আজ-২১-পৌষ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
০৫ ই- জানুয়ারী -২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-বৃহস্পতিবার।
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভাল আছেন?শীত অনেক জমিয়ে বসেছে তার কারণে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছেনা।আজ কিন্তু আমাদের এদিকে বেশ মিষ্টি রোদ দেখা দিয়েছে।কিছুক্ষণ রুমের জানালা খুলে দিয়ে ব্যালকনিতে মিষ্টি রোদ পোহালাম বেশ ভালো লেগেছে।তবে সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারণে পোস্ট করা হয়নি যখনি ফ্রি মনে করলাম তখন পোস্ট লেখা শুরু করে দিয়েছি।সেই মোতাবেক আমি আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি বইমেলার নিয়ে কিছু লেখা।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
সেদিন যখন ঢাকাতে ছিলাম তখন ঠিক করেছিলাম একটু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘোরাফেরা করে আসবো।আমি মনে করেছিলাম ঢাকাতে অনেক আনন্দ করে ঘুরাফেরা করব।কিন্তু এর আগে অনেকবার গেছি ঢাকায় বিশেষ করে কোন পরীক্ষা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে যাওয়া হয়েছে।যাওয়া-আসার মধ্যে তেমন ঘোরাফেরা করা হয়নি তাই এবারে ঠিক করলাম একটু ঘুরবো।কিন্তু কি আর ঘুরবো এত যানজটের পরিবেশ।বাড়া এত বেশি সত্যি বলার মতো না ৫/১০ মিনিটে রাস্তায় বাড়া নিচ্ছেন ৩০০ টাকা ৪০০ টাকা ৫০০ টাকা।এত এত বেশি সিএনজি ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে বলার মত না।আর খাবার দাবারের কথা কি বলব?আমরা যে এরিয়াতে ছিলাম হোটেল গুলো ত ডাকাতের মত। খাবার-দাবারের মান তেমন ভালো ছিল না তাছাড়া এত দাম বলার মতো না।সামান্য এক বাটি ডালের দাম যদি ৬০ টাকা হয় তাহলে অন্যান্য খাবারের দাম কেমন হবে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
যাক এসব কথা বাদ দিয়ে মূল কথায় আসি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাবা মেয়ে আর আমি রেডি হয়ে সোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চলে যায়।এদিকে ওদিকে হাঁটাহাঁটি করার পর হঠাৎ চোখে পড়ে বইমেলার দিকে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিজনেস স্টাডিজ প্রাঙ্গণে বইমেলার দেখে বইমেলাতে ঢুকে পড়ি।বইমেলায় যেতে আমার খুব ভালো লাগে কারণ বিভিন্ন ধরনের বই দেখা যায় এবং কেনার সুযোগ হয়।বাচ্চারা অনেক খুশি হয় বইমেলা দেখে।তবে সেখানে বাচ্চাদের জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি বই পায়নি কারণ এই মেলাটির ননফিকশনাল।তাই ছোটদের বই রাখা হয়নি।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
এটা ছিল ডিসেম্বরের ২৭তারিখের আকে কথা।বই কিনলে আবার ৩ টি টোকেন ও দেওয়া হচ্ছে সেখানে একটি ড্র হবে যাদের নাম উঠবে তাদেরকে একটি গিফট দেওয়া হচ্ছে।মেলাটা বেশ কিছুদিন আগে থেকে আরম্ভ হয়েছিল।প্রায়ই ভালো মানের বই সেল হয়ে গেছে দেখে বোঝা গেছে।তাই অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে পছন্দমত বই পাওয়া যায়নি।বিশেষ করে সব বই ছিল মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে লেখা।স্বাধীনতার পটভূমি নিয়ে লেখা সব ধরনের বই।আমার ছোট মেয়ে তো বই নেওয়ার জন্য অনেক বেশি কান্নাকাটি করছিল।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
মেয়ে যেহেতু অনেক কান্না করেছিল তাই বই তো একটি নিতে হয়।তাই কোন মতে একটি রান্নার বই পছন্দ করি তাও আবার আমার ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে।তাই আমি সেই বইটি নিয়ে নিলাম।এই জন্য বইটি নিয়েছি হয়তো কোন একদিন সেখান থেকে রেসিপি দেখে রান্না করে নিতে পারবো।আরো কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করার পরে মেলা থেকে বের হয়ে যায়।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলাটি আপনাদের পড়ে ভালো লেগেছে।তাহলে আমার আজকের ব্লগ এখানেই সমাপ্তি করছি।শীতের দিনে সবাই সাবধানে থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/5) Get profit votes with @tipU :)
আপনি বাচ্চাদের নিয়ে দেখছি ভালোই ঘোরাঘুরি করছেন ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বইবেলায় অনেক চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপু বাচ্চারা এমনি যা দেখবে তাই কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। তবে একটি রান্নার বই কিনেছেন হয়তো নতুন রেসিপি দেখতে পাবো।আর দামের কথা আর কি বলবো,বর্তমান সব কিছুর দাম অনেক উর্ধে। যাইহোক আপু অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে দামের জন্য কোথাও ঘুরার অবস্থা নেই আপু খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
যাক আপু অবশেষে আপনি এত ঘুরাঘুরি করে আমাদের দেশের রান্নার বইটাই খোজেঁ নিলেন। ভালই হলো এবার তাহলে বুঝবেন বিক্রমপুরের রান্না কত মজা। যাই হোক আপনাকে তো অনেক বার বললাম চলে আসেন আমার এখানে তাহলে তো আর ৬০ টাকা দামের ডাল খেতে হতো না। হা হা হা।
বইটা দেখে একদিন একটা রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনাদের সাথে।
বইমেলা খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বইমেলা গিয়েছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে আমি যখন ঢাকায় ফার্মগেট এলাকায় থাকতাম তখন সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হতো। বিশেষ করে বিভিন্ন বই মেলাতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। অনেক নতুন নতুন বই মেলাতে দেখে প্রকাশিত হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বইমেলা আমারও অনেক ভালো লাগে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রকাশনী দেখা যায়।
একদম সত্য কথা বলেছেন আপু বর্তমান সময়ে ঢাকা শহর অনেক বেশি জ্যাম থাকে আর যার কারণে এই সুযোগটা লুফে নিচ্ছে অনেক অসাধু ড্রাইভার। ৫-১০ মিনিটের পর তারা এত বেশি টাকা ভাড়া নিচ্ছে যে বলে বোঝানো যাবে না। যাইহোক অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে বইমেলা উদযাপন করেছেন এবং সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। হ্যাঁ এমন অনেক মেলা আছে যেখানে ছোট বাচ্চাদের বই রাখা হয় না তবে আমি মনে করি ছোট বাচ্চাদের বই রাখলে তারা হয়তো আরো বেশি খুশি হবে।
যানজটের মধ্যে ও বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরা ফেরার চেষ্টা করেছি তবে ভালো লেগেছে।
বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বই মেলায় গিয়েছেন দেখে বেশ ভাল লাগল। এতে বইপড়ার প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ তৈরি হয়। আবার ফেব্রুয়ারীর বই মেলা দেখার জন্য ঢাকায় আইসেন। অনেক বড় পরিসরে হয়। ভাল লাগবে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেটে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে আপু তবে সিলেটে যাবো।