কুচো চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়ার ঘন্ট রেসিপি।
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন।
আবহাওয়া আজ বেশ ঠান্ডা। প্রচন্ড গরমে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ ছিলো তবে এই গরমের সাথে লড়াই করতে মত্যলোকে নেমে এসেছে সস্তির বৃষ্টি। সারাদেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টি।
গরমের কারনে রেসিপি করা হয় না তবে আজ ভাবলাম কুচো চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়ার ঘন্ট করি। চালকুমড়া ঘন্ট ও ভাজা খেতে আমার খুব ভালো লাগে।মাঝে মাঝেই ভাজা খাওয়া হয়। একদমই কচি চালকুমড়া ছারা খেতে ভালো লাগে না আমার কাছে।আগে অনেক চালকুমড়া এই রেসিপিটি অনেক খেতাম। অনেক দিন থেকে খাই না তাই ভাবলাম আজকে এই রেসিপিটি করে শেয়ার করি আপনাদের সাথে।
চাল কুমড়া ভাজা ও ঘন্ট রান্না একরকম হলেও একটু পার্থক্য আছে আর তা হলে চালকুমড়া ভাজায় কোন জল ব্যাবহার করি না শুধু তেলেই ভাজা করা হয় আর ঘন্ট জল দিয়ে সিদ্ধ করে রান্না করা হয়।
চালকুমড়া অনেক পুষ্টিকরও বটে।
হজমের সমস্যা দূর করে হজমের সমস্যায় ভুগলে তার একটি সহজ সমাধান হতে পারে চালকুমড়া খাওয়া।
ফুসফুস ভালো রাখে ফুসফুস ভালো রাখে।চাল কমড়ায় প্রচুর পরিমাণে জল থাকে জন্য শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে কাজ করে এবং শরীর শীতল রাখে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
চালকুমড়া |
---|
কুচো চিংড়ি |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচা মরিচ |
লবন |
হলুদ |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে চাল কুমড়া কেটে কুচি কুচি করে নিয়েছি ও তাতে লবন দিয়ে মেখে হাতের সাহায্যে চেপে জল বের করে নিয়েছি। এভাবে লবন দিয়ে চালকুমড়া মেখে জল চাপ দিয়ে বের করে নিলে খুব মোলায়েম এবং রান্না করে খুব ভালো হয়।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও কুচো চিংড়ি গুলোতে লবন হলুদ দিয়ে মেখে দিয়ে ভেজে তুলে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কড়াইয়ে পেয়াজ মরিচ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি ও তাতে চালকুমড়া গুলো দিয়েছি। চাল কুমড়ায় লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন একটু ভেজে নেয়ার পর তাতে জল দিয়েছি সিদ্ধ করার জন্য।
পঞ্চম ধাপ
একটু সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন চিংড়ি মাছসহ কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি ও জল শুকিয়ে গেলে পরিবেশের জন্য নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি কুচো চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়ার ঘন্ট।আশা করছি আপনাদেরই ভালো লাগবে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
চিংড়ি মাছ সব সময় একটি সুস্বাদু খাবার। এর মধ্যে ছোট চিংড়ি গুলোর স্বাদ অনেক বেশি। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে য়ে চাল কুমড়ার ঘন্ট রেসিপি করেছেন রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি হয়েছে। রেসিপিতে যে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়েছেন সেগুলো মনে হয় আমাদের দেশি চিংড়ি।
ঠিক বলেছেন চিংড়ি মাছ সুস্বাদু খাবার।
বাহ আপু আপনি দেখছি আজকে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কুচো চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়ার ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।সব কিছু মিলিয়ে আপনার তৈরি করা রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য।
আপু আপনার পোষ্টের প্রথমে সম্ভবত ছবি দিতে কিছুটা মিসটেক হয়েছে। পরিবেশনের ফটোগ্রাফি টা প্রথমে দিলে ভালো হতো। যাইহোক, চিংড়ি মাছের যে কোন রেসিপি সত্যিই বেশ ভালো লাগে খেতে। চাল কুমড়া এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। লোভনীয় এই রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু মিস্টেক ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ও ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
এ জাতীয় চিংড়ি মাছের রেসিপি গুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। কারণ চিংড়ি মাছ আমার খুবই ফেভারিট। সে জায়গায় আপনি দারুন ভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছেন আপু। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল এবং পরিবারের লোকজন খুবই পছন্দ করেছে আপনার এই রেসিপি।
হ্যাঁ ভাইয়া সবাই পছন্দ করেছে রেসিপিটি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কোনো কিছু রান্না করলে অনেক বেশি মজাদার হয়ে থাকে। আর সেই রেসিপি টার মধ্যে আলাদা একটা টেস্ট পাওয়া যায় তখন। তেমনি আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখেও মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। কুচো চিংড়ি দিয়ে আপনি চাল কুমড়োর ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটার স্বাদ নিশ্চয়ই অনেক ভালো ছিল। আপনার তৈরি করা রেসিপি আমার অসম্ভব পছন্দ হয়েছে। এই রেসিপিটা কখনো তৈরি করা হয়নি, তাই ভাবছি একদিন তৈরি করবো।
হ্যাঁ আপু স্বাদ অনেক ভালো ছিলো।
চিংড়ি দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার কুচো চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়ার ঘন্ট রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি গুলো বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। চাল কুমড়ার ঘন্ট নিশ্চয় বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো অসাধারণ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন চিংড়ি দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে অনেক ভালো হয় খেতে।
কুচো চিংরি দিয়ে কুমরো ঘন্ট করলে অনেক ভাল লাগে।বিশেষ করে মিষ্টি কুমরো ঘন্ট করলে অনেক বেশি ভাল লাগে খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদি আমরাও এই পদ্ধতিতে রান্না করি।যাইহোক চাল কুমড়া ভাজা খেতে আমার বেশ ভালো লাগে।আর চিংড়ি হলে তো কথাই নেই।আপনি যেহেতু এতে কুচো চিংড়ি দিয়েছেন সেহেতু এটা খুবই স্বাদের খেতে হবে।কুচো চিংড়ি দিয়ে যেকোনো কিছু দারুণ জমে,সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা এই পদ্ধতিতে রান্না করেন জেনে ভালো লাগলো।
আপু আপনি ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে চালকুমড়ার খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও এভাবে চালকুমড়ার রেসিপি কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি করেছেন। চিংড়ি দিয়ে চালকুমড়ার ঘন্ট রেসিপি করেছেন। এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে বেশ মজাই লাগে। মজার রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন গরম ভাত ও রুটি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে এই রেসিপি।