ভোরের আলোয় ঢাকা নামের এই কংক্রিটের জঙ্গলের ভিন্নরূপ। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
গতকাল সকালে আমি হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। ক'দিন ধরে শরীরটা বেশি ভালো যাচ্ছে না। ওজনটাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। চিন্তা করলাম আবার সকালে হাটাহাটি শুরু করা দরকার। সেই মোতাবেক ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়েছিলাম হাঁটতে। রাস্তায় নেমেই কিছুটা বিরক্ত হলাম। কারণ গত রাতের হয়ে যাওয়া বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট কিছুটা কর্দমাক্ত হয়ে আছে। আমি জানি এর ভেতরে হাটতে গেলে আমার প্যান্টে প্রচুর কাঁদা লাগবে। তারপরে আমি আবার হাঁটতে বের হয়েছি হ্যান্ডেল পরে।
স্থান-লিংক
যাইহোক চিন্তা করলাম যেহেতু হাঁটতে বের হয়েছি তাই না হেঁটে এখন আর ফিরে যাব না। ঢাকা শহরে আমি কখনও এত সকালে হাঁটতে বের হইনি। আজই প্রথম বলা চলে। যখন আমি হাঁটতে শুরু করলাম তখন ঢাকা শহরের সম্পূর্ণ এক ভিন্ন রূপ আমি দেখতে পেলাম। প্রচন্ড কোলাহলপূর্ণ এই শহরটা এখন অনেকটাই শান্ত।
স্থান-লিংক
রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। ঢাকা শহরে যদিও এখন গাছপালা খুব একটা নেই। তার পরেও যে কটা আছে সাধারণ সময়ে তারা ধুলো দিয়ে ঢাকা থাকে। গত রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছপালা গুলো সেই ধুলামুক্ত হয়েছে। এখন অনেকটা সজীব সতেজ দেখা যাচ্ছে। ঢাকা শহরের এই রুপ আমাকে কিছুটা অবাক করেছে। প্রচন্ড ব্যস্ত এবং লোকারণ্য এই শহরের যে এমন একটা রূপ থাকতে পারে এটা আমি আগে কখনো চিন্তা করিনি।
স্থান-লিংক
হাঁটছি আর একটা জিনিস মনে হচ্ছে। ভোরের এই স্নিগ্ধতায় সব শহর মনে হয় একই রকম দেখা যায়। মনে হচ্ছে ভোরের এই স্নিগ্ধ আলো কলুষিত এই শহরটাকে একটি ভিন্ন রূপ দিয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে আমি হাতিরঝিলের দিকে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে আমার খুবই ভালো লাগছিল। কারণ ঢাকা শহরে যে অল্প কয়েকটা জায়গা আছে যেখানে আপনি সবুজের ছোঁয়া পাবেন। হাতিরঝিল তার ভিতরে একটি। আশেপাশের এলাকার লোকজনের জন্য এই প্রজেক্টটি একটি আশীর্বাদস্বরূপ।
স্থান- লিংক
ভোরবেলা হলেও দেখলাম সেখানে বেশ লোকজন আছে। কেউ হাঁটাহাঁটি করতে এসেছে। কেউবা হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছে। কেউবা আবার ব্যস্ত পায় কর্মক্ষেত্রের দিকে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে একটু অন্যরকম লাগছিল। আমিও ঢাকা শহরের এই নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ বেশ উপভোগ করছিলাম। আমি জানি একটু বেলা হতেই এই শহর তার পুরনো রূপে ফিরে যাবে। সাধারণত ঢাকা শহরে হাটা চলা করা আপনি খুব একটা উপভোগ করতে পারবেন না। কারণ হাঁটার জন্য যে ফুটপাত তার অনেকটা দখল করে রাখে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আর হকারেরা।
স্থান- লিংক
তার পরেও শহরের নোংরা পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করা আপনি খুব একটা উপভোগ করতে পারবেন না। শব্দ দূষণ বায়ু দূষণ সবকিছু মিলিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত এই শহরে মানুষের টিকে থাকাই মুশকিল। সেখানে যদি আপনি নিরিবিলি শান্ত রাস্তায় হাটা চলা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভোরবেলায় বের হতে হবে। ভোর বেলায় বের হলে ঢাকা শহরের এক ভিন্ন রূপ আপনি দেখতে পাবেন। ভোরের স্নিগ্ধতা এই শহরকে একটি ভিন্ন চেহারা দেয়।
স্থান- লিংক
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আমি তো একেবারে অবাক হয়ে গেলাম ঢাকার এই চিত্র দেখে। অনেক বেশি মনোরম পরিবেশ।মানে ছবিগুলো দেখে মনেই হচ্ছেনা যে এগুলো ঢাকায় তুলেছেন আপনি। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা দেখতে অসাধারণ লাগছে।
আমি নিজেও খুবই অবাক হয়েছি।
