একটি আনন্দমুখর বিকেলের গল্প||~~
বন্ধুরা সকলকেই শীতের উষ্ণ শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।আর আপনারা সকলেই সবসময় ভালো থাকুন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য একটি বিকেলের গল্প নিয়ে এসেছি। আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।দিনটা ছিল শুক্রবার।জুম্মার নামাজের পর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, সিয়াম এবং শিপুকে বললাম চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি।সাথে ছিল মাশরাফি এবং অন্তর।তখন মাশরাফি এবং অন্তর জুম্মার নামাজ পড়ে আমাদের বাসায় আসত এবং সিয়াম ও শিপুর সাথে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে। এরপর বাসায় চলে যেত।তবে সেদিন সবাই মিলে প্ল্যান করলাম। আজকে বিকেলে আমাদের এখানে একটি চাড়ালকাটা নদী আছে। সেই নদীর ধারে যাব ঘুরতে। তাই দেরি না করে ড্রাইভারকে আসতে বললাম।ইতিমধ্যে ড্রাইভার চলে এসেছে এবং গাড়িও বের করেছে।তারপর আমরা পাঁচজন মিলে ঘুরতে গেলাম।
চড়ালকাটা নদী আমাদের নীলফামারী সদর থেকে প্রায় 4 থেকে 5 কিলোমিটার দূরে। তবে খুবই সুন্দর মনোরম পরিবেশ সেখানে আমরা ফাঁক পেলেই একটু ঘুরতে যাই কারণ নদীর ধারের সেই প্রাকৃতিক হিমেল বাতাসে যেন প্রান্ত ছুঁয়ে যেত।সিয়াম যখন নীলফামারীতে থাকে তখন আমরা প্রায় এভাবে মাঝে মাঝেই ঘুরতে বের হই।সিয়াম, মাশরাফি, শিপু আন্তর সকলেই আমার খুবই প্রিয়। বলতে পারেন প্রাণের চেয়েও প্রিয়।মাশরাফি হচ্ছে আমার বড় ভাইয়ের বড় ছেলে এবং অন্তর হচ্ছে আমার ছোট ভাইয়ের বড় ছেলে।তবে আমি সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেই ওরা আমার ছেলে।আসলে এভাবে সন্তানদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা খুব সুন্দর বন্ধুসুলভ আচরণ করি। এবং মজা করি যা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়।
আসলে আমি ওদেরকে সবসময় আমার খুব প্রিয় বন্ধু মনে করি। তবে, সিয়াম হচ্ছে আমার প্রকৃত ভালো বন্ধু। যার সাথে আমি আমার জীবন নিয়ে প্রায় অনেক কিছুই শেয়ার করি। পরামর্শ করি। পরিকল্পনা করি।যে কোন বিষয় নিয়ে ওর সাথে পরামর্শ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। এবং আমি চাই ও পারিবারিক সামাজিক, সব বিষয়গুলো খুঁটিনাটি জেনে রাখুক। যা ওর বাস্তব জীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এমন একটা সময় ছিল মাশরাফিকে প্রতিদিন দেখতে না পেলে মনটা কেমন যেন করে উঠত। তবে, মাশরাফি প্রতি শুক্রবার আমাদের বাসায় আসতো। শিপুর সাথে একসাথে নামাজ পড়তে যেত। এবং বাসায় এসে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করত। ইদানিং আর তেমনটি হয় না।তবে মাশরাফির কাছে আমি টুকিটাকি অনেক কাজ শিখেছি অনলাইনের।আর ও বুঝিয়ে দিলে আমি খুব সহজেই বুঝে যেতাম।আলহামদুলিল্লাহ ও এবার এসএসসি পরীক্ষায় বেশ ভাল রেজাল্ট করেছে। ওর জন্য সকলেই দোয়া করবেন।
শিপুর কথা কি আর বলব ও তো বেশ দুরন্তপনা।কোথাও বেড়াতে গেলে ও মায়ের হাত ধরা ছাড়া কিছুই বোঝে না।সব সময় মাকে বেশ আগলে রাখে।কথা খুব কম বলে কিন্তু অনেক মেধাবী। সেদিন ওর ছুটোছুটি আর ছবি তোলা দেখে, এতটাই আমার ভালো লাগছিল যে, কিভাবে আপনাদেরকে বোঝাব। খুবই আনন্দ মুখর সময় পার করছিল সবার সাথে।আর আমি নিজেও চাই ওরা সব সময় বেশ আনন্দমুখর পরিবেশে সময় কাটাক।শিবু এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এখনো ওর দুটো পরীক্ষা বাকি আছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন ও যেন ওর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
এবার আসি অন্তরের কথায় অন্তর আমার ছোট ভাইয়ের বড় ছেলে। ওকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। এবং অন্তরও আমাকে ভীষণ ভালোবাসে।সেদিন একসাথে ঘুরতে গিয়ে আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করেছিলাম।অনেক ছোট চটি লাফালাফি ছবি তোলা বাদাম খাওয়া আইসক্রিম খাওয়া অন্যকিছু করেছি সেদিন আমরা।অন্তর সেদিন সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পড়েছিল। লালসবুজ আমার কাছে দারুন লাগে দেখতে।
সবমিলিয়ে সেদিনের বিকেলটা যেন ছিল আনন্দে পরিপূর্ণ একটি আনন্দমুখর বিকেল।আমরা চাড়াকাটা নদীর ধার থেকে যখন ফিরছিলাম। তখন ফুচকার দোকানে বসে, সবাই মিলে খুব মজা করে ফুচকা খেয়ে ছিলাম। সেই সময়টা আসলে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরদিন। সেদিনের সেই বিকেলের আনন্দঘন মুহুর্তটি।
