23 জানুয়ারি সেই কাঙ্খিত দিনটি||~~♥♥~~||
আমার বাংলা ব্লগ এর মাধ্যমে সিয়াম বাবার জন্মদিনের অনাবিল শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি।আর আপনারা সবাই সকলে সবসময় খুব ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
23 জানুয়ারি সেই কাঙ্খিত দিনটি।এই দিনে আমার কোল জুড়ে এসেছিল সিয়াম এর মতো উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার হাসি কান্না আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।যেদিন ওর জন্ম হলো সেদিন আমার বয়স পরিপূর্ণ 13 হয়নি।সবাই বলছিল শিশুর গর্ভে শিশু।আবার কেউ কেউ বলছিল শিশুর কোলে শিশু। শিশু হলেও আমি তখন মা। হাজার ব্যথা যন্ত্রণা সহ্য করে যখন ওর মুখটি দেখছিলাম কী আশ্চর্য এক নিমিষেই সমস্ত ব্যথা শিথিল হয়ে গেল।যে আমি ইনজেকশন নিতে এত ভয় পেতাম সিয়াম হওয়ার পরে সিস্টাররা আমাকে ইনজেকশন দিতে আসলে আমি স্বেচ্ছায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলি,,মা হাওয়ার মত যদি এই তীব্রতর কষ্ট সহ্য করতে পারি। আর এ তো সামান্য ইঞ্জেকশন।মজার বিষয় হলো সিয়াম যেদিন পৃথিবীতে আসলো সেদিন ছিল রমজান মাস।রমজান মাসের যত রান্না করা সেদিন আমি করেছি।এবং অনেকগুলো কাপড় কেঁচে ছিলাম।আমাদের বাসায় তখন চার থেকে পাঁচজন মানুষ আমাদের বাসায় খেত।বলতে পারেন প্রায় 8 থেকে 10 জন মানুষের রান্না করতাম। আমার দুহাত দিয়ে। কেউ একজন এতোটুকু সাহায্যকারীও ছিলনা। অনেকগুলো ইফতার বানাতে হত।একটু এদিক-সেদিক হলেই শাশুড়ির গালমন্দ শুনতে হতো।শাশুড়িকে বাঘের মতো ভয় পেতাম।তাই খুব সাবধানে কাজ করতাম।সারাদিন এত কাজ শেষে সন্ধ্যার পর হঠাৎ আমার পেটের তীব্রতর ব্যথা হয়।কোমরে এত পরিমাণ ব্যথা হচ্ছিল যে, আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না।সারাদিন রোজা থেকে তেমন কিছু খাওয়া হলো না।শুধুমাত্র একটি পিয়াজু আর একটি বড়াই খেয়েছিলাম।ব্যথায় ছটফট করছি কিন্তু কাউকে বলতে পারছিলাম না।আমার চাচাতো দেবরের বউ ভাবি বলে ডাকতাম তাকে।একমাত্র ও ই ভাবিকে ভালো-মন্দ খুলে বলতে পারতাম। আর সেদিন দিনের বেলা থেকে ভাবি ছিল তার বাবার বাড়িতে।সন্ধ্যার পর যখন বাড়িতে ফিরল। ঠিক তখন আমি ভাবি কে ডেকে বলছিলাম ভাবি আমার ভীষণ খারাপ লাগতেছে।তিনি আমার শাশুরিকে বললেন।শাশুড়ি তেমন গুরুত্ব দিলেন না।আমার অবস্থা দেখে সেদিন সেই ভাবি আর দেরি না করে আমাকে নিয়ে নীলফামারী মাতৃ সদনে নিয়ে যায়। সেই রাতে।কি আশ্চর্য! সে দিন মাতৃসদনে একটি রোগী ও ছিল না।এবং এমবিবিএস এফসিপিএস ডাক্তাররাও ট্রেনিং এ ছিলেন।পুরো মাতৃ সদন জুড়ে মাত্র তিনজন মানুষ।দুজন নার্স আর একজন ওয়ার্ড বয়। কেমন যেন একটি ভুতুড়ে পরিবেশ।প্রচন্ড শীতের রাত।শীতে কাঁপছিলাম।মাতৃসদন সিস্টাররা আমাকে দেখে এডমিশন করাতে চান নাই।কারণ তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম।যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকে।
