শৈশবের ডায়েরি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো শৈশবের ডায়েরি। তবে সেটা আমার নয় আমার ভাগ্নের। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
শৈশবের ডায়েরি শেয়ার করার আগে আমি গতকালের ঘটনা শেয়ার করবো। গতকাল আমি একটি পোস্ট করেছি। কিন্তু পোস্টটি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে না হয়ে কমিউনিটির বাইরে হয়েছে আমার কিছু ভুলের কারনে। প্রথমত আমি সেটা বুঝতে পারিনি। আজ সকালে তা জানতে পারলাম। জানতে পেরে মন ভিশন খারাপ হয়ে গেল। তবে ভুল থেকেও যে কিছু শেখা যায় তার প্রমাণ পেলাম। তবে মন খারাপের মাঝেও আমার ভাগ্নের শৈশবের ডায়েরিটি গুছিয়ে ফেললাম। যা দেখে মন খারাপ নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। চলুন এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করি কিভাবে আমি ডায়েরিটি গুছিয়েছি।
ডায়েরিটি কিনেছে আমার বড় বোন। আমার ভাগ্নের শৈশবের কিছু স্মৃতি রাখার জন্য। ডায়েরি রেডি করার জন্য আমি নিয়েছি আমার ভাগ্নের জন্মের দিন থেকে চার বছর পূর্ন হওয়া অবদি কিছু ছবি। ছবি গুলো আমি কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে নিয়েছি।
এরপর আমি একটি একটি করে ছবির পিছনে ডাবল টেপ লাগিয়ে ডায়েরিতে লাগিয়েছি।ডায়েরিতে লাগিয়েছি আমার ভাগ্নের জন্মের প্রথম দিনের ছবি,তার মায়ের সাথে, নানু-নানি, দাদু,খালামনিদের সাথে ছবি।এছাড়াও লাগিয়েছি তার দুষ্টুমি মুহূর্তের কিছু ছবি। ডায়েরিতে আরও লাগিয়েছি তার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ জন্মবার্ষিকীর কিছু মুহূর্ত।
আমি তৃতীয় জন্মদিন সম্পর্কে কিছু কিছু বলতে চাই। কারন তৃতীয় জন্মদিন সে হসপিটালে কাটিয়েছে। কারন সে অনেক অসুস্থ ছিলো।সেদিন তার অসুস্থতায় সকলের মন অনেক খারাপ ছিলো। আমাদের বংশের একমাত্র আদরের ছোট সদস্য আমার ভাগ্নে। তাই ওর কিছু হলে সকলের মন খারাপ হয়।তাই তৃতীয় জন্মদিন সকলের কাছেই স্মরণীয়।
এরপর আমি তার আকিকার কিছু ছবি লাগিয়েছি।তার বয়স এখন চার পূর্ণ হয়েছে এবং পাঁচ বছরে পদার্পণ করেছে। এই ডায়েরিটিতে আঠারো বছর পর্যন্ত স্মৃতি ধারণের পৃষ্ঠা রয়েছে। তাই আমার বোনের ইচ্ছে তার আঠারো তম জন্মদিনে তাকে এই ডায়েরি উপহার দেবে। ডায়েরিতে তাকে চেনার জন্য লাগানো হয়েছিল তার হাত ও পায়ের ছাপ। তার ঠোঁটের বাম পাশে তিল আছে সেটিও লিখে রেখেছিলাম।
এভাবেই আমি ডায়েরিটি গুছিয়ে ফেলেছি।
আপনার চাইলে আপনাদের শিশুর বিশেষ মুহূর্ত গুলো এভাবে স্মৃতি হিসেবে রাখতে পারেন।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে নতুন কিছু উপস্থাপন করব আপনাদের সামনে।
hr>
আমি তাইয়্যেবা সরকার শ্যামা। আমি বাঙ্গালী। বাঙ্গালী হিসেবে আমি গর্ব বোধ করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। সময় পেলে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ঘুরি। আমি ছবি আঁকতে এবং নতুন কিছু তৈরি করতে ভালোবাসি। বই পড়তেও ভালো লাগে। এছাড়াও আমি অন্যের মতামতকে সম্মান করি। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পছন্দ করি। সবসময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করি এবং নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো আমার ভালো লাগে।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
শৈশবের ডাইরিটা খুবই চমৎকার করে গুছিয়ে রেখেছো। যা পুরনো স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখতে সহায়তা করবে। এটা খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ।কারণ যুগ যুগ ধরে এই ছবিগুলো সময়কে মনে করিয়ে দেবে।এত চমৎকার একটি আয়োজনের জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।♥♥
ধন্যবাদ তোমাকেও