গ্রাম ও শহরকে নিয়ে লেখা By-@salmanabir| ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য |
আচ্ছালামুআলাইকুম,
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন ,আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি ।এই ছোট জীবনে অনেক জায়গায় ভ্রমন করে ফেলছি আলহামদুলিল্লাহ ।ভ্রমন করার মতো আমার সৌভাগ্য ছিল তাই পেরেছি।সে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা থেকেই আজকের এই ব্লগ। আজকে লিখব ঢাকা এবং গ্রামকে নিয়ে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনার ভালো লাগবে।
ঢাকা
আমি ঢাকা বেশিদিন হলো থাকি না এই তো মাত্র কয়েক মাস ঢাকা থাকতেছি ,তবে ঢাকা অনেকবার আসা যাওয়া হয়েছে ।যখন যাওয়া আসা করছি তখন অনেক ভালো লাগছে কিন্তু এখন থাকতে গিয়ে খারাপ লাগতেছে ।আবার সব সময় যে খারাপ লাগে ব্যাপারটা তেমন ও না ।কোন দিক থেকে খারাপ লাগে সেটা নিয়েই আগে বলি। মনে করুন আপনার বাসায় দশজন লোক থাকার মতো জায়গা আছে সেখানে যদি চৌদ্দজন হয়ে যায় তাহলে আপনার কাছে কেমন লাগবে,আশা করি খারাপ লাগার একটা কারন আমি বুঝাতে পারছি। সকালে অফিসে যাব সুন্দর করে গোসল দিলাম,ইন টাই পরে বাসা থেক স্মার্ট লুকে বেড়িয়ে গেলাম ।যাবো কিসে বাসে ,বাস আসল দাড়ানোর মতোও মধ্যে জায়গা নাই,ঘড়ির দিকে তাকালাম অনেক সময় আছে অফিসের।পরের বাসে যাব এই বাসে সেইম অবস্থা মেজাজ গরম হতে লাগল ।এই বাসে ও উঠা হলো না সময় তো আছেই ,এইবার বাস আসলো গেটে দাঁড়িয়ে জাবো তার জায়গা নাই।এটাইয় না উঠতে পারলে অফিসে দেরি হয়ে যাবে ,বাস থামালোই না। মেজাজ তো অনেক হাই হয়ে গেলো ,পকেটে প্রতিদিনের মতোই টাকা নিয়েই বের হইছি ।লাঞ্চ বিল এবং বাস ভাড়া ।অতিরিক্ত খরচ করার মত সুজোগ নাই যে বাইকে ,অথবা রিক্সায় করে যাবো ।পরে্র বাসে উঠে পরলাম দাঁড়িয়ে গেলেও যেতে হবে ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি ইন করা শার্ট ইন থেকে আউট হয়ে আসছে,কেননা আমি যে একটু শর্ট ।বাসের হাতুনী অথবা ধরনী থাকে উপরে অফিসে যেতে যেতে অবস্থা বারোটা বাজে শার্ট ভাজ হয়ে যায় ,কালো সু সাদা হয়ে যায়। আবার থাকে না বাসে ফ্যান উহ কি যে অসহ্য ।
ভালো লাগার মতো যেটা হলো,বাজার ঘাট ভালো স্কুল কলেজ হাসপাতাল সব হাতের কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবং অনেক মানুষের সাথে উঠাবসা করা যায় যেখান থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া যায়।
গ্রাম
যেহেতু গ্রামে আমার জন্ম তাই গ্রাম নিয়ে একটূ ভালোই লিখব ,গ্রাম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবিই কম পাওয়া যায় ।যদি বলা হত আপনার জীবিকার দায়িত্ব আমি নিয়ে নিলাম ,আপনি কোথায় থাকবেন ,যারা প্রকৃতি প্রেমি তারা বলত আমি সবুজ শ্যামলেই থাকতে চাই ।কেনো গ্রামে থাকবেন পাখির সুরালো কন্ঠে ঘুম ভাংগে শুধুই কি তাই, বাসার সামনে যে হাসনেহেনা ফুল গাছ লাগিয়েছি তার ঘ্রান কে নিবে।আমার বাসা যে একদম খালি মাঠের পাশে বৈশাখী বাতাস কে শরীরে লাগাবে। ফজরের নামাজ পড়ে এক্টু পায়েচারি করলে বুঝা যায় গ্রামের ফিল। মনে পরে গেল গ্রামের কথা ।তাই আর লিখলাম না আমি আবার বেশী আবেগী মানুষ ,বেশী খারাপ লাগলে এখনি কিনা ভো দৌড় দি।সর্বশেষ এটাই বলব যদি বাংলার রুপ দেখতে হয় তাহলে গ্রামে থাকো।