কিন্তু আমি কোন কিছুর বিনিময় নীলফামারী সদর হাসপাতালে যেতে চাইনি কারণ তখন অনেক ডাক্তাররা আমাকে চিনতো। এত ছোট বয়সে মা হব এই লজ্জায় হাসপাতালে যায়নি।যাইহোক ওই সিস্টারকে হাতে-পায়ে ধরে সেখানে থেকে গেলাম।ইতিমধ্যে শুধু আমার মেজো ভাই আমাকে দেখতে গিয়েছে।মেজ ভাইয়ের হাত ধরে অনুরোধ করছিলাম যেন আমার বাবা-মাকে এখনই কিছু না বলে। কারণ বাবা খুব অসুস্থ ছিলেন।যাইহোক যখন ঘড়িতে ঠিক তিনটার কাটা টিকটিক করছে। ঠিক সেই সময় আমার প্রচন্ড পেইন শুরু হয়েছিল।না চিৎকার করে কাঁদিনি।দাঁত দিয়ে ঠোট গুলো চেপে ধরে চোখ দিয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে। আর মনে মনে দোয়া পড়তে ছিলাম।আমার পাশেই ভাবি শুয়ে ছিল। এত ডাকছি কিছুতেই শুনছে না।ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ভাবিকে এক লাত্থি দিয়েছিলাম।তখন ভাবি তারাহুড়ো করে উঠে নার্সকে ডেকে নিয়ে আসলো।ডেলিভারি রুমে যেতে যেতেই সিয়াম অন্ধকার ভেদ করে আলোর মুখে প্রবেশ করল।বিশ্বাস করুন অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু চিৎকার করে কাঁদি নি। মা, মা বলে ডাকিনি। কারন তখন আমার মনের মধ্যে একটি বিষয় কাজ করছিল, আমি যদি মা বলে ডাকি তাহলে মায়ের মন হয় তো বুঝতে পেরে, বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে মাতৃসদনে আসবে। আমার কাছে।আমি এটা মন থেকে চাইনি।খুব ইচ্ছে করছিলো আমার মাথায় কেউ যদি একটু হাত বুলিয়ে দিত, ঠিক সেই সময়টাতে।হয়তো এতোটুকু স্বস্তি পেতাম।নরমাল ডেলিভারি হলো।সিয়ামের ওজন হল তিন কেজি 500 গ্রাম এর বেশি। যার কারনে ও হওয়ার সময় আঘাত পেয়েছিল মাথায়। এই 23 জনুয়ারি।যখন ওর মুখটা প্রথম দেখি, সীমাহীন এই আনন্দের কথা লিখে বোঝাতে পারবো না। এরপর সকাল হতে না হতেই আমার মা-বাবা মামা-মামী সবাই মাতৃ সদন এসে হাজির হলো।আমার বাবা এবং মা কাঁদো কাঁদো হয়ে বলছিল যখন মাতৃসদন আসছিস তখন একটু খবর দিলে কি ক্ষতি হতো।জীবনের এই শ্রেষ্ঠ যুদ্ধটা একাই করলি। আমি বাবার হাতটি ধরে বলেছিলাম বাবা একা ছিলাম নাতো।আমার সাথে ভাবি ছিল।আর ছিল মহান সৃষ্টিকর্তা।ঠিক সেই সময় আমার বাবা আমার মাথাটাকে তার বুকের সাথে চেপে ধরেছিল।আর বলেছিল মা তুই এত ভালো কেনরে??সেদিন বাবাকে বলেছিলাম তুমি এতো ভালো তাইতো।এই শীতের রাতে তোমাদের কষ্ট দিতে চাইনি।তাছাড়া তোমাদের দোয়া আমার মাথার উপরে আছে।
যাইহোক এবার বাড়ি ফেরার পালা।আমার মা বাবা সবাই চাইলো আমি যেন বাবার বাড়িতে যাই।কারণ আমি এত ছোট মানুষ। কিভাবে বাচ্চা দেখাশোনা করব। কিন্তু আমি আমার বড় ভাইকে ভীষণ লজ্জা পেতাম।ওর সামনে বাচ্চা কোলে নেবো,, এটা যেন আমার কাছে ভীষণ লজ্জার ছিল। তাই বাবা মাকে অনুরোধ করে বুঝিয়ে সুজিয়ে আবার শশুরবাড়ীতে ফিরে এলাম।তার পরের ঘটনাগুলো অন্য এক ইতিহাস। তবে রমজান মাসে সিয়াম জন্মগ্রহণ করায় ওর নাম করণ আমি করেছিলাম। সিয়াম অর্থ সংযম বা সাধনা। ওর পুরো নাম আলসারজীল ইসলাম সিয়াম। যার অর্থ পরিচালনাকারী, বা পরিচালক। অর্থ দেখেই নাম রেখেছিলাম। আমার নাম সেলিনা সাথী।সেলিনা অর্থ মীমাংসাকারীনি। আর সাথীৃ অর্থ সঙ্গী।
আমার জীবনে প্রায় অর্ধশতাধিক সম্মাননা স্মারক পেয়েছি। সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। এবং আমার সাহিত্য চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য।আমি আমার ছেলেদের কেও ঠিক সেইভাবে মানুষ করার চেষ্টা করছি।এবং তাদের কাছে আমার একটি প্রত্যাশা ছিল, আমি যেন রত্নগর্ভা মা আওয়ার্ড পেতে পারি।আজকের এই বিশেষ দিনে আপনারা সকলেই সিয়ামের জন্য দোয়া করবেন।ও যেন নিজেকে সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে পারে। ওকে নিয়ে আমার জীবনের অনেক গল্প আছে।এই ধরুন দুজনে একসাথে বেড়ে উঠা,একসাথে স্কুলে যাওয়া।একসাথে খেলাধুলা করা ইত্যাদি।যাইহোক আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আজকের এই বিশেষ দিনে আমার বাংলা ব্লগ এর মাধ্যমে আবারো সিয়ামকে কে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা দোয়া ভালোবাসা।♥♥
