কাজের ফাঁকে || @shy-fox 10% beneficiary
শুক্রবারটা আমার কাছে অন্যান্য দিনের থেকে অনেকটাই আলাদা। মোটামুটি বলতে পারেন অনেকটা অলস সময় কাটে, বিশেষ করে বিকালের সময়টাতে। সন্ধ্যার পরেই বাসা থেকে বের হয়ে একটু ঢু মেরে আসলাম বন্ধু ক্যাফেতে। মনে আছে কি আপনাদের, ঐ ক্যাফেতেই কিন্তু আমার জন্মদিন পালন করা হয়েছে । ঐবার থেকেই আমার প্রথম শাকিবের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ।
বয়স কতোই হবে তের থেকে চৌদ্দ বা পনের। এই বয়সেই সে মোটামুটি ভালোই রান্নাবান্নার কাজ শিখে গিয়েছে । পারিবারিক অসচ্ছলতা আর টাকার প্রয়োজন, তাই হয়তো খুব স্বল্প বয়সে কাজটা বেছে নিয়েছে । ক্যাফের রান্নাবান্না খুব একটা সহজ কাজ নয়। মনে করেন, অনেক দ্রুত সবকিছু পরিবেশন করতে হয় । তাই একটা অতিরিক্ত ব্যস্ততা শাকিবের ভিতরে থাকেই ।
যেদিন থেকে শাকিবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে তারপর থেকে মোটামুটি সেই ক্যাফেতে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। প্রথমত বন্ধুর ক্যাফে আর দ্বিতীয়তঃ শাকিবের সঙ্গে পরিচয়। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা একটু আন্তরিকতার। কফি আর আড্ডা দেওয়ার সময় হয় বলেই, মাঝে মাঝেই সেখানে যাতায়াত।
মোটামুটি আধুনিক ক্যাফেগুলোতে রান্না ঘরে প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । মানে কতৃপক্ষ ব্যতীত কেউ যেতে পারে না । তবে যেহেতু আমার একটা আলাদা বিশেষ পরিচয় আছে, তাই মূলত রান্নাঘরের দিকে যাওয়া হয়েছিল। মূলত গিয়েছিলাম শাকিবের খোঁজ নিতে ।
অন্যান্য দিন ক্যাফেতে ঢোকামাত্রই শাকিব বলে উঠে শুভ মামা যে, কি অবস্থা কেমন আছেন । কিন্তু আজ যখন আমি ঢুকেই শাকিবকে দেখিনি, তখন আরকি ব্যাপারটা আমার কাছে একটু এলোমেল লাগছিল । পিছন পাশে যখন উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলাম , দেখি শাকিব বেচারা বড্ড ব্যস্ত । মোবাইলে বিপিএল এর খেলা দেখছে আর অন্য পাশ দিয়ে চাপাতি চালাচ্ছে রান্নার উপকরণের উপর।
শাকিব কে আর বিরক্ত করলাম না । যাইহোক ভিতরে চলে আসলাম এবং অন্য ওয়েটারকে বললাম এক কাপ কফি দেওয়ার জন্য । গরম কফিতে যখন চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন ভাবছিলাম জায়গা ভেদে হয়তো জীবনটা সবার একটু আলাদা । তবে কর্মের মাঝে যদি একটু বিনোদন না থাকে , তাহলে হয়তো সেই কর্ম ও কর্মস্থলটা অনেকের কাছে একটুও জটিলতা সম্পন্ন হতে পারে ।
ক্রিকেটের সঙ্গে যে বাঙালির একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেটা হয়তো বাঙালি অনেক ভাবেই প্রকাশ করে । সেই কিশোর থেকে বুড়ো, সবাই যেন অন্যভাবে নিজেকে এই ক্ষেত্রে প্রকাশ করে । আজ বিষয়টি আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারলাম শাকিবের ঘটনাটি দেখার পরে । দিন দিন খেলাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং আসক্তির বহিঃপ্রকাশ সবাই বিভিন্নভাবে প্রকাশ করছে । যেমনটি শাকিবের ব্যাপারটি আমি ক্যামেরায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম ।
শাকিবের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের ব্যাপারটা দেখে মোটামুটি আমার ভালই লেগেছে । বেচারা নিজের কর্মস্থলে থেকেও নিজের ঝামেলাপূর্ণ কাজের মাঝেও , একটু সময় বের করে আজ বিপিএলের খেলা দেখছে । কারণ আজ বিপিএলে যে তার পরিচিত প্লেয়ার সাকিব ফাইনাল খেলছে । মূলত তার আগ্রহ ওখানেই কাজ করছে ।
ক্রিকেট খেলাকে আমি যেভাবেই বিশ্লেষণ করি না কেন । ক্রিকেট যে বাঙালির নেশা,পেশা ও আসক্তির ভিতরে ঢুবে গিয়েছে এবং কমবেশি সবাই এই খেলার সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত আছে, এটা বাঙালির আচার-আচরণ দেখলেই বোঝা যায় । তবে আমার অবুঝ মন এতোটুকুই ভাবে ও বলতে চায়, ক্রিকেট যেহেতু ভদ্রলোকের খেলা , তাই এই খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই যেন ভদ্রতা বিরাজ করে চতুর্দিকে, এমন কামনাই করি ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
