স্বদেশ কাকা || @shy-fox 10% beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

জীবন নিয়ে লিখতে ভালো লাগে । আশেপাশের মানুষগুলো কে দেখি আর লিখে ফেলি তাদের চরিত্র গুলো । কতশত মানুষ কতশত চরিত্র । কতশত স্বপ্ন দুচোখ ভর্তি আবার কখনো এলোমেলো সব ভাবনা । হাতের আঙ্গুলের ছোঁয়ায় চরিত্র গুলোকে কখনও রঙিন করে ফেলি আবার কখনও চরিত্রগুলোকে রূপায়ণ করে তুলে ধরতে ভালো লাগে । পাঠকের মন্তব্য আর আমার আত্মতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে ।

20220503_174039-01.jpeg

এইতো সেদিন যখন ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম, ঠিক সেই বেলায় স্বদেশ কাকার সঙ্গে দেখা । ইচ্ছা করেই নেমে পড়লাম রিক্সা থেকে । আচারের প্রতি দুর্বলতা আমার অনেক আগে থেকেই । সেই যখন স্কুলে পড়তাম, কোন রকম চারটা ক্লাস শেষ হবার পরেই টিফিনের ঘন্টা আর স্বদেশ কাকার দর্শন হয়ে যেত স্কুল গেটের সামনে । সেকি ভীড়, কাকা যেন দুই হাতে বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারতো না ।

20220503_174108-01.jpeg

টিফিনের প্রাণভোমরা ছিল অনেকটা স্বদেশ কাকা । কেউ কেউ তো ইচ্ছা করেই খাবার নিয়ে আসতো না টিফিনে । আসলে হাইস্কুল জীবনে একটু দুরন্তপনার স্বভাবের ছিলাম সকলেই , এইজন্য বাড়ি থেকে খাবার সঙ্গে করে নিয়ে আসাটা অনেকটাই ঝামেলা মনে হত । কখন ক্লাসের ফাঁকফোকর দিয়ে পালিয়ে যেতাম, তার কোন ইয়ত্তা ছিলনা । তবে এসবের সাক্ষী কিন্তু ছিল স্বদেশ কাকা । মাঝে মাঝে তো কাকা বলেই ফেলতো কিরে বাদরের দল, পড়াশোনাটা তো ঠিকমত করতে হবে রে ।

20220503_174111-01.jpeg

বছর দশেক পর । আজ আবার স্বদেশ কাকার দেখা । মুখটা ভাঁজ হয়ে গিয়েছে, আগের মত লাবণ্যতা আর চেহারাতে নেই । দেখেই বোঝা যাচ্ছে বয়েস হয়ে গিয়েছে । কাকা চিনেছো , এখনো আচার বিক্রি করছো । সঙ্গে কে এটা , এটা আমার নাতি রে বেটা । ছোট ছেলের বেটা । বউকে নিয়ে বুঝি ঘুরতে এসেছিস , তো আমার আচার খাবি না ।

20220503_174055-01.jpeg

গোলগাল ছোট্ট একটা ছেলে বয়স কত হবে ছয় থেকে সাত বছর নাহলে তার থেকে একটু কম । নতুন কাপড়-চোপড় পড়ে একদম সেজেগুজে দাঁড়িয়ে আছে ,রঙিন কাগজের ঘূর্ণি নিয়ে। এগুলো স্বদেশ কাকা নিজেই বাড়িতে বানায় আর নাতির কে সঙ্গে নিয়ে বিক্রি করে বেড়ায় । ব্যাপারটা যে এটাই আমি খুব সহজে আন্দাজ করতে পেরেছি । প্রেক্ষাপট আসলে বদলে ফেলেছে করোনাকালীন সময় থেকেই । পৃথিবীর আসল রূপ গুলো মনে হয় সে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছে ঐ সময়েই । যাইহোক সময়ের সঙ্গে জীবিকার একটু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ।

20220503_174005-01.jpeg

এখনো স্কুল বন্ধ তবে এখন আর করোনা নেই ।তবে এখন উৎসবের বন্ধ । তাই এই সময়টাকে একটু কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে স্বদেশ কাকা । আমি খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছি সেটা । আমাকে বলছে কিরে তোর বেটার জন্যে ঘূর্ণি কিনবি না । আমি মুচকি হেসে বললাম , তোমার বৌমার জন্য কিছু তেঁতুলের আচার ও আমার জন্য সেই পাঁপড় ভাজা দাও ।

স্বদেশ কাকার নাতি এদিক সেদিক দেখছে । কত মানুষ ঘোরাঘুরি করছে । তারাও ঘুরতে এসেছে এই জায়গাই কিন্তু পার্থক্য তারা এসেছে জীবিকার জন্য । এই মানুষের ঢলের মাঝে , তারা বিলিয়ে দিতে চায় রং বে রঙের ঘূর্ণি আর মুখরোচক কিছু আচার । হয়তো কিছু পয়সা পাবে এবং তাদের সময়টা এগিয়ে চলবে ।