আজ আর লিখব না,আমার ভীষন মন খারাপ হয়ে আছে তাই এখানেই শেষ করছি।ইনশাআল্লাহ আবার দেখে হবে কথা হবে নতুন কোন ব্লগে ।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে এত পরিশ্রম করি কষ্ট করে উপার্জন করি সেটা একমাত্র জীবন ও জীবিকার জন্য। গ্রামে থাকলে হয়তো জীবনটা ভালোভবেই কেটে যায় কিন্তু জীবিকার জন্য অনেক লড়াই করতে হয়। আর তাই জীবিকার সন্ধানে আমাদের শহরমুখী হতে হয়। কিন্তু শহরের জীবন আমার কাছে একদম বোরিং লাগে যেমনটা আপনি বর্ণনা করলেন। আপনার মত আমারও গ্রামের সবুজ প্রকৃতি খোলা হওয়া খুব ভালো লাগে। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ
ভাইয়া একটা বিষয়ে আমি বরাবর খেয়াল করে আসলাম, এই রকম ব্লগ তৈরী করলে কেউ পড়তে চায় না তাই আর কেউ কমেন্ট ও করে না। সবাই হুটহাট করে কমেন্ট করে বেড়িয়ে পরে । আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।ধন্যবাদ
ভাই কি লিখলেন, এত সুন্দর বর্ণনা করে গ্রাম ও শহর কে নিয়ে লেখা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। আপনার প্রত্যেকটি কথাই খুবই যুক্তিযুক্ত। একদম বাস্তব জীবনকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।১০ জন লোকের থাকার জায়গায় যদি ১৪ জন লোক থাকতে হয় সেখানে কি বিবৃতকর অবস্থা তা বেশ বুঝতে পারছি। আবার অন্যদিকে বাসের অবস্থা দেখে অফিসে যেতে যেতে বারোটা বাজা সত্যিই খুবই অস্বস্তিকর অবস্থার তৈরি হয়ে যায়। অন্যদিকে সবুজ শ্যামল ঘেরা গ্রাম, পাখির সুরেলা কন্ঠে ঘুম ভাঙ্গা, হাসনাহেনা ফুল গাছের ঘ্রাণ, বৈশাখী হাওয়া শরীরে লাগা, ফজরের নামাজ পড়ে পায়চারি করা সব মিলিয়ে খুবই মনমুগ্ধকর পরিবেশ এর সৃষ্টি করেছেন গ্রামকে নিয়ে। সত্যিই ভাই গ্রামের খোলামেলা আবহাওয়া এবং পরিবেশ সত্যিই অতুলনীয়। আমার বিশ্বাস শহরের প্রত্যেকটি মানুষ গ্রামকে ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু আপনার মতই জীবন ও জীবিকা নির্বাহর ক্ষেত্রে সকলেই বাধ্য হয়েই শহরে থেকে যাচ্ছে। যাইহোক ভাই, আর বিশেষ কিছু বলছি না আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই এতো দারুন মন্তব্য আমার খুবই ভালো লাগছে,মানুষ সব কাজে সাকসেস খুজে ঠিক আমিও তেমন।আপনার এই মন্তব্য পেয়ে আমার লেখা সাকসেস। ধন্যবাদ
আসলে ভাই আমারও কিন্তু আপনার মত গ্রাম খুবই ভালো লাগে। আর গ্রামের দৃশ্য গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। শহরে থাকতে আসলে বিরক্ত লাগলেও থাকতেই হয় জীবিকা নির্বাহের জন্য। খুব ভালো আপনি পার্থক্য তুলে ধরেছেন গ্রাম এবং শহরের ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাই গ্রাম হলো শান্তির জায়গা, বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য
