হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট ফিরে পাওয়া।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন।আজ ৩রা পৌষ, শীতকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ছোট ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। জীবনে এমন কিছু ঘটনা থাকে যা সহজেই ভুলা যায় না। ভুলতে না পারা সেই ঘটনাই আজ শেয়ার করছি। আপনারা অনেকেই জানেন, আমি কয়ক বছর একটি বেসরকারীউন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। শারীরিক কারনে কাজটি ছেড়ে দিতে হয়েছে।ঘটনাটি চাকরীকালীন সময়ের যা এখনও ভুলে যাইনি।
আমাদের সবার জীবনে, শিক্ষা জীবনে অর্জন করা সার্টিফিকেট গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ন। আর চাকরী করলে সেগুলোর গুরুত্ব বহুগুন বেড়ে যায়। চাকরী না করলে তার তেমন গুরুত্ব আছে বলে আমার মনে হয় না। কেবল সার্তিফিকেট ধারি বলা ছাড়া আর কোন কাজে আসে না সেই সার্টিফিকেট। একবার অফিসে স্টাফদের অডিট করার জন্য অর্জিনাল সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলল। যদিও সার্টিফাই কপি অফিসে জমা দেয়া ছিল। তবুও অর্জিনালগুলো নিয়ে যেতে বলেছিল। বর্তমানে সব কিছুতেই যেভাবে জালিয়াতই চলছে তাই আমাদের সার্টিফিকেটকে আর বিশ্বাস করলো না অডিটররা। তাই সেই সার্টিফিকেট জমা দিলাম অফিসে। অডিট শেষ হওয়ার পর আমাদের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল কাগজ পত্র আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিলেন অফিস কর্তৃপক্ষ। সেই সকল কাগজ নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম রিক্সায়। হাতে আরও কিছু ব্যাগ ছিল। বাসার কাছাকাছি এসে কিভাবে যে আমার সার্টিফিকেট এর ব্যাগটি পরে গেলো বুঝতে পারলাম না। আর আমিও হাতের অন্যান্য ব্যাগ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। সেই দিন আর খেয়াল করলাম না যে আমার সার্টিফিকেট এর ব্যাগটি নাই। দু'দিন পর যখন গুছিয়া রাখতে গেলাম তখন দেখলাম যে নেই। তখনতো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। যদিও সার্টিফিকেট এর ডুব্লিকেট কপি সংগ্রহ করা যাবে ঠিকই কিন্তু বেশ বেগ পেতে হবে। প্ত্রিকায় হারানোর নোটিশ দেয়া সেই নোটিশ নিয়ে বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বেশ ঝামেলার কাজ।
দু'তিনদিন পর এক আধ বয়সী ভদ্রলোক আমার খোঁজে বাসায় এলেন। আমার আব্বার সাথে দেখা হতেই আমার খোঁজ করলেন। আমি তখন বাসায় ছিলাম না। তাই সেদিন ভদ্রলোক আব্বাকে কোন কাগজ না দিয়ে তিনি আমাকেই দিবেন বলে চলে যান। এরপর শুক্রবার ছুটির দিনে তিনি বাসায় এসে আমার কাছে জেনে নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে সার্টিফিকেট গুলো ফিরিয়ে দেন। আজকাল এধরনের মানুষ সচঅরাচর দেখা যায় না। এখন মানুষ অন্যের ক্ষতি করাতেই ব্যস্ত, সেখানে এমন দায়িত্বশীল পরোপকারি মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর এ কিছু মানুষের জন্য সমাজটা আজও টিকে রয়েছে।
তাই আমাদের সবারই চলার পথে বেশ সাবধান হওয়া জরুরি না হলে যে কোন সময় যে কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ঘটনা |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
https://x.com/selina_akh/status/1869424593972478002