আলোচিত সেই "তোফাজ্জলকে" নিয়ে লেখা কবিতার আবৃত্তি||~~
কবি কন্ঠে কবিতা আবৃত্তির ভিডিও চিত্র -
বন্ধুরা আমি নীলাঞ্চলের সেলিনা সাথী। বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা থেকে।। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। সুন্দর থাকবেন। সমৃদ্ধ হবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারও অনেকদিন পর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। বহুল আলোচিত সেই তোফাজ্জলকে নিয়ে আজকে আমার এই আয়োজন।। তোফাজ্জলের বিষয়টি আমাদের সবাইকে কাঁদিয়েছে।। ওই যে কবি বলে গিয়েছেন ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।
আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র প্রমাণ করেছে,, প্রচন্ড ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে নানা রকম নির্যাতন করার পর একজন ক্ষুধার্ত যুবকের প্রাণ কিভাবে নিতে হয়।
তোফাজ্জলকে পেট ভরে খাওয়ানোর পর যখন, তার এক হাতের ভেতরের লাঠি ঢুকিয়ে অন্য হাত উপরে দিয়ে দুইজন দুইপাশে যখন লাঠির উপরে উঠে ওর হাতগুলো ডোল ছিল ওই ভিডিও দেখে আমার বুকের ভেতরটা তোলপাড় করছিল। আর নিজেই নিজের মনে প্রশ্ন যাচ্ছিল, এরা কি শিক্ষার্থী নাকি ডাকাত। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনোই এমন নির্মম হতে পারে না। এতটা মানবতাবিরোধী কাজ তারা করতে পারে না। তারা তো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তাদের এই আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
সেই সময়ে তোফাজ্জলকে নিয়ে আমি কয়েকটি কবিতা লিখেছিলাম। তার মধ্য থেকে "ভাত খাবে কেউ ভাত" শিরোনামের কবিতাটি আজ আবৃত্তি করে, আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের ও ভালো লাগবে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
***ছড়ার শিরোনাম - "ভাত খাবে কেউ ভাত"
কলমে-- সেলিনা সাথী
আবৃত্তি- সেলিনা সাথী***
"আবৃত্তি'র ভিডিও"
ভিডিও
কবিতা লিরিক্স
প্রতিধ্বনিত হয় তীব্র আর্তনাদ।
মানুষের মনে , কি নির্মমতা
।চোখে মুখে খোঁজে একটুখানি শান্তি।
তাঁর নাম তোফাজ্জল,
ভাঙা হৃদয়, ভাঙা আশা।
কখনো ছিলো ভালোবাসা,
এখন শুধু নিঃসঙ্গতা, অশ্রু, আর ক্ষুধা।
দারুণ ক্ষুধা, তাকে ডেকে আনে,
ঢাকা ইউনিভার্সিটি।
এক প্লেট ভাত, বিষাদে লুকানো
কিন্তু হৃদয়ের অব্যক্ত যন্ত্রণা,
বেহিসাবি পিটুনি, আর নির্মম নিষ্ঠুরতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা,
জানোয়ারে পরিণত হয় জঘন্য বর্বরতায়।
যেখানে মানুষ হওয়ার কথা,
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ
যা আমাদের গর্ব।
সেই গর্বকে কেন ভুলে যায় ওরা
নোংরা আবেগের বসে -?
হাসির মাঝে কান্না,
মা-বাবা, ভাই—সব চলে গেছে।
বিচ্ছিন্নতা শিখিয়েছে তাকে,
মানুষের করুণায় খুঁজে ফেরে।
কিন্তু কেন?
শুধু ভাতের জন্য?
শুধু মানবতার জন্য?
এত নৃশংসতায়, এত অমানবিকতায়।
প্রাণ হারাতে হলো তাকে -?
তোফাজ্জল এখন লাশ ,
শুধু একটি নাম—
যার গল্পে লুকানো,
অসীম বেদনার গাথা।
এই পৃথিবীতে,
ভাতের জন্য মৃত্যু, এই গল্প
কখনো যেন,ভুলে না যাই আমরা।
একটি জীবন, একটি গল্প,
ভাত খাবে কেউ ভাত—
এমন নিষ্ঠুরতায়,
মানুষ কখনো নষ্ট না হোক,
না হারাক প্রাণ।🥀
,
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতা আবৃত্তিটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালো লাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। বন্ধুরা আজকে বিদায় নেব। তার আগে জানিয়ে দিচ্ছি, আগামীতে আবারো আরো সুন্দর সুন্দর আবৃত্তি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিমের সাথী।♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: আবৃত্তির ভিডিও চিত্র
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তোফাজ্জলকে নিয়ে লেখা কবিতা দারুন হয়েছে আপু। এই অসহায় ছেলেটির কথা ভাবলেই খারাপ লাগে। এই মৃত্যু মেনে নেওয়া সত্যি অনেক কঠিন। দারুন আবৃত্তি করেছেন আপু। অনেক সুন্দর হয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু তোফাজ্জলের মৃত্যুটা মেনে নেয়া খুবই কষ্টকর। ভাত খেতে গেলেই তোফাজ্জলের কথা মনে হয় কি নির্মম।
খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি যেন সমাজের বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে লেখা। আসলে এই ঘটনাটি আমাকে খুবই কষ্ট দিয়েছে।ভাত দিয়ে তারপরে তাকে মারা মেরে ফেলা হয়েছে। এটি আসলেই মর্মান্তিক একটি ঘটনা। কবিতাটি এই আলোকে দেখার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে তোফাজ্জলের বিষয়টা এতটাই মর্মান্তিক ছিল যে, ওকে নিয়ে কবিতা না লিখে থাকতে পারিনি। বেশ কয়েকটি কবিতা লিখেছি। আর নীরবে কেঁদেছি অসহ্য যন্ত্রণায়।
ঘটনা টা খুবই হৃদয়বিদারক ছিল। আশাকরি এমন দূভার্গ্য আর কারো হবে না। আপনার কবিতা টা পড়ে এবং আপনার আবৃত্তি টা শুনে নিজের কাছে কেমন জানি লাগছে। মনে হচ্ছে মানুষ এতোটা নিষ্টুর হতে পারে। বরাবরের মতোই চমৎকার ছিল আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছিলাম মানুষ হয় বিবেকধর পশু। আর আমরা এটাও জানি মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু সেই সেরা জীব গুলোই জখন পশুর মতই কাজ করে। তখন মনে অনেক প্রশ্ন জাগে।
তোফাজ্জলকে নিয়ে ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিচারক ছিল।অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন আপু পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনার কবিতা আবৃত্তিটা যখন শুনছিলাম তখন তোফাজ্জলের সেই ভিডিওটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো এবং খুব কষ্ট লাগলো। সত্যিই আপু অসাধারণ আবৃত্তি করেছেন খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
কষ্ট লাগারই কথা। তোফাজ্জল নামটা শুনলেই কিংবা ভাতের দিকে তাকালেই তোফাজ্জল সামনে এসে যায় অনায়াসে।