কোথাও আসা-যাওয়া করতে ভ্রমণ করতে বেড়াতে খুবই ভালো লাগে। তবে জীবিকার তাগিদে ইট বালু শহর ঢাকা শহরে এসে এখন হয়তো ফিল করতে পারছেন যে আসল অর্থ উপার্জন করা টা খুবই কঠিন। এবং কি হাজার রকমের মানুষের সাথে চলা এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। একেক মানুষ একেক রকম হয়ে থাকে। তবে এখনকার শহরের মানুষগুলো একটু স্বার্থপর। বেশি আর গ্রামের পার্থক্য টা খুব সুন্দর করে দিয়েছেন। গ্রাম সবুজ-শ্যামল খুবই সুন্দর। বেশিরভাগ মানুষ এই গ্রামে বেড়ে ওঠে। গ্রাম মানুষকে সবসময় আকৃষ্ট করে। গ্রামের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যায় না। আমাদের সাথে আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা ভাই রাইট প্রতি চরনে টের পাচ্ছি জীবন আসলে কি,অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে বেড়ায়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য
শহরেই থাকবো ভাইয়া কিন্তু গ্রাম আমার ভালো লাগে 😍
আপনার পোস্টটিতে শহর আর গ্রামের মধ্যে আলাদা যে বেপার সেগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ভাইয়া। যারা গ্রাম ভালোবাসে তারা শহর পছন্দ করে না। তারা শহরে আসলে অস্তির অনুভব করে।
আপনার পোস্ট এর মধ্যে গ্রামের যে কথা গুলো তুলে ধরেছেন সেটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টি সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্যে।
আপনার মত আমারো ঢাকা থাকতে বেশি ভাল লাগে না ভাই। সবচেয়ে বিরক্তি লাগে যখন রাস্তার জ্যামে বসে থাকি। ঢাকা শহরে যদি লোকজন কম থাকতো তবে বেশ ভাল লাগতো। এবার ঈদের ২ দিন পরেই ঢাকা চলে আসছিলাম। বেশ ফাকা ছিল রাস্তা ঘাট। লোকজন কম। বেশ ভালই লেগেছে। গ্রামের মত সুখ এই শহরের পাচতলায় থেকেও পাওয়া যাবে না। গ্রামের ভাঙ্গা টিনের ঘরে থাকলেও শান্তি পাওয়া যায়।
যাইহোক অনেক ভাল লিখেছেন আপনি। ভাল লাগলো অনেক। ধন্যবাদ
জ্যামের কথা আলাদা করেই কিছুই বলি নায়, কারণ এটা এখন স্বাভাবিক🤣এটা কোন ব্যাপার না ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বন্ধু শহরে থাকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমিও একসময় ছিলাম কুষ্টিয়া শহরে। যখন ঘুম থেকে উঠে সকাল ভোরে টয়লেটে যাওয়ার সিরিয়াল দিতে হয়। আর বেশি কিছু বলবো না এটাই শহরের সমস্যার একটা নমুনা আর এমন সমস্যা অনেক অনেক গুলো রয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছ মে আমি কতটা জানি।
হুম বুঝে নিয়েছি এটাও বুঝছি শহরে থাকার অভিজ্ঞতা খুবিইব কঠিন ছিল।
দুঃখিত ভাই আপনার উপস্থাপনা এবং এতো অল্প পরিমানে লেখায় আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। প্যারাগ্রাফগুলো আরো ছোট এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যেত, লেভেলের অনেক সদস্য আপনার থেকেও সুন্দরভাবে তাদের পোষ্ট উপস্থাপন করে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। ধন্যবাদ
ভাই আরো বেশী লিখতে হবে?আমি কি এখন এডিট করে দিব দয়া করে একটু জানাবেন ভাই।