কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপ ভ্রমণ (পর্ব-৪)

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

সবাইকে শুভ সকাল,

প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই-বোনেরা আশা করি সকলে ভাল আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকার চেষ্টা করি আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। তো বন্ধুরা লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিংয়ে। প্রতিদিনের মতো আমি আজকেও আবার উপস্থিত হয়ে গেছি আপনাদের সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করার জন্য। গতকালকে খুবই ব্যস্ত ছিলাম কোন কাজকর্ম করতে পারি নাই। শুধুমাত্র পোস্ট টা শেয়ার করেছিলাম তারপরে আর কোন কাজকর্ম করতে পারিনি।

pic.jpg

তো গতকাল আমার মামাতো ভাইয়ের বিবাহের একটা দাওয়াত ছিল। আসলে সেখানে না গেলে হয় না এমন অবস্থায় পড়ে গেছিলাম। এরকম অনুষ্ঠান গুলোতে যেতে হয়। না হলে মনে হয় একটু অসামাজিকতা চলে আসে। প্রথম দিকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম না যাওয়ার জন্য যেহেতু বাচ্চার পরীক্ষা চলতেছে। তো আবার লাস্টে ভাবলাম যাব আবার চলে আসতে হবে যে ভাবা সেই কাজ চলে গেছিলাম। রাত বারোটায় বাসায় ফিরে এসেছি। তো বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয়ে শেয়ার করব তা হচ্ছে ইনানী ঘুরতে যাওয়ার যাওয়ার মুহূর্ত। গত পোস্টে আমি আপনাদেরকে ইনানীর সবচেয়ে বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট পালঙ্কিতে খাওয়ার মুহূর্তে শেয়ার করেছিলাম। যেহেতু আপনাদেরকে শেয়ার করেছিলাম খাওয়া-দাওয়া করার জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে একটু অপেক্ষা করেছিলাম।

pic1.jpg

pic2.jpg

অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমাদের খাবার হাজির। আপনারা অনেকেই জানেন ইনানীর বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট পালংকির খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে। তবে যারা জানেন অবশ্যই ভালো জানেন। কিন্তু যারা জানেন না অবশ্যই কক্সবাজার আসলেই ঘুরে যাবেন একদিন খেয়ে যাবেন। আসলে খাওয়া-দাওয়া টা এত বেশি আহামরি না হলেও কিন্তু তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায় সেটা বলতে পারি। আমরা এত বেশি ভাজা পোড়া আইটেম অর্ডার করি নাই। যেহেতু ঝোল ভাত খাব তাই ডা-ভর্তার অর্ডার করেছিলাম। সেই সাথে দুইটা মাংসের আইটেম। জাস্ট এতোটুকু তেই হয়েছিল। তবে খাবারের মেনুটা অসাধারণ ছিল। আমি যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে উনারা খাবার গুলো নিয়ে হাজির হলেন।

বিশেষ করে ওনাদের ডাল টা খুবই ভালো লাগে। যদি ডালের সাথে ভর্তা হয় সেই সাথে যদি এমন মজার শুটকি ভর্তা হয় তাহলে আর কিছু লাগেনা। এত যে ভালো লাগে আমার কাছে এই ঝোল ভাত আমি ভাজা পোড়া দিয়ে এত বেশি পেট ভরে খেতে পারি না। তাছাড়া ভাজা পোড়া খেলে কেমন জানি গ্যাসে খুব বেশি ডিস্টার্ব করে। তো চেষ্টা করি সব সময় একটু ঝোল দিয়ে খাওয়ার। মাশাল্লা বাচ্চারা ও এমন হয়েছে তারাও একদম ঝোল ভাত খেতে খুবই পছন্দ করে।

pic3.jpg

pic6.jpg

খাবার গুলো অসাধারণ ভালো ছিল। একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেমন ইচ্ছে তেমন ভাবে খাওয়া যায়। অসাধারণ তৃপ্তি ছিল খাবার গুলোর মধ্যে। একদম চেটেপুটে সবাই খেয়ে নিলাম। ভীষণ মজার ছিল। তবে লইট্টা শুটকি ফ্রাই চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি, তাহলে তো অনেক ভালো হতো। পালংকি রেস্টুরেন্টের লইট্টা ফ্রাই গুলো অনেক মজার হয়। কিন্তু সেই দিন খাবার শর্ট পড়ে গেছিল অর্ডার করার পরেও আর পাইনি। তো ভাবছিলাম যেগুলো পাইছি সেগুলো দিয়ে খেয়ে নিই। কারণ আপনাদেরকে আগের পর্বে শেয়ার করেছিলাম প্রচুর লোকজনের ভিড় ছিল। আসলে এত ভিড়ের মধ্যে খেতে কেমন জানি লাগে। যদি এমন ভিড় হতো তাহলে যেতাম না। কারণ বর্তমান সময়ে এত ভিড় খুবই বিপদজনক অবস্থা।

সব দিকে দিন দিন মানুষের গ্যাঞ্জাম বেড়ে যাচ্ছে। আসলে শুধু পালংকি রেস্টুরেন্টে নয় যেদিকে যাবেন না কেন সব দিকেই যেন মানুষের কমতি নেই। তো সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ। শেষ করার পরেই আমাদের হাতে বিল টা চলে আসলো । কিন্তু বিল হাতে পেয়ে তো একদম চোখ মাথায় উঠে গেল। যদিও খাবার গুলো এত সিম্পল ছিল কিন্তু খাবারের দাম অনেক বেশি। ওই যে বললাম জনপ্রিয়তা বলে একটা কথা। সবাই অনেক বেশি ভিড় করে এই রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়ার জন্য। তাছাড়া যদিও খাবার গুলো সিম্পল কিন্তু খেতে ভীষণ মজার। তো বিলের পরিমাণ এত বেশি হবে সেটা স্বাভাবিক। আমি যখন বের হই আমি সবাইকে বলে রাখি আগে থেকে আমি ভাজি ভর্তা দিয়ে ভাত খাব।

pic4.jpg

pic5.jpg

কারণ কক্সবাজারের কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে যেখানকার ভাজি ভর্তা গুলো খুবই ভালো লাগে। তো সেই জন্য আমি আর এত ভাজা পোড়া অর্ডার করি না। তাই ভাজি ভর্তা আর বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই মাছ মাংস দিতে হবে। তো বন্ধুরা এতটুকুই আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে আমার আজকের পর্ব। তো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বাইরে যেহেতু অনেক ফুলের বাগান সেখান থেকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফিও নিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে আমি অনেক ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদেরকে শেয়ার করেছি। আশা করি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার ইনানীর পালংকি রেস্টুরেন্ট
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 10 months ago 
 10 months ago (edited)

মামাতো ভাই বলে কথা আপু, না গেলেও কেমন দেখায় যদিও ভাগ্নীদের পরীক্ষা ছিল। গিয়ে এসে পরেছেন এজন্য ভালো হলো। যাক, পালঙ্কি রেস্টুরেন্ট এর খাবারে মান ভালো হলেও দামটা বেশি নিল! আমিও আপনার মতো ভাজাপোড়া খেতে পারি না, গ্যাসে প্রচুর ডিস্টার্ব করে। যাক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আপু

 10 months ago 

খাবার গুলো ভীষণ মজা ছিল ভাইয়া। ঠিক বলছেন ভাজা পোড়া খেতে পারি না খুবই ডিস্টার্ব করে গ্যাসে।

 10 months ago 

আসলে কাছের আত্মীয়ের কোনো অনুষ্ঠানে না গেলে ব্যাপারটা খুব খারাপ দেখা যায়। যাইহোক অবশেষে বিয়েতে গিয়েছিলেন তাহলে। ইনানী বিচে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম,তবে পালংকি রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়নি। এই রেস্টুরেন্টটি এতো বিখ্যাত সেটা জানা ছিলো না। আসলে আমি যতবার গিয়েছি, ততবারই কলাতলীতে হোটেল নিয়েছিলাম। তাই কলাতলীতেই খাওয়া দাওয়া করা হয় বেশি। তবে হাতেগোনা কয়েকবার হিমছড়ি এবং ইনানীর দিকের রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। আমার কাছে লইট্টা ফ্রাই খুব সুস্বাদু লাগে। তাই সেখানে থাকলে প্রায় প্রতি বেলায়ই লইট্টা ফ্রাই খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনারা বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন আপু। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 10 months ago 

আসলে কক্সবাজারের সব খাবারের রেস্টুরেন্ট গুলোতেই ভালো মানের খাবার তৈরি করা হয়। আমার কাছে সব রেস্টুরেন্ট খাবার খুবই ভালো লাগে। তবে স্পেশালি ভাবে আমরা পালংকি রেস্টুরেন্টের খাবার বেশি প্রশংসা করি। যদি আসেন তাহলে সময় সুযোগ করে খেয়ে দেখবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39