প্রিয় @moh.arif ভাইয়া কে উপহারস্বরূপ "কবর" কবিতা আবৃত্তি//১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


আসসালামু আলাইকুম

সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি সেলিনা সাথী। আশাতেই আশা করি সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।

♥♥

গতকাল ঘুমের ঘোরে আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন,,এবং অতি প্রিয় ভাজন,,@moh.arif ভাই য়ের একটি কথা মনে পড়ে গেল।তিনি অনেক দিন আগে আমার কাছে একটি কবিতা শোনার প্রত্যাশা করেছিলেন।কবিতাটি হল পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবর কবিতাটি।নানাবিধ কারণে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।হঠাৎ মনে পড়াতে খুব অস্থির লাগছিল।ভাইয়ের ছোট্ট একটি আবদার যদি আমি রাখতে না পারি এটা আমার ব্যর্থতা।তাই আজ আমি প্রিয় আরিফ ভাই এর অতি পছন্দের কবিতাটি আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নেব। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।

received_999908790608920.webp


পল্লীকবি জসীমউদ্দীন আমার খুবই প্রিয় একজন কবি।তার সহজ সরল সাবলীল ভাষায় লেখা আমার খুবই পছন্দ।তাই এই কবির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্যই আমি ফরিদপুরে গিয়েছিলাম।সেই ডালিম গাছ সেই কবরস্থান ছবি দেখেছিলাম।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি ছবি গুলো খুজে পাচ্ছি না।দু-একটি ছবি পেয়েছি কিন্তু সেই ডালিম তলার ছবিটি হারিয়ে ফেলেছি।ফরিদপুর আমার এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলাম।তাদের সাথেই মূলত পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ঘুরে এসেছি।বাড়ির সামনে একটি বড় মাঠ সেখানে বসে বাদাম খেয়েছি।দোলনায় দুলছি।তার স্মৃতি কলা গুলো খুব ভালো করে উপলব্ধি করেছি।


IMG_20220228_205914.jpg

IMG_20220228_205810.jpg



প্রিয় "আরিফ ভাইয়া",, @moh.arif শুরুতেই আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি.।আপনার ছোট এই আবদারটা আমি ভুলে গিয়েছিলাম।গতকাল মনে পড়ার পর থেকে বহুবার চেষ্টা করেছি কবিতাটি পড়ার।কিন্তু প্রচন্ড সর্দি লাগার কারণে নাক বন্ধ থাকার কারণে কবিতাটি পড়তে পারছিলাম না।এদিকে মনের মধ্যে স্বস্তি ও পাচ্ছিনা।তাই আজ গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করে অনেক কষ্ট করে কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করেছি,,আপনার আবদার পূরণের জন্য।আশা করি আপনার ভালো লাগবে।আপনার ভাল লাগলে আমার সার্থকতা।
তবে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের "কবর" কবিতাটি♥♥


ভিডিও লিংক


আপনার ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া♥♥


কবর

এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়াগাঁটে,সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!
হেস না­ হেস না­ শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে!
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে,
পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে।আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়,আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।
তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ।
এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।
সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও,সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ?গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি,তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিনমান ভরি।গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে,ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে।পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
ঊদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধারে ঘরে পথ পেয়েছিল খুজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, বাছারে যাই,
বড় ব্যথা র’ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, যাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গন্ড ভিজায়ে নয়ন­জলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ­ব্যথার ছলে।

ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল­ আমার কবর গায়
স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।
সেই যে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু­ছায়,গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়জোনকি­মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, রহমান খোদা! আয়;ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!

এখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, দাদু যেন কাল এসে
দুদিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কশাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ­বীণ!
কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে।

ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেহ ভালো,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়।
আমার বু­জীর তরেতে যেন গো বেস্ত নসিব হয়।

হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু, সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা!
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদির ছবিখানি মোর হদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে।
কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে।
আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি,
দাদু! ধর­ধর­ বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু,
কথা কস নাকো, জাগিয়া উটিবে ঘুম­ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে,

ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিয়ে ঘন আবিরের রাগে,
অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সুকরুণ সুরে,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূরে।
জোড়হাত দাদু মোনাজাত কর, আয় খোদা! রহমান।
ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু­ব্যথিত প্রাণ।

20220121_173417.jpg

dropshadow_1629707620635.jpg

আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।




3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpq77jw4XPQMecE5Rz5bgPEz1Z1oZLbNW5N67oF5YfojwgQAL2FYSdD4RtUiqqjd7JEiagRSFFDh1UcFPpKDSFF7LXFTUzQazXN5piXY.png


🌼ধন্যবাদ🌼

Sort:  
 3 years ago (edited)

প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনি আমার খুবই পছন্দের একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। কবর কবিতাটি আমার অনেক পছন্দের একটি কবিতা। আমার এখনো একটি বিষয় মনে পরে, পাঠ্যবইয়ে অন্য যত গুলো কবিতা ছিল সবগুলোই পরীক্ষা পাশ এর জন্য পড়তাম কিন্তু এই কবিতাটি পড়ার সময় মনের মধ্যে কেন জানি একটা ভাল লাগা কাজ করত।
আর আপনার আবৃত্তির প্রশংসা আমার মত ছোট মানুষের পক্ষে করা আসলেই সম্ভব না। আসাধারণ আবৃত্তি, আমি কানে হেডফোন লাগিয়ে ৪-৫ বার শুনেছি।
পরিশেষে আবার ও আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই ছোট ভাইয়ের রিকুয়েষ্ট টি মনে রেখে কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য। 💗💝💞