খুবই চমৎকার একটি গানের সাথে সিয়াম এবং আমার কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ভিডিও লিংক
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
সিয়াম ভাইয়ের সাথে তার জন্মদিন নিয়ে কথা হচ্ছিল, 23 তারিখ তার জন্মদিন এটা জানতাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সিয়াম ভাইকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা, আপনার গল্প পড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল, জীবনে অনেক কষ্ট করেই এতটা পথ এসেছেন, এতো মানুষের ভালবাসার শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি শুধু বলতে চাই ভালো থাকুক সকল মা।
আসলে আমার জীবনের সত্য ঘটনা গুলো সিনেমাকে ও হার মানায়। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও।♥♥
আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গত বছর আপনি আপনার জীবনের কিছু কষ্টের স্মৃতিচারণ করেছিলেন সত্যিই আমি অবাক হয়েছিলাম আপনার সেই কষ্টের কথাগুলো পড়ে। সিয়াম ভাইয়ের জন্মদিন সত্যিই সেই স্মৃতিগুলো আপনাকে আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ।যেটা কোন মা তার সন্তানের জন্মের পুনরু আবৃত্তি ভুলবে না। আপনি একজন সংগ্রামী মা যেটা বারবার প্রমাণ করেছেন আপনার এই জীবন সংগ্রামের গল্প অনেককে অনুপ্রেরণা দিবে। যতদিন বাঁচবেন প্রতিটা সময় ভাল কাটুক আপনার পরিবারের সেটাই প্রত্যাশা করি।
এটা সত্য কথা যে, অনেকের জীবনে অনুপ্রেরণাকারী হতে পেরেছি।তবে সেদিনই আমি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো যেদিন আমার সন্তানরা সহ আরো অনেক সন্তান পরিবর্তনকামী হবে।এবং ভালো মানুষ হতে পারবে।♥♥
রমজান মাসে জন্মগ্রহণ করায় সিয়াম ভাইয়ের নাম রাখা হলো সিয়াম। যার অর্থ সংযম। শুভকামনা সিয়াম ভাই। আপু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি সিয়াম ভাই কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আমার কাছে মনে হয় সিয়াম ভাই অ্যাজ লাইক এজ মাদার। ভালোই লাগলো সিয়াম ভাইয়ের পৃথিবীতে আসার গল্পটি পড়ে।
সিয়াম পৃথিবীতে আসার গল্পটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে এরকম প্রতিটা মানুষের জীবনেই গল্প আছে। সিএমএস জন্মদিনে একটা এই মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি ও যেন একজন প্রতিষ্ঠিত ভালো মানুষ হতে পারে দেশ ও জাতির কল্যাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
♥♥
সত্যি কি আর বলব আপনার পড়াটি পড়তে পড়তে আমার সুখ দিয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছে আপু।জীবনে এমন মর্মাহত ঘটনা আছে যা আপনার লেখা না পড়লে বুঝা যেত না।সত্যিই অনেক বেদনাদায়ক ঘটনা আপু লেখা পড়ে আমি অবাক হয়ে গেছি।তবে আপনার ধৈর্য দেখে তো অনেক বেশি সাহস পেয়েছি। আপু আসলে মা হওয়ার আনন্দ কত আনন্দের তা বুঝি বাচ্চার মুখ দেখলেই সব দুঃখ চলে যায়।আপনি অনেক কষ্ট করেছেন এবং ধৈর্য ধরেছেন বলে আপনার জীবন সাফল্যে ভরে উঠেছে।জসিয়াম ভাইয়ের জন্য অনেক বেশি শুভকামনা রইল।
