গতা মাছের রসা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো গতা বা গচি মাছের রসা রেসিপি।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
গতা মাছ চমৎকার সুস্বাদু একটি মাছ। এই মাছ খালবিল ও নদীতে পাওয়া যায়। অঞ্চলভিত্তিক এই মাছের হরেক রকমের নাম হয়ে থাকে।আমাদের এলাকায় এই মাছটির নাম কেউবা গতা কেউ বা গচি নামে চিনে থাকে।আপনারা কি নামে চেনেন এই মাছকে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট।
এই প্রজাতির মাছ পানির তলদেশে কাদায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।গ্রাম অঞ্চলে শীতকালে এই মাছ খুব বেশি পাওয়া যায় কারণ শীতকালে খালবিল, পুকুরের জল শুখিয়ে যায়। কেউ বা আবার পুকুর খনন করার জন্য পুকুর সেচে থাকে আর তখন পুকুরের তলদেশ থেকে এই মাছ গুলো কাদার ভিতরে পাওয়া যায়।আমাদের পুকুর সেচতো তখন দেখেছি এই মাছ গুলো কাদার ভিতর থেকে মাঝিদের কে ধরতে।অনেক সুস্বাদু এই মাছ গুলো।খেতে চমৎকার লাগে আমার কাছে।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল পোস্টে চলে যাওয়া যাক
১.গতা মাছ |
---|
২.পেঁয়াজ |
৩.গোটা জিরা ও তেজপাতা |
৪.রসুন |
৫.মরিচের গুড়া |
৬.কাঁচা মরিচ |
৭.লবন |
৮.হলুদ |
৯.গরম মসলা |
১০.ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি গতা মাছ গুলো কেটে ছাল ছিলে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছিও লবন হলুদ মেখে নিয়েছি মাছ গুলো।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি এবং পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি ও তেল গরম হয়ে গেলে তাতে লবন হলুদ মেখে রাখা মাছ গুলো ভেজে নিয়েছি।ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন আমি আদা,জিরে, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বেটে নিয়েছি।নতুন আলু ছোট করে কেটে নিয়েছি। একটি টমেটো কেটে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন মাছ ভাজা তেল গুলোতেই গোটা জিরাও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি এবং পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়েছি। এরপর আলু দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
আলু গুলোতে সব গুলো বাটা উপকরণ ও লবন হলুদ, মরিচের গুড়া দিয়েছি এবং আলু গুলো ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
আলু গুলো লবন হলুদ দিয়ে ভাজা হয়ে গেলে তাতে সব গুলো বাটা উপকরণ দিয়ে আবারও ভেজে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
মশলা সহ আলু গুলো ভাজা হয়ে গেলে তাতে কাঁচা মরিচ ও টমেটো দিয়েছি।অল্পপরিমাণ জল দিয়েছি এবং খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
নবম ধাপ
খুব ভালো করে কষানো হয়ে গেছে তাই পরিমাণ মতো জল দিয়েছি এবং আবারও একটু ফুটিয়ে নিয়েছি এবং গতা মাছ গুলো দিয়েছি।
দশম ধাপ
এখন গতা মাছের তরকারি গুলো ফুঁটিয়ে গেলে গরম মশলা দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি আলু টমেটো দিয়ে গতা মাছের রসা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এপর্যন্তই। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUimtpSYL3YcCbEaqKzkmPYr4PYsMde5CiwSsLsrgztRH/IMG_20240124_145346.jpg)
গতা মাছের রসা নামটা যেমন দারুন তেমনি রেসিপিটাও দারুন হয়েছে আপু। আমাদের অঞ্চলেও এই মাছগুলো গতা মাছ নামে পরিচিত। তবে অনেকেই অন্য নামে চেনে। দারুন হয়েছে আপনার রেসিপি। নদীর মাছ গুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
হ্যাঁ আপু উত্তরঅঞ্চলে এই মাছকে সবাই গতাই বলে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
