আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই।
বেশ কয়েকদিন থেকেই আমি একদম ভালো নেই। তাই কমিউনিটিতেও একটিভ থাকতে পারিনি। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গেলে আমাদেরও কাজ করে যেতে হবে। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে আবারো একটি নতুন পোষ্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।

Image source

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাদার লেখা একটা প্যারানরমাল সত্যি কাহিনি নিয়ে পোস্ট দেখলাম।
যদিও এ ধরনের ঘটনা আমার সাথে কখনোই ঘটেনি।
কিন্তু দাতার পোস্টটি পড়ার পরেই আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল যা আমার নানীর ছোট বোন এর সাথে ঘটেছিল। এবং আমি নিজের চোখেই দেখেছিলাম।
এ ধরনের ঘটনাগুলো আমিও আগে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু আমার সামনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি দেখার পর থেকে অবিশ্বাস ও করতে পারছি না।

প্রকৃতি রহস্য করতে ভালোবাসে। প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত অনেক ঘটনাই ঘটে যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হয় না। আর সে ঘটনাগুলোকে প্যারানরমাল ঘটনা বলে আখ্যায়িত করা হয়।

ঘটনাটি একদমই ভয়ঙ্কর না। তবে স্বাভাবিকও না।
একদিন নানু বাসায় আমরা সবাই মিলে আমার নানী, নানীর ছোট বোন, আমার মামা, আম্মু, আমি আরো কয়েকজন ছিলো । সবাই মিলে গল্প ,হাসি ঠাট্টা করছিলাম। হঠাৎ করেই আমার ছোট নানী, মানে নানির ছোট বোন অজ্ঞান হয়ে শুয়ে পড়লো। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তার মুখে পানি ছিটাতে লাগলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো। আর নানা রকম আবোল তাবোল কথা বলা শুরু করলো। তার কথাগুলো একদমই স্পষ্ট ছিল না। কিন্তু চাদরটা বোঝা গেছে তা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম তিনি বলছিল "আমাকে নিয়ে যেও না"। আর তার শরীরের কাপুনি তো কিছুতেই থামছিলো না। তারপর নানু বাসায় একজন মহিলা কাজ করত তিনি হুজুর কে ডেকে আনলো। হুজুর কিছু কোরআন শরীফের আয়াত পড়ে ছোট নানীর গায়ে ফু দিলো। আর এর কিছুক্ষণ পরেই উনার জ্ঞান ফিরে আসলো।

এই ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমার একদমই জানা নেই। অনেকে বলেছিলো উনার রাশি খারাপ তাই জ্বীন ধরেছে। কিন্তু আমি এখনো কনফিউজ।

আজ এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার লেখা টি কষ্ট করে পড়ার জন্য। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।