ট্রাভেলিংঃ-রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে ঘোরাঘুরির পর্ব-১।
সবাইকে শুভরাত্রি,
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar. আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং নিয়ে যুক্ত আছি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার শহর থেকে। বন্ধুরা এতই ভালো লাগে সেটা হয়তো লিখে অনুভূতি প্রকাশ করে বোঝাতে পারবো না। কারণ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভালো লাগে নিজেকে একজন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভেরিফাইড ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ব্লগ গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারি। বন্ধুরা নিজের অনুভূতি গুলো যখন সবার মাঝে শেয়ার করতে পারি ভীষণ ভালো লাগার কাজ করে। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ট্রাভেলিং পোস্ট নিয়ে।
মানুষের জীবনে সীমিত হায়াত নিয়ে মানুষ বসবাস করে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে মানুষ অনেক কিছু করে থাকেন এই সংগ্রামী জীবনে। মানুষের জীবনটাই বলতে গেলে সংগ্রামের। এদিকে ছুটাছুটি ওদিকে কাজকর্ম সবদিকে ঝামেলার অনেক কিছু ঘটে যায় জীবনে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মানুষ সামান্য আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ চেষ্টা করে শত বিষন্নতার মাঝেও সেই বিষন্নতা গুলো দূর করতে। সে বিষন্নতা কাটিয়ে মানুষ পুরো উদ্দেমে আবারও একই কাজ করতে চেষ্টা করেন। কেউ চাকরি করেন। কেউ বিজনেস করেন আবার কেউ ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততার ফাঁকেও মানুষ আনন্দ খুঁজে পাওয়ার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই। এই সুন্দর প্রকৃতির মাঝে মানুষ খুঁজে বেড়াই নিজের আনন্দটুকু।
আমি মনে করি মানুষের একঘেয়েমি দূর করার জন্য এবং জীবনে সতেজতা ফিরে আনার জন্য প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো খুবই জরুরী। কারণ এর মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে শিখতে পারে। জীবনে যত ভ্রমণ হবে জীবনটা ততই আনন্দময় হবে। জীবনে তত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। জীবন হোক ভ্রমণময় আমি সেটাই মনে করি। যার জীবনে যত ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে যায় সে মানুষ তত বেশি জ্ঞানী। সে মানুষ তত বেশি শিখতে পারে বিভিন্ন কালচার কৃষ্টি সম্পর্কে। আজকে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি রাঙামাটির পলওয়েল পার্কের একটি মুহূর্ত।
যদিও দু-তিন দিনের জন্য গেছিলাম আমরা রাঙ্গামাটিতে। কিন্তু বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলাম। যখন বললো আমাদেরকে পলওয়েল পার্কে নিয়ে যাবে তখন একটু চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। রাঙ্গামাটিতে আবার পলওয়েল পার্ক সেটা কি রকম হবে সেই চিন্তা করে। প্রথমেই একটু আনইজি ফিল করছিলাম। যেহেতু সামনের ডিজাইন গুলো দেখে তেমন ভাল লাগেনি। কারণ আমার কাছে এত ভালো লাগেনি প্রবেশ পথ গুলো মনে হয়েছিল অনেক পুরাতন। বুঝতে পারিনি ভিতরে এত সুন্দর হবে পলওয়েল পার্ক। যতই প্রবেশ করছিলাম ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম পলওয়েল পার্কের ভিতর দেখে।
আমি তো মনে করছিলাম খুবই কম সংখ্যক লোকজন সেখানে রয়েছে। প্রবেশপথে একদম মানুষের আনাগোনা ছিল না। কিন্তু ভিতরে এত ভিড় ছিল বড় একটি এরিয়া আমি তো ভাবতেও পারি নাই। আবার এখানে বিভিন্ন ধরনের আইটেম রাখা হয়েছে বিনোদনের। এখানে আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ার হোটেল ভালো ভালো মানের রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও গোসলের ব্যবস্থা। বিকেল বেলায় সময় কাটানোর বেশ সুন্দর একটি জায়গা। লেকের মধ্যে ভ্রমন করা। বিভিন্ন ধরনের খেলার আইটেম ছিল। ফুলের বাগান ছিল খুব সুন্দর। খুব সুন্দর ঝুলন্ত ব্রিজ ছিল। বলতে গেলে এই পলওয়েল পার্ক টা হচ্ছে মিনি রাঙ্গামাটি শহর আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।
যেহেতু পলওয়লে পার্ক থেকে বের হয়ে আরেকটি জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। তো চিন্তা করছিলাম সেদিনই রাঙ্গামাটিতে থেকে যাব। কারণ আমার কাছে পলওয়েল পার্কের ভিতর দৃশ্য গুলো এতই ভালো লাগছিল আমার বের হতে ইচ্ছে করছিল না। যদিও বাকি জনেরা অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করছিলেন। অবশ্যই আমি ওনাদের কাছে একটু রাগারাগি করেছিলাম। কারণ এত সুন্দর একটি জায়গা একটু সময় দিয়ে দেখব সেই সুযোগটা দিল না। কারণ আমি মনে করছিলাম এখানে একটা দিন শেষ করে দেওয়ার। কারণ এত সুন্দর একটি জায়গা এত সুন্দর কিছু অপশন ছিল। এখানে সত্যিই দেখে শেষ করা যাচ্ছিল না সামান্য সময়ের মধ্যে। বিশেষ করে যেকোন পার্কে বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয়।
বাচ্চারা খেলাধুলা পেয়ে তো সেই খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত। তাই একটু ঘোরাঘুরি করতে সমস্যা হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও হাঁটার মধ্যে যে দৃশ্যগুলো দেখছিলাম সেগুলোই আমি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। আমার কাছে এতই ভালো লাগছিল এতই ভালো লাগছিল আমি বলে বোঝাতে পারবো না। চেষ্টা করব আমি বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করার। কারণ এত সুন্দর একটি জায়গা এত বড় পরিসরে তৈরি করা একটি পার্ক। এখানে বিভিন্ন আইটেম গুলো আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করছিল। তাই আমি খুব দ্রুত যতটুকু পারি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
