শারদীয় কন্টেস্ট ''সপ্তমীর ফটোগ্রাফি""
সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।আর সবাই ভালো থাকুন এটাই প্রত্যাশা করি সব সময়।
বন্ধুরা, আমি @selinasathi1 বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা থেকে বলছি। আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমার আজকের এই আয়োজনে থাকছে আমাদের কমিউনিটিতে চলমান শারদীয় পুজার ফটোগ্রাফি কন্টেস্ট এর সিরিজ। আজ আমি শেয়ার করবো প্রথম সিরিজ অর্থাৎ সপ্তমীর ফটোগ্রাফি। তার আগে একটু বলে নেই। আমি সপ্তমীর দিন বিকেলবেলা বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে, কিছু ছবি তুলেছি। কিন্তু সেই সময়,দিনের আলোয় কোন আলোকসজ্জা ছিলনা।এবং পূজামণ্ডপগুলোতে তেমন জাঁকজমকপূর্ণ ছিলনা। তার পরেও বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি এলাকা নীলফামারী।আর নিলফামারীর প্রান্তিক যে পূজামণ্ডপ গুলো ছিল আমি সেগুলো ঘুরে দেখেছি।বন্ধুরা আজ নবমীর দিনে আমি সপ্তমীর ছবি পোস্ট করতেছি। কারন আমার মা এই দুদিন অনেক বেশি অসুস্থ ছিল। আর আমি মাকে নিয়ে খুব বেশি ছুটোছুটির উপরে ছিলাম।আর সে কারণেই এই পোস্টটি করতে বিলম্ব হল এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
https://maps.app.goo.gl/GNeiwVudrCA3AwxP6
শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির
দেবীরডাঙ্গা, নীলফামারী,
বাংলাদেশ
তারিখ :২সেপ্টেম্বর, রবিবার
নীলফামারী সদর থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে,,শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরদেবীরডাঙ্গা।আমি প্রথম সেখানকার পূজামণ্ডপে যাই।দেবীরডাঙ্গা ঢোকার আগেই কি সুন্দর করে একটি গেট বানিয়েছে। আমি সেটার একটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম।আপনাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে।
https://maps.app.goo.gl/goFeXQ7KfdcpXiDE9
শ্রী শ্রী কালীমাতা, আনন্দময়ী
মন্দির, নীলফামারী,,
বাংলাদেশ
তারিখ :২সেপ্টেম্বর, রবিবার
বন্ধুরা,, শ্রী শ্রী কালীমাতা, আনন্দময়ী মন্দির নীলফামারী,,নীলফামারী সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।আমি সেই ছোটবেলা থেকেই এই মন্দিরের সাথে পরিচিত।ছোটবেলা প্রায় কালীবাড়ি পূজা দেখতে যেতাম।ছোটবেলা পূজা দেখতে অনেক ভালো লাগতো।নানা রঙের লাইটিংয়ে সুসজ্জিত থাকত অনেক গান হত বাজনা হত।আর আমি বেশ উপভোগ করতাম।আর নানা ধরনের খেলনা কিনতাম।পুরনো দিনের শিব পূজার খুশি এখন আর সেভাবে শিহরিত করে না কেন যেন। সবকিছু চারিদিকে মনে হয় পানসে হয়ে গেছে। যাইহোক বহু বছর পর সেই মণ্ডপে গিয়েছিলাম গত 2 তারিখে।প্রায় সবাই পরিচিত মুখ সবাই ডাকছে চা খেতে।অনেকেই বসার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলেন।এ যেন আন্তরিকতায় ভরপুর।
https://maps.app.goo.gl/nYqzqhm9uLrwW5d99
শ্রীশ্রী গৌড়ীয় মিশন
সার্বজনীন দূর্গা মন্ডপ
ইটাখোলা, বাদিয়ার মোড়,
নীলফামারী, বাংলাদেশ।
তারিখ :২সেপ্টেম্বর, রবিবার
বন্ধুরা নীলফামারী সদর থেকে ইটাখলা বাদিয়ার মোড় প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলো দূরে,,শ্রীশ্রী গৌড়ীয় মিশন সার্বজনীন দূর্গা মন্ডপ ইটাখোলা, বাদিয়ার মোড়, এই মণ্ডপে যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল।মজার বিষয় হচ্ছে এর আগে কখনও আমি এভাবে পূজামণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখিনি।।সেদিন আমার এক ছোট ভাইয়ের বাইকে করে অনেকগুলো পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেছি।সত্যি বলতে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছিল মনের ভেতর।আর জীবনের প্রথম পূজা মন্ডপের ছবি এভাবে তুললাম আমার ক্যামেরা দিয়ে আমার নিজের হাতে।আমার ছোট ভাই শুধু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আর মাঝে মাঝে বলতে লাগল আপু তুই কি পাগল হয়ে গেছিস।আমি ওকে বললাম একপ্রকার তাই বলতে পারিস।