 3 years ago 
তবে সত্যি কথা ভাইয়া এই কবিতাটি ছোটবেলায় একবার পড়েছিলাম আর এইবার প্রথম আবৃত্তি করলাম।তবে মজার বিষয় হচ্ছে কবিতাটি আবৃত্তি করতে গিয়ে বারবার চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল চোখে ঝাপসা দেখছিলাম।আমার নিজের মনে একটা প্রশান্তি কাজ করছে যে আমি আপনার অনুরোধটি রাখতে পেরেছি।আমার আবৃতি আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার পরম পাওয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার জন্য♥♥
 3 years ago 

কবিতাটি একবার পড়েছিলাম। কিন্তু আবৃত্তি কখনো শোনা হয়নি। এত বড় কবিতা এত সুন্দর করে আবৃত্তি করেছেন। সত্যিই আপনার প্রশংসা করতেই হয়। আপনার এই গুনের তুলনা হয়না। পুরো আবৃত্তি শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল ❤️।

 3 years ago 
আমি ধন্য হয়ে গেলাম আপু। আমার কবিতা শুনে আপনার ভালো লেগেছে এই জন্য চেষ্টা করেছি মাত্র।তবে কবিতাটা আবৃত্তি করতে গিয়ে অনেক কষ্ট অনেক চোখের পানি ঝরেছে।আপনার অনুপ্রেরণা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে। এভাবেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে পাশে থাকবেন সবসময়। এই প্রত্যাশা।♥♥
 3 years ago 

আপু আপনার কবিতা আবৃত্তি সত্যি অসাধারন।তাই আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি আপনাকে নিয়ে। আপনার প্রিয় moh.arif ভাইয়া কে উপহারস্বরূপ "কবর" কবিতা আবৃত্তিটি করেছে যা বারবার শুনতে মন চায়। আপনার গলায় যে কোন অবৃত্তি সুন্দর হয়। শুভকামনা রইল আপু

 3 years ago 
আমিও নিজেকে ধন্য মনে করছি যে আমার কবিতা আপনাদের এত ভালো লেগেছে আপনাদের সকলের ভালোবাসায় আমি সিক্ত সত্যিই এভাবেই পাশে থাকবেন সব সময়

♥♥

 3 years ago (edited)

ওয়াও আপু আপনার এই কবিতার প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আপনি যে এত সুন্দর করে কবিতা টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন এটা আমাদের সবারই প্রত্যাশা ছিল। আরিফ ভাই অনেক লাকি যে তাকে নিয়ে এমন একটি কবিতা তৈরি করা হয়েছে। যাই হোক কবিতার ভিডিওটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 
আপনার ভালো লেগেছে বলেই তো আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি আপনার ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া সবাইকে ভাল লাগে জন্য আমি চেষ্টা করেছি মাত্র।আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সব সময় পাশেই থাকবেন আমি যেন আরও ভাল কিছু করতে পারি♥♥

কালজয়ী অমর কবিতা আপনার কন্ঠে আরও বক্তব্য মুখর হয়েছে। সুন্দর গলায় সুন্দরের কৃতি প্রকাশ পাক। এই কামনায়।

 3 years ago 
এত সুন্দর করে এত চমৎকার করে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা এভাবেই পাশে থাকবেন ভাইয়া সব সময় অনুপ্রেরণা হয়ে।

♥♥

যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ করতে মজা বেশি। তাই।

 3 years ago 

আপুর কন্ঠের প্রেমে তো আগেই পড়েছি ।আপুর কবিতা আবৃত্তিতে গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ।
এই কবিতাটি আবৃতি অসাধারণ হয়েছে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে এত চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ প্রদানের জন্য আমার কবিতা আপনার ভালো লেগেছে তাই আমি নিজেকে আনন্দিত বোধ করছি এভাবেই চমৎকার মন্তব্য করি সব সময় পাশে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা♥♥
 3 years ago 

আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে কমেন্ট করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু এক কথাই বলতে চাই খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর কবিতা পরিবেশন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।

জসীমউদ্দীনের কবর কবিতাটি ছোটকাল থেকেই আমার অনেক প্রিয় একটি কবিতা। আমি অনেকবার আবৃত্তি করেছিলাম এই কবর কবিতাটি ‌। কিন্তু আপনারা আবৃতি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার আবৃতি দেখে আমার কিছু ভুল ছিল সেগুলো আমি শুধরে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা কবিতা এত সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 
আমার কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি এবং মনে মনে ভাবছি,,সার্থকতা পেয়েছি আমি।একদিন হ্যাংআউটে অবশ্যই আপনার কন্ঠে এই কবিতা টি শুনতে চাই।।এই প্রত্যাশা রেখে গেলাম।♥♥
 3 years ago 

অনেক জনপ্রিয় একটি কবিতা আবৃতি করেছেন। আর আপনি এত অসাধারণ ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন কি বলবো। আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যেমন কবিতা লিখতে পারেন যেমন আবৃত্তি ও করতে পারেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 3 years ago 
এতো বড় একটি কবিতা!! আপনি যে দারুণ ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এই কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য অনেক ধৈর্যশীল হওয়াটা খুবই জরুরী। আপনার মধ্যে এই সব গুণ বিদ্যমান। যাইহোক, আরিফ ভাই অবশ্যই অনেক খুশি হবেন। এতো সুন্দর একটি গিফট পেয়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ❣️🖐️
 3 years ago 
সত্যিই অনেক ধৈর্যের বিষয় এই কবিতাটি পড়তে গিয়ে অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়।এত বড় কবিতা আবৃত্তি করা সত্যিই অনেক কষ্টকর।তবে ধৈর্য সহকারে শোনার জন্য আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।এভাবেই পাশে থাকবেন সব সময়।♥♥

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 99331.95
ETH 3298.98
USDT 1.00
SBD 3.05