সেগুলো আমি আপনাদেরকে দুই একটি ব্লগের মাধ্যমে আশা করি শেয়ার করতে পারব। আজকে এইখানে শেষ করবো আর কিছু বলবো না আজকে। অনেক কথাই বলে ফেলেছি পলওয়েল পার্কের প্রশংসা নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা এখানে সমাপ্তি করছি। পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে আরও কিছু দৃশ্য দেখাবো। আজকে আপনাদের সাথে মাত্র দেখালাম রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের সূচনা পর্ব। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্ক |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
গত বছর আমরা যখন বাইক ট্যুর দিয়েছিলাম রাঙ্গামাটিতে। তখন পলওয়েল পার্কে গিয়েছিলাম। বাহির থেকে তেমন ভালো না লাগলেও ভিতরের পরিবেশটা বেশ সুন্দর ছিল। বিশেষ করে লেকের পাশের দিকের পরিবেশ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। পলওয়েল পার্ক থেকে কাপ্তাই লেক খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। আপনি পলওয়েল পার্কে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুনে ভালো লেগেছে ভাইয়া যেহেতু পলওয়েল পার্কে আপনি গিয়েছিলেন। বাইরের দিক থেকে তেমন ভালো লাগে না কিন্তু ভিতরে খুব সুন্দর।
আসলেই আপু মানুষ আনন্দ খুঁজে পাওয়ার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়।আর প্রাকৃতির মাঝে অনেক বেশিই আনন্দ খুজে পাওয়া যায়।আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে, আর সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।যাইহোক মাঝে মাঝে ব্যস্ততার মাঝেও মনের শান্তির জন্য হলেও এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো দরকার। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মনের প্রশান্তি খোঁজার জন্য ভ্রমণ করাই যথেষ্ট মনে করি আমি ভাইয়া।
খুব সুন্দর একটি পার্কে ঘোরাঘুরি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার আজকের এই অসাধারণ পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। প্রত্যেকটা ফটো ছিল দেখার মতো পাশাপাশি আপনার সুন্দর বর্ণনা করে বেশ ভালো লেগেছে। আমার নতুন একটি স্থান সম্পর্কে ধারণাও পেয়ে গেলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া পোস্টটি পুরো পড়ার জন্য।
পলওয়েল পার্ক টা দেখতে বেশ সুন্দর। পার্কে গেলে লেকে সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যায়। আপনি পোস্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্ট ভিজিট করলেন।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1770232060361449859?t=fkWpuImBO5Dlz9Zig7vt7A&s=19
বাংলাদেশের অত্যন্ত সৌন্দর্যময় জায়গা গুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সেখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস রয়েছে৷ আজকে আপনি পলওয়েল পার্কে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অবশ্যই সময় পেলে এই সুন্দর জায়গাটি ভ্রমণ করে আসার চেষ্টা করব৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
বেশ সুন্দর জায়গা ভাইয়া আসলে না গেলে বোঝা যায় না দূর থেকেই অনেক ধন্যবাদ।
রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্বটা পড়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই সুন্দর পার্কে গিয়ে দেখছি ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের ভেতরের দৃশ্য দেখে তো আমার কাছেও মনে হচ্ছে মিনি রাঙ্গামাটি। ঢোকার সময় প্রথমে যদিও আপনার কাছে অন্যরকম লেগেছিল, কিন্তু ঢোকার পরে সকল চিন্তাভাবনাই দূর হয়ে গিয়েছিল। কারণ ভিতরে অনেক মানুষ ছিল বুঝতে পারতেছি। আর জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। তাই তো সবার সাথে রাগারাগি করেছিলেন কম সময়ের জন্য ঘুরাঘুরি করতেছে দেখে। রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে ঘুরাঘুরি করার দ্বিতীয় পর্ব আশা করছি তাড়াতাড়ি দেখব।
একদম আপু জায়গাটি এত সুন্দর ছিল কম সময় দেওয়ার কারণে রাগ করেছিলাম হি হি হি।
আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের সৌন্দর্য দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কখনো যদি রাঙ্গামাটি যাওয়া হয়, তাহলে আমিও অবশ্যই রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে যাওয়ার চেষ্টা করব। ভেতরে জায়গাটার সৌন্দর্য অনেক বেশি দারুণ। এরকম পরিবেশের মাঝে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। এরকম জায়গায় একটু বেশি সময় নিয়ে ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। অল্প সময়ের জন্য যদি যাওয়া হয়, তাহলে ভালোভাবে পুরোটা উপভোগ করা যায় না বলে আমি মনে করি।
অবশ্যই ভাইয়া যেহেতু বাচ্চারা আছে যেয়ে ঘুরে আসবেন। ভালো লাগবে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে।
গত মাসে আমরা যখন রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমরাও পলওয়েল পার্কে গিয়েছিলাম। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমরা সেখানে যেতে যেতে সন্ধা হয়ে গেছিলো। যার ফলো ভালো ভাবে দেখতে পারি নাই। তবে আপনার ব্লগের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে দেখতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
আমরা ঠিক সকাল ১১/১২টার দিকে গিয়েছিলাম ভাইয়া। এতই ভালো লেগেছে ভিতরে দৃশ্যটা খুবই সুন্দর ছিল।