ট্রাভেলিংঃ- হঠাৎ ইনানী রয়েল টিউলিপে ঘুরতে যাওয়া।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সম্মানিত সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে। আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। নিশ্চয়ই আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। সুস্থ থাকা বড় নেয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থতা আমাদের জন্য কত বড় নেয়ামত সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রদত্ত। বন্ধুরা নতুন একটি টপিকস নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। অনেকদিন পরে হাজির হয়ে গেছি নতুন একটি ট্রাভেলিং পোস্ট নিয়ে। বেশ অনেকদিন হলো কোথাও ঘোরাঘুরি করা হচ্ছে না। আসলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকলে সবকিছু ভালো থাকে সবকিছু ভালো লাগে। যদি শরীর মন ভালো থাকে না তখন আর কিছুই ভালো লাগেনা।
যতই ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হোক যত ভালো খাবার দেওয়া হোক কিছু ভালো লাগে না। যত আমাদেরকে সুন্দর পোশাক আশাক দেওয়া হোক সবকিছুই আমাদের শরীরের জন্য একদম বাজে অবস্থা হয়ে যায়। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আসলে শরীরের সুস্থতা কি জিনিস। তারপরও বলতে হয় সবকিছু সৃষ্টিকর্তা নেয়ামত। সুস্থতা যেমন সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত অসুস্থতা ও সৃষ্টিকর্তা নিয়ামত। সৃষ্টি কর্তা দেবেন আবার ভালো হয়ে যাবে। বন্ধুরা অনেকদিন যখন কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি না বাচ্চারা অস্থির হয়ে যাচ্ছিল। বাচ্চারা বারবার বায়না করছিল ইনানী ওয়াটার পার্কে যাওয়ার জন্য। আপনারা যারা কক্সবাজারে ঘুরতে আসেন তারা অবশ্যই জানেন যে ইনানী কত সুন্দর একটি জায়গা। যদিও আমার যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাই এত বেশি আমি জোরাজুরি করছিলাম না। বাচ্চারা কিন্তু প্রতিনিয়ত তাদের বাবাকেই বলতে থাকছিল তারা ইনানী যাবে ওয়াটার পার্কে ঘোরাঘুরি করার জন্য। আমি বলছিলাম তাদেরকে তাদের বাবার সাথে যেয়ে ঘুরে আসার জন্য।
কিন্তু কয়েকদিন আগে আমার হাজব্যান্ড যখন ইনানীতে ট্রেনিং এর জন্য গেল ইনানী রয়েল টিউলিপ হোটেলে। সেখানে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল চারদিনের। মাঝখানে দুইদিন যাবার পরেই উনি জানালো বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেহেতু ম্যাক্সিমাম মানুষের পরিবার ছিল বাচ্চারা ছিল। সবাই কিন্তু যার যার মত পরিবারকে নিয়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে সেখানে ঘুরাঘুরি করছিল। যেহেতু তাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা হয়েছিল থাকার খাওয়া দাওয়ার। সেই জায়গায় অবশ্যই আমি গত বছর গিয়েছিলাম আপনাদেরকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম। আমারও বেশ ভালো লাগে ইনানী তে ঘুরতে গেলে। হঠাৎ করে যখন জানালো তখন আমি না করছিলাম। যেহেতু আমি তেমন সুস্থ নয় তাই বাসায় অবস্থান করছিলাম। বাচ্চারা ইনানীর কথা শুনার সাথে সাথে অস্থির হয়ে গেছিল। আমি আর না করতে পারি নাই।
তখন আমি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় একটি সিএনজি নিয়ে চলে যাই ইনানীর উদ্দেশ্য। যদিও বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল কিন্তু কি আর করার। বাচ্চারা তো কিছুতেই মানবে না তাদেরকে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমিও কোনরকম অসুস্থ শরীর নিয়ে তাদেরকে নিয়ে গেছি। যেহেতু রাস্তাটি আগে খুব ভালো ছিল এখন অনেক বেশি ভেঙে গেছে বেহাল অবস্থা। সিএনজির ড্রাইভারকে বলে দিয়েছি যাতে সিএনজি আসতে ধীরে চালায়। ড্রাইভার সাহেব সেই অনুযায়ী খুব সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অবশেষে আমরা ঘন্টা দেরেক পরে সেখানে পৌঁছে যায়। যাবার পরে বাচ্চারা অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল যেহেতু সেখানে আরো অনেক বেশি ফ্রেন্ড পেয়েছিল অন্যান্য ভাইদের বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
