রেসিপি পোস্ট ||| ধনে পাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা।
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি এই প্রচন্ড ঠান্ডায় পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টি কর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।নতুন কোন রেসিপি নিজে তৈরি করতে যেমন ভাল লাগে তেমনি অন্যের নিকট হতে ইউনিক কোন রেসিপি দেখলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বাসায় সেটি ট্রাই করার চেষ্টা করি এবং পরিবারসহ একত্রে সেই রেসিপিটি আনন্দের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। বাসার যেকোনো রেসিপি আমি মনে করি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। বর্তমান সময়ে ফোন ফেসবুক খুললে দেখা যায় খাবারের মান সম্পর্কে অনেক কিছু। আর সেসব খাবার আমরা অনেক টাকা দিয়ে কিনে খাই। তাই বলে এটা বলছি না সব রেস্টুরেন্ট এক। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বা প্রতারকরা সামান্য কিছু টাকার আশায় কাস্টমারদের ঠকাচ্ছে। তাই এই ধরনের খাবারের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি মনে করি বাসার স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের কোন জুড়ি নেই। আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি "ধনে পাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা" রেসিপি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।রুই মাছ।
২।ধনে পাতা।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পিঁয়াজ।
৫।হলুদের গুঁড়ো।
৬। মরিচের গুঁড়ো ।
৭।জিরা গুঁড়ো।
৮।রসুন।
৯।লবণ
১০।তৈল।
প্রথমে রুই মাছগুলো কেটে পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার লবণ পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে আবারো মাছগুলো ধুয়ে নিয়েছি।
এবার পরিষ্কার করা মাছগুলো হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
মেখে নেওয়া মাছগুলো মুচমুচে করে ভেঁজে নিয়েছি তৈলে।
কাঁচামরিচ কেটে নিয়েছি রান্নার উপযোগী করে।
পেঁয়াজ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
ধনেপাতা পরিষ্কার করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার ফ্রাইপ্যানে কাঁচামরিচ কুঁচি, পেয়াজ কুঁচি ও অন্যান্য মসলার উপকরণ গুলো তৈলে ভেঁজে নিয়েছি।
তৈলে ভেঁজে নেওয়া মসলার উপকরণ গুলোর ভিতরে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি এবং তার ভেতর ভাঁজা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
মাছগুলো দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে দিয়েছি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি মাছগুলোর ঝোল শুকিয়ে আসার পর ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "ধনে পাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা" রেসিপি।এবার এই "ধনে পাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "ধনে পাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু খুব চমৎকার ভাবে রুই মাছের ভূনা রেসিপি তৈরি করেছেন। এধরনের ভুনার রেসিপি গুলো খেতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকাল আসলেই যেকোনো রেসিপি মধ্যে ধনিয়া পাতা দিয়ে তার গুণগত মান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। এতে খেতেও যেমন সুস্বাদু মনে হয় তেমন পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে থাকে। আমাদের তো প্রায় প্রত্যেক দিন সব সবজিতেই দেওয়া হয় যেহেতু পুকুর পাড়ে ধনিয়া পাতা হয়েছে। যাইহোক মাছের সাথে খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, বাইরের খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি খাবারের মান খুবই স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আর খেতেও ভীষণ স্বাদ লাগে। যাইহোক আপু, আপনার তৈরি ধনেপাতায় রুই মাছের ঝাল রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল গড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মনে হচ্ছে পরিবেশনের প্লেট থেকে তুলে নিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে খেয়ে ফেলি। রুই মাছ আমার কাছে এমনিতেই ভীষণ প্রিয়, তার ওপরে যদি আবার ধনেপাতা দিয়ে ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করা যায় তাহলে তা খেতে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই বাইরে তৈরি খাবারের অনেক সমস্যা থাকে আর বাসায় তৈরি করে খেলে আমার মনে হয় পরিবারের সকলে ভালো এবং সুস্থ থাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু এসব রেস্টুরেন্ট এক না হলেও বর্তমানে খাবারের দাম অনেক বেশি।প্রতিটা রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম শুনে যেন মাথায় হাত চলে আসে। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের কাছে এই রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়া যেন এখন দিন দিন আরো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে একদম রেস্টুরেন্টের মতোই হয়েছে।
রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম তো একটু বেশি থাকে এবং সমস্যাও থাকে যেটা খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা হয়।
রুই মাছের নাম শুনলে খাওয়ার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মে। ভাজি করা রুই মাছ গুলো দেখেই আমার তো খেতে ইচ্ছে করছিল যাইহোক রুই মাছের ভুনা রেসিপিতে ঝোল কম রেখেছেন সেইসাথে ধনেপাতা দেওয়ায় লোভনীয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
রুই মাছ অনেকেই পছন্দ করে এবং রুই মাছ ভাঁজি খেতে আরো বেশি মজা ।
এটা ঠিক আপু, সব ব্যবসায়ী আবার অসাধু ব্যবসায়ী না। কিছু ব্যবসায়ী আছে যাদের জন্য ভালো ব্যবসায়ীদেরও দুর্নাম হয়। তবে আপনি রুই মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ধনিয়াপাতা দিলে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে
ঠিক বলেছেন ভাই যে কোন রেসিপিতে ধনিয়া পাতা দিয়ে টেস্টটা একটু অন্যরকম হয়।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে রুই মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি করেছেন। রুই মাছের ঝাল ভুনা খেতে অনেক মজা লাগে। তবে এটি ঠিক কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে এই খাবারগুলোর দাম বেশি নেই। বাসায় তৈরি করে খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর এরকম ঝাল ঝাল ভুনা রেসিপির মধ্যে পেঁয়াজ এবং ধনিয়া পাতা একটু বাড়িয়ে দিলে খেতে খুব মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাই ধনিয়া পাতা বাড়িয়ে দিলে খেতে আরো মজা লাগে। তবে অনেকে ধনিয়া পাতা আবার একটু কম পছন্দ করে যার কারণে কম দিলেই বেশি ভালো।
রুই মাছের ঝাল ভুনা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে রুই মাছের ঝাল ঝাল ভুনা রেসিপি করেছেন। আসলে এই ধরনের রেসিপি দিয়ে তৃপ্তি মতে খাওয়া যায়। যদিও এ ধরনের ঝাল রেসিপির মধ্যে পেঁয়াজ এবং ধনিয়া পাতা একটু বাড়িয়ে দিলে সাধ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপনি কিছু কিছু রেষ্টুরেন্ট সুন্দর আকর্ষণীয় সুস্বাদু খাবারের নামে আমাদের কে বিষ খাওয়াচ্ছে। ধনিয়াপাতা দিয়ে দারুণ লোভনীয় রুই মাছের ঝাল রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।ধাপে ধাপে তৈরি পদ্ধতি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর একটি রেসিপি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার ধন্যবাদ দিদি।
আপনি তো দেখছি আজকে খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা দেখেই আমার খুব লোভ লেগেছে। আমরা হচ্ছি মাছে ভাতে বাঙালি। আর এই কারণে বাঙালিরা মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ধনেপাতায় রুই মাছের ঝাল ভুনা করলে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে। কারণ এই রেসিপিটা আমি কয়েকবার তৈরি করেছিলাম। মজাদার রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। যারা এই রেসিপি তৈরি করতে পারে না, তারা চাইলে তৈরি করে নিতে পারবে।
আমার রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে এটি শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।