রেসিপি-"চিংড়ি, চাউলের গুঁড়া দিয়ে সজিনা/সজনে পাতার রান্না"
১৯ অক্টোবার- ২০২২ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ- বুধবার
সবাইকে শুরুতে অভিনন্দন।
উপকরণসমূহ শেয়ার করলামঃ-
সজিনা/সজনে পাতা- ১৫০ গ্রাম।
চিংড়ি মাছ- ৮/১০ টি।
পেঁয়াজ কুচি- ২ টি।
রসুন কুচি- ৮/১০ কোয়া।
কাঁচা মরিচ ফালি- ৮/১০ টি।
ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, হলুদ গুঁঁড়া অল্প করে।
চালের গুঁড়া- ২ চামচ।
তেল- পরিমাণ মতো।
লবণ- স্বাদমতো।
উপকরণের পরিমাণ সমূহ পরিমাণমতো নিয়ে দেখালাম:
রান্নার প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-এক
✅প্রথমে আমি সজিনা/সজনে পাতা গুলোকে সজিনার/সজনে পাতার বড় বড় ডাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছি।এরপর ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে যাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।ততক্ষণে আমি অন্যান্য উপকরণ গুলো রেডি করে নিলাম।
ধাপ-দুই
✅ অন্যান্য উপকরণ সমূহ রেডি করে নেওয়ার পর আমি রান্নার জন্য ফ্রাই প্যান চুলায় বসায় দিয়ে চুলার জাল মিডিয়াম আঁচে রেখে দিলাম।যখন ফ্রাই প্যান গরম হয়ে আসে তখন আমি পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-তিন
✅তেল গরম হয়ে আসলে তাতে নিয়ে রাখা সব উপকরণ একে একে দিয়ে দিলাম।প্রথমে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ ফালি এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম।সব উপকরণ ভাল করে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিলাম।সব উপকরণ ভাজা হয়ে গেলে তাতে আমি অল্প করে হলুদ, জিরে গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, চাউলের গুঁড়া দিয়ে দিলাম।হালকা পানি দিয়ে সব উপকরণ কে আমি সিদ্ধ করে নিয়ে নিছি।সব মসলার সাথে লবণ মিক্স করা ছিল তাই আলাদা ভাবে আমি লবণ দিই নাই।সেই সাথে আমি দুই চামচ চালের গুঁড়া ও অ্যাড করেছি। ভাল করে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিলাম।
ধাপ-চার
✅সিদ্ধ করা হইয়ে আসলে সজিনা/সজনে পাতা গুলো দিয়ে দিলাম।ভাল করে নেড়ে চেড়ে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করতে থাকবো। যখন সজিনা/সজনে পাতা আর অন্যান্য মসলা গুলো মিক্স হয়ে সিদ্ধ হয়ে টানটান হয়ে আসবে তখন আমি চুলা বন্ধ করে দিলাম।কিছুক্ষণ ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিলাম।
শেষ-ধাপ
✅এখন আমি একটা বাটিতে পরিবেশনের জন্য নিয়ে দেখালাম।দেখেন আমার রেসিপি টা দেখতে কেমন হয়েছে।আমার অনেক ভাল লেগেছে রেসিপির স্বাদ।আশা করি আপনাদের আমার আজকের সজিনা/সজনে পাতার রেসিপি টা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনারা সবাইকে সময় দিয়ে আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।আপনাদের যদি আমার রেসিপিটি নতুন মনে হয়ে থাকে, তাহলে আমার রেসিপিটি আপনারা দেখে বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন এভাবে।নিশ্চয়ই খেতে অনেক ভালো লাগবে।
ক্যামেরার বিস্তারি তথ্য বর্ণনা দেওয়া হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
ধন্যবাদান্তে-@samhunnahar
সামশুন নাহার হিরা
কক্সবাজার-বাংলাদেশ
আমার বাংলা ব্লগ
সজনের ডাল খেয়েছি, খুব মজার হয় কিন্তু সজনে পাতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাইনি। আপিনি সজনে পাতার ভর্তার কথাও বলেছেন, এটাও বাসায় ট্রাই করে দেখতে হবে। আপিনি চিংড়ি, চাউলের গুঁড়া দিয়ে সজনে পাতার খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। শুরুতে চিংড়ি ভেজে তার মধ্যে চাউলের গুড়াসহ মসলা দিয়েছেন। তারপর পানি দিয়ে সিদ্ধ করে তার মধ্যে সজনে পাতা দিয়ে সুন্দর তরকারি রান্না করেছেন। রান্নার পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণ মন্তব্য আপনার।এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়লে আসলেই কাজের মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
