ছোট গল্প |||| আদর্শ ছেলে।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি ছোট গল্প নিয়ে।কবিতা লেখা আমার নেশা তবে গল্প রীতিমতো আপনাদের মাঝে কয়েকটি লিখেছি এবং আপনাদের সাড়া পেয়েছি যার কারণে গল্প লেখার আগ্রহ আরও দিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।আসলে কোন একটি বিষয়ে যদি কেউ উৎসাহ দেয় তাহলে সেই বিষয়টির প্রতি আরো উৎসাহ দিগুন বেড়ে যায়।ঠিক তারই সুবাদে আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আরেকটি ছোট গল্প নিয়ে।আমার গল্পের নাম "আদর্শ ছেলে"।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূল পড়বে যাওয়া যাক।
প্রতিটি বাবা-মার কাছে তার সন্তান সেরা।আমরা যে সমাজে বসবাস করি সেই সমাজে থাকে কিছু নিয়ম ও নীতি।প্রতিটি মানুষকে সে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হয়। শুধু সমাজের নিয়ম আছে তা কিন্তু নয়।আমাদের প্রত্যেকটি কাজেই রয়েছে নিয়ম এবং সেই অনুপাতেই আমাদের কাজ করে সামনের দিকে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছতে হয়।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কথাটি যেমন ঠিক।তেমনি একটি শিক্ষিত জাতি দিতে পারে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার আস্থা।আমার গল্পের নায়কের বাবার নাম শফিক মিয়া।শফিক মিয়া ছিল খুব সহজ সরল একটি মানুষ।তারা দুই ভাই।ছোটবেলায় তাদের বাবা মারা গেছে।তার মা অনেক কষ্টে দুজন সন্তানকে শিক্ষিত করে তুলেছে।একটি সময় দুই ভাই অনেক কষ্টে পড়ালেখা কমপ্লিট করে চাকুরির জন্য বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে।ভাগ্য বলে কিছু একটি কথা আছে।কিন্তু তারা দুজনেই ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল না।
তারা বিশ্বাস করে অনেক কষ্ট করেছি এবং অনেক পরিশ্রম করেছি সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ঠকাবেন না। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে তারা তাদের চেষ্টা চালিয়ে গেল।একটি সময় শফিক মিয়া বেশ ভালো একটি চাকুরি পেয়ে গেল।তার চাকুরিতেই তাদের সংসারে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।কিন্তু তার ছোট ভাইয়ের কোন চাকুরি মিলল না।বড় ভাই শফিক মিয়ার চাকুরি যখন এক বছর হয়ে যায় তখনও তার ছোট ভাইয়ের চাকুরি মেলে না।তখন তার মা তাকে বিজনেসের কাজে নামিয়ে দিল এবং কিছু টাকা বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ম্যানেজ করে ছোট ভাইকে তার মা দিল।
সামান্য কিছু পুঝি নিয়ে ছোট ভাই ব্যবসায় নেমেছিল।কিন্তু তারও ধীরে ধীরে সেই ব্যবসায় উন্নতি হওয়া শুরু করল।তাদের দুজনকে ভালো জায়গায় দেখতে পেয়ে তার মা অনেক খুশি এবং জড়িয়ে ধরে বলে আজ তোদের বাবা থাকলে খুব খুশি হত।তোর বাবার আদর্শে আমি তোদের মানুষ করেছি। আজ আমার কষ্ট সার্থক।একসময় শফিক মিয়ার বিয়ের আয়োজন করা হলো।কিন্তু শফিক মিয়া কিছুতেই বিয়ে করবে না কারণ তার পছন্দের একটি মেয়ে ছিল।শফিক মিয়া তার মায়ের কোন কথা ফেলতে পারেনি প্রতিটি কথাই সে রীতিমত পালন করেছে।কিন্তু আজ সে অনেক কষ্টে আছে সে নিজেও বুঝতে পারছে না সে কি করবে।কারণ শফিক মিয়া যে চাকুরি করছে সেই চাকুরিটি একজন তাকে দিয়েছে একটি শর্তে।আর সেই শর্তটি হল যে চাকুরি দিয়েছে তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে এবং মেয়েটিকে সুখে রাখতে হবে।কিন্তু সেই সময় শফিক মিয়া রাজি হয়েছিল কারণ তার চাকুরির ভীষণ প্রয়োজন ছিল।
আজকে এ পর্যন্ত আবার পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত বিদায়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "আদর্শ ছেলে"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে আমার এই পোস্টটি পড়ে এবং সুন্দর মতামত প্রদান করে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার লেখা গল্পটা পড়তে আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরকম গল্প গুলো পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। দুই ভাইকে বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের মা ভালো মানুষ করতে পেরেছে। এটা দেখেই তো অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর আস্তে আস্তে তারা ভালো একটা পজিশনে এসেছে এখন। তার মা সার্থকতা পেয়েছে এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। শফিক মিয়া নিজের পছন্দ কেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা আজকের গল্পটা।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শফিক মিয়াকে চাকরি দিয়েছিল একটা শর্তে তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে ।কিন্তু শফিক মিয়ার মেয়ে পছন্দ ছিল। তার মেয়েকে বিয়ে করার শর্তে রাজি হয়েছিল এ কারণে তখন তার চাকরি অনেক প্রয়োজন ছিল ।ধন্যবাদ আদর্শ ছেলের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আজ আপনি অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন। আদর্শের ছেলে গল্পটা পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। শফিক মিয়াকে এবং ওনার ভাইকে উনাদের মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছে, আর লেখাপড়া করিয়েছে। তারা এখন ভালো কাজ করতেছে, আস্তে আস্তে তাদের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে সন্তানের এরকম উন্নতি দেখলে প্রত্যেকটা মায়ের কাছে ভালো লাগবে। সে যেহেতু কথা দিয়েছিল যে মানুষটা তাকে চাকরি দিয়েছে তার মেয়েকে বিয়ে করবে, তাই এখন ওকেই মনে হয় বিয়ে করবে।
পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন ভাই।
আপনার গল্পের প্রথম দিকটা স্বাভাবিকভাবে চললেও একদম শেষের দিকটা কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং ছিল। শফিক মিয়া যে বর্তমানে চাকুরি করছে, সেই চাকুরিটা একজন তাকে দিয়েছে এবং এমন একটা শর্তে দিয়েছে যে, তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে এবং তাকে সারা জীবন সুখে রাখতে হবে। এমন ধরনের শর্তগুলো বেশ অদ্ভুত লাগে আমার কাছে। তবে আমি মনে করি, শফিক মিয়া তার মায়ের সাথে ব্যাপারটা খোলাখুলি বলতে পারতো। জানিনা পরবর্তী পর্বে কি সমস্যা এসে হাজির হবে। তবে গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে যা মনে হচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম একটি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে এখানে শফিক মিয়া ও উনার ভাইকে তার মা-বাবা অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন এবং লেখাপড়া করিয়েছেন৷ তারা এখন কাজ করতেছে এবং তাদের আয়ের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আসলে এরকম সফলতা দেখলে সকল পিতা-মাতারই অনেক ভালো লাগে৷ এই সফলতা সব সময় পিতা মাতার মনের মধ্যে একটি আলাদা ভালো লাগা নিয়ে আসে৷ পরবর্তী পর্বে কি হয় তা দেখার আশায় রইলাম।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।