আসলেই ভাই,সকালের পরিবেশ অসাধারণ।আপনার ফটোগ্রাফিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে।
আশা করি,তাড়াতাড়ি ওজন কমে যাবে😁
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভোরবেলা হাঁটার অভ্যাসটা সবার করা দরকার এতে করে আমাদের শরীর ও মন ভালো থাকে৷ হাঁটার পাশাপাশি ভোরের আবহাওয়াটাও প্রশংসার দাবি রাখে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর সময়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার পোষ্টের হেডিংটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আর আপনার হেডিংটা বলে দিয়েছে যে আমরা কত সুন্দর শহরে বসবাস করি। ভাইয়া সত্যি বলেছেন আমরা কংক্রিটের জঙ্গলে বসবাস করি। তবে এই শহরের ভোরবেলায় একটা ভিন্ন রূপ থাকে সেটা আমি জানি। আপনি যে এলাকায় ছিলেন বা এখন বর্তমানে আছেন তার পাশে হাতিরঝিল। একটা স্থান যেখানে হাজার হাজার মানুষ গুরতে আসে। এবং হাতিরঝিল ছায়াযুক্ত সবুজ পরিবেশ টা উপভোগ করার জন্য আসে। ঢাকা শহরে একটু বৃষ্টি হলে গলা পর্যন্ত পানি হয় এটা কমবেশি সবাই জানি। আর একটু বৃষ্টির মধ্যে আপনি হাঁটতে বেরিয়েছে খুবই কাদাযুক্ত থাকে। এসময় কেউ হাটার কথা ভাবতেও পারেনা। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঢাকা একবার গিয়েছিলাম কয়েকদিনের জন্য। একদিন সকালে বের হয়েছিলাম। যদিও সেদিনও রাস্তায় বেশ ভালো লোকজন ছিল।
কিন্তু আজ আপনার পোস্ট দেখে ভাই আমি সত্যি অবাক। এটা সত্যি অন্য এক ঢাকা মনে হচ্ছে। খুবই নিরিবিলি জনশূণ্য এবং সুস্থ্য মনে হচ্ছে।।
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ওজন কমানোর জন্য সকালে হাঁটাহাঁটি করা। খুবই ভালো। আপনি ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হয়েছেন খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলেই পানি হওয়ার কারণে শহরে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার ফলে আরো পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।আসলে আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি। আমরা ভাবি শহর অঞ্চলে বসবাস করবো কিন্তু শহর অঞ্চলে আসলেই আমি শুনেছি শহর অঞ্চলের মানুষ গুলা সুস্থ নয় সকলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
ধন্যবাদ আপনাকে।
ওজন কমানোর কথা ভেবে আপনি যে সকাল-সকাল হাঁটতে বেরিয়েছেন এই জিনিসটা দেখেই আমার খুব ভালো লাগছে। আর আমি তো অলসতা করতে করতে বেরোতেই পারি না দাদা। ব্যস্ত শহর গুলোতে ভোরবেলা বেরোলে সত্যি আমরা অবাক হয়ে যাই পরিবেশ টা দেখে। চারপাশটা এত নিরিবিলি থাকে। খুব ভালো লাগে। মনে হয় অচেনা একটি শহরে চলে এসেছি। হাতিরঝিলের রাস্তাটা সত্যি খুব চমৎকার। ভোরবেলা সতেজ হাওয়া গায় লাগানোর জন্য উত্তম জায়গা। সারাটা দিন ভাল কাটুক এই কামনাই রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহরের রাস্তা গুলোও যে এমন নিরিবিলি এবং যানবাহন মুক্ত হতে পারে তোমার ছবিগুলো না দেখলে হয়ত বিশ্বাসই করতাম না। রাত জাগা মানুষগুলো আমরা প্রতিনিয়তই ভোরের সৌন্দর্য হতে বঞ্চিত হচ্ছি।
কংক্রিটের জঙ্গলের কথাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, হস্যকর ছিল কথাটা😄 তবে কথা সত্যি, ভাইয়া পেট কমানোর জন্য সকালের হাটাহাটি টা খুবই কাজে দেয়। আর সাস্থের জন্য ও খুবি ভাল, তবে ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে, মানুষ শুন্য পরিবেশ। আর হাতির ঝিলের পরিবেশটা এমনিতেই অনেক ভাল লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
দাদা খুব সুন্দর ভাবে শহরের ক্রেতা-বিক্রেতা এবং কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ফটোগ্রাফি করেছেন অস্থির এবং বর্ণ গুলো ছিল খুবই সুন্দর আপনার পোস্টটি দেখে এড়িয়ে যেতে পারলাম না। ধন্যবাদ নতুন ভোরের আভাস নিয়ে আমাদের সামনে আসার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।