নার্সারিতে একদিন || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো by sajjadsohan
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৩০ই- জানুয়ারি, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আমি মাঝে মাঝেই একা কিংবা বন্ধুদের সাথে চলে যাই নার্সারি ভ্রমণ করতে তেমনি একটি দিনের বিবরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নার্সারিতে একদিন
আপনারা যারা প্রায় সময় আমার পোস্ট গুলো খেয়াল করেন, তারা অনেকেই দেখবেন আমি ফটোগ্রাফি করতে বেশি ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি করতে অবশ্যই কোন একটা বস্তু দরকার, আমার সবথেকে ভালো লাগে প্রাকৃতিক জিনিসগুলোর ছবি তুলতে, যার মধ্যে একটি বিশেষ জিনিস হচ্ছে ফুল। আমরা চাইলেই খুব সহজে ফুলের ফটোগ্রাফি করতে পারি এবং সব থেকে বেশি ফুল এক জায়গায় পাওয়া যায় শুধুমাত্র নার্সারিতেই। তাই বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি করার জন্য নার্সারিতে চলে যাই।
সারাদিন বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগে না যদিও আর কোন কাজ নেই। আমাদের এলাকা থেকে খানিকটা দূরে বেশ বড়সড়ই নার্সারি রয়েছে। এই নার্সারি প্রথমে ছোট ছিল এখন বেশ বড় করা হয়েছে। বিকেলবেলা আমি আমার বন্ধুকে ফোন করলাম চল ঘুরে আসি, মুক্তবাতাস পাওয়া হবে এবং কিছু ফটোগ্রাফি ও করা হবে আমরা বিকেল বেলা বের হয়ে গেলাম।
দুইজন বন্ধু কুশলাদি বিনিময় করতে করতে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য, এইটা বিশাল একর জায়গা যেখানে কিছু সংখ্যক মানুষ বাস করে এবং বাকি জায়গাটি খালি রয়েছে। এখানে আপনি আসলে কিছুটা গ্রামের অনুভূতি নিতে পারবেন, নৌকা ছাড়া বাকি সবকিছুই আপনি এখানে দেখতে পারবেন, অর্থাৎ এখানে ছোটখাটো দিঘি ,ঝিল, খেলার মাঠ ,গ্রামীণ পরিবেশ, গবাদি পশু ইত্যাদি সবকিছুই এখানে দেখতে পাবেন।
আমরা পেছনে ও অনেক নার্সারি ফেলে এসেছি, এবং সামনেও কতগুলো নার্সারি রয়েছে। আমরা একদম রাস্তার সাথে মেইন নার্সারিগুলোতে যাবার চেষ্টা করব। আর দু-তিন মিনিট হাঁটলেই আমরা আমাদের সেই নার্সারির কাছে পৌঁছে যাব।
শুনতে পেরেছি একদম রাস্তার সাথে নতুন ভাবে আরো কিছু নার্সারি তৈরি হচ্ছে, সে জন্যই মূলত আমরা এত দূর হেঁটে এদিকে আসলাম। সত্যিই এই সাইডে নতুনভাবে কিছু গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে। কিছুটা ডেকোরেশন করা হয়েছে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, বেশ পরিপাটি একটি বিষয় রয়েছে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেশ সুন্দর লাগছে নার্সারির চারা গুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে ,এতদিন যে নার্সারি গুলো ছিল সেগুলো মাটিতে চারা গাছ গুলো থাকতো, কিন্তু নার্সারির এই অংশগুলোতে গাছগুলোকে কিছুটা ডেকোরেশন দেয়া হয়েছে। এর ফলে মানুষ এখানে ঘুরতে আসছে এবং নতুন নতুন ফুল সম্পর্কে যেমন আগ্রহ বাড়ছে তেমনি কাজ কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনারা উপরের ছবি থেকে দেখতে পাচ্ছেন, গাছগুলোকে রংবেরঙের টপ দিয়ে সাজানো হয়েছে। কিছুটা টপ মাটিতে রেখে কিছু টপ উপরে মাচাতে ঝুলিয়ে গাছগুলোকে ডেকোরেশন করা হয়েছে । এতে পরিবেশটি যেমন আরো সুন্দর দেখাচ্ছে তেমনি গাছগুলোর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরপর আমি ফটোগ্রাফি করা শুরু করলাম, আমার দেখাদেখি আরো বেশ কয়েকটি মানুষ এসে ছবি তোলা শুরু করলো। আসলে মানুষ যে ফটোগ্রাফি করছে তা ও বেশ ভালো লাগছে। আমি ও আমার বন্ধু ছাড়াও আরও ৪ জনের মতো ফটোগ্রাফিক করছে। আমি তাদের সাথে কথা বললাম তারা ফটোগ্রাফি গুলোকে কি করবে। জানতে পারলাম তারা ফেসবুকের কনটেস্ট হিসেবে এই ছবিগুলো দেবে। তারা যদি জানতো এইভাবে ব্লগিং সাইডে ফটোগ্রাফি করে টাকা আয় করা যায় তাহলে হয়তো তারা অনেক লাভবান হতে পারত। তারা যখন আমাকে জিজ্ঞেস করল আপনি কি করেন, আমি উত্তর দিলাম আমি ফটোগ্রাফি করি এবং ফুলের ফটোগ্রাফি করা আমার শখ।
তারপর আমিও আমার বন্ধু আবার হাটা শুরু করলাম, পাশে একটি ছোট দিঘির মত রয়েছে। যদিও সেখানে পানি নেই আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় উপভোগ করলাম।
আমরা কিছু সময় এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এখন এখানে অনেক বাতাস ছিল। পানি গুলো শুকিয়ে গিয়েছে। এখানে মাঝে মাঝে ছোট বাচ্চারা সাঁতার কাটে, যদিও আমি সাঁতার কাটতে পারিনা। এদিকে দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল আমি ও আমার বন্ধু নিজেদের এলাকার দিকে রওনা শুরু করলাম।
