||আমার শখের ঘড়ি কিনার অনুভূতি-শেষ পর্ব||@shy-fox 10%
সবাই কেমন আছেন??
সবাই কেমন আছেন??
আমি@samhunnahar।
আমি গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে আমার শখের ঘড়ি কেনার কিছু অনুভূতি।আসলে ঘড়ি কিনতে গিয়েছিলাম আমার জন্য কিন্তু শেষমেশ বাচ্চারা নিয়ে নেই।প্রায় সব কিছুতেই এমন করে আমার দুই মেয়ে জিনিস কিনতে যায় আমি আগে ওরা নিয়ে বিরক্ত করে শেষমেশ চলে আসি।এবারেও ঠিক তেমনি হয়েছিল ওদেরকে কিনে দিয়ে আরো কিছু কেনাকাটা করে চলে আসি পরে যাব চিন্তা করে।আবার লাঞ্চ করার পরে বের হয় আমার ঘড়ি নেওয়ার জন্য।মেয়েদের ঘড়ি যে মার্কেট থেকে নিয়েছি সেখানে না যেয়ে সোজা চলে যায় চায়না টাউনে।সেখানে দু’একটা ঘড়ির দোকান দেখেছি।একজনে বলেন দ্বিতীয় তলায় বেশ সুন্দর একটি ঘড়ির শোরুম আছে।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
তাই সোজা চলে গেলাম দ্বিতীয় তলায়।চায়না টাউনে ঘড়ির শোরুমে যেয়ে দেখতে পেলাম আগের দোকানে যে ঘড়ি গুলো দেখছি সেম ক্যাটাগরির গাড়িগুলো এখানে রাখা হয়েছে।এখন ঘুরে ঘুরে দেখার পরে সেই আগের দোকানে দেখা ঘড়িটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল।যদিও অন্যান্য জায়গার তুলনায় দাম বেশি বলেন চায়না টাউনে।তবে আমার মতে যে কোন জিনিসের দাম অনেক বেশি।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
একটা মাত্র ঘড়ি নিব কিন্তু দামের কথা না জিনিসটা আমার পছন্দ হয়েছে কিনা আমার হাজব্যান্ড জানতে চাইলো।তবে দুইজনে মিলে এই ঘড়িটা আমি পছন্দ করি।সাথে উনার জন্য একটি ঘড়ি পছন্দ করেন তবে উনার পছন্দের মধ্যেও একটু ব্যতিক্রম রয়েছে।আমার হাজবেন্ডের পছন্দ হচ্ছে লেদারের ঘড়ি এবং পছন্দটা হচ্ছে একটু ওল্ড মডেলের।তবে কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই বিদেশ থেকে একটা ডিজিটাল ঘড়ি দিয়েছিলেন সাহেবের জন্য।অনেক টাকার ঘড়ি মোবাইলের সব ফাংশন ছিল ঘড়িটাতে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে অফিসে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ঘড়িটা নাকি খুলে রাখছিলেন।যেখানে রাখছিলেন সেখানে ঘড়িটা পাওয়া যায়নি।তাই আরেকটা ঘড়ি পছন্দ করে নিয়ে নিলেন।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
স্থানঃচাইনা টাউন,ফকিরাপুল।
ঢাকা-বাংলাদেশ।
তবে আমি কিছু বলি নাই কারণ নিজের একটা পছন্দের ব্যাপার আছে।তাই আমার পছন্দ হয়েছে যেটা সেটা আমি নিয়ে নিলাম উনার মতামতের সাথে।এবং ওনার যেটা পছন্দ হয়েছে সেটা উনি নিয়ে নিলেন।তবে আমি না বলি নাই বলেছি পছন্দ হয়েছে আপনার ঘড়ি সুন্দর আছে।আমার ঘড়ির দাম ছিল ৫০০০ টাকা এবং ওনারটা ছিল ৩০০০ টাকা।এই হল আমার ঘড়ি কেনার অনুভূতি।
প্রথম টাইম আমি বাংলাদেশ থেকে ৫০০০ টাকা দামের একটি ঘড়ি নিলাম।আমার লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।আশা করি আমার আজকের ব্লগিংটা আপনাদের ভালো লেগেছে।নিজের ভালো লাগার কিছু কথা শেয়ার করেছি তাই আমি আনন্দিত ।
সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
স্থান- চাইনা টাউন,ফকিরাপুল,ঢাকা -বাংলাদেশ। |
---|
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপনি পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ঘড়ি কিনেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি আপনার ঘড়ির প্রতি আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করে। কারণ বর্তমান সময় অনেকে ঘড়ি হাতে লাগাতে চায় না। এই সময়ে আপনি পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ঘড়ি কিনেছেন এই থেকে বুঝা যায় । ঘড়ি আপনার অনেক শখের। আমি গত পর্ব গুলোতে দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকে সুন্দরভাবে শেষ পর্ব উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধরেন বলতে গেলে আমি কোথাও বের হচ্ছি কিন্তু সবকিছু নেওয়ার পরেও আমার হাতে ঘড়ি পরার বিষয়টি অনেক বেশি মনে থাকে।
আপু আপনার ঘড়ি কিনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু আপনি ঠিক করেছেন আপনার হাসবেন্ড এর ঘড়িটা একটু পুরানো হলেও তার ভালো লেগেছে এটাই অনেক। দুজনের ঘড়িটাই অনেক ভালো হয়েছে। তবে আমার মনে হয় ভাইয়া ইচ্ছে করে আপনার থেকে কম দামের ঘড়ি নিয়েছে। দাম যাইহোক পছন্দ টাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু উনি খরচের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন।সাহেব তো সবাইকে বেশি দামে কিনে দিলেও নিজের বেলায় অনেক কম দামের কিনতে চাই।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/6aztqm-or-or-or-or-shy-fox-10
আপনার এবং আপনার স্বামীর ঘড়ি দুটোই অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে আপনার টা বেশি ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। তবে আপনার স্বামীর ডিজিটাল ঘড়িটা হারিয়ে গেছে শুনে খারাপ লাগলো।
হ্যাঁ আপু হারিয়ে যাওয়া ঘড়ি টা অনেক সুন্দর ছিলো।আমিও অনেক মিস করি ঘড়ি টাকে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দিয়েছেন।
হ্যাঁ আপু নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর ছিল। স্মার্ট ওয়াচ দেখতে খুব ভালো লাগে।
পোস্টটা প্রথমে দেখেই ভাবছিলাম যখন ক্যাসিওর ঘড়ি,দাম তো অনেক হবেই। ঠিক ঠিক পোস্ট পড়ে শেষে এসে দেখলাম আপনার ঘড়ির দাম ৫০০০ টাকা এবং দাদা ভাইয়ের টা ৩০০০ টাকা। তবে যাই হোক দামি ঘড়ি পড়তে আমারও খুব ভালোই লাগে । আমি আমার প্রিয় মানুষকে ড্যানিয়েল ক্লিনের একটা ঘড়ি গিফট করেছিলাম। সেটা ৮০০০ টাকা দাম নিয়েছিল। যদিও নিজে কখনো এত দাম দিয়ে ঘড়ি পড়িনি।আমার দৌড় ওই দু তিন হাজার পর্যন্তই। ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতাটা পড়ে।
ঠিক বলছেন আপু ঘড়ি পরতে আমার অনেক ভালো লাগে।তবে বেশির ভাগ ঘড়ি ভাইয়েরা দেশের বাইরে থেকে পাঠাতো তবে এইবার ৫০০০ টাকা দামের ঘড়ি প্রথম বাংলাদেশ থেকে কিনেছি।