রেসিপি ||| সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাইকে সালাম। আশা রাখছি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের মাঝে "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। শাক আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো।শাক আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে, শরীরকে সুস্থ রাখে। মাছ-মাংস এর পাশাপাশি যদি আমরা শাকটা খাই তাহলে আমাদের শরীরের নানান ধরনের সমস্যা কেটে যায়।শাকে বিদ্যমান যে ভিটামিন আছে তা আমাদের শরীরের কোন না কোন অংশের জন্য উপকারী তাইতো আমরা চেষ্টা করবো এই শাকটাকে খাবারের তালিকায় নিয়ে আসতে।মুলা আমার খুব ভালো লাগে এই "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি" গরম ভাত দিয়ে খেতে আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে রেসিপিটা এত মজা হবে। অনেক টেস্টি হয়েছিল এবং অনেক মজার ছিল। চলন আর কথা না বাড়িয়ে এই "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ
১। সবুজ শাক।
২। কাঁচা মরিচ।
৩। পেয়াজ।
৪। রসুন।
৫। লবণ।
৬। তৈল।
সবুজ কচি মুলাশাক গুলোকে ভাল করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এই কুঁচি কুঁচি করা মুলাশাক গুলোকে ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি যেন কোন ময়লা না থাকে।
পরিষ্কার করা মুলাশাক গুলোকে গরম পানিতে ছেড়ে ভালো করে ভাব দিয়ে নিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
সিদ্ধ করা মুলা শাক গুলো পানি থেকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে চিপেরেখে দিয়েছি।
এবার পেঁয়াজের খোসা সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়ে পানিতে ধুয়ে নিয়ে পেঁয়াজগুলো সুন্দর করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এরপর কাঁচামরিচ গুলোর বোটা ফেলে মাঝখান দিয়ে চির দিয়ে নিয়েছি।
রসুনের কোয়া গুলো আলাদা করে রসুনের কোয়ার খোসা গুলো পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার ফ্রাইপেনে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ, লবণ, রসুন ও তৈল দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
এবার কষানো মসলার মধ্যে কচি মুলাশাক গুলো দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে ফ্রাই প্যানের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে যাতে শাক সিদ্ধ হয়ে যায়।
এবার ঢাকনাটি খুলে সুন্দর করে শাক গুলো ভাঁজে নেওয়ার জন্য নাড়াচাড়া করছি।
এবার ফ্রাইপেনে শাক গুলো নাড়াচাড়া করতে করতে যখন শাকগুলো ভাঁজা ভাঁজা হয়ে গেল ঠিক তখনই হয়ে গেল আমার "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি" রেসিপি।এবার "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি" রেসিপি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি সহযোগিতামুলক এবং নিরপেক্ষ একটি কমিউনিটি। তাই এই কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি "সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি.......
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
শাকের জুড়ি নাই,,
মাঝে মাঝে তাইতো আমি
প্রচুর শা ক খাই।
কচি কচি সবুজ পাতার
মুলা শাকের ভাজি,,
দ্বিধা-দ্বন্ধ ছাড়াই আমি
খেতে হলাম রাজি।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
সবুজ মুলা শাক
খেতে বসে প্রিয় আপু
কেউ করোনা রাগ।
রেসিপি টা দারুন হয়েছে
খেতে চমৎকার,,
রেখে দিও আপু মনি
ভাগটা আমার।♥♥
অসাধারণ লিখেছেন আপু।
গঠনমূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মুলা শাকের উপকারিতা সমূহ আপনি পোস্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন আপু। আসলে এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। যদিও আমার এই শাকটা তেমন পছন্দ না। যখন পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি হয় তখন খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শীতের প্রাদুর্ভাব হতে না হতেই আপনি মুলা শাক ভাজি করে ফেলেছেন ।ইস আমিও তো এখনো খেতে পারলাম না। এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন যে যেকোনো ধরনের সবুজ শাকসবজি আপনাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডাক্তাররা সব সময় সবাইকে সবুজ এবং রঙিন শাকসবজি খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। খুব চমৎকার হয়েছে আপনার রেসিপিটি। খুব সহজেই শিখে ফেলা সম্ভাব পোস্টটি দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালীন সবজি বাজারে গেলে টুকটাক দেখা মিলছে। আরে শীতকালীন সবজি সব সময় স্পেশাল হয়ে থাকে। কচি মুলা শাক ভাজি আমার কাছে খুবই পছন্দের একটি খাবার। মুলা শাক ভাজি থাকবে সাথে একটু ডাউন হলে বেশ জমে উঠে। শাক ভাজি দেখেই তো লোভ সামলাতে পারছিনা। আপনার বন্ধন প্রণালীটি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সবুজ কচি মুলার শাক ভাজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি শাক। গরম গরম ভাতের সাথে মুলার শাক ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি ভাজা শুকনো মরিচ ব্যবহার করলেও খেতে আরো বেশি মজা লাগে। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টাআপনি অনেক সুন্দর ভাবে মুলার শাক কে কুচিকুচি করে কেটে সুন্দরভাবে ভাজি তৈরি করেছেন। যেটা আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। এরকম ভাবে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি করে দেখে মনে হইতেছে অনেক মজা হবে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি মুলা তেমন একটা খাই না কিন্তু মুলা শাক আমার খুবই ফেভারিট। আজকের রেসিপিটি আপনি যথেষ্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। এই রেসিপিটি এমন করে আমি নিজেও অনেকবার তৈরি করেছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই যে রেসিপিটি আপনার পছন্দের।
মাঝেমধ্যে আমার বাসাতেও মুলাশাক ভাজি করা হয় আপু। বেশ ভালই লাগে। তবে এটি রেগুলার ভালো লাগেনা। আপনি আপনার সবুজ কচি পাতার মুলা শাক ভাঁজি রেসিপিটি খুবই চমৎকারভাবে করেছেন। সাথে বর্ণনা গুলো নিপুণভাবে দিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু মুলার শাক খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে এই শাক ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মুলার রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।