আমরা যখন আমাদের এলাকায় আসলাম সেখানে বাজারে আসার পর আমরা কম বাজেটের মধ্যে কিছু খাবার চিন্তা করলাম। সন্ধ্যার টাইম এখন নাস্তা করায় যেতে পারে। এখানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে রয়েছে অনেক ধরনের দোকান। কিন্তু আমাদের বাজেট অনুযায়ী আমাদেরকে কমের মধ্যে কিছু খেতে হবে। তাই রাস্তার পাশে একটি স্ট্রীট ফুড রয়েছে আমরা সেখানে চলে গেলাম।
দোকানের নামটা বেশ অদ্ভুত এবং ইউনিক। আমরা দুই বন্ধু এখানে আসলাম এবং খাবার অর্ডার করলাম। খাবার অর্ডার করার পর আমাদেরকে ২,৩মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় আমরা সেলফি এবং ছবি তোলা শেষ করে ফেললাম।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমরা আমাদের খাবার হাতে পেয়ে গেলাম। দুই বন্ধু মিলে একসাথে বসে সন্ধ্যার নাস্তা করলাম এবং আজকে ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম। বার্গার খাওয়া শেষ করে আমরা নুডুলস চাউমিন খাওয়া শুরু করলাম।
ব্যাকগ্রাউন্ড এগনোর করুন, কারণ আগেই বলেছি এটি রাস্তার পাশে দামি কোন রেস্তোরাঁ নয়। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার হাটা শুরু করলাম। কিছু সময় দোকানে বসে কথাবাত্রা বললাম এবং চা খেলাম। এভাবেই নার্সারিতে ঘুরে আসার দিনটর সমাপ্তি ঘটে।
আজ বিদায় নিচ্ছি আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে ,সে সময় পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই দোয়া রইল।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
খুবই ভালো লাগলো আপনার নার্সারিতে ভ্রমণের লেখা পড়ে। রাজু ভাই আর আপনাকে এক সাথে দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। নার্সারিতে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো ছিলো প্রফেশনাল লেভেলের। প্রতিটি ছবি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
প্যারা ফাস্টফুড থেকে তো ভালোই প্যারা মুক্ত বার্গার খেয়েছেন সাথে নুডুলস চাউমিন সব মিলিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছেন।
জি ভাই ভালোই একটা দিন ছিলো। মাঝে মাঝেই ২ বন্ধু বেড় হই হাটাহাটি করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য. আপনার জন্য ও রইলো শুভ কামনা।
লিংক
নার্সারি তে অনেক ঘুরলেন দেখলাম। নার্সারিতে ঘুরতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি যে নার্সারিতে গিয়েছেন এই নার্সারি তে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ রয়েছে। নার্সারি থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যাবেলা নাস্তা করতে গেলাম দেখলাম। খাবার গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খাবার গুলো অনেক বেশি উপভোগ করলেন। এরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি দিনটি ভালোই উপভোগ করা হয়েছে দুজনেরই, আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
গরু টাকেও নিয়ে যেতেন নার্সারিতে।গাছ গুলোর একটু উপকার করতো🤪।
সুন্দর ছিলো আপনার নার্সারি ভ্রমণ সেই সাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে🤟🖤
গরুরা এখানেই থাকে ঘাস খায় কিন্তু নার্সারির ক্ষতি করে না, শিক্ষিত গরু😂 🤣। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভাই আমি নার্সারিতে গেলে প্রায় গাছ আমার কাছে ভালো লাগে। তাই আমি কিনে নিয়ে আসি এজন্য আম্মু অনেক বকাবকি করে। এই কারণে এখন নার্সারিতে কম যাওয়া হয়। আপনারা নার্সারি ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। নার্সারিতে অনেক ধরনের ফলজ এবং বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ দেখা যায়। দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনারা সময় গুলো খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে ভালো ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার ফুলের গাছ গুলো বেশি ভালো লাগে, তাই ভ্রমন করতে যাই তাছাড়া ছবি তোলাও হয়ে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
একেতো ক্ষুদা লেগেছে তার ভিতরে এমন বার্গার এর ছবি দেখিয়ে দিলেন কি আর বলবো কেমন অসহ্য লাগছে ভিতরে।
আর ব্যাকগ্রাউন্ড ইগনোর করতে পারবোনা করতে পারি একটা শর্ত আছে একটা বার্গার খাওয়াতে হবে হাহাহাহা।
এনিটাইম চলে আসবেন মেসেজ দিবেন ভাই এলাকায় আসছি। আপনার জন্য প্যারা ফুড বার্গার অবশ্যই থাকবে।
অসাধারণ ভাই।খুব সুন্দর কিছু ফটো গ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।সব গুলো ছবি অনেক ভালো ছিল।আবার বন্ধুর সাথে মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন।সব মিলেয়ে সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন ।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , আপনার জন্য ও রইলো শুভকামনা।