বাহ খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন তো আপু। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।আর রান্নার কালারটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনি একজন ভালো না রাধুনী। আর আপনি রান্নার প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। গতা মাছের এই রেসিপিটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি গতা মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয় আর এভাবে রসা ভুনা করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে রান্না ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপনি গতা মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হয়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমি গতা মাছের নাম কখনো শুনি নি। আজ প্রথম আমার থেকে জানতে পারলাম আপু। বেশ সুন্দর মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। গরম মসলা দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের এলাকায় এই মাছকে গতা বা গচি নাম বলে।আপনাদের এলাকায় কি নাম ভাইয়া এই মাছের। ঠিক বলেছেন গরম মসলা দেয়াতে বেশি ভালো লাগে।
দিদি আমাদের এখানে এই মাছকে আঞ্চলিক ভাষায় গুতে মাছ বলে। আর এটা আসলেই কাদা মাটির নিচে পাওয়া যায় খালে বিলে। যদিও বাজারে এখন এই মাছ খুব বেশি দেখা যায় না, এই মাছ আপনি কোথায় পেলেন দিদি? যাইহোক, নতুন একটা রেসিপি শিখলাম আজ। এটি দেখতেও অত্যন্ত লোভনীয় লাগছে। এছাড়া শীল পাটা তে মসলা বেটে রান্না করলে তার টেস্ট অনেক বেশি ভালো হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি, এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকায় শীতকালে এই মাছ পাওয়া যায় দাদা।মাঝিকে বলে রেখেছিলাম ওনি বাড়িতে দিয়ে গিয়েছিল আটশো টাকা কেজি দরে।সত্যি পাটাতে মসলা বেটে রান্না করলে খুব সুস্বাদু হয় খেতে।
৮০০ টাকা করে কেজি! অনেক দাম তো তাহলে দিদি এই মাছের। যাইহোক, আগে থেকে মাঝিকে বলে রেখেছিলেন বলেই পেয়েছেন এই মাছ, না হলে সব সময় এই মাছ পাওয়া যায় না।
পতা মাছের রসা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে বিশেষ করে আলু দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছেন বলে বেশি সুস্বাদু হবে। এই মাছটাকে সম্ভবত আমাদের এলাকায় বাইম মাছ বলা হয়। যাইহোক লোভনীয় মাছের রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ দিদি
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই মাছটির নাম আজ প্রথম শুনলাম আপু আপনার পোস্ট থেকে।অনেকটা বাইম মাছের মত মাছগুলো দেখতে।ভালো লাগলো আপনার ইউনিক রেসিপিটি ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এই মাছের এলাকা ভিত্তিক নানা রকমের নাম হয়ে থাকে তাই হয় তো প্রথম শুনেছেন নাম।
গতা মাছের রসা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় এই মাছের নাম আমি আগে কখনোই শুনিনি। নাম না জানা মাছগুলো খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু হয়। সেটা আমার মনে হয়। কারণ আমি যখনই নাম না জানা মাছগুলো খেয়েছি তখন আমার কাছে খেতে বেশ মজাই লেগেছে। আর এই শীতকালে ধনেপাতা টমেটো দিয়ে এমনিতে রান্না করলে খেতে বেশ মজা হয়। আর আজকে তো আপনি খুবই চমৎকার রেসিপি শেয়ার করলেন। বেশ ইউনিক লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে।
এই মাছের আপনাদেরকে এলাকায় নিশ্চয়ই অন্য নাম বলে।ধনে পাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না পরিবারের সদস্য তাই দেইনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। গতা মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক দিন আগে গতা মাছের ভুনা খেয়েছিলাম। এই মাছ গুলো গ্ৰাম অঞ্চলে অনেক বেশি পাওয়া যায়। আপনার গতা মাছের রসা রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন গতা মাছ খবর তে ভীষণ ভালো লাগে।
মাছের নাম শুনে প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।পরে দেখলাম এগুলোকে আমরা গচি বা ছোট বাইম মাছ বলে থাকি। রন্ধন প্রণালী বেশ ভালো ছিল এবং রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এই মাছ আমার খুবই পছন্দের আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই মাছের একেক জায়গায় একেক নাম বলে গচিও বলে আমাদের এখানে তবে বাইম মাছ অন্য এক প্রজাতির মাছের নাম জানি আমরা।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন।