সুস্বাদু কচু পাতার ভর্তা রেসিপি//১০%লাজুক খ্যাঁকের জন্য,,,
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি বহু গুণে গুণান্বিত একটি একটি পাতা বা শাকের রেসিপি ভর্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।যে পাতা খেলে আমাদের ভিটামিন এর অভাব পূরণ হয়। যে এর মধ্যে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ পাওয়া যায়।যা আমাদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক সহায়তা করে।এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন সেই শাকটি বা সেই পাতাটি হচ্ছে কচু পাতা।একদম ঠিক ধরেছেন বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে কচু পাতার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করব যা খেতে অত্যন্ত মজাদার এবং সুস্বাদু।কচু পাতা দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি করা যায়।ইলিশ মাছ দিয়ে কচু পাতা যতটা সুন্দর হয় ততটাই মসুর ডাল দিয়ে কচু পাতা আরো বেশি সুস্বাদু হয়।সেইসাথে কচু পাতার বড়া।অনেকটাই মুখরোচক ও মচমচে হয়।আর কচুশাকের ভর্তা সেতো অতুলনীয়।এককথায় কচু পাতা বা কচু শাক আমার খুবই প্রিয়।কচুশাকের ভর্তা দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়।আমার মনে হয় অনেকেরই কচুপাতা অনেক প্রিয়।তাই ভাবলাম কচু পাতার ভর্তা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।
কচু পতার ভর্তা রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
♦কচু পাতা
♦কাঁচা মরিচ,রসুন
♦শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ
♦লেবু, লবণ, সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
♦প্রথমে কচুপাতা গুলো কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
♦এরপর রসুন কাঁচা মরিচ দিয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে কচুশাক গুলো।
♦কচু শাক গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে, একটি প্লেটে ঢেলে একটি ক্লাসের সহযোগিতায় পাতাগুলো খুব মিহি করে নেব, ঠিক এভাবে।
♦শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নেব।
♦শুকনা মরিচ গুঁড়ো করে নেয়ার পরে কাঁচা পেঁয়াজ ও লবণ দিয়ে,,,,
♦শুকনো মরিচ কাঁচা পেঁয়াজ লবণ গুলো ঠিক এভাবে মেখে নেব।
♦এবার সরিষার তেল ও লেবুর রস দিয়ে ভর্তা গুলো ভাল করে মেখে নেব।
♦তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মজাদার কচু পাতার ভর্তা।
♦এবার লেবু কাঁচামরিচ শুকনো মরিচ দিয়ে ভর্তা গুলোর ডেকোরেশন করে নিলাম। পরিবেশনের জন্য।
বন্ধুরা এই ছিল আজ আমার কচুশাকের ভর্তা রেসিপি আশা করি সবার ভালো লেগেছে আর আপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া।তবে কচুশাকের ভর্তা খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু ও মজাদার বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে।আশা করি যারা পারেন না তাঁরা রেসিপি দেখে বাসায় ট্রাই করবেন।তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আবারও ফিরে আসবো আগামী দিনে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে।এই প্রত্যাশায় সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা সবসময় ভালোবাসা অবিরাম।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু কচু পাতার ভর্তা দেখে আমার লোভ লেগে গেছে। আমার কচু পাতার ভর্তা অনেক প্রিয়। গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ ও লেবু দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে কচু পাতার ভর্তা অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে অনেক টেস্টটি হয়ে থাকে।♥♥
কচু পাতার ভর্তা রেসিপি দেখে সুস্বাদু পানি হচ্ছে, এটি খুবই উপকারী কচুতে আয়রন রয়েছে। আসলে আমি বাড়িতে গেলে কচু ভর্তা রেসিপি খেয়ে ছিলাম। পরিবেশন ভালো লেগেছে শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। কচু শাক আসলেই অনেক উপকারী। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ' এবং আয়রন পাওয়া যায় কচুশাকের ভেতরে।♥♥
রেসিপিটি দেখেই চোখের জ্যোতি বাড়তে শুরু করছে মনে হচ্ছে আমার খুবই ফেভারেট তবে ভত্তা কখনো খাওয়া হয়নি তবে দেখেই লোভ হচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই খুব মজা হবে