20220503_173959-01.jpeg

অনেকেই মন্তব্য করে বসবে, রাস্তার উপরেই খোলামেলা খাবার আবার খেতে হয় নাকি । আমার আসলে তেমন কোন কিছু যায় আসে না । আমি যতটা নয় খাবারের দিকে দেখেছি, তার থেকেও বেশি ভেবেছি স্বদেশ কাকার কথা । সে তো আর চুরি করছে না । সে হয়তো চেষ্টা করছে পরিবেশটাকে নিজের মতো করে নেওয়ার জন্য । কিচ্ছু করার নেই, সময়টা বড্ড কঠিন যাচ্ছে । তাই হয়তো মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, সময়ের সঙ্গে নিজেকে ।

20220503_174026-01.jpeg

আমি কোন দুর্ভিক্ষ দেখিনি , তবে স্বদেশ কাকার দুচোখে যে অভাবের ছায়া দেখেছি, তা আমি সেটা খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছি । উৎসবের কারণে মাস খানেক হলো স্কুল বন্ধ , কবে খুলবে তাও আপাতত সে বলতে পারছে না । হয়তো আরো সপ্তাহ খানেক লাগতে পারে । তাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, স্বদেশ কাকা ।

কাকা ভালো থেকো তুমি । আবারও দেখা হবে, হয়তো এমন কোন উৎসবে নতুবা স্কুলের গেটে ।

বড় দীঘির পাড়
ঈদ উৎসব ২০২২

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

বছর দশেক পর । আজ আবার স্বদেশ কাকার দেখা । মুখটা ভাঁজ হয়ে গিয়েছে, আগের মত লাবণ্যতা আর চেহারাতে নেই ।

ভাই আপনার পুরো গল্প পড়তে পড়তে সেই অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমি যখন ক্লাশ ৫ এ পড়তাম তখন এক লোকের কাজ থেকে ঝাল মুড়ি খাইতাম। তাও তো এখন থেকে প্রায় ১২ বছর আগে।

যাইহোক, সেই লোকের চুল দাঁড়ি পেকে চেহারা পাল্টে গেছে তবে এখনো সেই স্কুলের গেইটেই ঝালমুড়ি বিক্রি করে। ঈদে গ্রামে গেছিলাম তখন দেখা হইছিলো আমাকে তো চিনতে পারে নাই। আমি নিজেই পরিচয় দিলাম৷ তবে তার পরও ঠিক ভাবে মনে করতে পারে নাই। অনেক দিন আগে কথা হয়তো সে ভুলে গেছে।

তবে আমাদের সবার জীবনেই সন্দেশ কাকার মতো এমন পরিচিত লোক আছে। সন্দেশ কাকার মতো লোকেরা ভালো থাকুক এই দোয়াই করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই । আসলে কমবেশি সবার জীবনেই এরকম মানুষের স্মৃতিচারণ আছে, আমি এটা মনে করি ।

 3 years ago 

হাতের আঙ্গুলের ছোঁয়ায় চরিত্র গুলোকে কখনও রঙিন করে ফেলি আবার কখনও চরিত্রগুলোকে রূপায়ণ করে তুলে ধরতে ভালো লাগে । পাঠকের মন্তব্য আর আমার আত্মতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে ।

পাঠকরাও আপনার লেখা পড়ে আনন্দ খুঁজে পায় এবং লেখার মাঝে যে গভীরতা আছে তা উপলব্ধি করতে পারে। তাই আপনার লেখা পড়ার মাধ্যমে পাঠকরাও অনেক তৃপ্তি পায়। ভাইয়া আপনি সব সময় বাস্তবের জীবনচিত্র আপনি আপনার লেখনীর মাঝে তুলে ধরেন। স্বদেশ কাকার মত অনেক মানুষ আছে যারা পরিস্থিতির কারণে নিজের জীবনটাকে অন্য ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। স্কুল বন্ধ আছে কিন্তু তাদের পেটের ক্ষুধা তো আর বন্ধন নেই। পেটের ক্ষুধা নিবারন করার জন্য হলেও ভিন্ন ভাবে নিজের উপার্জন করতে হয়। সন্দেশ কাকার মত মানুষ গুলোকে দেখলে আমার খুব মায়া হয়। কারণ তারা সারাজীবন কষ্ট করেই নিজের উপার্জন করে গেলেন। তবুও চাই সেই প্রিয় মুখ, সেই প্রিয় মানুষগুলো অনেক ভালো থাকুক। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

