বৈশাখী মেলায় একটুখানি ঘোরাঘুরি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
কিছুদিন আগে আমরা কুড়িগ্রাম গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে শুনি বৈশাখী মেলা হচ্ছে। আমার মামাতো বোন মেলায় যাওয়ার কথা বলল। করোনাকালীন সময়ে তো মেলা একেবারেই বন্ধ ছিল তাই অনেকদিন থেকে মেলায় যাওয়া হয়না। সেজন্য আমিও রাজি হয়ে গেলাম। মামা, মামী, মামাতো ভাই বোন, ভাই, আম্মু সবাই মিলে মেলায় যাওয়ার জন্য রেডি হলাম আমরা। যদিও আমরা অনেক রাত করে মেলায় গিয়েছিলাম ততক্ষণে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । তবুও আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করেছি ।
মেলা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হচ্ছে। কলেজ গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখতে পেলাম খুব সুন্দর লাইটিং করেছে ভেতরে। রাস্তার ধারে অনেক বাতাসার দোকান বসেছে। ছোট বেলায় এই বাতাসা গুলো অনেক খেতাম। এখন এত মিষ্টি খেতে পারিনা।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা মেলার প্রবেশ গেটে আসলাম ।মজার ব্যাপার হল এই মেলায় প্রবেশ করার জন্য কোন টিকিট সিস্টেম করেনি। একটু অবাক হলাম।
মেলার ভেতরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম চোখে পরলো আচারের দোকান। অনেক প্রকার আচার আছে এখানে। এতগুলো আচার একসাথে দেখে কি লোভ সামলানো যায়। তাই এখানে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং অনেকগুলো হাজার অনেক মজা করে খেলাম।
আছাড় খাওয়ার পর একটু সামনে এগুতেই বাচ্চাদের এই রাইডস গুলো চোখে পরলো।
আমার ছোট খালাতো ভাই এর সবগুলো রাইডস এ উঠে অনেক খুশি হয়েছিল।
আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলাম রুটি করার পীড়া আর বেলনা আর পলিথিনে মোড়ানো কিছু মাটির জিনিস।
মেলা থেকে এই জিনিসগুলো খুব সাশ্রয়ে কিনতে পাওয়া যায়।
এই মেলাতে গাছের দোকান ও দেখলাম। গাছের দোকানের ভেতর প্রবেশ করে অনেক ভালো লাগলো ।এখানে অনেক প্রকারের গাছ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখতে পেয়েছি আমের গাছ।
বাচ্চাদের এই ট্রেনের একেকটি সিট এক একটি সুন্দর সুন্দর প্রানির আকৃতির করা হয়েছে। একটি ময়ূর, একটি হাঁস এভাবে বিভিন্ন রকমের রয়েছে।
আমার ছোট মামাতো ভাই টি এই ট্রেনে চড়ার জন্য অনেক জেদ করছিল। ও তো অনেক ছোট তাই ওকে একা উঠালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভাবলাম আমার মামাতো বোন ওকে সহ উঠিয়ে দেবো। কিন্তু বড়দের আবার নাকি ওঠা যাবে না। কিন্তু আমার মামাতো বোন তো বেশি বড় না তাই রাইডস এর পরিচালনায় যে আছে ওনার সঙ্গে একটু কথা বলে মামাতো বোন ও ভাই থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো। ট্রেনে উঠে ওরা দুই ভাই বোন অনেক খুশি হয়েছিল।
এবার আমার রাইডস এ ওঠার পালা। মেলায় যাব আর নাগরদোলায় উঠবো না হতেই পারে না।
নাগরদোলা যখন উপরে উঠেছিল তখন আমি উপর থেকে পুরো মেলাটা ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি।
আম্মু কিছু আর্টিফিশিয়াল ফুলের তোড়া গুলো কিনতে চাইলো তাই আমরা ফুলের দোকানে গেলাম।
কিন্তু ফুলের দোকানে গিয়ে দেখলাম দোকানদার দোকানে নেই। দোকানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও দোকানদার আসলো না । লেট হয়ে যাচ্ছিলো তাই আমরা দোকান থেকে ফুল না কিনে বেরিয়ে এলাম।
ফুলের দোকান থেকে বেরিয়ে খেলনার দোকান দেখতে পেলাম। ছোট্ট খারাপ তো ভাইতি খেলনা কেনার জেদ ধরল তাই ওকে একটি খেলনা কার কিনে দিলো।
তারপর মেলা থেকে বের হয়ে যাব তাই বের হওয়ার আগে সবাই মিলে একটি সেলফি উঠিয়ে নিলাম।
মেলার গেট থেকে বেরিয়ে দেখলাম ফুচকার দোকানের ভিড় গুলো কমে গিয়েছে।
আমরা ফুচকা খেতে বসে গেলাম।
তবে এই ফুচকায় আমাদের রংপুরের ফুচকার মত টেস্ট পেলাম না।
আর ফুচকা খাওয়া শেষ করেই আমরা বাড়ির জন্য রওনা দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি কষ্ট করে পড়ার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
চিত্র উঠানোর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Tecno spark 5 pro |
