গাওয়া ঘি রেসিপি🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বাড়িতে তৈরি গাওয়া ঘি রেসিপি।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
ঘি খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি খাবার।ঘি বাচ্চাদের ভীষন উপকারী। ঘি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ঘি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা চিরতরে দূর করে।ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে।রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরে।মস্তিস্কের কোষ সক্রিয় রাখে।ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এতো পুষ্টি গুণে ভরপুর এই ঘি বাজারে কিনতে পাওয়া যায় তবে আসল না কি নকল বোঝা মুসকিল। আজকাল নানান মেডিসিন ব্যাবহার করে বাজারে বিক্রি করে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।
তবুও খেতে হয় কিনে কারণ কজনই বা বাড়ির তৈরি ঘি খেতে পারে।
ঘি দু প্রকার উপকরে তোলা যায় এক দুধের সর দুই দুধের তোলা ননি।আমি আজকের ঘি তৈরি করেছি দুধের ননি থেকে।
ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমার দিদু বাড়িতে ঘি ওঠান।এই ধারাবাহিকতায় মা ঘি ওঠান এখন আর আমার মেয়েকে ও দিদির ছেলেকে পাঠান।আমার মেয়েকে ছোট বেলা থেকেই ঘি খাওয়াই।সরাসরি ভাতের সাথে কিংবা রান্নায় ঘিয়ের ব্যাবহার করি।বাড়িতপ গিয়ে ঘি তোলা দেখে নিজেই বসে পড়লাম এবং শেখার চেষ্টা করলা।
তো চলুন দেখা যাক ঘি তোলার পদ্ধতি কেমন ছিলো।
দুধের ননি |
---|
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কিছু দুধের ননি নিয়েছি কড়াইয়ে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন একদমই লো হিটে ননি গুলো জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।প্রথমে ননি গুলো আগুনের আচ পেয়ে লিকুইড হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন আস্তে আস্তে ননি গুলো নারাচারা করে নিতে হবে যাতে করে তলায় লেগে না যায়।
চতুর্থ ধাপ
লোহিটে জ্বাল দেয়াতে আস্তে আস্তে ননি গুলো ঘি এ পরিনত হচ্ছে দেখুন।
পঞ্চম ধাপ
লো হিটে জ্বাল দেয়াতে খুব সুন্দর করে ননি থেকে ঘি তৈরি হয়ে গেলো।একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ
এই ছিলো আমার আজকের পুষ্টিকর ঘি রেসিপি।এভাবে ঘি তৈরি করে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব। আশা করছি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার কাছে মনে হয় ননী থেকে ঘি বানানো সহজ হয়,দুধের সর জমাতে অনেক সময় লাগে। যাইহোক ঘি আমাদের সবার জন্যই উপকারী।বাচ্চাদের খাবারে তেল থেকে ঘি ব্যবহার করাটাই ভালো।রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো আপু।আমি তৈরি করব ভেবেছিলাম কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না।
ঠিক বলেছেন আপু ঘি সবার জন্য উপকারী। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
ঘি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। ঘি বানানোর দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। খুব সহজে সুন্দরভাবে একটি পদ্ধতি তুলে ধরেছেন। যা দেখে সহজেই কেউ বাসায় ঘি তৈরি করতে পারবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঘি দিয়ে ভাত বা খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও বাসায় এভাবে ঘি তৈরি করি। নিজের হাতে তৈরি ঘি হলে তো কথাই নেই। ঘি তৈরির রেসিপি দেখে যতটা সহজ মনে হয় বানাতে গেলে বোঝা যায় কতটা কঠিন। নাড়তে নাড়তে হাত ব্যথা হয়ে যায়। অনেকগুলো ঘি হয়েছে দেখছি। মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়ই।
অনেকদিন পর গাওয়া ঘি তৈরি করার প্রক্রিয়া দেখতে পেলাম।ছোটবেলায় কর্তামাকে দেখতাম
বাড়ির গরুর দুধের ননী থেকে এভাবেই ঘি তৈরি করতো।ঘি তৈরির পর যে নিচের পোড়া অংশটা থাকতো সেটি দিয়ে আমরা মুড়ি চিনি মাখিয়ে খেতাম,কিযে মজা লাগতো তা বলার মতো না।ঘি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছো।সবমিলিয়ে অসাধারণ পোস্ট শেয়ার করেছো তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।
আমার মাকেও ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাসায় ঘি তৈরি করতেন। ঘি খেতে আমই অনেক পছন্দ করি বিশেষ করে গরম গরম আলু ভর্তা ভাতের সাথে। তবে কখনো নিজে বানানো হয়নি। আপনার রেসিপিটি শিখে রাখলাম যদি কখনো কাজে লাগে। ধন্যবাদ আপু বাসায় ঘি তৈরি করে সেই রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।