বন্ধুরা পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটানোর আনন্দ এতটাই মধুর এতটাই মধুময়, এত বেশি আনন্দময় হয়ে ওঠে।যারা পরিবারের মানুষ গুলোকে এভাবে ভালোবাসে শুধু তারাই অনুভব করতে পারবে।সেদিনের সেই আনন্দমুখর বিকেল কি আজও মনের মনিকোঠায় নাড়া দেয়।সেদিনের সেই মধুময় বিকেলটি আজ স্মৃতিময় হয়ে আছে চোখের রেটিনা জুড়ে।যদিও এরকম আনন্দঘন মুহূর্ত অনেক বার অনুভব করেছি আমরা।
বন্ধুরা সময় পেলে এভাবে বিনোদন করবেন। পরিবারের প্রিয়জনদের সাথে। এটাই প্রত্যাশা রেখে গেলাম।আজকের মত এখানেই। আবারো আগামীতে নতুন কোনো গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। টা, টা,,♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বাহ্ আপু আজকে আপনাকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে দেখছি। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব ভালই ভ্রমণ করলেন। তবে জায়গাটার নাম কিন্তু বেশ। চাড়ালকাঠা, আমি জীবনে কখনো শুনি নাই।
এভাবে পরিবারের লোকজনদের নিয়ে সময় কাটাতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত এবং উৎসাহিত।নদীটির নাম চাড়ালকাটা নদী।♥♥
মা সন্তান ভাই সবাই মিলে চাড়ালকাটা নদীতে বিকেল বেলা বেড়াতে গিয়েছেন ৷ নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ৷ আসলে পরিবারের সাথে বন্ধুসুলভ থাকাই উচিত ৷ কারন বন্ধু হলো সবকিছুর উর্ধে সব কথা শেয়ার করা ৷ যা হোক সিয়াম ভাই তাহলে বাসায় এসেছে ৷
সবমিলে ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তের আলোকচিত্র গুলো ৷
সত্যিই সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি খুব অসাধারণ ভাবে আমরা কাটিয়েছি। এতটাই আনন্দমুখর পরিবেশে কাটিয়েছি যা বলে বোঝানো যাবে না। তবে এটা বেশ কয়েক মাস আগের ছবি ও কাটানো সসময়। আর আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।♥♥
এমন মানুষগুলোর সাথে সময় কাটালে আসলেই সময় ভালো যায়।ফুফু তো,মায়ের থেকে কম কিসে!আমার ফুফুরাও অনেক আদর করে আমায়😊।
মাশরাফির জন্য অনেক অনেক দোয়া থাকলো।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শুভ কামনা জানাই😊
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে উৎসাহ ও প্রেরণা দেয়ার জন্য♥♥
পরিবারের সাথে ঘুরার মজাই আলাদা।আসলে আপনার সাথে সিয়াম ভাইয়ের সম্পর্কটা আমার কাছে ভালো লাগে।আসলে এখন মা ছেলের সম্পর্ক গুলো এত সুন্দর দেখা যায় না।যাই হোক ভাইয়ের ছেলে ও আপনার ছেলেদের ভালে সম্পর্ক দেখে ঈর্ষান্বিত হবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে আশেপাশের মানুষগুলো এখন আর আরেকজনের ভালো দেখতে পারে না।আপনাদের সকলে বেশ সুন্দর লাগছে।সবার জন্য শুভ কামনা এবং দোয়া রইলো, সব সময়ই আপনারা এভাবে ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ
একদম ঠিকই বলেছেন আপু মনি। আসলে আমাদের সমাজে মা ও সন্তানের মধ্যে এত গভীর সম্পর্ক খুব কমই দেখা যায়।আমি সবসময়ই আমার সন্তানদেরকে বন্ধু ভাবি আর তাই বন্ধুসুলভ আচরণ করি।আর আমার ভাই ও বোনদের ছেলেমেয়েদের কে ও নিজের সন্তান হিসেবে মনে করি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।♥♥
পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটেছেন আপু দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে পরিবারের সবাই একসাথে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি অন্যরকম। মায়ের পরে যদি কেউ সব থেকে বেশি ভালো সে আমার মনের সে ফুফু। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আমার একটিমাত্র ফুপি। কিন্তু আমাদেরকে অনেক বেশি আদর করে। এখনো যদি দেখা হয়, তাহলে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে, কেঁদে ফেলে।আমার বাবা ও আমার ফুপি কে অনেক বেশি ভালোবাসতো।♥♥
আপু আপনাদের মা এবং ছেলেদের বন্ধন দেখে অনেক ভাল লাগলো। আপনাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে তারা অনেক আনন্দ পেয়েছে। চাড়ালকাটা নদীর পাশটা অনেক সুন্দর। এমন জায়গায় সময় কাটাতে ভালই লাগে। আর তারা সবাইকেই আপনার ছেলের মত মনে হয়। আপনাদের ভালবাসার বন্ধন গুলো অটুট থাকুক।
আসলে আমরা মা-ছেলেরা সবাই বন্ধুর মতো। একে অপরকে খুব বেশি ভালোবাসি। এবং একে অপরের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করি এবং একসাথে অনেক বেশি মজা করি।♥♥