আমরা যাওয়ার পরে মাগরিব পার হয়ে গেছিল এশারের আজান দিয়েছিল এমন অবস্থা। তখন আমরা সোজা রুমে চলে গেছিলাম। সেখান থেকে বাচ্চারা ড্রেস চেঞ্জ করে সোজা সুইমিং পুলে চলে গেল ওদের বাবার সাথে। ওদেরকে এত বারণ করেছিলাম সকালে গোসল করার জন্য কিন্তু কিছুতেই মান ছিল না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদেরকে নিয়ে তাদের বাবা চলে গেল। আর আমি রুমে অবস্থান করেছিলাম যেহেতু দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসিলাম একটু ক্লান্ত লাগছিল। তারা গোসল করে এসে আরও কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে অবস্থান করি। ঘন্টাখানেক পরে আমরা সবাই খাওয়া-দাওয়া করতে চলে যাই। এভাবেই কেটে গেল আমাদের খুব সুন্দর সময়। আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত শেয়ার করব কোথায় কোথায় ঘুরে ছিলাম। আসলে তেমন একটা ঘুরাঘুরি হয়নি। রয়েল টিউলি এরিয়ার ভিতরে ঘোরাঘুরির চেষ্টা করেছি। যেহেতু ওদের বাবার ট্রেনিং ছিল তাদেরকে নিয়ে বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। আর আমিও বেশি দূরে যেতে পারি নাই তাই কাছাকাছি যে জায়গা গুলো আছে তাদেরকে সেই জায়গাতে ঘুরাঘুরি করছিলাম।
টিউলিপের আরেকটি প্রজেক্ট হচ্ছে ওয়াটার পার্ক। তারা ওয়াটার পার্কে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি অস্থির ছিল। তবে আমি অসুস্থ তাই তাদেরকে ওয়াটার পার্কে নিয়ে যায়নি সেই দিন। যেহেতু ওয়াটার পার্ক অনেক বড় একটি জায়গা সেখানে গেলে অন্তত একটা দিন সেখানে চলে যাবে। তাই টিকেট কেটে তাদেরকে সেখানে স্বল্প সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া মানে একদম বোরকা আমি মনে করেছিলাম। তখন তাদেরকে বুঝিয়ে বললাম শুক্রবারে দিন তোমাদেরকে সেখানে অবশ্যই নিয়ে যাব। তারাও রাজি হয়ে গেল যেহেতু ওয়াটার পার্কে গেলে খুব সহজেই বের হওয়া যায় না অনেক বড় একটি জায়গা বেশ ভালো লাগে। তো আমাদের ছোট ভাই সরওয়ার মেয়েদেরকে এমনিতে ওয়াটার পার্কে নিয়ে ঘুরিয়ে আনছিল। যেহেতু রয়েল টিউলিপের ভিতর দিয়ে ওয়াটার পার্কে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে।
তারা সেখান থেকে ঘুরে এসে অনেক খুশি লাগল তাদের দেখে। এভাবে ব্যস্ততার মধ্যে একটা দিন চলে গেছিল। সন্ধ্যা বেলায় আমরা আবার ঘরে ফিরেছিলাম। যতটুকু পেরেছি সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। আমি আপনাদেরকে সেই সুন্দর মুহূর্ত বিস্তারিত শেয়ার করব। আজকে এই পর্যন্ত বন্ধুরা সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন আজকে এখানে সমাপ্তি করছি আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/nahar_hera/status/1841436206204142015?t=CG3rMWIY7yVT7abjwpMvhg&s=19
অনেক সুন্দর একটি স্থান ঘুরতে গিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে। যেখানে অচেনা অচেনা একটা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেলাম। এই কারণে আমি ভ্রমণ জাতীয় পোস্টগুলো বেশি পছন্দ করে থাকি। কারণ এখান থেকে বিভিন্ন কিছু দেখার সুযোগ মেলে এবং অনেক কিছু জানা যায়।
শুনে অনেক ভালো লাগলো যেহেতু আপনারও দেখার সুযোগ হয়ে গেল।
আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।সত্যি বাচ্চারা বন্ধু-বান্ধব পেলে আর কিছুই লাগে না। জায়গাটা ও অনেক সুন্দর। বেশ ভালো মজা করেছেন।সামনে হয়তো আরও অনেক কিছু দেখতে পাব।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যদিও আমি অসুস্থ আপু বাচ্চাদের জন্য বাধ্য হয়ে যেতে হল।
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। বেশি ভালো লাগলো বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন জেনে। জানিনা কখনো এ সমস্ত জায়গায় ভ্রমন করতে যেতে পারবো কিনা তবে আপনাদের পোস্ট গুলো দেখে অনেকটা ধারণা পায়।
দোয়া করি আপু একদিন যেন পরিবারের সবাই নিয়ে ঘুরতে আসতে পারেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হঠাৎ ইনানী রয়েল টিউলিপে ঘুরতে গিয়ে অনুভূতি সহ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর আমরাও রয়েল টিউলিপ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। পরিবেশটা সত্যিই অনেক সুন্দর। জাষ্ট অসাধারন। ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে যতবার যাই না কেন বারবার যেতে মন চাই অনেক সুন্দর একটি জায়গা।
খুবই সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন আপনি৷ এখানে আপনি ঘোরাঘুরি করার মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু বিষয়কে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একের পর এক ফটোগ্রাফিগুলো যেরকম সুন্দর হয়েছে, বর্ণনার মাধ্যমে সবকিছু আপনি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
জায়গাটি ফটোগ্রাফিতে যত সুন্দর তার চেয়ে আর দ্বিগুণ সুন্দর বাস্তবে।