রেসিপি - ৩৫ | | " নারিকেল ও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু ভাজা " | | @shimulakter | | ২৩ । ০৯ .২০২২ ইং | |
আসসালামু আলাইকুম, আদাব
হ্যালো
উপকরন | পরিমান |
---|---|
কচু | ১৫/১৬ টুকরো |
বড় চিংড়ি | ৫/৬ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
নারিকেলের পেস্ট | ১ টেবিল চামচ |
রসুন পেস্ট | হাফ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চামচ |
তেল | পরিমান মত |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
লবণ | পরিমান মত |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর ধাপগুলো আমি এক এক করে তুলে ধরব । আশাকরি আপনাদের কাছে সহজ লাগবে ।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে কচুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে সুন্দরকরে ধুয়ে নেব ।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার চাক চাক করে কেটে কাটা চামচ দিয়ে কেচে নেব ।কেচে নেব ,যাতে করে মসলাগুলো ভেতর পর্যন্ত ঢোকে ।এতে করে খেতে খুব ভাল লাগবে ।
তৃতীয় ধাপঃ
কেচে নিয়ে এখন সবগুলো ভাপ দিয়ে পানি ফেলে ঝড়িয়ে নেব ।
চতুর্থ ধাপঃ
এরপর নারিকেল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নেব ।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার চুলায় প্যান বসিয়ে গরম হতে দেব । গরম হলে তেল পরিমান মত দিয়ে গরম হলে বেছে রাখা চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দেব ।
ষষ্ঠ ধাপঃ
চিংড়ি মাছ ভাজা হলে ,তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকব ।
সপ্তম ধাপঃ
এবার ভাজা পেঁয়াজে স্বাদ মত লবণ দিয়ে নাড়তে থাকব ।এরপর হাফ চামচ রসুন পেস্ট দিয়ে ভুনতে থাকব ।ভুনা হয়ে এলে ১ টেবিল চামচ নারিকেল পেস্ট দিয়ে ভুনতে থাকব ।
অষ্টম ধাপঃ
এবার তাতে হাফ চামচ হলুদের গুঁড়া ও ১ চামচ মরিচের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে-চেড়ে পরিমান মত পানি দিয়ে দেব ।
নবম ধাপঃ
পানি কমে গেলে তাতে ভাপ দেয়া কচুগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব । এরপর কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে দেব ।
দশম ধাপঃ
এবার ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে নেব । এই ধাপে এসে আমার নারিকেল ও চিংড়ি দিয়ে কচু ভাজি একদম রেডি । এখন শুধু খাওয়ার পালা ।
গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে বেশ মজার লাগবে । সবাই বাসায় এভাবে রান্না করে খাবেন আশাকরি ।
আমার রেসিপির সব ফটোগ্রাফির তথ্য আমি নীচে তুলে ধরছি ---
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | নিজ বাসস্থান |
আজ এ পর্যন্তই । আবার কোন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হব ।সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভাল থাকবেন ।
আর যাই হোক রেসিপিটা বেশ দারুণ মনে হয়েছে আমার কাছে। চিংড়ি মাছ কচু আর এর মধ্যে আবার নারিকেল! বিষয়টা যেন নতুন মনে হল। তবে আইটেম দেখে বুঝলাম দারুন একটা রেসিপি করেছেন আপনি।
হে ভাইয়া সত্যিই দারুন হয়েছে রেসিপিটি। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। অনেক শুভকামনা ভাইয়া আপনাকে।
এই কচুগুলো নারকেল দিয়ে ভর্তা করলে খুবই ভালো লাগে খেতে। আমি একবার খেয়েছিলাম। আপনি নারকেলের সাথে আবার চিংড়ি দিয়ে রান্না করেছেন। খেতে সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া কচুগুলো আগে থেকে সিদ্ধ করে নেওয়ার কারণে এবং চামচ দিয়ে কুচিয়ে নেয়ার কারণে মসলাগুলো খুব ভালো মতো কচুর মধ্যে ঢুকেছে বোঝা যাচ্ছে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি।
জি আপু খুব মজা হয় এভাবে রান্না করলে। বাসায় একবার হলেও করে খাবেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
কচু আমার খুব পছন্দ। আর চিংড়ির কথা ত বলে লাভ নেই কারন সবার পছন্দ। আপনি ঠিক বলেছেন কচুতে অনেক ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আছে। আপনি নারকেল কুড়িয়ে তার পেস্ট করছেন, কচু ভাপে দিয়েছেন, চিংড়ি ভেজে নিয়েছেন এবং এগুলো দিয়ে খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন। প্রতিটি ধাপ একদম স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন। শেষে পরিবেশন টা আরেকটু সুন্দর হলে মনে হয় ভালো দেখাত। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে খেতে অনেক মজা হয়েছিল।এভাবে রান্না করে খাবেন ভাল লাগবে।ভাল থাকবেন।
চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়। চিংড়ি মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো নারিকেল ও কচু দিয়ে রান্না করা হয়নি। দেখেই মনে হচ্ছে এই খাবারটি খেতে বেশ টেস্টি হবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব আপু।
অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। জি আপু খেতে অনেক টেস্টি হয়েছে। বাসায় একবার হলেও করে খাবেন আশাকরি ভাল লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। ভাল থাকবেন।
নারিকেল ও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু ভাজা দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। এমন রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
অনেক অনেকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও। আমার রেসিপিটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই খুব মজার হয়েছে রেসিপিটি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
নারিকেল এবং চিংড়ি দিয়ে কচু ভাজি। এইরকম রেসিপি প্রথম দেখলাম। প্রধান শ্রেণির তিনটা জিনিস নিয়ে একটা রেসিপি দারুণ। রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ভালো ছিল আপনার তৈরি রেসিপি টা আপু।।।
সত্যিই ভাইয়া রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য । অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনি এই কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন কচুতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও আয়রন । যা কিনা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার । আমি তো আমার আম্মুকে বেশিরভাগ সময় বলে থাকি কচু রান্না করতে কচু আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী। আমার আম্মু তো বেশিরভাগ সময় কচুরি শাক রান্না করে থাকে আমাদের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল লাগলো জেনে, আপনি আমার ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এসব সবজি খাওয়া সত্যিই অনেক ভাল চোখের জন্য। ভাল থাকবেন।
আপনি অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। নারিকেল ও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু এভাবে ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে বেশ মজাদার। আমি অবশ্যই বাসায় এভাবে একদিন তৈরি করব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অনেক মজার হয় আপু। আপনি বাসায় অবশ্যই করে দেখবেন। বাচ্চারাও খেতে চাইবে। অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক শুভকামনা আপু আপনার জন্য।
বাহ আপু ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নারিকেল ও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু ভাজির রেসিপি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আমার ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। সব সময় পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাহ খুব অসাধারণ নারিকেল ও চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু ভাজা রেসিপি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। আমি কখনো এভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে নারকেল কচু বাজা করে খাইনি। আর আপনি সত্যি কথাই বলেছেন কচুতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও আয়রন আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।