হা,হা,হা দারুন মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। সত্যিই রেসিপি দেখই চোখের জ্যোতি বেড়ে গেল।দারুন ব্যাপার,,,,,
আপু খুবই পরিচিত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।কিন্ত এই পরিচিত রেসিপি আপনার পোস্টে দেখে খুবই অসাধারণ লাগছে। আপু ইলিশ মাছ দিয়ে কচু পাতা রেসিপি, মসুর ডাল দিয়ে কচু পাতা রেসিপি,আবার কচু পাতার ভর্তা রেসিপি হয় জানি কিন্তু কচু পাতার বড়া তৈরি করা যায় তা আপনার পোস্ট পড়েই জানতে পারলাম। যাইহোক আপু, কচু পাতার সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি খুবই সুন্দর করে তৈরি করেছেন যা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার চমৎকার মন্তব্য আমাকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করেছে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য♥♥
আপনি ঠিকই বলেছেন, কচু শাক আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এটি রাতকানা রোগ সারায়। কচুশাকে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। আমি কচু শাক রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু এখনও এভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক কচু শাক এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। যা রাতকানা রোগ সারাতে অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।♥♥
সুস্বাদু কচু পাতার ভর্তা রেসিপি দেখতে অসাধারণ লাগলো। মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। সত্যি অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
কচু পাতার ভর্তা রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।এ ভর্তির সত্যিই অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।♥♥
কচুর শাক বা কচুর পাতা সাধারণত চিংড়ি মাছ দিয়ে ঘন্টো করে খাওয়া হয়। আপনি কচুর পাতা ভর্তা করেছেন যেটা আমার কাছে একদম নতুন রেসিপি বলে মনে হয়েছে আর শুকনা মরিচ দিয়ে যে কোন ভর্তা করলে সেটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। ভিন্ন ধরনের একটি লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
কচু পাতার ভর্তা সত্যি অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। এবং আপনি ঠিকই বলেছেন শুকনো মরিচের যেকোনো ভর্তাি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।♥♥
কচু পাতার ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। প্রায় সময় আমি আমার মাকে বলি কচু পাতার ভর্তা করতে। আমার খুব প্রিয় ভর্তার মধ্যে এটি একটি। এই কচু শাক আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারিতা। আজ আপনার সেই কচু পাতা ভর্তার রেসিপি দেখে । আমার মুখে জল এসেছে। দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে ইচ্ছে করতেছে। সবকিছু মিলিয়ে কচু পাতা ভর্তার রেসিপিটা বেশ দারুন তৈরি করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ❤️❤️❤️
কচু পাতার ভর্তা আপনার খুব প্রিয় জেনে খুশি হলাম।
তবে এই ভর্তা টি আমাদের মাঝে মাঝে খাওয়া উচিত। এটি মুখরোচক একটি খাবার। খেলে মুখে রুচি হয়।সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও অনেক অনেক দোয়া আপনার জন্য♥♥
কচু শাকের ভর্তা আমার এতটাই প্রিয় যে বলে বোঝানোর মত নয়। কচু শাকের ভর্তার সাথে যদি এক টুকরো লেবু থাকে আর সাথে যদি হয় গরম ভাত তাহলে নিমিষেই এক প্লেট ভাত খেয়ে উঠতে পারি। আপু আপনি এত সুন্দর ভাবে মজার এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। কচুশাকের সাথে অবশ্যই লেবুটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং লেবু আর কচুশাকের ভর্তা এতটাই সুস্বাদু হয় যে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে।♥♥
সুস্বাদু কচু পাতার ভর্তা রেসিপি দেখতে অসাধারণ লাগলো। মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। সত্যি অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু মনি কচুশাকের ভর্তা রেসিপি আসলেই অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।♥♥