ভাসা তেলে ভাজা পোয়া পিঠা তৈরীর রেসিপি।
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগবাসীরা
সবাইকে বিকেলের শুভেচ্ছা।
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাউল | ২৫০ গ্রাম |
ময়দা | এক বাটি থেকে কম |
নারকেল | পছন্দমত |
আঁখের চিনি | পছন্দমত |
ইস্ট | অল্প পরিমাণ |
ভ্যানিলা এসেন্স | সামান্য |
পাউডার দুধ | ৫০ গ্রাম |
বেকিং সোডা | সামান্য |
লবণ | স্বাদমত |
তেল | পিঠা ভাজার জন্য |
ভাসা তেলে ভাজা পোয়া পিঠা তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রন্ধন প্রণালী-১
প্রথমে চাউল গুলো নিয়ে একটা গাবলার মধ্যে ঘন্টা খানেক ভিজিয়ে রেখেছি। ভেজা হয়ে গেলে চাউল গুলো ভালোমতো ধুয়ে নিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে করে পেস্ট বানিয়ে নিয়েছি। ব্লেন্ডার করে পেস্ট বানিয়ে একটা গাবলাতে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী- ২
এখন অন্যান্য উপকরণ ময়দা, চিনি, গুঁড়া দুধ, ইস্ট, বেকিং সোডা, স্বাদমতো লবণ, নারকেল কোরা, ভ্যানিলা এসেন্স সবগুলা উপকরণ দিয়ে দিলাম।
রন্ধন প্রণালী-৩
এখন সব উপকরণ সমূহকে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী একটা ডো তৈরি করে নিতে হবে। পাতলা ডো তৈরি করে নিয়ে ত্রিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টার জন্য রেস্টে রেখে দিতে হবে।
রন্ধন প্রণালী-৪
একটি কড়াই এর মধ্যে প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে চুলায় বসায় দিয়েছি তেল গরম হয়ে আসার জন্য। তেল গরম হয়ে আসলে সেখানে একটি চামচ দেব চামচ টি গরম হওয়ার জন্য। চামচ গরম হয়ে আসলে অন্য একটি চামচের সাহায্যে সেখানে পাতলা ডোর ছেড়ে দিব পরিমাণ মতো।
রন্ধন প্রণালী-৫
ডো দিয়ে চামচ টিকে তেলের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপিয়ে রাখবো। কিছুক্ষণের জন্য চামচটিকে তেলের মধ্যে চুপিয়ে রাখলে পিঠা যখন চামচ থেকে আলাদা হয়ে যাবে তখন তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে করলে পিঠার সেডো অনেক সুন্দর হয় গোলাকৃত্রির। তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। আমি একদম কড়া করে ভেজে নিয়েছি। এমন পিঠা মুচমুচে খেতে ভাল লাগে। এভাবে সব পিঠা ভেজে নিয়েছি এক এক করে।
পরিবেশনা
পিঠা যেহেতু তৈরি করে নিয়েছি এবার পরিবেশনের পালা। এভাবে ভাসা তেলে পোয়া পিঠা খেতে অনেক ইচ্ছে করছিল। তাই তৈরি করে নিয়েছি ভাসা তেলে ভাজা পোয়া পিঠা। ইস্ট দেওয়ার কারণে পিঠা একদম মুচমুচে ও ভিতরে নরম হয়েছিল।
আমার তো অনেক ভালো লেগেছিল খেতে। প্রায় সময় দেখি এভাবে পোয়া পিঠা তৈরি করেন সবাই অনেক খেতে ইচ্ছে করে। এই উপকরণগুলো দিয়ে আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন এভাবে খেতে অনেক ভালো লাগে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে। আজ আমি এখানে আমার লেখা শেষ করতেছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন। |
---|
আমাদের এখানে এই পিঠাকে তেলের পিঠা বলা হয়। তেলের পিঠা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনার রেসিপিটা চমৎকার হয়েছে আপু। তেলের পিঠা আমার খুবই পছন্দ। বিকেলের নাস্তায় তেলের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাসায় দাওয়াত দিলাম চলে আসেন ভাইয়া পিঠা আবার তৈরি করে নিবো।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2dtgbw
