প্রসঙ্গঃ "কেমন কাটলো আমার ২১তম জন্মদিন?" // আমার বাংলা ব্লগ // [ ২৭ আগষ্ট ২০২১ ] 10 % to @shy-fox

প্রথমেই আমি আপনাদের সকলকে জানিয়ে রাখতে চাই, জন্মদিনের নামে খাবার নস্টের পক্ষে আমি নই। কেক, ময়দা, ডিম নষ্ট করার পক্ষে আমি কখনোই সমর্থন দেই না। এটি সম্পূর্ণই মানবিকতার বাহিরে। ১০০ টাকার আটা- ময়দা, ডিম ভেঙ্গে নষ্ট না করে যদি, ৫০ টাকাও কোনো গরিব দুঃখীদের আহারের জন্যে ব্যয় করা হয়, তাতেই আমার আত্মখুশি পাই। তো যাই হোক, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব "কেমন কাটলো আমার ২১তম জন্মদিন"

আমি সাগর, আজকে আমার ২১তম জন্মদিন। এটি কিন্তু আসল জন্মদিন। আমাদের বাংলাদেশে একজন মানুষের দুটো করে জন্ম তারিখ থাকে, এটা কমবেশি আমরা সবাই জানি। এবং কেন এমনটা করা হয় সেটাও সবাই বুঝি। সরকারিভাবে আমি ১৮+ হয়েছি কিছু দিন আগে। আহ, এখন জোর গলায় সবাইকে বলতে পারি, আমি ১৮+, আমি ১৮+। যদি কেউ আমাকে ছোট বলতে আসে তখন শুধু এটা বলি তার আগে না।

তো সব দিনের মতোই আমার ২১তম জন্মদিন শুরু হয়। এদিন স্পেশাল কিছুই ঘটে নি আমার সাথে। কেউ স্পেশাল্ভাবে ইউশ ও করে নি, আর কেউ রাত ১২টায় অপেক্ষা করেও ফোন করে বলেনি সাগর, হ্যাপি বার্থডে। সবাই তার জন্মদিনে চায়, কেউ একজন তাকে স্পেশালভাবে ইউশ করুক। কিন্তু যখন কেউ এভাবে ইউশ করে না স্বাভাবিকভাবেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসলে একটা কথা বলতে কি, আমার নিজের ও মনে ছিলো না যে আজকে আমার বার্থডে। হাহা, ২৭ তারিখ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সব কিছু সম্পন্ন করে যখন ফেসবুকে একটু উকি দিতে গেলাম, সেখানে গিয়ে দেখি অনেকেই ইউশ করেছে। তারপর বুঝতে পারলাম আজকে যে আমার বার্থডে। অনেকেই ইউশ করেছে সেখানে।

একটা বিষয় ভেবে চিন্তিত হলাম। যদি ফেসবুক না থাকতো তাহলে তো কেউই আমাকে ইউশ করতো না। আমার বেস্টফ্রেন্ডগুলো তো আমার জন্মদিন জানতো। তারাও কিভাবে ভূলে গেলো? এসব চিন্তা করেই মনটা আরেকবার খারাপ হয়ে গেলো। আর এভাবেই জুম্মার নামাযের সময় হয়ে গেলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নামায পড়তে যাই। নামাযে সবার দোয়া করি, আমার জন্যও দোয়া করি।

^{https://what3words.com/handwritten.attract.crumbs
Device: Itel Vishion 1 Pro}

নামায শেষ হতে না হতেই, বৃষ্টি দেয় হানা। মসজিদেই অনেকক্ষন যাবত আমরা বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করি। বৃষ্টি এক মুহুর্তের জন্যে কমে আসলে আমরা কয়েকজন মিলে দৌড় দেই বাসার উদ্দেশ্য। কিন্তু পথিমধ্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বৃষ্টি আরো জোরে আসলে আমরা আবার মাঝপথে আটকা পড়ে যাই। তো একটা সময় আমি বাসায় চলে আসি।

আজকে শুক্রবার। আমি ও আমার বড় ভাই মিলে প্রায় শুক্রবার ঘুরতে বের হই। আজকের প্লান ও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। দুপুরের পর থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়তেই থাকে। বিকেলে বৃষ্টি কমে গেলে আমি, আমার ভাই ও আমার ভাগিনা মিলে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে বের হয়েছিলাম।

কিন্তু বৃষ্টি আবার হানা দিলে, আমাদের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সম্পূন্ন বিকেল ও সন্ধ্যা বৃষ্টি পড়তে থাকে আর সে থাকে অতিবাহিত হতে থাকে আমার ২১তম জন্মদিন।

আফসোসের বিষয় এখানেই, সারা দিন কেটে গেলো কিন্তু কেউ একবার ফোন কল করেও বললো না। হয়তো আমি তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই। এক বুক চাপাকান্না নিয়ে সন্ধ্যার পর ডিস্কোর্ডে আসলে, আমার মন ভালো হয়ে যায়। ধীরে ধীরে যখন সবাই ইউশ করলো এখানে, আসলেই মনটা ভালো হয়ে গেছে।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মনটাকে এভাবে ভালো করে দেওয়ার জন্য।

---

---

নোটঃ

---

প্লিজ, আপনারা সবাই জন্মদিনের নাম করে খাবার নষ্ট করবেন না। যে খাবারটা নষ্ট করার জন্য কিনবেন, সেটার অর্থ যদি কোনো অনাহারীকে দেওয়ার চেষ্টা করেন, এতে করে তা আপনার জন্যই মঙ্গল হবে।