একুশে বইমেলায় তিথি রানী আপুর সাথে দেখা হওয়ার গল্প||~~
একুশে বইমেলায় তিথি রানী আপুর সাথে,,
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।♥♥
বন্ধুরা, আজ আমি আমাদের সকলের প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের কবিতার রানী জেনে খুবই চমৎকারভাবে কবিতা আবৃত্তি করে, আমাদের সকলের চিত্রকে ভরিয়ে দেন যিনি, তিনি হলেন তিথি রানী। হ্যাঁ বন্ধুরা, গতকাল তিতিরানী আপুর সাথে একুশে বইমেলায় দেখা হল।সে এক অন্যরকম অনুভূতি।গতকাল বইমেলায় একদম ফোনে নেট পাচ্ছিল না।তাই তৃতীয় আপুর সাথে যোগাযোগ করতে অনেকটা কষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ফলে ডিসকর্ডে এসএমএস এর মাধ্যমে আমাদের দেখা হয়ে যায়।আগে থেকে যদিও কেউ কাউকে দেখিনি কখনো তবে দুজন দুজনকে চিনতে এতটুকু ভুল হল না।দেখা হওয়ার সাথে সাথেই দুজন দুজনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অতঃপর দুজন দুজনকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করা।এ যেন সিনেমার গল্প কেও হার মানিয়ে দেয়। তিথি আপুর সাথে ছিলেন তার বৌদি। আর আমার সাথে ছিলেন সিয়াম শিপু।আর মেলায় গিয়ে যোগ হন একজন মানবাধিকারের উচ্চ কর্মকর্তা। আপুর সাথে দেখা হওয়ার পরেই আমাদের পরিচয় পর্বটা আমরা সেরে ফেলে নেই ঝটপট।এরপর আরো অনেক কথা হল আমাদের দুজনের মধ্যে। সেই কফি হাউজের সামনে যেখানে হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে কফি খেয়েছিলাম।খুব দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে সকলের ব্যস্ততার কারণে কাল আর কফি খাওয়া হয়ে ওঠেনি। যেটা সারারাত আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছিল। যদিও আমরা খুব অল্প সময়ে কাছাকাছি ছিলাম। তবে আমাদের আনন্দের পরিমাণটা কিন্তু অল্প ছিল না। যাই হোক সেখান থেকে ফিরে আসি আমাদের এই স্টলের দিকে। আসতে আসতে এক পর্যায়ে আমরা সিয়াম কে হারিয়ে ফেলি। গতকাল মেলায় অনেক ভিড় ছিল। এমনিতেই মেলা শেষের দিকে তারপরেও ছিল সরকারি ছুটির দিন। এত পরিমান ভিড় যা বলে বোঝানো যাবে না।
যাইহোক আমরা চিল্ড্রেন হেভেন পাবলিকেশন্স এর ৭৩৬ নম্বর স্টলে উপস্থিত হই।
আমাদের সাথে মানবাধিকার কর্মী যিনি ছিলেন মহিউদ্দিন আমিন ভাই তিনি আমার বই ক্রয় করেন। এবং আমাদের বইগুলো নিয়ে তিনি চ্যানেল আইতে খুবই চমৎকার একটি লাইভ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি আনন্দের গৌরবের এবং অনুপ্রেনা ও বটে। অবারই তো নেই যেটি তিথি আপুর সারের রং এর সাথে হুবুহু মিলে যায় অর্থাৎ ম্যাচিং হয়ে যায়। আপু সেই বইটি ক্রয় করে আমাকে অনেক বেশি উৎসাহ দেন।আপুর সাথে যতটুকু সময় ছিলাম ততটুকু সময় বেশ ভালো এবং আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল। এটা মানতে হয় যে তিথিয়া আপু দারুন হাসতে পারে। তার হাসি দেখে আমি উচ্ছ্বাসিত।।এরপর বই নিয়ে আমরা দুজনেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে যাই।
যেহেতু সকলের অনেক ব্যস্ততা ছিল এবং মেলা চত্বরে অনেক ভিড় ছিল। আর সে কারণেই এই স্টলের সামনে থেকে আমরা বিদায় নিয়ে নেই। কিন্তু একটা কষ্ট অনুভূত হচ্ছে বুকের গভীরে। আপু এবং বৌদির সাথে প্রথম দেখায় আমাদের কিছু খাওয়া হলো না। গতকাল সময় এবং ভিড়ের জন্য আমরা এই বিষয়টি খুব মিস করে ফেলেছি। কফি শপের দোকানেও ছিল লম্বা লাইন। যাইহোক এক তারিখে আমার অনেক বড় একটা প্রোগ্রাম আছে সেখানে আমি দ্বিতীয় আপুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আপু যদি আসতে পারে তাহলে সেদিন মজা করে খাওয়া যাবে।
