সবাই কেমন আছেন??
আশা করি সকলেই ভাল আছেন?আজকের ব্লগিংএর শুরুতে সবাইকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। |
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নতুন একটি রেসিপি।আপনারা জানেন আমি কক্সবাজারে বসবাস করি।সেই সুবাদে সামুদ্রিক মাছ একটু বেশি খাওয়ার সুযোগ হয়।ছোটবেলা থেকেই সামুদ্রিক মাছ বেশি পছন্দ করি আমি।অজ আমি একটি সামুদ্রিক মাছের রেসিপি শেয়ার করব।সামুদ্রিক বাইলা মাছ বেগুন এবং টমেটো দিয়ে রান্না করেছি।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল সামুদ্রিক বাইলা মাছ।এখন যেহেতু শীতকাল যে কোনো মাছ শীতকালীন সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।আমি সামুদ্রিক বাইলা মাছ রান্না করেছি বেগুন টমেটো দিয়ে খেতে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য।
সামুদ্রিক বাইলা মাছ বড় আকারের মাছ গুলোর চেয়ে ছোট গুলো খেতে খুব মজা হয়।ছোট সাইজের গুলো যদি টমেটো দিয়ে চচ্চড়ি করে রান্না করা হয় খেতে দারুন হয়।তাহলে চলুন বন্ধুরা আমি কিভাবে সামুদ্রিক বাইলা মাছ টমেটো বেগুন দিয়ে রান্না করেছি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করে নিব।
আমি রেসিপিটি কিভাবে রান্না করেছি তাহলে চলুন দেখে আসি--- |
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
সামুদ্রিক বাইলা মাছ- ৪০০ গ্রাম।
বেগুন মাঝারি সাইজের- ১ টি।
টমেটো- ১ টি।
লাল মরিচ পেস্ট -৩ চামচ।
পেঁয়াজ - দুইটি।
রসুন -৩/৪ কোয়া।
ধনিয়ার গুঁড়া -১ চামচ।
জিরার গুঁড়া -হাফ চামচ।
হলুদের গুঁড়া -১ চামচের কম।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
ধনে পাতা কুচি-স্বাদমতো
উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়েছি।
রান্নার ধাপ সমূহঃ
রন্ধন পর্ব-১
প্রথমে আমি মাছ গুলোকে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর অন্যান্য উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিয়েছি।এখন আমি সরাসরি চলে যাব রান্নার ধাপে।রন্নার জন্য প্রথমে আমি একটি পাত্র চুলায় বাসায় দিয়েছি।রানার পাত্রটি গরম হয়ে আসলে তাতে আমি পরিমাণ মত তেল দিয়েছি।তেল গরম হয়ে আসলে সেখানে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন দিয়েছি।রসুন পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে।
রন্ধন পর্ব-২
এখন পেঁয়াজ ও রসুন প্রায় ভেজে নেওয়া হয়ে আসলে সাথে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে দিব।যেমনঃ লাল মরিচের পেস্ট, হলুদ গুঁড়া, জিরে গুঁড়া এবং ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে কিছক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।এখন সব উপকরণ গুলোকে ভালো মতো মিক্স করে প্রয়োজন মত পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।সিদ্ধ হয়ে আসলে তাতে মাছ দিয়ে দিবো ।
রন্ধন পর্ব-৩
সব উপকরণ সমূহকে এক সাথে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নেওয়া হয়ে গেলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিব।সাথে দিবো বেগুন এবং টমেটো।এখন সবজি আর মাছ মিক্স করে কিছক্ষণ সিদ্ধ করে নিতে হবে।সিদ্ধ করে নেওয়ার পর পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে দিতে হবে।পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
রন্ধন পর্ব-৪
এখন দিয়ে দেবো পরিমাণ মতো লবণ।পরিমাণমতো লবণ দিয়ে আবার কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিব।
রন্ধন পর্ব-৫
এ পর্যায়ে এসে আমার আজকের তৈরি করা বেগুন টমেটো দিয়ে সামুদ্রিক বাইলা মাছের ঝোল সিদ্ধ করা শেষ।এখন কুচি করে রাখা ধনে পাতা দিয়ে চুলা বন্ধ করে পাত্রটি নামায় ফেলব।তরকারি গুলো ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দেবো।এই ধাপে এসে আজকের বেগুন টমেটো দিয়ে সামুদ্রিক বাইলা মাছের ঝোল রান্না করা শেষ এখন পরিবেশনের পালা।
পরিবেশনা
যখন ঠান্ডা হয়ে আসে তখন আমি একটা বাটিতে করে পরিবেশনের জন্য নিয়ে নিছি।আমার আজকের তৈরি করা বেগুন টমেটো দিয়ে সামুদ্রিক বাইলা মাছের ঝোল দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে তেমনি খেতে ও অসাধারণ ছিল।
আশা করি আমার আজকের রান্না করা বেগুন টমেটো দিয়ে সামুদ্রিক বাইলা মাছের ঝোল রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
শ্রেণী | রেসিপি |
স্থান | নিজ বাসা কক্সবাজার |
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।আজ আমি এখানে আমার লেখা শেষ করতেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু আপনি কক্সবাজারে থাকেন তাই সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এতো সুন্দর করে বাইলা মাছ শীতের সবজি দিয়ে রান্না করেছেন। যা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে চলে আসেন আপু আপনাকে খুব সুন্দর করে ফ্রেশ মাছ রান্না করে খাওয়াবো।
