কুয়াশায় ঘেরা এক সুন্দর সকাল | ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য |

এই গরমের ভিতর সকাল বেলায় যখন এমন কুয়াশা দেখলাম সত্যি রীতিমতো আমি অবাক হয়ে গেলাম। যে খাবার ঢাকায় এত গরম সেখানে চট্টগ্রামে সকালবেলায় এত কুয়াশা কিভাবে হয়। সেখানে রাতে যে ছিলাম, রাতে কিন্তু ঠান্ডা লাগেনি। তবে সত্যি বলতে চট্টগ্রামের জায়গাটা আমার সত্যিই খুব পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে তাদের ব্যবহার খুব সুন্দর। আমাদের কমিউনিটির একজন মডারেটর এবং একজন এডমিন ভাই এর বাড়ি কিন্তু চট্টগ্রামে। এবার আসলে বুঝতে পারছি আসলে তারা আমাদের সাথে কেন এত অল্পতেই মিশে যায়। চট্টগ্রামের মানুষ গুলো সত্যিই খুব ভালো।

চট্টগ্রামের সেই অল্প কিছু কাটানো সময় হয়তোবা জীবনে কখনো ভুলতে পারবো না। আমাদের সাথে আমাদের বোন জামাইরা ছিলেন। সত্যি বলতে এক বোন জামাই সারাটা রাত এক ফোঁটা ঘুমাতে দেয়নি। বিষয়টি এমন হয়েছে কেউ যদি আমরা একটু ঘুমাতে যাই তাহলে তার গায়ের উপর পানি ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল। সারারাত এক ফোঁটাও ঘুমাইতে পারেনি। সকাল ভোরে সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। ওমা বাহিরে গিয়ে দেখলাম কুয়াশায় সম্পন্ন চাষের জমি গুলো ঢেকে আছে।

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ ছয়টা ঋতুর দেশ। কিন্তু সত্যি বলতে আগে যেমন দেখা যেতো এক ঋতুর পরে অন্য ঋতুর আসতো এখন সেটির অনেকটাই পরিবর্ন হয়ে যাচ্ছে। ঋতুর সময়গুলোতে যেমন হওয়ার কথা অনেক সময় এমনটা দেখা যায় না। এই পরিবর্তনের জন্য অনেক ভাবেই আমরা নিজেরা দায়ী। দিন দিন আমাদের সমস্ত কিছু ডিজিটাল হচ্ছে ঠিক কিন্তু এর সাথে সাথে প্রকৃতির অনেক পরিবর্তন চলে আসতেছে। একটি সময় যখন গ্রামে কারেন্ট ছিলনা তখন দেখতাম গ্রামের সব মানুষ খুব সুন্দরভাবেই জীবন কাটাতো। কিন্তু এখন দেখা যায় গ্রামে দশ মিনিটের জন্য কারেন্ট চলে গেলে মানুষ অস্থির হয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামে খুব বেশি একটি সময় হয়নি কারেন্ট এসেছে। দেশ যতোই ডিজিটাল হোক না কেন দিন শেষে দেখা যায় আগের সময়গুলো আমরা অনেক মিস করি। গ্রামে গেলে আগে রাতের সময় যখন হারিকেন জানানো হতো তখন এর দৃশ্য গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল।

আসলে সত্যি বলতে গ্রামের তুলনায় ঢাকায় সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি থাকলেও গ্রামে কাটানো সময় গুলো অনেক ভালো যায়। আর হ্যাঁ তুলনামূলকভাবে ঢাকা শহরের মানুষের চাইতে গ্রামের মানুষ অনেক বেশি সুস্থ থাকেন। এর একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে গ্রামের সুন্দর আবহাওয়া। আরেকটি বিশেষ কারণ ঢাকা শহরের মানুষ যে সকল খাবার খায় বেশিরভাগ ফরমালিন যুক্ত কিন্তু গ্রামের মানুষ সব খাবার তাজা খেয়ে থাকেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাম খুব শুনেছি কিন্তু নিজের স্বচোক্ষে এবার দেখে আসলাম। হাটাজারী যাওয়ার আগে খুব সুন্দর একটি জায়গা রয়েছে যা বাংলাদেশ এর গর্বিত সেনাবাহিনীর দেখাশোনার মধ্যেই রয়েছে। একটি মজার ঘটনা হয়েছিলো ঢাকা আসার সময়। আমাদের গাড়ি সেনাবাহিনী দাঁড় করিয়ে বললো কি ব্যাপার আপনাদের কারো মুখেই তো মাস্ক নেই। আমার এক ভাই বলল স্যার বিয়েতে গিয়েছিলাম রাতে মাস্ক সবার গুলা হারিয়ে গিয়েছে। এবার সেনাবাহিনীর সেই লোক আমাদের বললো তা বিয়ে করতে গেলেন আমাদেরকে দাওয়াত তো দিতে পারতেন হাহাহা। এরপর কিছু কথা বলল যে আপনারা সচেতন থাকাটা খুব প্রয়োজন তারপর আমাদের ছেড়ে দিলেন।