বন্ধুরা তিথি আপুর সাথে দেখা হওয়ার মুহূর্তটা স্মৃতির ভান্ডারে যোগ হল আরেকটি আনন্দঘন মুহূর্ত। এভাবেই আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুদের সাথে এক এক করে দেখা হওয়ার অনুভূতিগুলো এতটাই আনন্দদায়ক এতটাই উচ্ছ্বাসের তা হয়তো আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন কিছুটা। প্রত্যাশা রাখছি এভাবেই এক এক করে আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যাবে কোন একদিন।এই প্রত্যাশা রেখেই তিথি আপুকে বলবো ভালো থেকো চিরদিন। আবারো দেখা হবে আবারো কথা হবে স্মৃতি হোক অমলিন। অবারিত নীলের কবিতাগুলো তিথি আপুর কন্ঠে উচ্চারিত হোক। এবং আমরা সবাই শুনে মুগ্ধ হব। সেই প্রত্যাশা রেখেই আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কমিউনিটি : **আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন একুশে বইমেলায় তিথিরানী আপুর সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতি ও গল্প। আসলে আমার বাংলা ব্লগের যেকোন মানুষের সাথে দেখা হলে মনে হয় যেন অনেক কাছের একজন মানুষের সাথে দেখা হয়েছে আমার সাথে বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে। তিথি রানী আপুর শাড়ির সাথে বইয়ের কালার মিলে গিয়েছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো
। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক যে আমার বাংলা ব্লক পরিবারের কোন সদস্যের সাথে দেখা হলে সত্যিই অনেক ভালোলাগা কাজ করে হৃদয়ের গভীরে,অন্যরকম একটা অনুভূতি দোল খেয়ে যায়।
আপু আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। একুশে বইমেলার সুন্দর পরিবেশে তিথিরানীর মতো পরিচিত মানুষদের সাথে যখন সরাসরি দেখা হয় তখনকার মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উপভোগ্য হয়ে উঠে। আর আপনার সাথে তিথি রানী আপুকে দেখতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে আমিও অত্যন্ত খুশি হয়েছি।। নিশ্চয়ই কোন না কোনদিন এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সাথে দেখা হয়ে যাবে।
আপনি তো দেখছি বাংলা ব্লগের একে একে অনেকের সাথে দেখা করেছেন। প্রথমে আমাদের শ্রদ্ধেয় হাফিজ ভাই। এরপর আবার তিথি রাণী আপুর সাথে। সত্যি বলতে বাংলা ব্লগ একটি পরিবার, আর এই পরিবারের এক সদস্যের সাথে আরেক সদস্যের যদি দেখা সাক্ষাৎ হয় সেটা অন্যরকম ভালোভাবে কাজ করে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া শুধু হাফিজুল্লাহ ভাই ও তিথি রানী আপু নয়, আরো অনেকের সাথে দেখা হয়েছে আমার। কুষ্টিয়া সুমন ভাইয়ের গ্রুপের সবার সাথেই দেখা হয়েছে সুমন ভাই ছাড়া। এরপর দিনাজপুরে দেখা হয়েছে মুন্নাভাই সহ আরো অনেকের সাথে। সবার সাথে দেখা করার অনুভূতি আমি ব্যক্ত করেছিলাম এক এক করে। কোন একদিন আপনার সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে।।
