মুখরোচক ইফতারের অভিজ্ঞতা।১০% সাইফক্স।
দেখতে দেখতে রমজান মাস প্রায় শেষ হয়ে এল। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন শুরু হোলো। চোখের পলকে একটি মাস অতিবাহিত হোলো। আসলে মানুষ কর্ম ব্যস্ত থাকলে তখন তার সময় কখন অতিবাহিত হয়ে যায়। এটা খুব একটা বুঝতে পারেনা।
প্রতি বছর রমজানে আমরা কয়েকবার বাইরের খাবার কিনে ইফতার করে থাকি। বেশ কয়েকদিন যাবত ঘরের খাবারেই ইফতার হচ্ছিলো। তাই মনে হচ্ছিল একটু বাইরের খাবার হলে ইফতারটা জমতো ভালো। এর ভেতর আবার প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতো গরমে রান্না করাও সমস্যা। সেজন্য স্ত্রীকে একটু বিশ্রাম দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। ঠিক করলাম আজকে বাইরে থেকে ইফতার কিনে এনে খাবো। শুধু বাসায় ফলগুলি কাটা হবে।
পরিকল্পনাটা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করার সাথেই সে খুশী মনে রাজী হয়ে গেলো। এদিকে আমার মেয়ে বেশ কিছুদিন থেকে অভিযোগ করছিলো সে ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। একটু বাইরে ঘুরতে যেতে চায়। কিন্তু রমজান মাস হওয়ায় তাকে নিয়ে বাইরে যাওয়া হয়নি। তাই আমি আমার মেয়েকে বললাম চলো আমরা বাইরে যাই ইফতার কিনতে। মেয়ে ও খুশী মনে রাজী হয়ে গেলো। তারপর বাপ বেটি মিলে রওনা দিলাম ইফতার কেনার উদ্দেশ্যে।
শহরের প্রায় বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের সামনে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে। কিন্তু আমি আমার পছন্দের একটি ইফতার বিক্রির দোকানে গেলাম। এটি মূলত একটি ফাস্টফুড শপের ইফতারের আয়োজন। আমি প্রতিবছরই তাদের কাছ থেকে ইফতার কিনে থাকি। সেখানকার ইফতার এরমান ভালো খেতেও সুস্বাদু।
যাওয়ার সময় আমি একটি খালি পানির বোতল নিয়ে গিয়েছিলাম সাথে করে। ইচ্ছা ছিলো যদি আখের রস পাই তবে আখের রস কিনে নেবো। আখের রস আমার খুবই পছন্দের একটি পানীয়। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কারণে আখের রস খুব একটা খাওয়া হয়না। কারণ আখের রস যারা তৈরি করে তারা সবাই রাস্তার পাশে ভ্যানের উপর এটা করে থাকে। সেখানকার পরিবেশ থাকে বেশ নোংরা। যার ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আখের রস খুব একটা খাওয়া হয়না।
যাই হোক আমরা দুজনে অল্প কিছুক্ষণের ভেতরে সেই ইফতারের দোকানের সামনে পৌছালাম। প্রথমেই ঘুরেফিরে দেখছিলাম কি কি আইটেম সেখানে রয়েছে। দেখলাম রেগুলার আইটেমের বাইরে খুব বেশি কিছু নেই। ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি এগুলির বাইরে আছে চিকেন সাসলিক আর চিকেন ললিপপ। তাই আমি প্রথমে এই দুটি আইটেম কিনলাম। সাথে নিলাম ডিমের চপ।
সেখান থেকে কিছুদুর সামনে আসার পর দেখি আরও একটি নতুন ইফতারের দোকান হয়েছে। সেটি ও একটি ফাস্টফুড শপের সামনে। সেখান থেকে কয়েকটি কিমা চপ কিনলাম। তারপর মেয়েকে নিয়ে সামনে আগাতে লাগলাম। আরো কিছুদূর আসার পর আমার একটি পছন্দের জায়গা থেকে ছোলা ঘুগনি কিনলাম। সেখানকার ছোলা শহরের লোকজনের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সব সময় সেই দোকানে ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে অনেকটা পথ আমরা বাপ-মেয়ে হেঁটেছি সেটা সফল হয়নি। কারণ সেই আখের রস বিক্রি করা কাউকেই আমরা পাইনি। শেষ পর্যন্ত কি আর করা। যা কিনেছিলাম সেগুলো নিয়েই আমরা বাড়িতে চলে আসলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


আসলেই ভাইয়া রমজান মাস হওয়ায় বাইরে কোথাও কারোই ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না।ছোটরা তো একটু বিরক্ত হবেই।যাইহোক অনেক চমৎকার আর মজার কিছু ইফতারির ছবি শেয়ার করেছেন। সারাদিন রোজা রেখে মুখরোচক খাবার গুলো আমাদের তৃপ্তি দেয়।যাইহোক ভাইয়া অনেক মজাদার ইফতারির ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
এমনিতেও শহরে থাকার কারণে বাচ্চাকে নিয়ে খুব একটা বাইরে যাওয়া হয়না। আশেপাশে খেলার তেমন মাঠও নেই। এইজন্য এখনকার বাচ্চারা সব ঘরের ভিতরেই মানুষ হয়। তাই সে মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশ করে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া চোখের পলকে একটি মাস অতিবাহিত হল। ব্যস্ততার কারণে বুঝে উঠতে পারলাম না কিভাবে সময়টা চলে গেল। ভাইয়া মাঝে মাঝে এরকম বাইরে থেকে খাবার কিনে খেয়ে স্ত্রীদেরকে একটু বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন বলে আমিও মনে করি। কেননা তারা সারাদিন এতটাই খাটাখাটনি করে আমাদের জন্য, তাই একটুখানি বিশ্রাম তাদের প্রাপ্য। বাপ বেটি মিলে বেশ ভালই ইফতার কিনেছেন দেখছি। এবার শুধু ইফতারীটা জমিয়ে খাওয়ার পালা। মুখোরোচক ইফতারের অভিজ্ঞতাটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ইফতার আইটেম গুলি খেতে আসলেও অনেক মজা ছিলো।
