আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি
@shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এই খাবারটি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের রেসিপি দেখে নেয়া যাক। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল:
Cemera: Oppo-A12.
কচুর ডাটা ছোট ছোট পিস করে কেটে এরপর মাছের ঝোল করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এই কচুর ডাটা গুলো শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। তবে মাছের ঝোল করলে বেশি টেস্ট হয় খেতে। গ্রামের বাড়িতে গেলে খুব সহজেই কচুর ডাটা সংগ্রহ করা যায়। আর কচুর ডাটা গুলো যেহেতু একদম ভালো ছিল তাই মাছের ঝোল করাতে খেতে চমৎকার লেগেছিল। খুবই সহজ পদ্ধতিতে আমি রেসিপিটা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| ক্রমিক নং | নাম | পরিমাণ |
|---|
| ১ | মাছ | ৪ পিস |
| ২ | কচুর ডাটা | ৩০০ গ্রাম |
| ৩ | হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
| ৪ | মরিচের গুঁড়া | ১ চামচ |
| ৫ | লবণ | পরিমাণমতো |
| ৬ | জিরা বাটা | ১/২ চামচ |
| ৭ | রসুন | ১/২ চামচ |
| ৮ | পেঁয়াজ কুচি | ১/২ কাপ |
| ৯ | সয়াবিন তেল | ৪ চামচ |
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
ধাপসমূহ:
↘️ধাপসমূহ:↙️
ধাপ-১
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল করার জন্য প্রথম ধাপে মাছগুলো পরিষ্কার করেছি। এরপর ভেজে নেওয়ার জন্য হলুদ, মরিচ, লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
এবার তেলের মধ্যে পেঁয়াজ এবং রসুন ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। পেঁয়াজ রসুন ভাজা হলে জিরা বাটা, হলুদ, মরিচ, লবণ সবকিছুই দিয়েছি।
ধাপ-৪
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
এবার সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে মসলাগুলো ভুনা করেছি।
ধাপ-৫
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
এবার কচুর ডাটা গুলো এর মধ্যে দিয়েছি।
ধাপ-৬
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
কচুর ডাটা গুলো মসলার সাথে মিক্স করেছি।
ধাপ-৭
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
কিছুক্ষণ সময় কচুর ডাটা গুলো ভালোভাবে ভুনা করেছি। এরপর পানি দিয়েছি।
শেষ ধাপ:
Cemera: Oppo-A12.
Cemera: Oppo-A12.
এবার ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়েছি। এরপর কিছুক্ষণ রান্না করেছি আর এই খাবারটি তৈরি হয়েছে।
পরিবেশন:
Cemera: Oppo-A12.
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এই খাবারটি আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে টাটকা কচুর ডাটা হলে রান্না করার পর খেতে ভালো লাগে। মাছ দিয়ে কচুর ডাটার রেসিপি খেতে খুবই ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা আমার রেসিপি আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।
আমি মো: স্বপন। আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে, আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে তাছাড়া কালার টাই যেন লোভনীয়।
আমার তৈরি করা রেসিপি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। পরিবেশন সুন্দর করে করার চেষ্টা করেছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি ভালো লাগলো রেসিপিটি দেখে। যেহেতু আপনি বড় মাছের সাথে কচুর ডাটা দিয়ে রেসিপি করেছেন খেতে খুবই ভালো লাগবে। আমার কচুর ডাটা খেতে খুব ভালো লাগে। সুস্বাদু রেসিপিটি আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন অনেক ধন্যবাদ।
মাছ দিয়ে কচুর ডাটা রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে আপু। তাই এই রেসিপি সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি।
দারুন একটা পুষ্টিকর রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে এই ধরনের রেসিপি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা ঘরোয়া উপায়ে যে রেসিপি তৈরি করা হয় তার মতো স্বাদ আর অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই কচুর ডাটা খুবই পুষ্টিকর খাবার। আর মাছ দিয়ে রান্না করাতে খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি।আমার খুব ভালো লাগে কচুর ডাটা দিয়ে মাছ রান্না করে খেতে।তবে কখনো এভাবে ঝোল খাওয়া হয়নি মাছ দিয়ে কচুর ডাটার চচ্চড়ি খেয়েছি অনেক।আপনার রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় লাগলো।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার তৈরি করা এই রেসিপি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কচুর ডাটা শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে ।আপনার আজকের রেসিপিটি অনেক লোভনীয় ছিল । প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুর ডাটা শুটকি মাছ দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। আসলে কচুর ডাটার ঝোল খেতে অনেক ভালো লাগে। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল খেতে দারুন লাগে আপু। আর এই খাবারটা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার।
কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই আমার অনেক ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। রেসিপিটা দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। বুঝতে পারছি রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। দুপুরবেলা কিন্তু ভাতের সাথে এরকম একটা রেসিপি হলে মজা করেই খাওয়া যায়।
কি খাবারটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু। আপনি বাসায় রান্না করে একদিন খেয়ে দেখবেন।
কচুর ডাটা দিয়ে চিংড়ি মাছ টা আমার বেশ ভালো লাগে। অন্য মাছ সেরকম খাওয়া হয়নি। কচুর ডাটা দিয়ে মাছের রেসিপি টা বেশ তৈরি করেছেন আপনি। রেসিপি টা দেখে কিন্তু বেশ লাগছে। পাশাপাশি চমৎকার উপস্থাপন করেছেন রেসিপি টা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর ডাটা কখনো খাইনি ভাইয়া। একদিন খেয়ে দেখতে হবে তাহলে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন গ্রামে গেলে কচুর ডাটা খুব সহজে পাওয়া যায়। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কচুর ডাটা দিয়ে মাছের ঝোল রেসিপি করেছেন। আসলে মাছ দিয়ে কচুর ডাটা রান্না করলে খেতে এমনিতে মজা লাগে। আর রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু গ্রামে গেলে এই কচুর ডাটা গুলো খুবই সহজে সংগ্রহ করা যায় না। আর খেতে অনেক ভালো লাগে।