যেহেতু আপনি সমুদ্র এলাকার মানুষ তাই সামুদ্রিক মাছ খাবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনার মাছের তরকারিটি খুবই লোভনীয় লাগছে। আসলে আমাদের সমুদ্রের শুটকি মাছ ছাড়া কোন মাছ খাওয়া এখনো ভাগ্যে জোটেনি। তবে ইচ্ছা আছে কক্সবাজার গিয়ে তাজা মাছ খাওয়ার। খুবই সুন্দর ছিল আপু রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু কক্সবাজারে আসলে তাজা মাছ খাওয়াবো এবং তাজা মাছ সাথে যাওয়ার সময় প্যাকেটিং করে দেবো আফসোস করিয়েন না।
আপু আপনি কক্সবাজারে থাকার সুবাদে বেশ ভালই সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এ ধরনের মাছগুলো আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না। এত বড় বেলে মাছ এর আগে আমি কখনো দেখিনি ।আমাদের এদিকে পাওয়া যায় সব ছোট ছোট বেলে মাছ যেগুলো চচ্চড়ি করে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।এই মাছ এমনিতেই বেশ ভালই লাগে আর সুন্দর করে রান্না করার জন্য মাছটি খেতে মনে হয় আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলছেন আপু এখানে আকারে অনেক বড় সাইজের বেলে মাছ পাওয়া যায় যা খেতে অনেক ভালো লাগে।
রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।আপনারা রান্না করার পদ্ধতিটাও আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে । সবগুলো মসলার সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে আপনি ব্যবহার করেছেন। এভাবেআমার কাছে খুব ভালোই লাগে।
ঠিক বলছেন আপু সব মসলা এক সাথে মিক্স করে পেস্ট বানিয়ে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে।
আপনার বাইলা মাছের রেসিপিটি দেখতে বেশ আকর্ষনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। আর শীত কালে টমেটো ও ধনেপাতা ব্যবহারের কারনে সব রেসিপি খেতে দারুন লাগে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধনেপাতা আর টমেটো দিলে তরকারির স্বাদ অনেকগুণে বাড়িয়ে দেয়।বেশ ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য।
সামুদ্রিক মাছ গুলো খেতে যেমনই হোন না কেন কিন্তু সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপু আপনি বেগুন টমেটো দিয়ে বাইলা মাছের ঝোল রেসিপি টি খুবই সুন্দর করে তৈরি করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে আশাকরি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে?রেসিপি টি খুবই লোভনীয় হয়েছে।সুন্দর করে রেসিপির পদ্ধতি গুলো উপস্থাপন করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপু অনেক মজা হয়েছিল খেতে আপনাকেও দাওয়াত দিলাম চলে আসেন।
আপনার বাসা কক্সবাজারে এজন্য আপনি সামুদ্রিক মাছ প্রায় সময় খেয়ে থাকেন আপু। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা খুব কম সময় সামুদ্রিক মাছ পাই। সামুদ্রিক মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। বেগুন টমেটো দিয়ে সুস্বাদু মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপু আমি সামুদ্রিক মাছ ছাড়া অন্য মাছ খেতে পারি না আমার অন্য মাছ খেতে ভালো লাগে না।
সামুদ্রিক বাইলা মাছ ভীষণ স্বাদের এবং মাছটি পুষ্টিকর বটে। বেগুন এবং টমেটো দিয়ে লোভনীয় স্বাদের তরকারি রান্না করেছেন আপু। সবথেকে বড় বিষয় ভীষণ সুন্দর পরিপাটি পরিবেশন ছিল আপনার পোস্টে।
অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া অনেক সুন্দর করে সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এই মাছ কিন্তু আমি চিনি আর খেয়েওছি।খুব ভালো লাগে।আমার চেয়ে আমার বাবার বেশি ফেভারিট।তবে আমাদের এদিকে খুব বেশি বড় সাইজের পাওয়া যায়না।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটা আপু।শুভ কামনা রইলো।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে অনেক মজার হয় এবং সাইজেও অনেক বড় আকারের পাওয়া যায় মাছগুলো এখানে।
সামুদ্রিক বাইলা মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। তবে নদীর বাইলা মাছ খেয়েছি অনেক। আপনি যেহেতু সমুদ্রের কাছাকাছি থাকেন তাই তো খুব সহজেই সামুদ্রিক মাছগুলো পেয়ে যান। মনে হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ খেতেও বেশ ভালো লাগে। আর শীতকালে টমেটো দিয়ে কিংবা সবজি দিয়ে মাছ রান্না করে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। শীতকালে মাছ কিংবা সবজি সবকিছুর স্বাদ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার অভ্যাস এত খারাপ হয়ে গেছে যে সামুদ্রিক মাছ খেতে খেতে আমি পুকুরের মাছ কিংবা নদীর মাছ খেতে পারি না।