স্বরচিত কবিতা || "সোনালী ভোর"||~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
সোনালী ভোর কবিতার মূলভাব বিশদভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি নতুন দিনের শুরু এবং তার সঙ্গে যুক্ত আশা, স্বপ্ন ও জীবনযাত্রার একটি চিত্র তুলে ধরে।
সূর্যের আলো যখন দিগন্তে প্রসারিত হয়, তখন এটি কেবল একটি প্রাকৃতিক পরিবর্তন নয়, বরং এটি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার প্রতীক। এই ভোরের রশ্মি আমাদের মনে নতুন উদ্যম এবং শক্তি জোগায়। পাখিরা যখন গায়, তাদের গান যেন নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি, যা আমাদের জীবনে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের বার্তা নিয়ে আসে।
প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্য—গাছপালার সিঁড়িতে Dew-এর বিন্দু, ফুলের সুবাস—সবই এই ভোরের সৌন্দর্যকে আরো গাঢ় করে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের চারপাশে যে সৌন্দর্য বিদ্যমান, তা কখনো অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। প্রতিটি মুহূর্তে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি, যা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
এই ভোরের উপলব্ধি আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে জাগ্রত করে। যখন সূর্যের আলো আমাদের হৃদয়ে প্রবাহিত হয়, তখন আমরা নিজের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষার দিকে এগিয়ে যাই। এটি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করে।
"সোনালী ভোর" কেবল সূর্যের আলো নয়, বরং একটি প্রেমময় ও আশাব্যঞ্জক অধ্যায়ের সূচনা। এটি জীবনের সব সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করার, নতুন কিছু করার এবং আশায় ভরে ওঠার একটি অনুপ্রেরণা দেয়। ভোরের এই মূহূর্ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি নতুন দিন নতুন সম্ভাবনার দিকে আমাদের নিয়ে যায়।
কবিতা "সোনালী ভোর"
কলমে -- সেলিনা সাথী
সকাল বেলা যখন সূর্য দিগন্তে উঁকি দেয়,
চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এক মায়াবী আলো।
প্রকৃতির কোলে বিরাজ করে শান্তির পরশ।
পাখিদের কলতান যেন প্রতিটি ঘুম ভেঙে দেয়, জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করে।
গাছপালার পাতায় বিন্দু বিন্দু, রৌদ্রের
প্রথম আলোয় ঝিলমিল করে পৃথিবী ।
ফুলের গন্ধে ভরে যায় বাতাস,
যেন প্রিয়তমার আলিঙ্গনে বিভোর ।
ভোরের এই নিস্তব্ধতা, একটা নতুন
আশার বার্তা নিয়ে আসে।
আমাদের মধ্যে জাগ্রত হয় নতুন স্বপ্ন,
নতুন সম্ভাবনা।
এই সোনালী ভোরে আমরা দেখতে পাই
জীবনের বিচিত্র রূপ। প্রতিটি মিনিটে শিখছি
নতুন কিছু, প্রতিটি শ্বাসে ভরে নিই নতুন উদ্যম।
যখন সূর্যের আলোতে সবকিছু রূপান্তরিত হয়,
মনে হয়, জীবন আসলে কত সুন্দর।
এই ভোরে আমাদের ইচ্ছা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা—
সব কিছু এক হয়ে যায়। সোনালী রশ্মিতে ভরে ওঠে হৃদয়, যেন আমরা জীবনের নতুন পথে পা বাড়াচ্ছি। সোনালী ভোর কেবল সূর্যের আলো নয়, এটি আশার, সম্ভাবনার আর প্রেমের এক সুন্দর অধ্যায়।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সোনালী ভোর নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে যে কবিতাটি শেয়ার করলেন সেটি এক কথায় অসাধারণ ছিল। এছাড়াও আপনার প্রতিটা কবিতা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঠিক তেমন একটি সুন্দর কবিতা আজও আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সোনালী ভোরকে নিয়ে যে এত সুন্দর কবিতা লেখা যায় তা আপনার পোস্ট করে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সোনালী ভোর কবিতাটি সোনালী আভায় মোড়ানো। আপনার চমৎকার মন্তব্য যেন সোনালী প্রান্তরে ভাসিয়ে নেয়ার মত। অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কবিতাগুলো আমার বরাবরই ভালো লাগে। আজকের কবিতাটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো। প্রকৃতিকে নিয়ে বেশ সুন্দরভাবে কবিতায় মনের ভাব প্রকাশ করে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতার নামটি যেমন সুন্দর তেমনি পুরো কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
আঁধার কেটে গিয়ে যখন সোনালী ভোরের দেখা মেলে তখন সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার লেখা কবিতার লাইনগুলো অসাধারণ হয়েছে। কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপু।
আমার লেখা কবিতাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার স্বরচিত কবিতা সোনালী ভোর পড়ে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কবিতার লাইনগুলোতে নিজের আবেগ খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।লাইনগুলো এককথায় অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার স্বরচিত কবিতা পড়ে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। মুগ্ধতার ছড়াতে পারাটাও একটা আনন্দের বিষয়।