একুশে বইমেলায় তিথি আপুর সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতি নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন আপু। লেখাটি ভালো লেগেছে। আরো ভালো লেগেছে তিথি আপু আপনার বই কিনেছে যেনে। আপনাদের দুজন সহ সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে। আর হ্যা, তিথি আপু সত্যি খুব সুন্দর কবিতা আবৃতি করেন। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রিয় আপু।আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছি কালকে। মেলায় গিয়ে আমার বাংলা ব্লগের কারো সাথে দেখা হলে সেটি আরো সুন্দর হয়ে যায়।
একদম ঠিক বলেছেন। কালকের সনয়টা আমরা খুব সুন্দর উপভোগ করেছি। তিথি আপু কে পেয়ে আরও জমে উঠেছিল।
আপু সত্যি তিথি আপু অনেক ভালো কবিতা আবৃত্তি করেন।আসলে আপু এটার জন্য মন খারাপ হওয়ার জন্য কিছুই নেই। দেখা হয়েছে এটাই অনেক। আবার দেখা হলে হয়তো পরবর্তীতে মজা করে খাবেন।আপনারা দুজনে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি!।। প্রিয় আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমাদের সাথে থাকার জন্য।
আপু আমারও খুব ইচ্ছে আছে আপনার সাথে দেখা করার। সত্যি আপু আপনার সাথে দেখা করতে পারলে মনে হয় একটি ইচ্ছে পূর্ণ হতো। যাই হোক হয়তো কোন একদিন এভাবে আমাদেরও দেখা হয়ে যাবে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি জেনে।
আমি বিশ্বাস করি চাওয়াটা নিখুঁত হলে পাওয়াটা শুনি নিশ্চিত হয়।নিশ্চয়ই মহান আল্লাহতালা আপনার এই ইচ্ছা পূর্ণ করবেন।আপনার সাথে দেখা হলে আমার ভীষণ ভালো লাগবে অপেক্ষায় থাকলাম প্রিয় আপু।
ইস্ আমিও তো গিয়েছিলাম সেদিন বই মেলায়। আমার সাথে আপু আপনার দেখা হলো না কেন সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। যাক কারও না কারও সাথে তো দেখা হলো। তিথি রানী দিদি এবং আপনি দুজনই আমার বেশ প্রিয়। তাই সেখানে যদি আমার সাথে দেখা হয়ে যেত খারাপ হতো না। আমার বাংলা ব্লগের তিন পন্ডিত মহারানী এক হয়ে যেতাম। হা হা হা। আর সবাই বেশ মজা করে আমাদের পোস্ট পড়তো। যাই হোক বেশ ভালোই কেটেছে আপনাদের সময়। ভালো থাকবেন আপু।
আপু আপনি যদি একটু যোগাযোগ করতেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের সবার একসাথে দেখা হতো। এবং আমরা খুব সুন্দর একটা সময় পার করতে পারতাম।তবে আশা ছাড়িনি কোন না কোন দিন আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
তিথি আপু এবং আপনাকে একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। সত্যি এই অনুভূতি হয়তো বলে বোঝানোর নয় যে পরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে কতটা আনন্দ হয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন গতকাল জগক্ষণ তৃতীয়ার সাথে দেখা হল তখন দুজনেই এতটা আবেগে আপ্লুত হয়েছিলাম যে, বুকের সাথে বুক, হাতের সাথে হাত মিলিয়ে আলিঙ্গন করেছি দুজন দুজনাতে।
একুশে বইমেলা উপলক্ষে আপনার তো অনেকের সাথেই দেখা হচ্ছে আপু। শেষ পর্যন্ত তিথি রানী দিদির সাথেও দেখা হয়ে গেলে আপনার!😲 আসলে ছুটির দিনগুলোতে বই মেলায় এমনিতেই অনেক ভিড় হয় আপু, এটা মেনে নিতেই হবে। তবে একটা জিনিস জেনে খারাপ লাগলো যে আপনারা একসাথে দেখা করলেন, এত সুন্দর সময় কাটালেন, তবে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে আপনাদের আর একসাথে খাওয়া হল না ওই দিন। তবে আশা করি, পরবর্তী দিন দেখা হলে অবশ্যই সেটা হয়ে যাবে।