তো বন্ধুরা আমার আজকের আয়োজন আজ এ পর্যন্তই।বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকা নীলফামারীজেলা। আর নীলফামারী জেলা তৃণমূলের কিছু পূজা মন্ডপের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। জানিনা কতটুকু পেরেছি তবে চেষ্টা করেছি দিনের পূজা মণ্ডপের চিত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।বন্ধুরা,, ধর্মীয় উৎসব মানুষের মনে ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাশাপাশি আনন্দ আর সম্প্রীতির উন্মেষ ঘটায়। এক্ষেত্রে দুর্গাপূজা মূলত মহাশক্তির মাধ্যমে অসুরবধের শিক্ষা দেয়। অসুরমুক্ত সমাজ বহমান থাকলে শান্তির বারতা বাজে সবার ভেতরে, মনের মনিকোঠায়।সমাজ কলুষমুক্ত থাকে। তবে এবারের পূজার আয়োজন সংখ্যায় বেশি এবং অন্যবারের তুলনায় বেশ জাকজমক। অতীতের অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোর কথা মাথায় থাকলেও মনে আনন্দের ঘাটতি নেই কারও। সবাই যেন আনন্দঘন পরিবেশে নির্বিঘ্নে এই উৎসব পালণ করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের তরফ থেকে রয়েছে কঠোর নজরদারি।
আসলে প্রতিটি উৎসব হোক ভক্তি আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য মাথায় রেখে। কল্যাণকর চিন্তার শুভবুদ্ধির উন্মেষ ঘটুক মানুষে মানুষে।। আনন্দের নামে উশৃঙখলতা যেন নিজের ভেতরের সাত্ত্বিকতা আর পূজার সাত্ত্বিকতা বিনষ্ট না করে এটাই মনেপ্রাণে চাওয়া। সবাইকে মহাসপ্তমীর মহা শুভেচ্ছা, ও শুভকামনায় আজ এ পর্যন্তই।উৎসব হোক আরও বেশি উৎসবমুখর।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
আশা করি ভালো আছেন? আপনাকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই। আপনি শারদীয় কনটেস্টে সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। পুজোর খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
গঠনমূলক মন্তব্য করে,, আমাকে উৎসাহ প্রদানের জন্য,, অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
ঠিক বলেছেন আপুমণি,ছোটবেলায় আমরাও এই শারদীয় দুর্গাপূজা অনেক আনন্দ করতাম বিভিন্ন রকমের জিনিস কিনতাম।যাইহোক আপুমণি, শারদীয় দূর্গা পূজার উপলক্ষে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যিই আমি আনন্দিত। আপুমণি, আমার বাড়ির পাশে যে পূজামণ্ডপ রয়েছে সেটাতে আমি যাব চিন্তা করেছি কিন্তু হয়ে উঠেছে না। আপনারই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মন জুরিয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপুমণি 🥰🥰
আসলেই ছোটবেলা পূজা আসলেই সেই খেলনা কেনার জন্য কান্নাকাটি করতাম।বিশেষ করে মাটির হাড়ি পাতিল আমি এসব খুব কিনেছিলাম।♥♥
আপনি শারদীয় দুর্গাপূজার অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য সত্যিই আমি আনন্দিত। শারদীয় দুর্গাপূজার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দরভাবে তুলেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে কোনদিন কখনো এতগুলো পূজামণ্ডপ আমি ঘড়ি দেখিনি। এই জীবনের প্রথম এভাবে ঘুরে দেখলাম। এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য♥♥