আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৬৯ || ফটোগ্রাফি - ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।
প্রতিযোগিতার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও আশানুরূপ অংশগ্রহণ এখনো হয়নি, এটার হয়তো অনেকগুলো কারণ আছে। তবে যতো কারণই থাকুক না কেন, সেগুলোর মধ্যে সবথেকে প্রধান কারণ আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সবাই শহর কেন্দ্রিক জীবনে অভ্যস্ত। যার কারণে তারা চাইলেও হুট করে গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে সরাসরি ফসলের মাঠের অবস্থা ক্যামেরায় তুলে ধরতে পারছে না।
যেহেতু প্রান্তিক অঞ্চলে থাকি, তাই অবশেষে চিন্তাভাবনা করলাম নিজের জায়গা থেকে প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর জন্য। এজন্য অবশ্য বেশ ভালই কষ্ট করতে হয়েছে,কেননা অনেকগুলো জায়গায় ঘুরে ঘুরে ছবিগুলো তুলতে হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের এদিকে বলতে গেলে সব সিজনেই ভালো ফসল হয়, কখনোই জমি অনাবাদি থাকেনা। এইতো কিছুদিন আগেই ধান কাটা হলো, তারপর সরিষা এবং আলু লাগানো হয়েছিল। বলতে গেলে এখন প্রতিটি জমিতেই আলু তোলা চলছে। কৃষকরা বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে।
কৃষকের হাসি কথাটা এমনিতেই যতটা সুন্দর শোনা যায়, তবে বাস্তবে এ হাসি প্রতিনিয়তই মলিন। কেননা তাদের হাসি কেড়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট। আমি যখন কয়েকদিন থেকে ফসলের মাঠে মাঠে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছিলাম এবং মাঠে যে সকল কৃষক কাজ করছিল তাদের কথা শোনার চেষ্টা করছিলাম, তখন আসলে বুঝতে পারলাম বাস্তবতা বড্ড নিষ্ঠুর।
মধ্যস্বত্বভোগীর চাপে পড়ে কৃষকের জীবন একদম চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে । একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, হয়তো বুঝতে সুবিধা হবে। এই যে রমজান মাস চলছে, বাজারে লেবুর হালি কত জানেন,৫০ টাকার উপরে। আচ্ছা যে কৃষক ভাই, লেবু চাষ করেছে, সেকি ৫০ টাকা হালি করে পেয়েছে ! এ প্রশ্ন আপনাদের কাছেই রেখে গেলাম ?
জমিতে ফসল রোপণ-মাড়াই-বিক্রি এই প্রতিটা ধাপ এতটাই জটিল প্রক্রিয়া, যা আসলে কেউ বাস্তবে চোখে না দেখলে কৃষকের কষ্ট কখনোই কেউ বুঝবে না । এতকিছুর পরেও কৃষকরা বেঁচে আছে আর তারা বেঁচে আছে বিধায়, আমরা দিব্যি তাদের ফলানো ফসল খেয়ে নিশ্চিন্তে আছি।
দিনশেষে শুধু একটাই চাওয়া, কৃষকের মলিন হাসি আবারো প্রাণবন্ত হোক, তাদের জীবনে প্রশান্তি নেমে আসুক।
চলুন তাহলে আমার তোলা ফটোগুলো দেখে নেওয়া যাক।
লোকেশনঃ পন্ডিতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
ডিভাইসঃ Samsung Galaxy s10
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুন দারুন সব ছবি দিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগছে ভাই। আমি চেষ্টা করেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। কারণ সম্পূর্ণ শহুরে পরিবেশে থাকবার জন্য এখানে কৃষক বা জমির ছবি খুঁজেই পেলাম না। এখন এই ধরনের ছবি তুলতে গেলে আমাকে অনেকটা ট্রাভেল করে গ্রামে যেতে হবে। আর তার সময় করে উঠতে পারলাম না। তবে আপনার ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে।
ইট পাথরের জীবনকে মুক্তি দিন, ঘুরুন ফিরুন আনন্দে বাঁচুন।
সময়ই যে করে উঠতে পারি না ভাই। মেশিনের জাঁতাকলে পেশাই হই প্রতিটি দিন। সত্যিই যেন আর ভালো লাগে না। মনে হয় সব ছেড়ে মুক্তি নিয়ে নিই।