সত্যি কথা বলতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে। আর এত বাহারি রকমের ইফতারের আয়োজন হলে তো কথাই নেই। কিন্তু এখন কেন যেন পেটের সহ্য ক্ষমতা অনেক কমে গেছে ভাই। বাইরের এই জিনিসগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিকের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। তাই শুধুমাত্র ছোলা আর বুন্দিয়া খেয়েই থাকতে হয় 😊। আপনার দেখানো মুখরোচক খাবার গুলো দেখে একটা অন্যরকম তৃপ্তি পেয়েছি রূপক ভাই।
এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য জীবনের অর্ধেক খাবার বিসর্জন দিতে হয়েছে। তবে মজাদার খাবার দেখলে তখন আর গ্যাস্ট্রিকের কথা খুব একটা মনে থাকেনা।
কি আর বলি ভাই। জীবন টাই শেষ করে দিল। ইচ্ছে গুলো সব শেষ একদম।
আসলেই তাই। একটি মাস যে কিভাবে শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না।
বাবা মেয়ে মিলে বেশ বেশ মজা করেই ইফতার কিনলেন। আমিও ছোট বেলায় এভাবে আব্বুর সাথে যেতাম ইফতার কিনতে। আপনার পোস্ট টি পড়ে সেসব দিন এর কথা মনে পড়ে গেলো।
আপনার ইফতার কেনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ও আপনার পরিবার এর জন্য শুভ কামনা রইলো।
এবারের রমজান আসলেই অনেক দ্রুত চলে গেলো মনে হচ্ছে।
খুব ভালো লাগলো ভাই বাহিরের ইফতার কিনার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বাসার খাবার খেতে খেতে অনেক সময়ে স্বাদ যেন হারিয়ে যায়। এইটা আমার ক্ষেত্রে হয় আরকি। খুব ভালো লাগলো ভাই ভাতিজি কে নিয়ে বাহিরে ইফতার কিনতে গিয়েছেন। কারণ সবসময় বাসার ভীতর থাকবে একটা একঘেয়েমি লেগে যায়।আর ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
মাঝে মাঝে সাদ পরিবর্তন করার জন্য হলেও এরকম ইফতার আয়োজন করা উচিত। মেয়ে অবশ্য বাইরে থেকে এসে কমপ্লেইন করেছে যে তাকে অনেক হাঁটতে হয়েছে।
এইতো সেদিন যেন রমজান শুরু হলো সময় কত দ্রুত চলে যায়। সৃষ্টিকর্তা যেন আবার আমাদের সবার কপালে রহমত বরকতপূর্ণ রমজান নসিব করেন। সত্যি আপনার আজকের ইফতার আইটেম গুলো মুখরোচক ছিল। বেশি মুখরোচক খেয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছি😭। একটু সাবধানে খাওয়া দাওয়া করবেন আসলে আবওহাওয়টা ভালো না তো।
খুব ভাল কথা বলেছেন। খাওয়ার সময় কিছুটা ভয় পেয়েছি অবশ্য। চারপাশে ডায়রিয়ার প্রচন্ড প্রকোপ। সে জন্যই ভয়টা বেশি লেগেছে।
সত্যি বলতে কি ভাইয়া,এই গরমে রোজা রেখে ঘরে ইফতার তৈরি করাটা খুবই পরিশ্রমের ব্যাপার তাই ভাবি খুবই খুশি হয়েছিল বাইরে থেকে ইফতার আনবেন শুনে।ভাইয়া, বাহারি রকমের ইফতারে বিক্রি দেখে চোখ জুড়িয়ে গিয়েছে। ভাইয়া, আমাদের এদিকে প্রতি রমজানে ইফতারের সময় এভাবে বাহারি রকমের খাবার বিক্রি করে মুখরোচক খাবার হওয়ার কারণে অনেক অনেক মানুষের ভিড় হয়। তবে ভাইয়া, খুব দুঃখ লেগেছে আপনি আপনার প্রিয় পানীয় আখের রস কিনতে পারেন নি। ভাইয়া আপনার পছন্দের ইফতারের আয়োজন গুলো কিনতে পেরেছেন শুনে ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।।
তবে বাইরের খাবার খাওয়ার সময় কিছুটা টেনশনে থাকি। কারণ এখন আমাদের জেলাতে ডায়রিয়ার প্রচণ্ড প্রকপ লক্ষ্য করছি।
ফাইনালি ভাইয়া হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরলেন তাহলে। আখের রসের মেশিন নিয়ে বসে থাকে ভ্যানের উপরে এগুলো এখন দেখিনা তেমন। গরমে এক গ্লাস আখের রস খেতে পারলে মন্দ হতো না। যদিও পরিবেশটা নোংরা থাকে যেহেতু ভ্যান নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসে।
এই গরমের ভেতরে ঠান্ডা একগ্লাস আখের রস খেতে পারলে খুবই ভালো হতো। কিন্তু কি আর করা ভাগ্যে নেই।
আপনার বাইরের ইফতারের মুহূর্তগুলো ছিল বেশ সুন্দর। এই গরমের মধ্যে আপনি আপনার স্ত্রীকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য বাইরে ইফতার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সেই সাথে আপনার মেয়েকে নিয়েও একটু ঘুরে আসা হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।