"চলো ঘুরে আসি রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি"♥১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
♥♥
সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সেলিনা সাথী।আশা করি সকলেই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।আজ আমি রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সময়টা ছিল 2019।আমি তখন প্রায় 19 টা জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করি।তারই ধারাবাহিকতায় পাবনায় আমার খুব ভালো একটি টিম হয়েছিল।কিছু কিছু মানুষের সাথে একদম পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল।তাদের প্রেম ভালোবাসায় আমি সিক্ত।আসলেই নিউট্রিক গ্রুপে কাজ না করলে হয়তো এই মানুষগুলোর সাথে আমার পরিচয় হতনা।ওখানে আমার আত্মার আত্মীয় মত খুব আপন ছিল কবি শিমুল আপু।আমি পাবনায় গেলে আপুর বাসায় উঠতাম।আপু ঠিক মায়ের মত দেখতো আমাকে।
শিমুল আপুর অনুরোধে আমার তিন ভাবিকে নিয়ে পাবনায় বেড়াতে গেলাম।এই ফাঁকে একটু বলে নেই আমার তিন ভাবির সাথে আমার প্রায় বোনের মতো সম্পর্ক।আমরা প্রায় একই রকমের জামা কিংবা শাড়ি কে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে তাই পড়ি।পাবনায় ও তার ব্যতিক্রম হল না।
আমরা নীলফামারী থেকে ট্রেনে করে ঈশ্বরদী গিয়ে নামি।পরদিন প্রায় 13 জন মিলে আমরা একটি হাইয়েক্স নিয়ে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। 13 জনের মধ্যে আমাদের সাথে ছিলেন।কবি শিমু আপু,,সাইদুল ইসলাম পাবনা টিম লিডার,,সীমা আপু পাবনা,সঙ্গে ছিলেন সবার প্রিয় দুষ্ট মিষ্ট জালাল ভাই পাবনা,,অভিভাবক হিসেবে আমাদের সাথে ছিলেন জনাব মঞ্জুরুল হক,পাবনা।ছিলেন সবার প্রিয় সাচ্চু ভাই,, মিঠু ভাই ও সেলিম ভাই পাবনা।এবং আমার তিন ভাবি, আমি ও ভাবীর ছোট মেয়ে রাদিয়া।
আমার তিন ভাবি এবং আমি একই রকমের ড্রেস পরেছিলাম।
সবাই একত্র হয়ে শুরুতেই আমরা পাবনা মেন্টাল হাসপাতালে যাই।মানসিক হাসপাতাল ঘুরেফিরে দেখে এরপর আমরা রওনা দেই রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি এর উদ্দেশ্যে।পথে যেতে যেতে আমাদের পিপাসা লাগলে সবাই মিলে ডাব খাই।
এরপরে পৌঁছে যাই কাঙ্ক্ষিত রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি।কুঠিবাড়ি ঢোকার আগেই আশে পাশে অনেক দোকান দেখলাম।নতুন একটি জায়গার নতুন একটি পরিবেশ সত্যিই অনেক মজার ছিল।এরপর প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিট করে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম।
কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে একই একই সব কিছু দেখলাম।অন্য রকম একটা অনুভূতি ছড়িয়ে যাচ্ছিল মনের ভেতর।
প্রথমে ছোট ভাবি মাঝখানে আমি তারপরে বড় ভাবি। একই রকম ড্রেস পড়ে।
ছোট ভাবি ও আমি।
পিতৃতুল্য মঞ্জুরুল হক ও মিঠু ভাই
প্রিয় শিমুল আপু ও আমি।
সবাই মিলে অনেক দুষ্টুমি ও বিনোদন করেছিলাম আমরা।তারই কিছু চিত্র তুলে ধরলাম।
আমার তিন ভাবি ও প্রিয় জালাল ভাই
প্রিয় সীমা আপু জালাল ভাই ও আমি
অনেক মজা আর হইহুল্লোড় করে,,অনেক কিছু কেনাকাটা করে দুপুরে একটু রেস্টুরেন্টে খেয়ে এরপর আমরা সন্ধ্যার দিকে রওনা দেই।সত্যিই দিনটি আমার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।দুই পরিবার নিয়ে কাটানো এই মুহূর্তটি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে জীবনে।ভাবছেন দুই পরিবার কেন বললাম।এক আমার ভাবীরা আমার একটি পরিবার।দুই আমার বিজনেস পারপাস একটি পরিবার।দুই মিলে মিলেমিশে একাকার হয়েছি সেদিন।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সেখান থেকে বিদায় নেই।
তো বন্ধুরা এই ছিল রবীন্দ্র কুটির বেড়াতে যাওয়ার অনুভূতি আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।।আপনাদের ভাল লাগাই আমার পরম পাওয়া আজ এ পর্যন্তই♥♥
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছিলেন দেখছি। আমাদের বাড়ির পাশেই অনেকদিন আগে এসেছিলেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো ।আপনার কাটানো মুহূর্তের গল্প এবং দৃশ্য পটভূমি দেখে খুবই ভালো লাগলো। চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এবার রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি গেলে অবশ্যই আপনার সাথে দেখা করে আসবো ইনশাআল্লাহ ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন এই কামনাই করি।তবে সত্যিই অনেক বিনোদন হয়েছিল অনেক মজা করেছি আমরা♥♥
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি খুবই সুন্দর একটি এলাকা। পরিবারের সাথে পিকনিক করার উপযুক্ত একটা জায়গা।আপনার প্রত্যেকটা ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা এই রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে এসে খুবই মজা করেছেন এবং সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
তবে সত্যিই অনেক বিনোদন হয়েছিল অনেক মজা করেছি আমরা।দুই পরিবার একসাথে ছিলাম।আসলে প্রিয়জনদের সাথে কাটানো সময়গুলো অমর হয়ে থাকে জীবনে।গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি দেখতে খুব সুন্দর। আসলে ভালো সম্পর্ক এমন একটা জিনিস অনেক দূরের মানুষকে কাছে টানে।যাই হোক মনে হচ্ছে অনেক মজা করছেন।ভালো ছিলো।ভালোবাসা রইল অবিরাম