আপনাকে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখে বেশ অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। সেই সাথে অভিনন্দন জানাচ্ছি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলেই শহরকেন্দ্রিক আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা হওয়ার কারণে এই প্রতিযোগিতায় তারা চাইলেও অংশ নিতে পারছে না। আশা করি তারপরেও সবাই যথাসাধ্য চেষ্টা করবে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। কনটেস্ট উপলক্ষে করা আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এ দুর্দান্ত হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আমাদের দাগনভূঞাতে লেবুর হালি আজ ১০০ টাকা আর খিরা ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আসলে কৃষকের কাছ থেকে যে মূল্যে বাজারে পণ্য নিয়ে আসা হয় সে মূল্যে কিন্তু বিক্রি হয় না । তার চেয়ে অধিক গুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের মুখে আর হাসি নেই সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমান সময়ে সবজির বাজারে আগুন জ্বলছে। কিন্তু কৃষকের হাসি মলিন হয়ে গিয়েছে। যাইহোক আপনি যেখানে রয়েছেন সেখানের দৃশ্যটা খুবই সুন্দর আর মনোমুগ্ধকর। যেগুলো ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের এদিকে এরিয়া গুলো খুব বেশি একটা ভালো নেই এমন ফটোগ্রাফির জন্য সেজন্য বের হওয়াও হয় না ছবিও তোলা যায় না।
সিন্ডিকেট যেদিন দেশ থেকে একদম নিপাত যাবে, সেদিন হয়তো সবকিছুতেই স্বস্তি ফিরবে।
আমরা প্রত্যেকেই কৃষক নির্ভরশীল৷ কৃষকদের জন্য সকলের মুখে হাসি থাকে তাই সমাজে যদি কারও মুখের হাসি অগ্রাধিকার পায় তা অবশ্যই কৃষক হওয়া উচিত। তবে এ হয় না৷ আমাদের সমাজের এতো দুরবস্থা। এ আজ বলে আজ নয়, যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে৷
তাও বর্তমানে নানান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ফসল উৎপাদন খুবই ভালো হয়। তাই কৃষক সব থেকে সচ্ছল না হলেও হাসি দেখা যায় তাদের মুখে৷
আপনার প্রতিটা ছবিই খুব সুন্দর লাগল। মন ভরে গেল ছবিগুলো দেখে।
আপনার মন্তব্যের জন্য বরাবরের মতো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। গ্রাম বাংলার অপরূপ সুন্দর দৃশ্যগুলো আপনি তুলে ধরেছেন। এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আমাদের কমিউনিটির বেশিরভাগ সদস্য শহরে জীবনযাপন করাতে চাইলেও এমন পরিবেশে যেতে পারছে না। তবে কৃষকের হাসি এদেশে আসলেই মলিন! কারণ তারা কখনোই ন্যায্যমূল্য পায়না। এই যে লেবুর হালি ৫০ টাকার উপরে কিছুদিন আগেও লেবুর হালি ছিল ১৫ টাকা হলি! হঠাৎ দাম বেড়ে গেল। এসবই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
সিন্ডিকেট নিপাত যাক, এটাই চাওয়া ভাই।
সপ্তাহ খানেক আগেই ৬০ টাকা হালি লেবু কিনেছিলাম। যদিও লেবুর রস একেবারেই কম। তবে মাস খানেক আগেও লেবুর দাম একেবারে কম ছিলো। আসলে এসবকিছু সিন্ডিকেটের কারণেই হচ্ছে। আমার মনে হয় কৃষকেরা এখনও ১০/১৫ টাকা হালি লেবু বিক্রি করছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে ভাই। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সিন্ডিকেট নিপাত গেলেই কৃষকের মুখের হাসি ভালোভাবে ফুটবে।
কৃষক কখনোই ঐ দামটা পাইনি। মধ্যভোগী দালাল যেমন কৃষককে ঠকাচ্ছে একইভাবে ঠকাচ্ছে আমাদের। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন ভাই। বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।