বিভিন্ন ফুল ও পাতার ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৪ঠা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ১৯ শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।। আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে, পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য। আজ কয়েকটি ফুলের ও গাছের ফটোগ্রাফি দিয়ে সাজিয়েছি পোস্টটি। কিছুদিন আগে একটি কাজে আগারগাও গিয়েছিলাম। সরকারি অনেক অফিস এখানে শিফট করা হয়েছে। ফলে এলাকাটি এখন বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন করে রাস্তাগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে রাস্তাগুলো বেশ প্রশস্ত। আজাকাল অনেকেই বিকালে হাঁটতে আসে এই এলাকায়। কারন তখন অফিস ছু্রটি পর তেমন ভীড় থাকে না।বিকালে মানুষের সমাগমের কারনে এই এলাকায় গড়ে উঠেছে অনেকে স্ট্রিট ফুড কোর্ড।তাই বিকালবেলায় একালাটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। সেখানে থেকেই করা কিছু ফটোগ্রাফি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথম ফটোগ্রাফি
এই ফুলটি আমরা সবাই চিনি। সবার পরিচিত ফুল জবা। বেশ মিষ্টি রং জবাটির।বিভিন্ন ধরনের ও রং এর জবা ফুল দেখা যায়। অগে কেবল লাল জবা ফুলই বেশি দেখা যেতো। জবা ফুলের কোন গন্ধ নেই। জবা সাধারণ পাঁচ পাপড়ির ফুল। কিন্তু অনেক পাপড়ির জবাও দেখা যায় । জবা ফুলের পাপড়ি ও পাতা চুলের জন্য বেশ কার্যকর ।সেই সাথের জবা ফুলের পাতার অনেক ঔষধি গুন আছে । সারা বছরই ফুটে জবা ফুল।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামনি হচ্ছে ভেষজ গুল্ম।সম্ভবত এই ফুল পেরু হতে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে । সন্ধ্যামালতী সাধারণত বসতবাড়ি সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। সন্ধ্যামালতী বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এই ফুল বিভিন্ন রং এর দেখা যায়। আবার একইগাছে বিভিন্ন রং এর ফুল ফোটে। হালকা বা কাঁচা হলুদ, লাল, ম্যজেন্ডা, গোলাপী, সাদা ইত্যাদি রং এর সন্ধ্যা মালতী ফুল দেখা যায়। সন্ধ্যামালতী চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো বসন্তকাল। খুব বেশি রোদ বা ছায়াযুক্ত স্থান এই গাছ ভালোভাবে বেড়ে উঠে না। এই গাছের বৃদ্ধির জন্য দরকার রোদ ও আংশিক ছায়াযুক্ত স্থান।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
এই ফুলটিও সবার চেনা ।হ্যা এটি গাঁদা ফুল।শীতকাল আর গাদা ফুল যেনো একসাথে গাঁথা। শীতকাল মানেই গাদা ফুলের সমারোহ। তা বাসা বাড়ি থেকে অফিস ও রাস্তার সৌন্দর্য্য বর্ধন পর্যন্ত। এই ফুল শীতকালে ফোটে। শীত আসার আগেই এই গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করছে নার্সারী মালিকরা। গাঁদা ফুল অনেক ধরনের ও অনেক রং এর হয়ে থাকে। গাদা ফুলের পাতা ঔষুধি গুণ সম্পন্ন। যে কোন কাটা জায়গায় এই ফুলের পাতা থেতো করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
পিটুনিয়া ফুল মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালের ফুল। তবে, অনেক অঞ্চলে এই ফুল শীতকালেও ফোটে। এই ফুলের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। বীজ লাগালে কিছু দিন পর চারা বের হয়। আজকাল এই ফুলের চাষ বেশ বেড়েছে। ঘর সাজাতে ও অফিসের সৌন্দর্য বর্ধনে এই ফুলের ব্যবহার দেখা যায়। এই ফুল বিভিন্ন রং এর দেখা যায়। তবে সাদা রং ফুলটি আমার বেশ পছন্দ। একই ফুল আবার বিভিন্ন শেডেরও দেখা যায়।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
এই গাছের নাম আমি ঠিক জানি না। তবে ছোট বেলায় অনেক খেলেছি এই পাতা দিয়ে। দেখতে অনেকটা কচু পাতার মতো। তবে সবুজ রং এর পাতার মাঝে লাল রং এর শিরা রয়েছে। যার কারনে পাতাটি দেখতে বেশি সুন্দর লাগে। আগে এই গাছগুলো ঝোপঝাড়ে বেশি দেখা যেতো ।কিন্তু আজকাল এই গাছ সৌখিন বাগানীরা বেশ যত্ন নিয়ে চাষ করে। ঘরের শোভা বর্ধনেও এই গাছ দেখা যায়।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার চমৎকার এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ। আসলে ফুল হচ্ছে মানুষের মনের ভালোলাগা সৃষ্টি করা জিনিস। বিভিন্ন রকমের ফুল দেখলে মন মুগ্ধ হয়ে যায়।
https://x.com/selina_akh/status/1858915526258684232
ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে সব সময়ই বেশি ভালো লাগে। আজ আপনি কয়েকটি সুন্দর ফুল এবং একটি গাছের ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সন্ধ্যামালতী ফুলটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। শীতের সময় অনেক গাঁদা ফুল ফুটতে দেখা যায়। আপনার ফটোগ্রাফিতে গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। বেশ চমৎকার সব ফুলের ফটো ধারণ করেছেন আপনি। অসাধারণ হয়েছে আপনার ফুলের চিত্র।
অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি ব্লকের মাধ্যমে শেয়ার করলেন আপু। প্রত্যেকটি ফুলের ছবি তার স্বতন্ত্রতায় অপূর্ব। জবা ফুলের ছবিগুলি ভীষণ সুন্দর। তার সঙ্গে পিটুনিয়া এবং সর্বশেষ পাতাটির ছবি খুব ভালো লাগলো। আপনার ছবি তোলার দক্ষতা আমি এর আগেও দেখেছি।
দারুন দারুন সব ফুলের ছবি আপনি আজকে পোস্ট করেছেন। প্রথম ফুলটার ফোকাস একটু গরমিল হলেও বাকি সব কটাই খুব সুন্দর। আর প্রতিটা ফুলের বিবরণে অনেক তথ্য রয়েছে। যা পড়লে সমৃদ্ধ হওয়া যায়। সব মিলিয়ে দারুন পোস্ট।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা ফুল ও গাছের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সুন্দর করে বিরবন তুলে ধরেছেন এজন্য আরো বেশী ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর এই ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার তোলা ফুল ও পাতার ছবিগুলো আসলেই অনেক চমৎকার লাগছে দেখতে। সবথেকে নাম না জানা পাতার ছবিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।এই পাতাটা আমাদের এলাকায় অনেক জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।