বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (চতুর্থ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ12 hours ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বাস চলতে শুরু করার পর শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিলো যে স্লিপার বাসে যেতে যাওয়ার ইচ্ছাটাই মনে হয় ভুল ছিলো। এর থেকে হয়তো নন এসি বাসে গেলেও ভালো হতো। কারণ ঝাকুনি এতটাই বেশি অনুভব করছিলাম যে সিটে বসে থাকতে পারছিলাম না। সব সময় শুয়ে থাকতে হচ্ছিলো। আর খুব আরামে যে শুয়ে ছিলাম ব্যাপারটা তেমন ও না। সোজা কথায় জার্নিটা ছিলো বেশ কষ্টকর। তাছাড়া বাস চলছিল বেশ আস্তে। এটা আমরা প্রথম ভালোভাবে বুঝতে পারলাম যখন কুমিল্লা আমাদের গাড়িটা থামলো। সেখানে গাড়ি থামানোর পর আমাদের সবাইকে ২০ মিনিট সময় দেয়া হলো ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য। যেখানে অন্য গাড়িতে আসলে অনেক আগেই আমরা কুমিল্লা পৌঁছে যেতে পারতাম। সেখানে আমরা প্রায় ভোরের দিকে কুমিল্লা পৌঁছেছিলাম।

1000001164.jpg

যাইহোক রাতে যেহেতু ভারি খাবার খেয়েছিলাম তাই ভোর বেলায় তেমন কিছু খেতে ইচ্ছা করলো না। আমি একটা স্যান্ডউইচ আর একটা কফি খেলাম। আমার সাথে বন্ধু ফেরদৌস শুধু একটা স্যান্ডউইচ খেলো। ওইদিকে রাসেল আর রাফসান জানালো তারা কিছু খাবেনা। ওরা দুজন শুধু দুই কাপ চা খেয়েছিলো। ভোরের আলো ফুটে যাওয়ার পর আমার আর ঘুমাতে ইচ্ছা করছিলো না। মনে হচ্ছিল রাস্তার পাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাই। তবে বুঝতে পারলাম এই বাসে করে কক্সবাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। তাই বেশ কিছুক্ষণ বসে বসে আশেপাশের সৌন্দর্য দেখার পরে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। যদিও প্রচন্ড ঝাকির কারণে শান্তি মতো ঘুমাতেও পারছিলাম না। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বেলা 11 টার পরে কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছালাম।


1000001165.jpg

আমরা কক্সবাজার পৌঁছানোর আগেই আমাদের এক বন্ধু ওখানে আমাদের থাকার জন্য একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলো। ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট নামের বড় একটা বিল্ডিংয়ে সেই ফ্ল্যাটের অবস্থান ছিলো। আর এই বিল্ডিংটার অবস্থান ছিলো ঠিক ডলফিন মোড়ে। কক্সবাজার যারা গিয়েছেন তারা ডলফিন মোড় সবাই চিনতে পারবেন। কিন্তু আমাদের বাস আমাদেরকে ডলফিন মোড় থেকে বেশ খানিকটা আগে নামিয়ে দিয়েছিলো। কারণ তখন রাস্তায় ছিল বেশ জ্যাম। যার ফলে কিছুটা পথ আমাদেরকে হেঁটে সেখানে যেতে হয়েছিলো। আমরা চিন্তা করেছিলাম হয়তো এতক্ষণে আমাদের রুম রেডি আছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দায়িত্ব রত ব্যক্তিকে ফোন দিতে সে জানালো রুম রেডি হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।


1000001166.jpg

আমাদের তখন শুধু মনে হচ্ছিলো কখন রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে পারবো। এদিকে প্রচন্ড ক্ষুধাও লেগে গিয়েছিলো। যাই হোক আমরা লবিতে বসে রুম তৈরি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। প্রায় আধা ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর আমাদেরকে জানালো এখন আমরা রুমে যেতে পারি। একটা ছেলে আমাদেরকে আমাদের রুম পর্যন্ত পৌঁছে দিলো। রুমে ঢোকার আগে আমি চিন্তা করছিলাম রুমের অবস্থা কেমন হবে কে জানে। তবে সেই ফ্ল্যাটে ঢুকে আমার মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিলো ফ্ল্যাটটা ছিল সর্বমোট তিন রুমের। দুটো এসি বেড রুম ছিল সেই সাথে একটা লিভিং এরিয়া ছিলো। সাথে দুটো বাথরুম এবং দুটো বারান্দা ছিলো।রুমের বারান্দা থেকে আবার সমুদ্র দেখা যাচ্ছিলো। সারারাত কষ্টকর জার্নির পরে চমৎকার থাকার ব্যবস্থা দেখে মনটা ভালো হয়ে গেলো। আমরা সবাই দ্রুত ফ্রেস হয়ে নিতে লাগলাম। সবাই তৈরি হতে হতে দেখি বেলা প্রায় একটা বেজে গিয়েছে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম দুপুরের সময় নাস্তা না করে আমরা প্রথমে সবাই জুমার নামাজ পড়তে যাবো। নামাজ পড়া শেষ হলে খেয়ে দেয়ে তারপর সমুদ্রে যাবো। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমি চলে গেলাম নামাজ পড়তে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানকক্স বাজার

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 12 hours ago 

বাস জার্নি কষ্টকর হলেও ভাল একটা ফ্ল্যাট পেয়েছেন, বিষয়টি বেশ স্বস্তিকর।

ও রকম একটা ফ্ল্যাট এর খরচ কেমন?

ভাল থাকুন।

 9 hours ago 

আপনাদেরকে তো তাহলে বেশ কষ্ট পেতে হল বাস নিয়ে কক্সবাজার আসতে। আসলেই লং টাইম জার্নিতে বাস নিয়ে আসতে খুবই কষ্ট হয়ে যায়। যাক অবশেষে আপনারা যে রুমগুলো নিলেন সেগুলো একটু ভালো মতো পেলেন তাহলে ভালো সময় গেল। তবে আমি মনে করি কক্সবাজারের রুমগুলো বেশ ভালো পাওয়া যায়। আমি আমার নিজের শহর বলে বলতেছি না কিন্তু অন্যান্য জায়গাতে ভ্রমণ করলে যে রুমগুলো পাওয়া যায় সেই তুলনায় আমাদের কক্সবাজারের হোটেল গুলো বেশ ভালো মানের বলতে হয় ভাইয়া।

 7 hours ago 

সেখানে আমরা প্রায় ভোরের দিকে কুমিল্লা পৌঁছেছিলাম।

বাস যেমন ফালতু ছিলো, তেমনি বাসের ড্রাইভারও ফালতু ছিলো মনে হয়। আমরা মদনপুর থেকে রাত ১২ টার একটু আগে ইমপেরিয়াল এক্সপ্রেস স্লিপার কোচে চড়ে ২ টার আগে কুমিল্লা পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর সকাল ৭টার আগেই ডলফিন মোড়ে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। যাইহোক আপনাদের জার্নিটা কষ্ট হলেও,রুমটা তো সুন্দর ছিলো, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66070.34
ETH 2691.62
USDT 1.00
SBD 2.88