||গল্প|| গভীর রাতে এম্বুলেন্সে লাশ।
আজকে অনেক দিন আপনাদের আবারও চলে এলাম।আমি আসলে আমার কিছু পারিবারিক সমস্যার জন্য কাজ থেকে দূরে ছিলাম। যাইহোক এখন আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়াতে ভালো আছে।যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভূতের গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আর গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে বলেন তো?।আর এই গল্প যদি হয় ভূতের তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই।
ভূতের গল্পের নাম গভীর রাতে এম্বুলেন্সে লাশ।
এই ভূতের গল্প টা আমি আমার আব্বুর একটা বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি। তাও আবার অনেক বছর আগের কথা তখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি।আজ হঠাৎ মনে পড়লো ভাবলাম কেনও না আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।চলুন তাহলে শুরু করি আজকের ভূতের গল্প। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আবার ভয়ও লাগবে।
আব্বু আর আব্বুর বন্ধু এক সাথে সৈনিকের চাকরি করতো।আর তারা ছিলও আর্মিতে ডাইভিং করতো। রিটায়েড আসা পরে আংকেল হয়েছে গিয়ে এম্বুলেন্স চালাতো।আর আমার মনে হয় কোনো সাহসী মানুষ ছাড়া এই কাজ টা কখনো কেউ করতে পারবে না। আচ্ছা যাইহোক হঠাৎ আংকেল একদিন আমাদের বাসায় আসে তারপর আংকেল কে জিজ্ঞেস করলাম। আচ্ছা আংকেল সব সময় শুনি রাতে নাকি লাশ নিয়ে আসলে নাকি সমস্যা হয়।তাহলে কি আপনার কখনো কোনো সমস্যা হয় নাই?।ওনি বলে কতবার হয়েছে হিসাব নেই। পরে বলে তবে তোমরা শুনো।
একদিন রাতে আংকেল নাকি একা একটি মহিলার লাশ নিয়ে আসছিলও। তখন নাকি রাত হবে ১২ টা থেকে ১ টার ভিতর । সাথে নাকি সব সময় লোক থাকে ওইদিন সাথের লোক টা নাকি কোনো কারণে যায়নি আংকেল এর সাথে।আংকেল লাশটা নাকি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে নিয়েছে।এই লাশ নিয়ে নাকি মহিলার পরিবারের কাছে দিতে যাবে।
লাশ গাড়িতে উঠানো পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখেনি।এরপর গাড়ি চালিয়ে মাঝ রাস্তায় যাওয়ার সময় হঠাৎ পিছন থেকে কে জানি চিমটি মারছে। আংকেল নাকি কোনো গুরুত্ব দেয়নি।তারপর আবার কান্নার শব্দ শুনছে। পিছনে তাকিয়ে দেখে কিছু ছিলও না লাশ টা ঠিক ঠাক আছে। আরও কিছু যাওয়ার পর ওনি পিছনে তাকিয়ে দেখলো লাশ উঠে বসে আছে।এরপর আংকেল নাকি দোয়া পড়ে ফু দেয় সাথে সাথে আবার পড়ে যায়।
এমন করে অনেক সময় আর কোনো সমস্যা হয় না।কিছু সময় পর পিছন থেকে হাত বাড়িয়ে নাকি আংকেল এর গলায় চেপে ধরে বসে। আংকেল কোনো উপায় না পেয়ে সাথে ছুড়ি ছিলও ছুড়ি মারে।আর সাথে সাথে পড়ে যায়।আবার গাড়ি চালাতে যাবে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সাদা কাপড় পড়ে। আর আংকেল কিছু না ভেবে ওর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেয়।এরপর তাদের বাড়িতে লাশ পৌঁছে দেয়।এই অবস্থায় আংকেল নাকি অনেক দিন অসুস্থ হয়ে থাকে।এমন এমন আরও কত ভয়ানক অবস্থা হয় মাঝে মাঝেই আংকেল বললো।
আংকেল বললো যারা রাতে এম্বুলেন্স চালাই তাদের সাথে এমন অনেক ঘটনা ঘটে। তবে সবাই নাকি এই কাজ টা করতে পারে না এই জন্য। আর আংকেল বললো যারা চালাই তাদের থেকে এমন অনেক ভয়ানক অভিজ্ঞতা শুনতে পারবে।
যাইহোক আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। তবে আমি এই গল্প শোনার পর অনেক দিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখনও অবশ্য ভয় হয় তবে আগের থেকে একটু কম।আর যতোই ভয় হোক শোনতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে।আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আমার নাম শান্তা হাবিব। আব্বুর আদরের মেয়ে ছিলাম তাই আব্বুর নামের সাথে মিল রেখে আমার নাম।আমার স্টিমিট আইডি @santa14।আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে জয়েন করেছি।আমি বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় থাকি।আমি একজন ছাএী ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছি।আমি গান করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার পাশাপাশি রান্না করতে আর নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি,আর্ট,ডাই করতে বেশি পছন্দ করি।ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালোবাসি যদিও তা বেশি হয়ে উঠে না।আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক বেশি ভালবাসি কারণ এখানে নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন গভীর রাত হয়ে গেছে প্রথম টুক পরেই আমার অনেক ভয় ধরে গেছে। তাই বাকিগুলো আর পরলাম না তবে ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি বাস্তবিক ঘটনা আমাদের মাঝে উপস্থিত করার জন্য।
ছেলেরাও এতো ভয় পাই হিহিহি🤭।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার আঙ্কেলের কাছ থেকে শোনা খুবই ভয়ঙ্কর একটি গল্প বলেছেন। আমিও এমন অনেক ঘটনা শুনেছি কিন্তু নিজের চোখে দেখিনি তাই সত্যি কিনা বলতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে সত্যি এমন হতেও পারে। অনেক সময় আবার মনের ভয় গুলো ভেতরে কাজ করে বলে এমন ধরনের ঘটনা মনে হয়। যাই হোক আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
না আপু এইরকম ঘটনা গুলো আসলেই সত্যি হয়।এমন প্রায় অনেক মানুষের সাথে হয়েছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
অনেক ভয় আমাকে একটা গল্প আপনি শেয়ার করেছেন আজকে। আপনার আব্বুর ওই বন্ধু তো দেখছি অনেক ভয়ানক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আসলে এই কাজটা সবাই করতে পারে না। যাদের ভেতর অনেক সাহস আছে তারাই করতে পারে। আপনার লেখা গল্পটা সত্যি অনেক ভয়ানক ছিল। আর আমার তো এখন অনেক ভয় লাগছে এটা পড়ে।
একদম ঠিক বলছেন আপু যাদের মধ্যে সাহস থাকেন। তারাই এই কাজ গুলো করতে পারে। অনেক ধন্যবাদ আপু।