বিকেল বেলার পারফেক্ট একটি নাস্তা বানিয়েছেন ভাসা তেলে পোয়া পিঠা। আমি মনে করি বিকেল বেলায় এই পিঠা নাস্তার সময় যদি বানানো হয় তখন অনেক বেশি মজা লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার ভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
দারুন একটি পিঠা তৈরি করেছিলাম আপু সেই দিন তবে আবার তৈরি করব সময় হলে চলে আসবেন।
বিকেলে নাস্তার জন্য তেলের পিঠা আমার খুবই পছন্দের। খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন পোয় পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু বিকেল বেলায় চায়ের সাথে পারফেক্ট একটি নাস্তা বলতে হয়।
তেলের উপরে ভাসিয়ে ভাসিয়ে খুব চমৎকারভাবে পোয়া পিঠা তৈরি করেছেন, যেটি দেখতেও খুব চমৎকার লাগছে, আশা করছি খেতে তো অবশ্যই সুস্বাদু হয়েছে। তবে বানানোর আগে নক দিতে পারতেন, তাহলে চলে আসতাম খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
খেতে কিন্তু সেই রকম মজার ছিল ভাইয়া আপনি যদি তৈরি করেন তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা খেতে মজার হয়।
আপনি যে পিঠাকে পোয়া পিঠা বলছেন এই পিঠাকে আমরা পাকান পিঠা বলে থাকি। তৈরীর পদ্ধতি একই, তেল ময়দা এবং চিনি অথবা গুড় দিয়ে মিশ্রণ করে এই পিঠা তৈরি করে থাকি। শুধু এলাকা ভিত্তিক এর নাম ভিন্ন। তবে এই পিঠা আমার খুব প্রিয়। তবে একাই মজা করে খাবেন এটা কিন্তু ঠিক হবে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পোয়া পিঠা তৈরিতে আমাদেরকে দেখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমরা যে পাকন পিঠা তৈরি করি সেটার ডো অনেক শক্ত থাকে কিন্তু এরকম পাতলা হয় না। তবে শুনে অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের এলাকার পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
আপনি তো আজকে একেবারে মজাদার পিঠা তৈরি করলেন। আমার তো এমনিতেই পোয়া পিঠা খেতে অনেক। অনেকদিন হয়ে গেল পোয়াপিঠা খাওয়া হয়নি। কিন্তু আজকে আপনি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করলেন দেখে খুব খিদে পেয়ে গেল। একেবারে আমার মজাদার প্রিয় খাবারটা তৈরি করলেন। অনেক সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি ধাপ উপস্থাপনা করলেন।
খিদা যখন লেগে গেছে আপু তাহলে চলে আসেন আপনার জন্য আবার তৈরি করব মজার খাবারটি।
অনেক সুস্বাদু পোয়া পিঠা রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ঠিকই বলেছেন শীতকালে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠা খাওয়া হয় কিন্তু সব সময়ও কিছু পিঠা খাওয়া যায় তার মধ্যে পোয়া পিঠা একটা। আমার আম্মু বিকেলবেলা প্রায় মাঝেমধ্যে নাস্তা বানিয়ে থাকে আমার কাছেও খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি তো পিঠায় ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করেছেন খেতে নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আপনার তৈরি করার পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে ধাপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই ধরনের পিঠাগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে বিকালের নাস্তায় চা কিংবা কপির সাথে অসাধারণ।
আসলে আপু পিঠা খেতে শীতলাগে না, তবে কিছু কিছু পিঠা শীতে অনেক ভালো লাগে। পোয়া পিঠা গুলো অনেক মজার হয়ে থাকে। আপনি নারকেল দিয়েছেন তাহলে স্বাদ আরো বেড়ে গেছে। আমি ও কয়েক দিন আগে বানিয়েছিলাম অনেক মজা হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পিঠার মধ্যে বিভিন্ন উপকরণ দেওয়াতে ভিন্ন ধরনের একটি স্বাদ চলে আসছে খেতে অনেক ভালো লাগে।