 3 years ago 

চেষ্টা করি ভাই, আশেপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ব্যাপার গুলো তুলে ধরার জন্য , লেখার মাধ্যমে । আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের মত পাঠক পেয়ে ।

 3 years ago 

গরিব মানুষের চালচিত্র বোধহয় সব জায়গাতেই একই রকম। আপনার স্বদেশ কাকার মত ছোটবেলায় আমারও একজন বাদামওয়ালা ছিল। টিফিনের ফাঁকে যার কাছ থেকে অসংখ্যবার বাদাম খেয়েছি কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল সেই মানুষটি আর খুঁজে পেলাম না। ভালো লাগে বহু বছর পরে স্মৃতি বিজড়িত এই মানুষগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে। বরাবরের মতই আপনার কলমের খোঁচায় ছোট্ট ছোট্ট এই অনুভূতিগুলোর বহিঃপ্রকাশ পড়তে দারুন লাগে। ভালো থাকবেন

 3 years ago 

যথার্থ বলেছেন ভাই । আসলে এমন মানুষগুলো ছড়িয়ে আছে আনাচে-কানাচে আর তাদের সঙ্গে একটা হৃদয়ের টান থেকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত ।

 3 years ago 

আপনার তেমন জীবন নিয়ে লিখতে ভাল লাগে। আমরাও অপেক্ষা করে থাকি পড়ার জন্য।আসলে মানুষের এই দিকটা খুবই খারাপ লাগে মানুষের শক্তি সামর্থ্য থাকলে বসে থাকলে মানুষ কত কথাই না বলে যে কাজ করে খেতে পারিস না। একটা মানুষ সৎ ভাবে উপার্জন করছে কিন্তু মানুষ এটাকে ভালোভাবে নিতে পারেনা। কেউ যদি ভ্যান চালায় মানুষ বলেই ওঠে ভ্যান চালিয়ে আর কি করবি জীবনে। কিছু করতে পারবি। আসলে মানুষের চিন্তাধারা সমস্যা আছে। কিছু কিছু সময় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আপনি নেমে যান। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি এবং আপনার প্রতি ভালবাসায় সবসময়ই রয়েছে আমার।তার তো এই বয়সে স্কুলে লেখাপড়া করার কথা কিন্তু কি করবে বাস্তবতার তাগিদে তাকেও নেমে পড়তে হয়েছে জীবিকার জন্য। যাই হোক সকলকে ভাল রাখুক। সৃষ্টিকর্তা যেন সকলকে সঠিক ভাবে রিজিক দান করুক। এই কামনাই করি। ভালো ছিল, 💝

 3 years ago 

চেষ্টা করি বাস্তবতা তুলে ধরতে । তবে আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের মত পাঠক পেয়ে । আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইলো ।

 3 years ago 

আমি কোন দুর্ভিক্ষ দেখিনি , তবে স্বদেশ কাকার দুচোখে যে অভাবের ছায়া দেখেছি, তা আমি সেটা খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছিl

ভাইয়া, আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে যখন এই কথাগুলো পড়ছিলাম তখন যেন বুকের ভিতর কেমন হু হু করে উঠলো। সত্যিই তাই, স্বদেশ কাকার অভাব দুর্ভিক্ষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। কিন্তু ক'জনই বা এই কথা বুঝতে পারবে। ভাইয়া আপনি যে একজন আদর্শ মানুষ তা আমি আগেই বলেছি। কেননা আপনি কত সহজে স্বদেশ কাকার অবস্থাকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আর সেই উপলব্ধিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরা স্বদেশ কাকাকে সাধারণত আচার বিক্রেতা হিসেবে চিনবো কিন্তু তার চোখ দেখে গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা টুকু অর্জন করতে পারিনি। আর এই কঠিন কাজটুকু আপনি খুব সহজে বুঝতে পেরে আমাদের মাঝে তা তুলে ধরেছেন। ভাই আপনি প্রথমেই লিখেছেন জীবন নিয়ে লিখতে আপনার ভালো লাগে, আর এই জীবনকে উপলব্ধি করতে পারেন বলে মানুষের ভেতরেও প্রবেশ করতে পারেন। আর তাইতো খোলামেলা অবস্থাই আচার বিক্রি দেখেও কোন প্রকার ধার না ধেরে আপনি আচারগুলো কিনে খেয়েছেন। ভাই আপনার পোস্ট গুলো থেকে সত্যিই অনেক অনেক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকি। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, আর তাই পরবর্তী সময়ে ভালোলাগার সেই পোস্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত । আপনাদের মত পাঠক আছে বিধায়, আমার মত ছোট মানুষের লেখাগুলো সার্থক হয় প্রতিনিয়ত ।

