🙏"সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা"🙏
সকলকে শিক্ষক দিবসে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
"সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা"
🥀 জেনারেল রাইটিং🥀
শিক্ষক দিবস একটি বিশেষ দিন, যেখানে আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। শিক্ষকরা আমাদের জীবনের মূলে থাকেন, যাঁরা শুধুমাত্র পাঠ শেখান না, বরং আমাদের জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা আমাদের চিন্তাভাবনা, আত্মবিশ্বাস এবং মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটান।
শিক্ষকদের শিক্ষা প্রদানের প্রক্রিয়ায় তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠা আমাদের মনে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করে। তাঁরা আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্নকে সত্যে রূপান্তরিত করার প্রেরণা জোগান। একজন শিক্ষক কেবল পাঠ্যবইয়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে আমাদেরকে জীবনের নানা পাঠ শেখান, যেগুলি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।
এমনকি কঠিন মুহূর্তে যখন আমরা হাল ছেড়ে দিতে চাই, শিক্ষকরা আমাদের উৎসাহিত করেন, আমাদের দৃঢ়তা প্রদান করেন। তাঁদের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আমরা যে অবস্থানে পৌঁছাই, তা কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়। তাই, শিক্ষক দিবসে আসুন আমরা তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
তারা আমাদের শিখিয়েছেন, "শিক্ষা হল আলো, যা অন্ধকারকে তাড়িয়ে দেয়।" আসুন আমরা আমাদের শিক্ষকদের এই মূল্যবান পাঠকে মনে রাখি এবং নিজেদের মধ্যে সেই আলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। তারা আমাদেরকে যে শিক্ষাগুলো দিয়েছেন, সেগুলোকে ব্যবহার করে আমরা সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য কাজ করবো।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে, আসুন আমরা আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষিকা মহোদয়াদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাঁরা আমাদের জীবনের সত্যিকারের রূপকার।
শিক্ষকেরা, তোমরা আমাদের পথপ্রদর্শক,
তোমাদের হাত ধরে জীবনের সূচনা।
যাঁদের শিক্ষায় গড়া আমাদের ভবিষ্যৎ,
তোমাদের প্রতি রইল আমাদের শত সালাম।
তোমরা অন্ধকারে দীপশিখার মতো,
নতুন নতুন দিগন্তের সন্ধানে পরিচালনা।
শিক্ষার আলো দিয়ে হৃদয়কে উজ্জ্বল করো,
সকল জ্ঞানের সাগরে তোমরা নাবিক।
শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় নয়,
জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তোমাদের ছোঁয়া।
এক একটি প্রশ্নে খুঁজে বেড়ায় আশা,
জীবনকে উন্মোচন করে দাও নতুন দিগন্ত।
তোমাদের কষ্ট, অবিরাম সাধনা,
শিক্ষার এই পথে সঙ্গী হয়ে থাকা।
তোমরা আমাদের ভবিষ্যতের নির্মাতা,
তোমাদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।
শিক্ষকদের এই দিন, প্রতিটি অন্তরে,
স্মৃতি হয়ে থাকবে, অনন্তকাল ধরে।
শ্রদ্ধা জানাই তোমাদের প্রতি,
শিক্ষকেরা, তোমরা মানবতার রক্ষক।
!
বন্ধুরা আমার আজকের এই রাইটিং টি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আমি সেলিনা সাথী
💞
🥀 ধন্যবাদ 🥀
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা রইলো। আপু আপনি শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনার লেখা কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
কবিতার সাথে কিছু মূল্যবান কথাও লিখেছিলাম আপু। যেটা মূলত মনের গভীর থেকে লেখা। জেনারেল রাইটিং লিখলাম। পরে দেখছি লেখাটা ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর তাই একটি কবিতা সংযোজন করলাম।
গতকাল শিক্ষক দিবহ ছিল। দেখলাম আমার ইউনিভার্সিটির বেশ কিছু বন্ধু তাদের ছবি শেয়ার করেছে স্যার ম্যামদের সঙ্গে। শিক্ষক সবচাইতে সম্মানীয় একজন ব্যক্তিত্ব। সমাজ রাষ্ট্র কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করে। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা আপু। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমার এই লেখাটি এবং এই পোস্টটি করা। যাতে শিক্ষককে আমরা যথাযথ মর্যাদা দিতে পারি। এই লেখাটি অনেকের জীবনের সংশোধনী আনতে পারে।