায়গায় গিয়েছেন এবং স্টুডিওতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি দিয়েছেন। যেগুলো খুবই ভালো লেগেছে। ভাবির সাথে আবার সোনার দোকানে গিয়ে ছিলেন। খুবই ভালো লাগলো। তবে আপনার ২ ঘণ্টার বেশি আমার বাংলা ব্লকের নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলেন এটি আপনার জন্য অনেক কষ্টের। যাইহোক আপনার আজকের পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে।
ব্যাপারটা আসলে এমন যে সার্ভারের বাহিরে থাকলেই ভীষণ এলোমেল লাগে ভাই ।
একদিন এ অনেক কাজ করতে হলো তাহলে।তাও ভালো যে ভাবির মন কিন্তু ভালোই থাকবে,কি বলেন।
হুম ম্যাডাম বেশ ভালোই চাপ গিয়েছিল গতকাল।
ভাই আপনি তো দেখি পুরাই উল্টা। আমাদের যখন রাত আপনার তখন সকাল!!! আমিও প্রচুর রাত জাগি তবে আপনার মত এত না। আমি বড় জোর ১/২ টা এর পর শুয়ে পড়ি কিন্তু আপনার বায়োলজিকাল ক্লক তো আসলেই একটু ভিন্ন হয়ে গেছে। যাই হোক আপনার মত কিছু মানুষ আছে বলেই জগৎ বৈচিত্রময়।
তিনটার সময় ঘুম থেকে উঠে বলছেন যে সকালবেলা। কেন ভাইয়া রাতের কাজগুলো দিনের বেলায় কি করা যায় না? সময়টা পাল্টিয়ে নিলেই তো হয় । তাহলে শরীর ভালো থাকে। তিন ঘন্টার মধ্যে কিন্তু অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলেছেন। বাজারের দায়িত্বটা ভাবির উপর দিয়ে চালিয়ে দিলেন। যাক অবশেষে সবগুলো কাজ ভালোমতো করে শেষ করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।