---|---|
লোকেশন | কুড়িগ্রাম |
W3W | লিংক |
বৈশাখী মেলা উপলক্ষে আপনি মেলার জগতে দারুন ঘোরা ঘুরি করেছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন। আর সেই সমস্ত বিষয়ে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। সব মিলিয়ে বলব দারুন একটি পোস্ট আপনি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। আসলে কোন মেলায় গেলেন মনটা থাকে প্রফুল্ল অনেক আনন্দ লাগে সে সময় টা।
মেলায় ঘোরাঘুরি করতে আসলেই অনেক আনন্দ লাগে।
তাই আমার আনন্দের মুহূর্ত গুলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতেই পোষ্টটি করেছি।
সময়টাকে বেশ উপভোগ করেছিলাম। সবাই মিলে মেলায় ঘোরা , ঘোরাঘুরি শেষে হালকা খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালই লেগেছিল। ধন্যবাদ সবাইকে তোমার বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আসলে সেই সময়টা অনেক মজা করছিলাম।
Twitter link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
আসলে মেলা মানেই হচ্ছে আনন্দ উৎসব। যে এলাকাতে মেলা হয় সেখানে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। আর এই মেলার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই অনেক জিনিসের সমাহার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আপু অনেকদিন হয়ে গেছে মেলায় ভ্রমণ করতে যেতে পারিনা। কারণ বর্তমানে আমাদের এলাকাতে আর মেলা হয় না।
আমিও অনেকদিন পর এই মেলায় গেলাম ভাইয়া ।করোনাকালীন সময় তো মেলা একেবারেই বন্ধ ছিল।
অনেকদিন হলো বৈশাখী মেলায় যাওয়া হয়না।সেই ছোটবেলায় বৈশাখী মেলায় গিয়েছিলাম তারপর আর কখনো যাওয়া হয়নি। আজকে আপনার বৈশাখী মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি বৈশাখী মেলায় গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন পরিবারের সাথে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মাঝে আপনার ঘুরতে যাওয়া বৈশাখী মেলার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের সাথে মাঝে মাঝে ঘুরতে ভালো লাগে।
আমিও মেলায় গিয়ে পরিবারের সাথে অনেক আনন্দ করেছি।
আর অনেকদিন পর মেলায় গেলাম।
আপনার পাশে মাহির ভাইকে দেখতে পাচ্ছি মনে হচ্ছে। আপনার ভাই নাকি উনি? সবাই মিলে তো অনেক উপভেগ করলেন তাহলে। নাগরদোলায় উঠলে মাথা ঘুরায় খুব একবার উঠে শিক্ষা হয়ে গেছিল।
জি ভাইয়া। মাহির আমার ছোট ভাই।
আমার তো নাগরদোলায় চড়লে তো অনেক মজা লাগে। তবে অনেকেরই সমস্যা হয়।
আমার তো মনে হচ্ছে মেলার প্রতিটা জায়গায় আপনি ঘুড়ে বেড়াইছেন। কেননা মেলার সব জায়গা এবং দোকানপাট আমরাও দেখতে পারলাম।আপু আমাদের বরিশালে আইসেন অনেক মজাদার ফুসকা আছে।সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর উপস্থাপনা ছিল আপনার পুরো ব্লগটি। আমাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমরা যেতে যেতে কিছুটা লেট হয়ে গিয়েছিল তাই পুরো মেলা ভালো করে ঘুরতে পারি নি। তবে যতটুকুই ঘুরেছি অনেক ভালো লেগেছে।
তোমরা কোনদিন কখোন এই মেলায় গেলে আমি তো বুঝতেই পারলাম না। আমিও শুনেছিলাম মেলাটি খুব জমজমাট হয়েছিল কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে যাওয়ার সুযোগ করে উঠতে পারিনি। তোমার এই পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা দেখা হয়ে গেল। যাইহোক দেখে বুঝতে পারছি মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ আনন্দের কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছো। তোমার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তুমি তখন গ্রামে ছিলে আমরা যখন মেলায় গিয়েছিলাম।
আর মেলায় গিয়ে আসলেই অনেক আনন্দ করেছি। খুব ভালো লেগেছে আমার।
বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক আনন্দ করেছেন তা আপনার ছবি দেখে ও পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু বৈশাখী মেলার এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছি আমরা।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।