এটা ঠিক অপমানে আমি অনেক ধৈর্যশীল একটি মানুষ জীবনে ধৈর্য কে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছি এতটা পথ।তবে আমার এতোটুকু লেখা যদি কারো জীবনে এতোটুকু অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকে তবে আমার সার্থকতা।♥♥
প্রথমেই সিয়াম ভাইয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা 💞. আপু শুধু একজন মা বুঝতে পারে একজন সন্তান জন্মদিতে কত না কষ্ট। আপনার জিবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো পড়ে চোখ দিয়ে পানি বেড়িয়ে আসলো। আপু চমৎকার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। গানটি সত্যিই অসাধারণ। পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য দোয়া শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আপনার পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আসলে গানের কথাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়।।এ যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।♥♥
প্রথমেই সিয়াম ভাই কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দোয়া করি এই দিনটি বারবার ফিরে আসুক।আর জীবনে প্রতিটি ক্ষেএে সফলতা অর্জন করুক,আপনার ইচ্ছে পুরন হোক।আপু আপনার পুরো পোস্ট পড়লাম।এক দিকে আপনার কষ্ট গুলোর জন্য খারাপ লাগলো অন্যদিকে আপনার সফলতার জন্য বেশ ভালে লাগলো।আপু আপনি আসলেই মহান।এত কষ্টের মাঝে ও নিজেকে কখনও গুটিয়ে রাখেন নি।আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমার পুরো জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে এক একটা শিক্ষালয়। যদি আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার মনোভাব পোষণ করি। আমি প্রতিটা পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা অর্জন করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।
শুরুতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই সিয়াম ভাই কে, আপনার এই পোস্ট থেকে শিক্ষার আছে অনেক কিছু। কখনোই নিজেকে ছোট আর একা ভাবা উচিত নয়। কারণ সফলতা দ্বারপ্রান্তে এসে ও থেমে যাবে। তবে আপনার প্রশংসা করতে হয় ম্যাডাম।
অন্তত একজন বেস্ট মা হওয়ার জন্য।
আমার এই পোস্ট কিংবা আমার জীবনাদর্শন থেকে কেউ যদি এতোটুকু অনুপ্রাণিত হয়ে সেই শিক্ষা গুলোকে নিজের কাজে লাগাতে পারে। তবেই আমার সার্থকতা।♥♥
সিয়াম ভাইয়াকে প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সুন্দর ও সুখী জীবন গড়ে উঠুক এটাই কামনা করি।
আপনার জীবনের গল্প শুনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো। ভাইয়া রোজার সময় হয়েছে তাই নাম সিয়াম। বেশ ভাল নাম,নামের কারনটাও জানা গেল।আপনি একজন সংগ্রামী মানুষ।আপনার ধৈর্যের উপর শ্রদ্ধা রইলো। শুধু বলব, নিজে আগে ভাল থাকবেন তারপর সবাইকে ভাল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই একটা কাজ কোনদিন কখনোই করা হয়ে ওঠেনি। অর্থাৎ দায়িত্ব পালন করতে করতে নিজের ভালো থাকা মন্দ থাকা, নিজের জীবনকে নিয়ে ভাববার তেমন একটা সময় আজও হয়ে ওঠেনি। তবে যেদিন আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে, হয়তো সেদিন পরকালে যেতে হবে,,,,,