বাংলাদেশের কোনো খেলা মিস দেই না হোক সেটা বি পি এল অথব টেস্ট সিরিজ। আমি যতোই কাজ থাক না কেন খেলা অবশ্যই দেখি। আমার কাছে বাংলাদেরশের খেলা মানে একটা উৎসবের মতো কাজ করে। এই তো কিছু দিন পরেই আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলা আছে এখন থেকেই অপেক্ষায় আছি।
বাংলাদেশের খেলা শুরু হলে শাকিবের মতো অনেকেই নেট কিনে রেডি থাকে কখন খেলা শুরু হবে। আসলে ক্রিকেট বাংলার মানুষের আবেগের জায়গা। কারণ এই ক্রিকেটই বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতেছে বিশ্বের দরবারে। আমরা সবাই ক্রিকট ভালোবাসি। হারলেও বাংলাদেশ জিতলেও বাংলাদেশ।
ভাই শাকিবের মাধ্যমে অসাধারণ একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো আর শাকিবের জন্য অনেক খারাও লাগলো। যে বয়সে স্কুল কলেজে পড়ার কথা সেই বয়সে তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। যাইহোক, ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। আর পরবর্তী আকর্ষনের অপেক্ষায় রইলাম। 🤚
ক্রিকেট খেলার প্রতি বাঙ্গালীদের আলাদা এক ভালো লাগা কাজ করে। এছাড়াও বাঙালিরা খেলার প্রতি একটু বেশি দুর্বল। অবসর সময়ে খেলাধুলা করা বা আড্ডা দেওয়া এ যেন বাঙালির এক নেশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে হয়তো খেলাধুলার হার কমে গেছে কিন্তু খেলা দেখার নেশা আজও কমেনি বাঙালির। শাকিবের মত হাজার হাজার বাঙালি তাদের কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও খেলা দেখতে কিন্তু একটুকুও ভুলেনি। একদিকে তাদের কর্মব্যস্ততা। অন্যদিকে তাদের প্রিয় খেলা উপভোগ করা। সব কিছু মিলিয়ে তাদের জীবন চলছে। এভাবেই হয়তো তাদের জীবন এগিয়ে যাবে এবং ক্রিকেট খেলা আরো বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। ভাইয়া আপনি আপনার এই লেখার মাঝে অনেক সুন্দর কিছু কথা গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনি শাকিবের উদাহরণ দিয়ে এখানে হাজার হাজার বাঙালির কথা তুলে ধরেছেন। শাকিবের মত অনেকেই আছে যারা তাদের কাজের ফাঁকে তাদের প্রিয় খেলাগুলো উপভোগ করছে। হয়তো এভাবেই তারা তাদের বিনোদনের জায়গা গুলো তৈরি করে নিয়েছে। দারুন কিছু কথা সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
চেষ্টা করেছি শুধুমাত্র আপু । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাজের ফাঁকে গল্পটি পরে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন ক্রিকেট বাঙালির রক্তে মিশে গেছে। বিপিএল খেলা চালু হলেই চায়ের দোকানে ছোট বড় সবাই একসাথে খেলা উপভোগ করে থাকে। কিন্তু শাকিবের জন্য একটু কষ্ট লাগছে তার প্রিয় খেলোয়ারের দল জিততে পারি নাই🤪। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম 🥰
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন ক্রিকেট খেলা বাঙালির নেশা, পেশা ও আসক্তির ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলা পছন্দ করি। ক্রিকেট খেলতে যেমন ভালো লাগে তেমনই দেখতেও অনেক ভালো লাগে। ক্রিকেট খেলার সাথে মিশে আছে বাঙালির আত্মার সম্পর্ক। শাকিবের মত হাজার হাজার বাঙালি এই ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য প্রতীক্ষায় থাকে। কারণ এই খেলা সকলের আত্মার সাথে গেঁথে গেছে। আপনি আপনার শুক্রবারের বিকেল বেলায় রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন এবং সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি আপনার বন্ধু বা ছোট ভাই শাকিবের খোঁজ নিয়েছেন। আসলে আপনি অনেক কিছুই চিন্তা করেন। আপনার মত করে আমিও সবসময় ভাবতে চাই। আমিও চেষ্টা করি সব সময় আমার চিন্তা ধারা গুলোকে আপনার মতো করে তৈরি করার জন্য। আর আপনি আপনার লেখার শেষের দিকে যে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলেছেন সেটা একদম ঠিক বলেছেন। ভদ্রলোকের খেলা যদি আমরা ভদ্র ভাবে উপভোগ করি এটাই সবচেয়ে ভালো হবে। আসলে বর্তমান সময়ে টিভিতে অনেক নিউজ দেখায় যে এই খেলাকে ঘিরে বাজি ধরে অনেকে। খেলা হচ্ছে আমাদের উপভোগের জন্য। এই খেলাকে ঘিরে যদি অন্য কিছু তৈরি হয় তাহলে খুবই বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং খেলা উপভোগ করতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার এই পোস্টটি সাজিয়েছেন এবং আপনার এই অল্প কথার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️
আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি । আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বেশ ভালো লাগলো এই মানুষটির সাথে আপনার সম্পর্কের বিবরণটি, খুব চমৎকারভাবে আপনি লিখেছেন। সত্যিই কাজের মাঝখানে যদি বিরতি কিংবা বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকে তবে সেই কাজ করাটা কষ্টকর হয়ে যায়। আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
চেষ্টা করেছি শুধুমাত্র ভাই ।
সত্যিই ছুটির দিনে ভারী অলস সময় কাটে দাদা ,এটা বোধহয় অধিকাংশ সকলের ক্ষেত্রেই।তাছাড়া কাজ করতে করতে খেলা দেখা নেশাই বলা যায়।ক্রিকেট সকলের পছন্দের খেলা।ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।
আপনার লেখাটি পড়লাম আর পুরোন স্মৃতি মনে পড়ে গেল আবার।ক্রিকেট সকাল দুপুর বিকেল তিন বেলাই এক সময় কাটতো এই ক্রিকেট কে নিয়ে কিন্তু তখন বাংলাদেশে ক্রিকেটের তেমন একট ভবিষৎ তৈরী হয়নি। আজকে আপনার পরিচিত শাকিব খেলা দেখার পাশাপাশি কাজ করছে। একটি কথা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে কাজের মাঝে যদি বিনোদন এর ব্যবস্থা থাকে তবে কাজের গতি দ্বিগুন হয়ে যায়। সত্যি বলতে আমি চিন্তা করি আমাদের দেশে যদি প্রতিটি সেক্টরে এমন একটা ব্যবস্থা থাকতো তাহলে হয়তো শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের মাঝে সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরী হত। আপনার লেখায় তেমন একটা আভাস হয়তো পেয়েছি। সুন্দর লিখেছেন আপনার কাটানো শুক্রবারের বিকেল বেলার মূহুর্ত গুলো কে কেন্দ্র করে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
পরিবর্তনে বিশ্বাসী মানুষ আমি । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
উনার বিষয়টি দেখে ভালো লাগলো যে উনি উনার কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে নিজের মনের ভালো লাগাটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,জায়গা এবং কর্ম বেঁধে সবার জীবনই যেন আলাদা।14-15 বছরের শাকিবের বিষয় নিয়ে আপনি আপনার পোস্ট ফুটিয়ে তুলেছেন।আসলে ভাইয়া, আমাদের দেশে যে হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সেই হারে কিন্তু মানুষের ইনকাম বাড়ছে না।তাই কর্মের জন্য এবং সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিটা মানুষ মরিয়া হয়ে পড়েছে। একটু ভালো থাকার জন্য একটু ভালো খাবারের জন্য এখন প্রতিনিয়ত মানুষ চিন্তা করছে। এখন বয়স যেনো কোনো বিষয় না, এখন বাঁচতে হবে।ভাইয়া,শাকিব এত অল্প বয়সে থেকেও তার কর্ম করছে আর কর্মের মধ্যে কিছুটা বিনোদন উপভোগ করছে।হ্যা ভাইয়া,ক্রিকেট আমাদের দেশে প্রত্যেকটা মানুষের খুবই প্রিয়। যাইহোক ভাইয়া, আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, বাস্তবিক পোস্ট গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুক্রবারটা আপনি একদম ভিন্ন ভাবে পালন করেন। আসলে পরিস্থিতি মানুষকে সবকিছু শিখিয়ে দেয়। আসলে জায়গা ভেদে সবার জীবন সবার আলাদা। আসলে ক্রিকেটের প্রতি একটা আলাদা টান কাজ করে। ছোট থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই একটি ভালোবাসা কাজ করে। যত কাজে থাকুক না কেন। একটু বার হলেও তারা খেলা দেখে। চতুর্দিকে ভদ্রতা বিরাজ করে এটা সত্য কথা। ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।