 3 years ago 

ভাইয়া আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই আপনি সবার চাইতে আলাদা সেটা আজকে আরও বেশি ভালো করে বুঝতে পারলাম। আসলে আমরা রাস্তার উপরে খাবার দেখলেই সে খাবার এবং খাবার বিক্রেতাকে আমরা তুচ্ছ মনে করি। রাস্তার উপরে খোলা খাবার খাবো না এটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু যে ব্যক্তি রাস্তার উপরে খাবার বিক্রি করছে তারও একটি সংসার রয়েছে। তার বেঁচে থাকার আশায় সেখানে খাবার বিক্রি করছে। আসলে স্বদেশ কাকাতো চুরি করছে না। সে মানুষের মাঝে সততার সাথে ব্যবসা করছে। আসলে খুবই ভালো লাগলো আজকে আপনার লেখাটির পড়রে।

 3 years ago 

জীবনে এমনি রে ভাই , অনেকটা চক্রাকার । কার জীবন কোথায় ঠিক থাকে, এটা বলা খুব মুশকিল । তবে মানুষ হিসেবে সবাইকে সম্মান করা উচিত ।

 3 years ago 

আসলেই এই মানুষগুলো চোর না।কিন্তু এ সমাজে তাদের তার চাইতেও নিচু স্তরের চোখে দেখা হয়।ভালো লাগলো আপনার ভাবনা গুলো।

 3 years ago 

এই কুলুষিত সমাজের পরিবর্তন হোক, এমনটাই প্রত্যাশা করি প্রতিনিয়ত । ধন্যবাদ আপু ।

 3 years ago 

অসহায় মানুষগুলোর মুখগুলো দেখলেই বোঝা যায়। আপনার স্বদেশ কাকা জীবনের যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য এখনো লড়ে যাচ্ছে। একটু সচ্ছলতার জন্য সাথে নিয়েছে নিজের নাতি ছেলে টাকেও। আপনার এই স্বভাবটা আমার অনেক ভালো লাগে। একনজর দেখেই নেমে গেলেন। কথা বললেন ছোটবেলার সেই স্বদেশ কাকার সাথে। পড়ে অনেক ভালো লাগল। আপনার লেখার প্রতি যেন আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছি।

 3 years ago 

আপনারা আছেন বিধায় আমি লেখার সাহস পাই । বলতে পারেন আপনারা আমার অনেকটা লেখার সাহস যুগিয়ে থাকেন , আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।

 3 years ago 

প্রেক্ষাপট আসলে বদলে ফেলেছে করোনাকালীন সময় থেকেই । পৃথিবীর আসল রূপ গুলো মনে হয় সে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছে ঐ সময়েই।

ভাইয়া,এই করোনার কারণে মানুষ যে কতটা অভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েছে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি আপনার স্বদেশ কাকার পরিস্থিতি পড়ে।স্বদেশ কাকার ব্যবসা হচ্ছে স্কুলের সামনে আচার বিক্রি করা করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ার কারণে স্বদেশ কাকার নিশ্চয়ই অনেক অভাবে পড়তে হয়েছে।আসলে ভাইয়া,জীবিকার তাগিদে এক মুঠো খাবার এবং বেঁচে থাকার জন্য একটা না একটা পথ বেছে নিতে হয়। ভাইয়া, রাস্তার খোলা খাবার দেখে অনেকেই ভালো চোখে নাও দেখতে পারে তবে কি ভাইয়া রাস্তার খোলা খাবার হোক তবে আপনি স্বদেশ কাকার অসহায় চেহারাটা দেখে আপনার মায়া হয়েছে আমি বুঝতে পেরেছি তাই কাকাকে কিছু জিনিস কিনার বিনিময় সাহায্য করতে চেয়েছেন। ভাইয়া, আসলে কিছু মানুষ আছে যারা অর্থের অভাবে এসব কাজ করে তাদের কাছ থেকে প্রয়োজন না হলেও কিছু নিয়ে তাদেরকে সাহায্য করাটা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের পরম দায়িত্ব।আমাদের একটু সাহায্যের কারনে হয়তো তার পরিবার সচ্চলভাবে চলতে পারবে। ভাইয়া,আপনি আসলে খুব সুন্দর একটা মনের মানুষ তাই আপনি চান সব সময় অসহায় কে সাহায্য করতে।ভাইয়া, আপনার পুরোটা পোস্ট আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি আমার খুব ভালো লাগে আপনার পোষ্টগুলো পড়তে কারণ আপনি পোষ্টের মাধ্যমে বাস্তবিক দিক গুলো আমাদের মাঝে তোলে ধরেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।।

 3 years ago 

মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি আপু । তবে মানুষ হওয়া খুব সহজ নয় । তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত ।

Coin Marketplace

STEEM 0.24
TRX 0.25
JST 0.039
BTC 93230.61
ETH 3270.53
USDT 1.00
SBD 3.26