এই ধরনের রেসিপি আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছ এবং চাউলের গুড়ার সাথে সজিনা পাতার ঝোল ঝোল রেসিপি সত্যিই এটা আমি প্রথম দেখলাম অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি তৈরি।
হুম ভাইয়া খেতে মজার ছিল।খেয়ে দেখবেন ভাল লাগবে আশা করি।
আপু আপনার চিংড়ি, চাউলের গুঁড়া দিয়ে সজিনা সজনে পাতার রান্না রেসিপিটি ইউনিক ছিল। আসলে এধরণের রেসিপি আমি খায়নি বলেই চলে। তবে আপনি ঠিক বলেছেন সজিনা পাতার ভর্তা অনেক ভালো লাগে।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালার টা দারুণ ছিল।
অনেক সুস্বাদু ছিল আপু।রেসিপি টা দেখে তৈরি করে খেয়ে নিতে পারেন।ধন্যবাদ আপু
চিংড়ি চাউলের গুড়া দিয়ে সজনা পাতার ঝোল রেসিপি টা দেখে খুব আকর্ষণীয় লাগছে। কিন্তু এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রান্নার ধরনটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আর এত সুন্দর একটা রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া ভাল লেগেছে জানতে পেরে অনেক খুশি হয়েছি।ধন্যবাদ।
এই রেসিপি আমি আগে কোথাও দেখি নি আমাদের উত্তরবঙ্গে।একদম অনন্য একটি রেসিপি।অবশ্যই নিজে ট্রাই করে দেখব,আত্মীয় স্বজন কেও বানিয়ে খাওয়াব।ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভাল লাগলো ভাইয়া। আশা করে খেতে ভাল লাগবে।ধন্যবাদ।
আপু আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে একদম নতুন একটি খাবারের সন্ধান পেলাম। আমি এর আগে কখনো চিংড়ি, চাউলের গুড়া দিয়ে সজনে পাতা রান্না করা যায় তাই জানতাম না। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি খাবার দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। নিত্য নতুন রেসিপি দেখতে এবং সেই রান্না শিখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তাই একদিন বাসায় এই নতুন রেসিপিটি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। একদম ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর লেখনী ভাইয়া আপনার।সাবলীল ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে আমাকে সহযোগিতা করেছেন।ধন্যবাদ।
সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সজনে পাতা অথবা চাউলের গুড়া দিয়ে কখনো রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি এই প্রথমবার আপনাকে প্রস্তুত করতে দেখলাম।।
তবে চিংড়ি মাছ আমার খুবই ফেভারেট যে কোনভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক ভালো লাগে আপনার রেসিপিটি দেখতেও খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
হুম,চিংড়ি মাছ দেওয়াতে স্বাদ আরো বেড়ে যায় ভাইয়া।
আপু আপনি খুব সুন্দর করে চিংড়ি, চাউলের গুঁড়া দিয়ে সজিনা/সজনে পাতার রান্না"করেছেন।এমন রেসিপি আমি এই প্রথম বার দেখলাম। আমার কাছে আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি তার জন্য এর স্বাদ কেমন হবে না বুঝতে পারছি না। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি এর আগে কখুনো এমন রেসিপি দেখি নি।তবে সজিনা পাতা ভাজা খেয়েছিলাম অনেক সুন্দর ছিল।আজকে আপনার এই নতুন রেসিপি দেখে ভাল লাগলো ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
তাহলে আমার রেসিপি দেখেই রান্না করে খেতে পারেন।মসলার পরিমাণ একটু কমায় দিবেন।ধন্যবাদ।
সাজিনা পাতার তরকারি কখন খাইনি আপু। তবে আপনার করা চিংড়ি, চাউলের গুঁড়া দিয়ে সজিনা পাতার রান্না"রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমার তো মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে। আপনার ধাপ গুলো খুবই সুন্দর ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হুম ভাইয়া খেতে খারাপ হয়নি।অনেক ভাল ছিলো রান্না।আপনি একবার খেয়ে দেখতে পারেন রেসিপি তৈরি করে।ধন্যবাদ।