ঠিক বলেছেন আপু মনি রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি আসলে দেখতে অসাধারণ সুন্দর এবং সেখানে গেলে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ♥♥
বর্ণনা ছিল অন্তরের বর্ষণমুখর। দৃশ্যের সাথে নিজের সাদৃশ্য বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। অনেকটা ছিল কাব্য গাঁথুনি। সুন্দর। ।
খুবই চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে আরো বেশি উজ্জীবিত ও অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়♥♥
দোয়া করবেন আমাকেও।
আমিন
🌹🌹
রবীন্দ্র কুঠিবাড়িটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে আপনি উপস্থাপন করলেন। আমার কাছে মনে হচ্ছিল যেন আপনার সাথে সাথে আমরাও সমস্ত বাড়িটি ঘুরে দেখলাম। খুবই সুন্দর সবকিছু সাজানো-গোছানো আর আপনারা অনেক বেশি আনন্দ করেছেন দেখলাম। আপনাদের সবার চোখে-মুখে একটা আনন্দের হাসি ছিল। সত্যিই সময় গুলো বেশ উপভোগ্য ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি চমৎকার পোষ্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য ।
বেশ ভালোই উপভোগ করলাম রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির ভ্রমণ কাহিনী ।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া
♥♥
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে ।রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির পরিবেশটা খুবই সুন্দর। আমি অনেকবার রবীন্দ্রনাথের বাড়ি গিয়েছে তাও মনে হয় আবার যাই। আপু আপনি রবীন্দ্রনাথের বাড়ি এসেছিলেন আর আমাদের বলেন নাই ।আমার বাড়ির পাশেই রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া 2019 সালে গিয়েছিলাম ছবিগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে আজকে পোস্ট দিয়েছি।আগামীতে গেলে অবশ্যই আপনাদের বাড়ি ঘুরে আসব আপনাদের সাথে দেখা করে আসবো।সত্যিই রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি এত সুন্দর যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।আমি ওই একবারে গিয়েছি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।বেঁচে থাকলে আবারো যাবো ইনশাল্লাহ।
♥♥
অবশ্যই আপু পরবর্তীতে আবার আসলে আমাদের জানাবেন। আমরা আপনার সাথে দেখা করব।
আসলে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি যতবারই যাওয়া যাবে তাও মনে হবে আবার যেয়ে ঘুরে আসি। শুভকামনা রইল আপনার।❤️❤️❤️❤️
অবশ্যই জানিয়ে যাবো অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।আগের থেকে নিমন্ত্রণ দেওয়ার জন্য♥♥
যদিও কখনো রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি যাওয়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু এর আগে আরেক ভাইয়ের মাধ্যমে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় বার আপনার মাধ্যমে দেখছি খুবই ভালো লাগছে। তারপরও সরাসরি গিয়ে দেখার চাইতে ফটোগ্রাফিতে দেখতে যদিও সে ভাবে উপভোগ করা যায় না তারপরও আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।
অবশ্যই ঘুরে আসবেন কারণ সেটি দেখার মত জায়গা।আমি বিশ্বাস করি আপনার অনেক ভালো লাগবে কারন রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি চারিপাশের পরিবেশ অসম্ভব সুন্দর এবং চোখে লেগে থাকার মত।চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভালো থাকবেন সব সময়♥♥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে আপনারা সবাই খুবই আনন্দ করেছেন তা ফটোগ্রাফির মধ্যেই ফুটে উঠেছে। আপনাদের সবাইকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে আমি অনেকবার গিয়েছি। আমার বাড়ি কুষ্টিয়াতে তাই মাঝেমধ্যেই যাওয়া হয়। রবীনাথ ঠাকুরের বাড়িতে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনারা। দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি গিয়ে আমরা খুবই বিনোদন করেছিলাম অনেক মজা করেছিলাম সেই সাথে লালন সংগীতের আসর করেছিলাম।আপনার বাড়ি কুষ্টিয়া জেনে খুবই ভালো লাগলো নেক্সট গেলে অবশ্যই আপনার সাথে যোগাযোগ করব।এত চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি গিয়ে ঘুরে দারুন ফটোগ্রাফি এবং আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে খুবই ভালো লাগলো।।
বাড়ির পাশে হওয়ায় অনেকবার গিয়েছি রবি ঠাকুরের বাড়িতে এবং সুন্দর সময় পার করেছে।।
অবশ্যই পরবর্তীতে রবি ঠাকুরের বাড়িতে আসলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না আশা করি।
আমাদের কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী জায়গা ঘুরে দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আজকে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এত মানুষের বাড়ি কুষ্টিয়া রবি ঠাকুরের বাড়ির সাথে বাড়ি অবাক হয়ে যাচ্ছি।নিশ্চয়ই এবার গেলে পোস্ট করে যাব।যার যার বাড়ি কুষ্টিয়া সবার সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।♥♥
আমন্ত্রণ রইল আমাদের কুষ্টিয়া আবারো।
দেখা হবে, কথা হবে, হবে মোজ মাস্তি।দেখা হবে একদিন স্মরণ রবে চির দিন।।
ধন্যবাদ আপু🌹🌹
♥♥